মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘সুলত্বানুন নাছীর’ লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক এবং উনার বিশেষ হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৬০
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটা ঘটনা মুবারক। তোমরা তো বুঝো না। বললে কি হবে? এটা ৪৫-৪৬ বছর আগের কথা। তখন যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফে এ সমস্ত অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি আলোচনা করতেন। মাক্বাম নিয়ে এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হতো। কুতুবুল আলম থাকেন ৭ জন। সুলত্বানুল আরিফীন থাকেন। যেমন ফুরফুরার পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত নাজমুস সা‘আদাত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিও সুলত্বানুল আরিফীন ছিলেন, এরকম আরো আছেন। উনারা কারা? যা হোক; উনি একদিন আমাকে বললেন। আমি চিন্তা করলাম যে, উনারা কারা? তখন আমি একটা স্বপড়ব দেখলাম। স্বপড়বটা হলো এরকম- তখন আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, সুলত্বানুল আরিফীন ঠিক আছে; অসুবিধা নেই। এটা তো ওলীআল্লাহ উনাদের লক্বব। আমাকে একটা লক্বব মুবারক দেওয়া হলো। এটা হলো- ‘সুলত্বানান নাছীরা’। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, এটা কী? তখন বললেন যে, এটা সময় মতো বুঝা যাবে। এটা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ লক্বব মুবারক। সুবহানাল্লাহি
ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনি আরো বললেন যে, আর ক্বিয়ামত পর্যন্ত আপনার সাথে কেউ পারবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যারা বিরোধীতা করবে, তারা সব ধ্বংস হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
আমাদের কার্যক্রম গুলো তো সুন্নাত মুবারক অনুযায়ী। এখন যারা বিরোধিতা করে, তারা তো টিকতে পারবে না। ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ‘সুলত্বানুন নাছীর’ লক্বব মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ লক্বব মুবারক। উনি যখন মক্কা শরীফ বিজয় করলেন, প্রবেশ করলেন, তখন
وَاجْعَلْ لِّىْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطَانً نَّصِيْرًا
অর্থ: “আর আপনি আমাকে আপনার তরফ থেকে ‘সুলত্বানুন নাছীর’ হাদিয়া মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত মুবারক করতেছিলেন।
এই বিষয় একদিন আমি চিন্তা করেছিলাম যে, ‘সুলত্বানুন নাছীর’ উনার হাক্বীক্বতটা কী? তখন আমাকে একটা ঘটনা মুবারক দেখানো হলো- একটা বিরাট জিহাদ। অনেক বড় জিহাদ। সেই জিহাদ মুবারক-এ আমরা তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। আমি সামনে আছি। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে চারজন প্রধান ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে উনারা চারজন ও অন্যান্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে বদরের জিহাদে যেভাবে কামিয়াবী দান করা হয়েছে, তদ্রুপ যেন আমাদেরকেও কামিয়াবী দান করা হয়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
এবং ঐ জিহাদে আমরা কামিয়াবী লাভ করলাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
0 Comments:
Post a Comment