আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে ইখতিয়ার মুবারক দিয়েছেন , আমি যাকে বেহেশত দিব , সেই বেহেশতে যাবে-পর্ব-৫৫

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে ইখতিয়ার মুবারক দিয়েছেন , আমি যাকে বেহেশত দিব , সেই বেহেশতে যাবে-পর্ব-৫৫

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কিছু কথা আমি প্রকাশ করিনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে ইখতিয়ার দিলেন, ‘আমি যাকে বেহেশত দিবো, সে-ই বেহেশ্তে যাবে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন আমি বললাম, ‘তোমরা ডান দিকে গিয়ে বেহেশ্তে প্রবেশ করো।’ এটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেননি, আমি বলেছি। যে তোমরা ডান দিক দিয়ে যেয়ে বেহেশ্তে প্রবেশ করো। যারা গিয়েছে, তারা বেহেশতে প্রবেশ করেছে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি আমাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন যে, ‘আমি যাকে বলবো, সে-ই বেহেশ্তে যাবে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) হাজার হাজার, লাখ লাখ, কোটি কোটি অসংখ্য লোক যেয়ে বেহেশতে প্রবেশ করলো। আবার সামনে গেলাম, আবার আসলো, আবার সেখানে কিছু লোক সাক্ষাৎ করলো, তাঁরাও প্রবেশ করলো। এরকম কতো ঘটনা আছে। কতো শুনতে চায় মানুষ? উনি সরাসরি আমাকে ইখতিয়ার দিলেন। উনার এই নিসবত-কুরবত, মুহব্বত মানুষ কোথায় পাবে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আমি বললাম, (১২ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা বুধবার ১৪৪০ হিজরী শরীফ-এ) ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে আরো মুহব্বত-মা’রিফত দান করুন। উনি তো অনেককে অনেকের কাছে পাঠিয়েছেন। আমাকে উনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইলিম (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সিনা মুবারক-এ) আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) ঠেকায় দিলেন। যে আরো মুহব্বত-মা’রিফত দেওয়া হবে। ধরে রাখলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এই মুহব্বত-মা’রিফত, এই নিসবত মানুষ কোথায় পাবে? এতো সহজ? এরকম হাজার হাজার, লাখ লাখ, কোটি কোটি ওয়াক্বিয়াহ আছে। উনার নিসবত-কুরবত, মুহব্বত এগুলি অনেক কঠিন বিষয়।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক অনেক বড় একটা মাক্বাম মুবারক। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দুইজনের মধ্যে মাক্বাম মুবারক। অনেক বড় মাক্বাম মুবারক এটা। অনেক বড় আসন মুবারক! অনেক বড় আসন মুবারক এটা! এগুলো সব মানুষ বুঝবে না। সব তো ভাষা দিয়ে প্রকাশ করাও সম্ভব নয়। আর মানুষের পক্ষে বুঝাও সম্ভব নয়। এখানে যেই আসন মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা ছিলেন, পরবর্তীতে আমি বলেছি যে, বেহেশতে ঐ আসন মুবারক-এ তখন উনি আবার বসেছিলেন। ঐ যে সবাই ক্বদম বুছি করলো। মানে ঐখানে যেই আসনগুলি ছিলো (১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৮শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ যে বিশেষ ঘটনা মুবারক বলা হয়েছে) তিনটা অনেক বড় আসন মুবারক। পার্থক্য করা কঠিন। ঐ যে, (১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১১ই রবীউছ ছানী শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ) বললাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমরা নতুন না, আগের থেকে আমরা এখানে আছি, উনার সাথে অবস্থান করতেছি। সুবহানাল্লাহ! বিষয়টা তো এরকম না যে, নতুন আছি। আবার যে সরে যেতে হবে এরকমও না। মনে হয়, ছিলাম, আছি, থাকবো। তখন যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনলেন বাইরে। তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বসবেন, মানুষ যিয়ারত করবে। কিভাবে এটা হবে? তখন কুদরতীভাবে যেই আসন মুবারক যাহির হলো, ঐ আসন মুবারকই ওখানে আসলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ওখানে তাশরীফ মুবারক রাখলেন। তখন লোকজন আসলো, ধাপে ধাপে ক্বদম বুছি করলো। বলা হলো যে, এসে ক্বদম বুছি করো আর যিয়ারত করো। করে সোজা সামনে গিয়ে ডান দিকে যাবে। ডান দিকে গেলে দেখবে বেহেস্ত আছে। ওখানে গিয়ে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করবে। ওটা তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেননি। ওটা উনি আমাকে ইখতিয়ার মুবারক দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তখন আমি বললাম যে, ডান দিকে যাও, গেলেই বেহেশত। যারা গেলো, সব বেহেশতে প্রবেশ করলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেননি। ওটা আমিই বলেছিলাম। ওটা আমিই বলছিলাম। ওটা উনার তরফ থেকে আমাকে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে, আমি যাকে বেহেশত দিবো, সেই বেহেশতে যাবে। উনি তো মালিক, উনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দিতে পারেন। অসুবিধার কি আছে?” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল তা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)


0 Comments: