আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) সুলত্বানুন নাছীর’- যাঁকে এই মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না-পর্ব-৭৪

সুলত্বানুন নাছীর’- যাঁকে এই মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না-পর্ব-৭৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ শরীফ (জুমু‘আহ্ বার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এই যে বলছিলাম, তোমরা এটা বুঝো না। ‘সুলত্বানুন নাছীর’ লক্বব মুবারকখানা আমাকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করা হলো, তখন আমি বললাম, এটা কী? তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এটা সময়মত প্রমাণ হবে। যাঁকে এই মহাসম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না। এই সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার মূল মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় করলেন, প্রবেশ করলেন, তখন

وَاجْعَلْ لِّىْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطَاناً نَّصِيْرًا

অর্থ: “আর আপনি আমাকে আপনার তরফ থেকে ‘সুলত্বানুন নাছীর’ হাদিয়া মুবারক করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ তিলাওয়াত মুবারক করতেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলা হয়েছে, ‘সময় মত প্রমাণ হবে। যাকে এই সম্মানিত লক্বব মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হয়, উনার সাথে পৃথিবীর কেউ পারে না।’ তারপর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- কাজেই, কেউ পারবে না আমাদের সাথে। ইনশাআল্লাহ! বুঝতে পারলে? বললাম, তোমাদের বুঝার জন্য। আমাদের সাথে পারে না তো কেউ। পারতেছে? পারবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটা ঘটনা মুবারক। তোমরা তো বুঝো না। বললে কি হবে? এটা ৪৫-৪৬ বছর আগের কথা। তখন যাত্রাবাড়ী দরবার শরীফে এ সমস্ত অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি আলোচনা করতেন। মাক্বাম নিয়ে এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হতো। কুতুবুল আলম থাকেন ৭ জন। সুলত্বানুল আরিফীন থাকেন। যেমন ফুরফুরার পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত নাজমুস সা‘আদাত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিও সুলত্বানুল আরিফীন ছিলেন, এরকম আরো আছেন। উনারা কারা? যা হোক; উনি একদিন আমাকে বললেন। আমি চিন্তা করলাম যে, উনারা কারা? তখন আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম। স্বপড়বটা হলো এরকম- তখন আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, সুলত্বানুল আরিফীন ঠিক আছে, অসুবিধা নেই। এটা তো ওলীআল্লাহ উনাদের লক্বব। আমাকে একটা লক্বব মুবারক দেওয়া হলো। এটা হলো- ‘সুলত্বানান নাছীরা’। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, এটা কী? তখন বললেন যে, এটা সময় মতো বুঝা যাবে। এটা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ লক্বব মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনি আরো বললেন যে, আর ক্বিয়ামত পর্যন্ত আপনার সাথে কেউ পারবে না। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যারা বিরোধিতা করবে, তারা সব ধ্বংস হয়ে যাবে। (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আমাদের কার্যক্রম গুলো তো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক অনুযায়ী। এখন যারা বিরোধিতা করে, তারা তো টিকতে পারবে না। ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


0 Comments: