মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি মুবারকঃ এক সুন্নতী মসজিদ উনার কথা - পর্ব ৪


  • মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি মুবারকঃ এক সুন্নতী মসজিদ উনার কথা - পর্ব ৪
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি তুলে ধরতে হলে পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ উনার কথা বলতেই হবে। এছাড়া সমস্ত বর্ণনা অপূর্ণ রয়ে যাবে। মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে- মুসলমান মাত্রই কোনো না কোনো মসজিদ তৈরিতে সাহায্য করেন বা দান করে থাকেন। শহরে থাকলে এলাকার মসজিদে, গ্রামে থাকলে গ্রামের মসজিদে আবার অনেকে শহরে থেকেও নিজের গ্রামের মসজিদের জন্য দান করে থাকেন। পাশ্চাত্যে যেমন- আমেরিকা, ব্রিটেন, ইটালী, ফ্রান্স এসব দেশে যখন কোনো মুসলিম দেশ যেমন- বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা কোনো আফ্রিকার মুসলিম দেশ থেকে মুসলমানগণ যান; তারা সেদেশে গিয়ে অনেক মসজিদ-মাদরাসা তৈরি করেছেন তার বহু নজির রয়েছে। অনেক বেনামাযী লোকও কেবল মসজিদ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নামাযী হয়ে গেছেন। এর কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত। অর্থাৎ খালিছ নিয়তে কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার ঘরের খিদমতের আঞ্জাম দেয়, তাহলে এক সময় তার আল্লাহওয়ালা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়।
তবে অবশ্যই একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে- যদি কোনো ভ্রান্ত মত-পথ প্রচারের লক্ষ্যে, সমাজে নিজের অবস্থান প্রকাশের উদ্দেশ্যে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে বা সেখানে দান করে, তবে নেকী না হয়ে বিপরীত ফল বয়ে আনবে।
পবিত্র মসজিদুল হারাম শরীফ উনার মধ্যে নামায পড়লে এক রাকাতের সমান এক লক্ষ রাকাতের ছওয়াব, পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ এবং পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার মাঝে এক রাকাতের বিনিময়ে পঞ্চাশ হাজার রাকাতের সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। আর যে মসজিদে জুমুয়াহ হয় সেখানে নামায পড়লে এক রাকাতের বিনিময়ে পাঁচশ’ রাকাত আর সাধারণ মসজিদে নামায পড়লে ঘরে পড়ার চেয়ে পঁচিশগুণ বেশি ছওয়াব পাওয়া যায়। এখানে ফতওয়া হচ্ছে, বেশি ছওয়াবের নিয়তে পবিত্র মসজিদুল হারাম শরীফ, পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ এবং পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ ভিন্ন অন্য কোনো মসজিদে ভ্রমণ (ছফর) করা জায়িয নেই। কিন্তু এটা সত্য, এই তিন মসজিদে দান করা আর অন্য কোনো মসজিদে দান করা কখনোই সমান হবে না। একইভাবে যে মসজিদ কোনো মহান ওলীআল্লাহ উনার সঙ্গে নিছবতযুক্ত (সম্পর্কযুক্ত) এবং যে মসজিদ হতে হাক্বীক্বীভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার কার্যক্রম হয়, সেখানে দান করা আর কেবল পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের মসজিদে দান করা কখনো এক হবে না। এর মূল কারণ বুঝতে হলে একটি বিষয় জানা ও উপলব্ধি করা দরকার। যেমন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার আমলনামা দাঁড়িপাল্লার এক অংশে রাখা হলে আর অন্য অংশে বিশ্বের সকল মুসলমান উনাদের আমলনামা রাখা হলে উনার অংশই ভারী হবে। এর কারণ তিনিই প্রথম সম্মানিত পুরুষ ব্যক্তিত্ব মুবারক যিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে প্রথম কবুল করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! ফলে যত মুসলমান পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করবেন সবার আমলনামা সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার আমলনামায় জমা হচ্ছে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত হতেই থাকবে। তাহলে সকলের সঞ্চিত নেক আমলনামা যোগে উনার আমলনামা ভারী হবে- এটাই স্বাভাবিক।
একইভাবে যে মসজিদ মুবারকে যিকির-ফিকির, ইলম আমলের, পবিত্র দ্বীন ইসলামের প্রচার প্রসারের কাজকর্ম চলতেই থাকে, সেই মসজিদে দান করলে অবশ্যই কেবল ওয়াক্তিয়া মসজিদে দান করার চেয়ে ছওয়াব বেশি পাওয়া যাবে। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াদা। কারণ তিনি সমস্ত নেক কাজের উত্তম প্রতিদান দিয়ে থাকেন। (চলবে)
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
  মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি মুবারকঃ ঢাকাস্থ ‘রাজারবাগ শরীফ’ থেকে কার্যক্রম শুরু- পর্ব-৩


৩. ঢাকাস্থ ‘রাজারবাগ শরীফ’ থেকে কার্যক্রম শুরু :

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ববর্তী সময়ে যে সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এসেছিলেন, উনারা একটি নির্দিষ্ট কওমের হিদায়েতের জন্য এসেছিলেন। একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন পুরো কায়িনাতের জন্য। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন ‘খাতামুন নাবিইয়ীন’ অর্থাৎ উনার পর আর কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা আসবেন না; কিন্তু উনার উম্মতের মধ্য থেকে আসবেন সম্মানিত “মুজাদ্দিদ”। মুজাদ্দিদগণ কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করলেও উনাদের হিদায়েতের কার্যপরিধি থাকে পৃথিবীব্যাপী।
আর একজন সম্মানিত মুজাদ্দিদসহ সকল ওলীআল্লাহগণ উনারা কে কোথায় অবস্থান করে হিদায়েতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তা মূলত নিয়ন্ত্রণ করেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। যেমন হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তৎকালীন বৃহত্তর পারস্যের অধিবাসী হলেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশক্রমে ভারতের আজমীর শরীফে এসে হিদায়েতের কার্যক্রম শুরু করেন। আবার ৭ম শতকের মহান মুজাদ্দিদ মাহবুবে ইলাহী হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভারতের দিল্লীতে উনার হিদায়েতের কেন্দ্রস্থল গড়ে তোলেন। আবার হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করলেও উনার পৈতৃক নিবাস সিরহিন্দ শরীফই ছিল উনার মূল হিদায়েতের কর্মস্থল।
একইভাবে ১৫ শতকের মহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান করার কারণে সেখান থেকেই হিদায়েতের আলো বিতরণ শুরু করেন। যদিও উনার সম্মানিত শায়েখ ঢাকার যাত্রাবাড়িতে অবস্থান করতেন; কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশক্রমে তিনি উনার পৈতৃক নিবাস ঢাকার রাজারবাগ শরীফে মসজিদে নববী শরীফ উনার আদলে পবিত্র সুন্নতী মসজিদ স্থাপন করেন এবং এখান থেকেই উনার মূল হিদায়েতের কার্যক্রম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার অবস্থান হচ্ছেন- দেশের বৃহত্তম পুলিশ লাইন ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইন’-এর ৩নং গেটের বিপরীত দিকে। যখন কাফির-মুশরিকরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের চতুর্দিকে মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বানানোর একটা অপচেষ্টায় লিপ্ত, ঠিক সেই সময়ে ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইন’-এর ৩নং গেটের বিপরীতে হিদায়েতের এই কর্মকান্ড- হচ্ছে হক্বের একটি অনন্য নিশানা এবং সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একটি কারামত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। (চলবে)
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
আজ ২৭ রবিউল আউয়াল শরীফ


আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
*
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অন্য কোনো নারীদের মত নন।’ অর্থাৎ উনাদের মত কেউনা। সুবহানাল্লাহ!
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
এ সুমহান দিবস উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মজলিস করা।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম মোট ১৩ জন উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার মুবারক ধারাবাহিকক্রম অনুযায়ী উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘আল খ¦মিসাহ বা পঞ্চম’। তিনি সকলের মাঝে ‘উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ হিসেবে পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মূল মহাপবিত্র ইসম (নাম মুবারক) হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত খুযাইমাহ্ ইবনে হারিছ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন বনূ হিলাল গোত্রের সবচেয়ে সম্মানিত ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবাহনাল্লাহ! সকলেই উনাকে বেমেছাল সম্মান-ইজ্জত ও তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত হিন্দ বিনতে আউফ আলাইহাস সালাম তিনিও ছিলেন উনার সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিতা ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে একমাত্র তিনিই সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি দুইজন মহাসম্মানিতা উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিমাস সালাম অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছা ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশের ১৪ বছর পূর্বে পবিত্র ২০শে শাওওয়াল শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ পবিত্র মক্কা শরীফে মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন হয় ৩য় হিজরী শরীফে। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র নিসবতে ‘আ’যীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩০ বছর। সুবহানাল্লাহ! তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন কয়েক মাস অর্থাৎ ৫ মাস ৭ দিন প্রায়। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন ৪র্থ হিজরী শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৭ শরীফ ইয়াওমুস সাব্ত শরীফ পবিত্র মদীনা শরীফে। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন ৩০ বছর ৫ মাস ৭ দিন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ “সম্মানিত জান্নাতুল বাক্বী শরীফ” উনার মাঝে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!
#90DaysMahfil
Sm40.com
৯০ দিনব্যাপী মাহফিল কোথা থেকে এলো ?


অকল্পনীয় ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল:
-----------------------------------------------
৯০ কোথা থেকে এলো,

মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব মাহবুব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ৬৩ বছর হায়াতে তইয়িবা
+ মহাসম্মানিত মিরাজ শরীফ উনার ২৭ বছর
= মহাসম্মানিত ৯০ বছর
সম্মানিত ৯০ বছর থেকে ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল
#90daysMahfil
বিস্তারিত দেখুন:
Sm40.com
আপনি কি জানেন ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিল কেন হচ্ছে?
১.!!! মুবারক হো ৯০ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিল !!!


১.আপনি কি জানেন ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিল কেন হচ্ছে?
জাওয়াব-সাইয়্যিদুল মুরছালীন ইমামুল মুরছালীন খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সম্মানার্থে ৯০দিন ব্যাপী  বিশেষ মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এখন আপনারা সুওয়াল করতে পারেন ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিল কেন? হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক ৬৩ বছর ছিল এবং সম্মানীত মিরাজ শরীফ উনার ২৭ বছর উনি স্বয়ং খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দিদার মুবারকে ছিলেন যার কারনে ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিল বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছে। 

২.আপনি কি জানেন ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিল উনার পৃষ্ঠপোষক উনি কে?
জাওয়াব- খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছির মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম,রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।

৩.আপনি কি জানেন ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিল কোথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে?
জাওয়াব- ৫/১ আউটার সার্কুলার রোড, রাজার বাগ শরীফ ঢাকা।১২১৭,সুন্নতী জামে মসজিদ।

৪.আপনি কেন ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন?
জাওয়াব- কুল কায়িনাতের সকল জ্বীন ইনসান তাদের শান্তির খোঁজে দিশেহারা, কোথায় গেলে ইতমিনান খুঁজে পাবে,রিযিকের পেরেশানীতে থেকে মুক্তি পাবে।
সেই সময়েই সাইয়্যিদুনা সুলত্বনিন নাছির আলাইহিস সালাম আমাদেরকে হাদীয়া করলেন ৯০ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিল।সুবহানাল্লাহ। 
তাই আসুন আমরা দলে দলে এই ৯০ দিন ব্যাপী মাহফিলে যোগদান করে দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী হাসিল করি।
যোগাযোগ করুন -01727752543

#90DaysMahfil 
Sm40.com
মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি মুবারক  :মুবারক পূর্বপূরুষ উনাদের পরিচিতি - পর্ব-২


২. মুবারক পূর্বপূরুষ উনাদের পরিচিতি :

আমাদের এ অঞ্চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছেন হযরত ওরাছাতুল আম্বিয়াগণ অর্থাৎ ওলীআল্লাহগণ উনারা। উনারাই এ অঞ্চল যথা: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার করেছেন, পথহারা মানুষদেরকে ঈমান দান করেছেন। এমনি এক মহান ওলীআল্লাহ ছিলেন খাজা গরীবে নাওয়াজ হযরত মুঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি; যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাইবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ভাতবর্ষের আজমীর শরীফে হেদায়েতের বার্তা নিয়ে আগমন করেন। তিনি সমরখন্দ, লাহোর, মুলতান হয়ে দিল্লী পৌঁছেন। পরবর্তীতে দিল্লী থেকে আজমীর শরীফ পৌঁছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার শুরু করেন। কিছু সঙ্গী-সাথী ছাড়া কোনো সৈন্য-সামন্ত উনার ছিল না। আজমীর শরীফের যালিম হিন্দু শাসক পৃথ্বীরাজ চৌহান কিছুতেই গরীবে নাওয়াজ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সহ্য করতে পারলো না। হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৃথ্বীরাজের প্রধান যাদুকর ও বিশাল সৈন্য বাহিনী তুলার মতো উড়ে গেল। পরবর্তীতে পৃথ্বীরাজ নিজে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হযরত শিহাবউদ্দিন মুহম্মদ ঘোরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে প্রাণ দেয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাম্য ও মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রায় ১ কোটি বিধর্মী হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দীক্ষিত হয় । মহান আল্লাহ পাক উনার এই মহান ওলীআল্লাহ বেশ কিছু সঙ্গী-সাথী ও অনুসারীদের নিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য ভারতবর্ষে এসেছিলেন। উনার সঙ্গীদের মধ্যে উনার এক অন্তরঙ্গ সঙ্গী ছিলেন ঐ যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবু বকর মুজাদ্দিদি রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি আজমীর শরীফে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে অবস্থান করেন এবং সেখানে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আজমীর শরীফে উনার মাজার শরীফ রয়েছে। উনারই অধস্তন বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা ১১ হিজরী শতকের শেষার্ধে হিদায়াতের মহান ব্রত নিয়ে চট্টগ্রাম আসেন।
পাঠক, নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, সে কালে প্রধানতঃ পানিপথেই হিদায়াতের উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বাংলাদেশে আসতেন। এজন্য চট্টগ্রামকে আজো ওলীআল্লাহগণের আগমনের কেন্দ্রবিন্দু (বা প্রধান পথ) মানা হয়ে থাকে। এই চট্টগ্রাম থেকেই উনারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তেন। আজ বাংলাদেশের সব অঞ্চলে মুক্তার মতো ছড়িয়ে আছেন বহু ওলী-আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পবিত্র রওযা মুবারক। এই ধারাবাহিকতায় হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা চট্টগ্রাম পৌঁছেন। কিছুদিন চট্টগ্রাম অবস্থানের পর উনারা দুই ভাই হিদায়াতের উদ্দেশ্যে উভয়ই না’গঞ্জের (নূরানীগঞ্জ) সোনারগাঁও আসেন। এই সোনারগাঁয়ে অসংখ্য হযরত ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এসেছিলেন; এর নিদর্শন এলাকায় ভুরিভুরি পাওয়া যায়। হযরত সাইয়্যিদ সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই সোনারগাঁও এলাকায় হিদায়াতের কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং সেখানেই বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
আর হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সোনারগাঁওয়ে কিছু দিন অবস্থান করার পর সোনারগাঁওয়ের অদূরে যে স্থানে উনার হিদায়াতের কেন্দ্র গড়ে তুললেন তার বর্তমান নাম “প্রভাকরদী”। এই প্রভাকরদীতে রয়েছে একটি মাজার শরীফ কমপ্লেক্স, যেখানে রয়েছেন বর্তমান যামানার মহান মুজাদ্দিদ, ইমামুল উমাম, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পূর্বপুরুষগণ উনারা। এই ‘সাইয়্যিদ বাড়ি’তে আজো রয়েছে সুমহান ঐতিহ্য ও ইযযত মুবারকের ছাপ।
এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন; তা হলো- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সকলেই সম্ভ্রান্ত পূর্বপুরুষগণ উনাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে তাশরীফ এনেছেন। এর সামান্য ব্যতিক্রম কেউ খুঁজে পাবে না।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ এলাহি বখ্স রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্মানিত বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ওয়ালী বখ্স রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্মানিত বুযুর্গ আওলাদ হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি।
কুতুবুয যামান, আরিফ বিল্লাহ, লিছানুল হক, ফখরুল আউলিয়া, হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১৩২৫ হিজরী ১৯০৮ ঈসায়ী
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#RajarbagDorberShareef
#90DaysMahfil
sunnat.info
Sm40.com
মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলার পরিচিতি মুবারক- পর্ব-১


১.মহাসম্মানীত মহাপবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার সিলসিলার পরিচিতি : পর্ব-১
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেছেন " আমার উম্মত আমার শিক্ষাকে ৭৩ টি দলে বিভক্ত করবে তবে তার মাঝে একটি দল হবে হক"। সেই সঠিক আকীদা বিশিষ্ট দলকে পরবর্তীতে বলা হয়েছে "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত"। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো অনেকেই নিজেদের সেই দলের সদস্য দাবী করছে কিন্তু তাদের আকায়েদ, আমল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে ভিন্ন, যেমন ওহাবী ও সলাফী সম্প্রদায়। চার মাযহাবের অনুসারীগনই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী । তারপরেও একই মাযহাবের অনুসারীগনের মধ্যে আবার ইলমে তাসাউফ, ইলমে আখলাক বা ইলমে বাতেন হাছিলের জন্য বিভিন্ন ধারা, তরিকা বা সিলসিলা পাওয়া যায়। সিলসিলা একটি আরবী শব্দ যার অর্থ চেইন বা সংযোগের ধারাবাহিকতা। এটা আধ্যাত্মিক বংশতালিকাও বটে যেখানে একজন কামিল মুর্শিদ বা শায়েখ উনার উত্তরপুরুষদের মধ্যে খেলাফতের ভার ন্যাস্ত করে যান। সিলসিলা হচ্ছে কামিল মুর্শিদ বা শায়েখগণের একটি পরযায়ক্রমিক ধারা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গাউসুল আযম, হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গারীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা আহলে সুন্নাত জামাতের আকিদাভুক্ত হবার পরেও, মাযহাবের দিক থেকে এবং তাসাউফ শিক্ষার সিলসিলার দিক থেকে ভিন্ন। আর সে কারণে অনেক সময় তাসাউফ শিক্ষার পর্যায়ক্রমিক ধারাই সিলসিলা হিসেবে মশহুর হয়ে থাকে।
কখনো কখনো কোন সিলসিলার মধ্যে আগত কোন বিশিষ্ট আল্লাহ পাক উনার ওলীর নাম অনুসারে বা উনার অবস্থানস্থল অনুসারে সেই সিলসিলা ভিন্ন নামে মানুষের মাঝে পরিচিত হয়ে থাকে। কিন্তু নাম যাই হোক না কেন সেই সিলসিলা মূলের দিক থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদাভুক্ত এবং তসাউফের একটি নির্দিষ্ট ধারার সঙ্গে অবশ্যই সম্পৃক্ত থাকবে।
গাউসুল আযম হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি উনার তরিকা বা সিলসিলা উনার সম্মানিত নাম মুবারক অনুসারে কাদেরিয়া তরিকা বা কাদেরিয়া সিলসিলা হিসেবে মশহুর । আবার হযরত মুজাদ্দিদে আল ফিসানী রহমতুল্লাহি উনার তরীকা প্রথম দিকে কেবল মুজাদ্দিদিয়া তরীকা হিসেবেও থাকলেও পরে নক্সবন্দীয়া তরিকা মিলিত হবার কারণে নাম হয় "নক্সবন্দীয়া-মুজাদ্দেদিয়া"। আবার চিশত নামক স্থান থেকে "চিশতিয়া" তরিকা নামের উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। হযরত বাহাউদ্দিন নকশবান্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তরিকা "নাক্সবান্দিয়া" তরিকা হিসেবে মশহর। এই "নকশবান্দ" নাম মুবারক মশহুর হবার পেছনে দুটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয় ১) তিনি উনার সম্মানিত পিতাকে নক্সাদার চাদর বুনতে সাহায্য করতেন ২) তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির শরীফের মাধ্যমে উনার অন্তরে আল্লাহ পাক উনার নক্সা অঙ্কিত করেছিলেন। আবার বিশিষ্ট মুজাদ্দিদ হযরত সৈয়দ আহমদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চার তরীকার তালিম দেবার কারণে অনেক স্থানে এসে এই সিলসিলার নাম পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন ১৪ শতকের বিশিষ্ট মুজাদ্দিদ তিনি ভারতের ফুরফুরা শরীফে অবস্থানের কারণে সিলসিলার নাম পরিবর্তিত হয়ে ফুরফুরা সিলসিলা হিসেবে মশহুর হয়ে যায়। তাহলে আমরা দেখতে পেলাম ওলী আল্লাহগণের নাম থেকে, এলাকার নাম থেকে, রুপক অর্থে বিভিন্নভাবে সিলসিলার নাম মশহুর হয়ে থাকে। একইভাবে ১৫ শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি রাজারবাগ শরীফে অবস্থান কারণে অনেকে এই সম্মানিত সিলসিলাকে রাজারবাগ সিলসিলা হিসেবে চেনে থাকেন। (চলবে)
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
90 days Mahfil is going at Rajarbag Dorber Shareef, Dhaka


🌹 In 90-day Mahfil:
**
🌷 Purpose of Mahfil:
----------------------------------------
In order to gain the satisfaction of Almighty Allah, to reveal the honor of His Holiness Mahbub Huzoor Pak sallallahu alaihi wa sallam and the honorable Ahlu Bayt Sharif alaihimus salam, and to respond to the defamatory statements of the disbelievers.

✅ Venue: Sunnati jame masjid, Dhaka, Bangladesh.(GoogleMap:-https://maps.app.goo.gl/z6PL8Zg8R3MDe3Pd8)

🕖 Time: Today Friday 21 October 2022 starts from Maghrib.

📡 Live: Al-hikmah.net or fb.com/alhikmah.net

🌷💚🌷 Honorable Founder :
Sayyiduna Mamduh Hazrat Murshid Qibla Alaihis Salam who is respected Shaykh Rajarbagh Darbar Sharif Al Hasani Wal Hussaini, Wal Quraishi.

حدث رائع في التاريخ في بنغلاديش
تسعين يوما طويلة المحفل
A wonderful event in history happening in Bangladesh: 90 days long mahfil

✅ Get maximum success in this world and the Akhirat by participating financially and physically in Mahfil.

🌐 Learn more: ‍SM40.com
🌐 Huge collection of respected Sunnat content - Sunnat.info - fb.com/12ispc
🟢 Participate financially
Development Agent : 01709672605
Vikas Personal : 01718740742, 01847232415
Rocket Personal : 01718740742
Cash Agent : 01729285850
Cash Personal : 01847232415, 01718740742, 01709672605

#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
দুর্ভিক্ষ, আযাব গযব বালা মুছিবত থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র ক্ববুল যোগ্য আমল হলো সারা কায়িনাত ব্যাপী সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা।


হে মুসলমান সম্প্রদায়, কাফের মুশরিকদের সকল প্রকার নির্যাতন ও আজাব গজব থেকে বাছতে চাইলে এবং নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি অর্জন করতে হলে সার্বক্ষণিকভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে হবে।

কিছু লোক এমন আছে যারা বলে, “সারা বিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে, আর আপনারা ঈদে মীলাদুন নবী উপলক্ষে খুশি করছেন।” যারা এ ধরনের বক্তব্য দেয় তারা নিতান্তই জাহেল বা মূর্খ। একটি কথা কারোই অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, মুসলমানরা ইসলাম পালন ছেড়ে দেওয়ায় দরূণ এই করুন অবস্থা। মুসলমানরা কুরআন শরীফ হাদীস শরীফ থেকে দূরে সরে যাওয়ায় মুসলমানদের এত হেনস্থা ও অধপতন।
কিন্তু কেন এই অবস্থা ?? মুসলমানরা আসলে কোন আমল ছেড়ে দিয়েছে ??

এই বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফে ঈরশাদ মুবারক করেন- ‘‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন।’’ (সূরা ইব্রাহীম : ৭)

অবশ্যই আমাদের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছে রাসূলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনাকে পাওয়ার জন্য আমরা শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আর সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই শুকরিয়া আদায় করার জনই করা হয় । বর্তমানে মুসলমানরা যদি সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে পারতো, তবে অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের নিয়ামত আরো বৃদ্ধি করে দিতেন, মুসলমানদের সমৃদ্ধি দিতেন। কিন্তু যেহেতু মুসলমানরা তা সঠিকভাবে করছে না তাই মুসলমানদের এত করুণ অবস্থা। মুসলমানরা ধাপে ধাপে নির্যাতিত হচ্ছে।

এই বিষয়ে হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন,

لَازَالَ اَهْلُ الْـحَرَمَيْنِ الشَّرِيْفَيْنِ وَالْـمِصْرِ وَالْيَمَنِ وَالشَّامِ وَسَائِرِ بِلَادِ الْعَرَبِ مِنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ يَـحْتَفِلُوْنَ بِـمَجْلِسِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْرَحُوْنَ بِقُدُوْمِ هِلَالِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ وَيَغْتَسِلُوْنَ وَيَلْبَسُوْنَ الثّيَابَ الْفَاخِرَةَ وَيَتَزَيّـِنُوْنَ بِاَنْوَاعِ الزّيْنَةِ وَيَتَطَيّـِبُوْنَ وَيَكْتَحِلُوْنَ وَيَأْتُوْنَ بِالسُّرُوْرِ فِىْ هٰذِهِ الْاَيَّامِ وَيَبْذُلُوْنَ عَلَى النَّاسِ بِـمَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ الْـمَضْرُوْبِ وَالْاَجْنَاسِ وَيَهْتَمُّوْنَ اِهْتِمَامًا بَلِيْغًا عَلَى السّمَاعِ وَالْقِرَاءَةِ لِـمَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَنَالُوْنَ بِذَالِكَ اَجْرًا جَزِيْلًا وَفَوْزًا عَظِيْمًا.

অর্থ : “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)

সুতরাং যারা বলে- “সারা বিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে, আর আপনারা ঈদে মীলাদুন নবী নিয়ে খুশি করছেন?” তারা জাহিল, অকৃতজ্ঞ ও লানতপ্রাপ্ত ছাড়া অন্যকিছু নয়।
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দিন বিলাদত শরীফ (জন্ম) গ্রহণ করেন সেই দিন চাঁদ কেমন ছিলো ?? আসুন, ইতিহাস ও বিজ্ঞান মিলিয়ে নেই-


নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দিন বিলাদত শরীফ (জন্ম) গ্রহণ করেন সেই দিন চাঁদ কেমন ছিলো ?? আসুন, ইতিহাস ও বিজ্ঞান মিলিয়ে নেই-

উল্লিখিত পবিত্র রাতটি প্রসঙ্গে স্বয়ং নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‍উনার সম্মানিতা আম্মাজান হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম বলেন, ‘এটা ছিলো চন্দ্রের আলোয় আলোকিত রাত। চারপাশে কোন প্রকার অন্ধকার ছিলো না। সে সময় হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার সন্তানাদিদের নিয়ে হারাম শরীফ-্উনার দিকে যান বাইতুল্লাহ শরীফ-এর ভাঙা দেয়াল মেরামত করার জন্য। (সূত্র: প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিক আল্লামা হায়তামী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি কর্তৃক রচিত ‘আননি ‘মাতুল কুবরা আলাল আলম)

অনেকে দাবি করে নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ নাকি ২, ৮ কিংবা ৯ই রবিউল আউয়াল তারিখে। কিন্তু এগুলো ভুল। কেননা্ ঐদিনের ঘটনাবলী এবং অ্যাস্ট্রোনমাদের গবেষণায় বলে দিচ্ছে নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ ছিলো ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ। কারণ- ২ রা রবীউল আউয়াল হবার সম্ভাবনা একারণেই নেই যে সেদিন চাঁদ উদয় হবার পর প্রায় ১ ঘণ্টা পর চাঁদ অস্ত গিয়েছিলো। ৯ ই রবীউল আউয়াল হবার সম্ভাবনা নেই কারণ সেদিন চাঁদের আলো ততটা তীক্ষ্ণ ছিলনা, ৮৬ ভাগ আলোকিত ছিল। আর ১২ ই রবীউল আউয়াল শরীফ চাঁদ ১০০ ভাগ আলোকিত ছিল। অর্থাৎ হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনার  ভাষ্য অনুযায়ী যা জোছনার রাত ছিল। সুবহানাল্লাহ।
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়-


ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল এ রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক নাযিল হয়-

পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক মাহফিল যা সমগ্র পৃথিবীতে পালন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন-
اَمَّا اَہْلُ مَکَّۃَ یَزِیْدُ اِہْتِمَامَہُمْ بِہٖ عَلٰی یَوْمِ الْعِیْدِ

অর্থ: “মক্কাবাসীগণ মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি গুরুত্ব ঈদ অপেক্ষাও বেশী দিতেন।” (আল মাওরেদুর রাবী ফি মাওলিদিন নবী)

আর এসব মাহফিলে যে কতবড় নিয়ামত, রহমত নাযিল সে বিষয়ে হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, –

ﻭﻛﻨﺖ ﻗﺒﻞ ﺫﻟﻚ ﺑﻤﻜﺔ ﺍﻟﻤﻌﻈﻤﺔ ﻓﻰ ﻣﻮﻟﺪ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻰ

ﻳﻮﻡ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺬﻛﺮﻭﻥ

ﺍﺭﻫﺎﺻﺎﺗﻪ ﺍﻟﺘﻰ ﻇﻬﺮﺕ ﻓﻰ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﻭﻣﺸﺎﻫﺪﻩ ﻗﺒﻞ ﺑﻌﺜﺘﻪ ﻓﺮﺃﻳﺖ ﺍﻧﻮﺍﺭﺍ

ﺳﻄﻌﺖ ﺩﻓﻌﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻻ ﺍﻗﻮﻝ ﺍﻧﻯﺎﺩﺭﻛﺘﻬﺎ ﺑﺒﺼﺮﺍﻟﺠﺴﺪ ﻭﻻ ﺍﻗﻮﻝ ﺍﺩﺭﻛﺘﻬﺎ

ﺑﺒﺼﺮ ﺍﻟﺮﻭﺡ ﻓﻘﻂ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ

ﻛﻴﻒ ﻛﺎﻥ ﺍﻻﻣﺮ ﺑﻴﻦ ﻫﺬﺍ ﻭ ﺫﻟﻚ ﻓﺘﺄﻣﻠﺖ ﺗﻠﻚ ﺍﻻﻧﻮﺍﺭ ﻓﻮﺟﺪﺗﻬﺎ ﻣﻦ ﻗﺒﻞ

ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﺆﻛﻠﻴﻦ ﺑﺎﻣﺜﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺸﺎﻫﺪ ﻭﺑﺎﻣﺜﺎﻝ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻤﺠﺎ ﻟﺲ ﻭﺭﺍﻳﺖ

ﻳﺨﺎﻟﻄﻪ ﺍﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ০

(‏( ﻓﻴﺾ ﺍﻟﺤﺮﻣﻴﻦ

“আমি একবার মক্কা মুয়াযযাময় মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ-এর দিনে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর স্থানে উপস্থিত ছিলাম। তখন লোকেরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঐসব মু’জিযা শরীফ বর্ণনা করছিলেন, যেগুলো হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনের পূর্বে এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের পূর্বে প্রকাশ পেয়েছিলো। আমি হঠাৎ দেখতে পেলাম সেখানে জ্যোতিসমূহেরই ছড়াছড়ি। তখন আমি গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করলাম ও বুঝতে পারলাম যে, ঐ ‘নূর’ (জ্যোতি হচ্ছে ঐসব ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, যিনাদেরকে এমন মাহফিলসমূহের (মীলাদ শরীফ ইত্যাদি) জন্য নিয়োজত রাখা হয়েছে। অনুরূপভাবে আমি দেখেছি ‘রহমতের নূর’ ও ফেরেশ্তাদের নূর’ সেখানে একাকার হয়ে গিয়েছে।” (ফুয়ূযুল হেরামাইন)।
#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
افضل العبادة والاعمال سيد سيد الاعياد شريف (1)
افضل العبادة والاعمال سيد سيد الاعياد شريف (1) 

قال الله تعالى فى القران الكريم {قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ} [يونس: 58] وقال تعالى ايضا { إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا } [الأحزاب: 56] 
قال حضرت أبو بكر (المشهور بالبكري) عثمان بن محمد شطا الدمياطي الشافعي رحمة الله عليه (المتوفى: 1310هـ) فى كتابه "إعانة الطالبين على حل ألفاظ فتح المعين `3/ 415  -(وحكي) أنه كان في زمان أمير المؤمنين هارون الرشيد شاب في البصرة مسرف على نفسه وكان أهل البلد ينظرون إليه بعين التحقير لأجل أفعاله الخبيثة، غير أنه كان إذا قدم شهر ربيع الأول غسل ثيابه وتعطر وتجمل وعمل وليمة واستقرأ فيها مولد النبي - صلى الله عليه وسلم - ودام على هذا الحال زمانا طويلا، ثم لما مات سمع أهل البلد هاتفا يقول: احضروا يا أهل البصرة واشهدوا جنازة ولي من أولياء الله فإنه عزيز عندي، فحضر أهل البلد جنازته ودفنوه، فرأوه في المنام وهو يرفل في حلل سندس واستبرق، فقيل له بم نلت هذه الفضيلة؟ قال بتعظيم مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -. 
(وحكي) أنه كان في زمان الخليفة عبد الملك بن مروان شاب حسن الصورة في الشام، وكان يلهو بركوب الخيل فبينما هو ذات يوم على ظهر حصانه إذ أجفل الحصان وحمله في سكك الشام ولم يكن له قدرة على منعه فوقع طريقه على باب الخليفة فصادف ولده ولم يقدر الولد على رد الحصان فصدمه بالفرس وقتله، فوصل الخبر إلى الخليفة فأمر بإحضاره، فلما أن أشرف إليه خطر على باله أن قال إن خلصني الله تعالى من هذه الواقعة أعمل وليمة عظيمة وأستقرئ فيها مولد النبي - صلى الله عليه وسلم - فلما حضر قدامه ونظر إليه ضحك بعدما كان يخنقه الغضب، فقال: يا هذا أتحسن السحر؟ قال لا والله يا أمير المؤمنين. فقال عفوت عنك، ولكن قل لي ماذا قلت؟ قال: قلت إن خلصني الله تعالى من هذه الواقعة الجسيمة أعمل له وليمة لأجل مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -.فقال الخليفة قد عفوت عنك، وهذه ألف دينار لأجل مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -، وأنت في حل من دم ولدي. فخرج الشاب وعفى عن القصاص وأخذ ألف دينار ببركة مولد النبي - صلى الله عليه وسلم -. 
وإنما أطلت الكلام في ذلك لأجل أن يعتني ويرغب جميع الإخوان، في قراءة مولد سيد ولد عدنان، لأن من لأجله خلقت الأرواح والأجسام، بحق أن يهدى له الروح والمال والطعام. وفقنا الله وإياكم لقراءة مولد نبيه الكريم (سيد سيد الاعياد شريف) على الدوام، وإنفاق المال لأجله في سائر الأوقات والأيام آمين

#7RobiulAwalShareef
#12RobiulAwalShareef
#90DaysMahfil 
#RajarbagDorberShareef
sunnat.info
Sm40.com
দেওবন্দী - কওমীদের গুরুদের ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

 

দেওবন্দী - কওমীদের গুরুদের ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন

১. মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভীর মিলাদ পালন
দেওবন্দীদের অন্যতম বুযূর্গ মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভী বর্ণনা করে," হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারকের উসিলায় সমস্ত জগত সৃষ্টি হয়েছে।" 


আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

وذکرہم بایام اللہ-ان فی ذالک لایت لکل صبار ‌‎‎شکور-

“আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কে নির্দেশ দেন যে,আপনি তাদেরকে(বনী ইসরাঈল) আল্লাহর নিদর্শনাবলীর কথা স্মরন করিয়ে দিন।নিশ্চয় এতে প্রত্যেক অধিক সবরকারী,শুকুর গুজারদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।”


  • " এ আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে বলে,এ কথা সুস্পষ্ট হলো যে,নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত উপলক্ষে খুশী আনন্দ করা বৈধ।শুধু তাই নয় বরং তা বরকত হাসিলের বড় উপায়।এ কথার ওপর স্পষ্ট যে, আমরা নবীর বেলাদত উপলক্ষে মূল খুশী হবার বিরোধী নই।বরং এ কাজের উপর সর্বদা আমলকারী।"



  • এ আশ্রাফ আলী থানভী আরো বলে, “আল্লাহ তায়ালা হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শুভাগমনকে কুরআন শরীফের মধ্যে নেয়ামতের খোটা দেয়ার ধরন বর্ণনা করেছেন।(কেন আমরা মিলাদুন্নাবী পালন করব না?অবশ্যই করব।)অতএব এখান থেকে আমাদের এই শিক্ষা গ্রহন করা দরকার যে,আমরা যেন প্রত্যেহ একবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর মিলাদের আলোচনা করি।”



  • সে  আরো বলে"  নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের মিলাদ বর্ণনা করেছেন।কিন্তু তা বর্ণনা কম করেছেন।আহকামের আলোচনা অধিক করেছেন।হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নাতের অনুসরন এভাবে হবে যে,হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুয়তের পুরা জীবনের মধ্যে যে পরিমান বেলাদতের বর্ণনা করেছেন;এতটুকু যেন তোমরা পালন কর।"



  • সে ইমাম আহমদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সূত্রে আরো বর্ণনা করে যে," বৃহস্পতিবার রাত্রি(জুমার রাত্রি) কদরের রাত্রি থেকে অনেক গুন বড়।এই কারনে যে,ওই রাত্রিতে হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার  আম্মাজান হযরত আমেনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফে  হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার মধ্যে তাশরীফ আনয়নের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের মঙ্গল নিহিত রয়েছে;যা গণনা করা যাবে না।"



২. মৌলভী রশিদ আহমদ গাংগুহীর ওস্তাদের মিলাদ পালন


  • দেওবন্দীদের ইমাম রশিদ আহমদ গাঙ্গুহীর ওস্তাদ শাহ আব্দুল গণি দেহলভী বলে , “এ কথা হক্ব ও সত্য যে,হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর মিলাদ পালন এবং ইসালে সাওয়াবের আয়োজন করা মানবের পরিপূ্র্ণ কল্যানের একটি সোপান।বাস্তব এই যে,হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মিলাদ পালন করার মধ্যে এবং ইসালে সাওয়াব উপলক্ষে ফাতেহা পড়া মিলাদের খুশী উদযাপন মানবের জন্য পুরোই মঙ্গল   ”


  • থানভী  বিভিন্ন লেখায় শেখ দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মহা মর্তবা বর্ণনা করেছে।থানভী তার কিতাব ‘শুকরুন নি’য়মা বিষিকরি রাহমাতির রাহমা’ এর ৬৫ পৃষ্ঠায় শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি  রচিত ‘আশিয়াতুত লুমাত’ কিতাবের একটি ইবারত উদ্ধৃত করে বলে , “যেহেতু শেখ আব্দুল হক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি একজন বড় হাদীস বিশারদ।তিনি শাফায়াতের দশ প্রকারের বর্ণনা দিলেন তা আমরা কোন হাদীসের কিতাবে পাইনি।তারপরেও তিনি (শেখ দেহলভী) যেহেতু হাদীসের মধ্যে বিশাল দৃষ্টির অধিকারী।এ কারনেই এই বর্ণনা গ্রহনযোগ্য।”
তথ্য সুত্র - 


  • "মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" ১৯২ পৃষ্ঠা কৃত মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভী।


  • "তাফসীরে বয়ানুল কুরআন" কৃত মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভী।


  • "জুমা কি ফযায়েল ওয়া আহকাম" কৃত মৌলভী আশ্রাফ আলী থানভী।
মক্কা-শরীফ এবং মদীনা শরীফে ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন।

 

মক্কা-শরীফ এবং মদীনা শরীফে ঈদে মিলাদুননবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন।



  • মক্কাবাসীদের মিলাদ পালন -

ইমাম শামসুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি সূত্রে মোল্লা আলী ক্বা্রী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মক্কা বাসীরা অধিকতর মঙ্গল ও বরকতের অধিকারী।এই পবিত্র নগরীর দিকে মুসলিম মিল্লাত অতি আগ্রহের মাধ্যমে অগ্রসর হও্য়ার চেষ্টা করে।এটার কারন এই যে,এখানে হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মৌলুদ শরীফ(পবিত্র জন্মস্থান) বিদ্যমান।এ পবিত্র জন্মস্থানটি তৎকালীন ‘সুকুল লাইল’নামে খ্যাত ছিল।যা বর্তমানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের পূর্ব পাশে ‘মাকতবা আল মক্কা আল মুকাররমা’ নামে দালান হিসেবে অবস্থিত।


উক্ত পবিত্র স্থানে লোকেরা দলে দলে অতি আগ্রহের সাথে মনোবাসনা নিয়ে যিয়ারতের উদ্দেশ্যে গমন করতেন।বিশেষ করে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফে ঈদে মিলাদুন্নাবী’র দিনে অনেক গুরুত্বসহকারে লোকজন মাহফিলের আয়োজন করতেন।ধনী-গরীব,আমীর-প্রজা সকলেই এতে অংশগ্রহন করতেন। তৎকালীন মক্কা নগরীর কাযী এবং প্রখ্যাত আলেম আল বুরহানী আশ-শাফেয়ী যিয়ারতকারী ও ঈদে মিলাদুন্নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলে অংশগ্রহনকারীদেরকে তাবাররুক বা খানা খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করতেন।আর ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে হেযাযের আমীর তাঁর বাসভবনে হেযাযের নাগরীকদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বিশাল খাবারের আয়োজন করতেন এবং এই নিয়ত করতেন যে,এই মিলাদে পাকের দ্বা্রা তাঁর অনেক মুসিবত দূরীভূত হবে।তাঁর পরবর্তীতে তাঁর উত্তরসূরী পূত্র “আল-জমালী” এই মাহফিলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন।" 


  • দুই.‘মাহনামা তরিক্বত’ লাহোর পত্রিকায় মক্কা শরীফে জশনে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের বর্ণনাঃ-

১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে ‘মাহনামা তরিক্বত’ লাহোর পত্রিকার রিপোর্টের মধ্যে মক্কা শরীফের জশনে ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের বর্ণনা এভাবে দেন যে, “হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শুভাগমন দিবসে মক্কা শরীফের মধ্যে বড় ধরনের আনন্দ উৎসব পালন করা হয়।ঐ দিবসকে ‘ঈদে ইয়াওমে বেলাদতে রাসূল’ বলা হয়।ঐ দিন চারিদিকে পতাকা উড়তে থাকে।হেরেম শরীফের গভর্ণর এবং হেযাযের কমান্ডারসহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তাগণ আভিজাত্য পোশাক পরিধান করে মাহফিলে উপস্থিত হতেন এবং হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ‘পবিত্র জন্মস্থানে’-এ গিয়ে কিছুক্ষন নাত-গজল পরিবেশন শেষে ফিরে যেতেন।হেরেম শরীফ থেকে ‘মৌলিদুন্নবী’(পবিত্র জন্মস্থান) পর্যন্ত দুই সাড়িতে আলোকসজ্জা করা হত।ঐ মৌলিদ শরীফের স্থান নূরের আলোর ভূমিতে পরিণত হত এবং মৌলিদ শরীফের স্থানে সু-কন্ঠে প্রিয় নবীর মিলাদ পালন করত।এ অবস্থায় রাত দুইটা পর্যন্ত মিলাদখানী,নাত এবং বিভিন্ন খত্‌ম পড়ত।দলে দলে লোকজন এসে নাত পরিবেশন করত।১১ রবিউল আউয়াল শরীফের মাগরীব হতে ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফের আসর পর্যন্ত ২১ টি তোপধ্বনি করা হত।মক্কা শরীফের ঘরে ঘরে মিলাদুন্নাবী উপলক্ষে খুশি আনন্দ এমনকি স্থানে স্থানে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হত।”


  • মদিনাবাসীর মিলাদ পালনঃ-

মক্কাবাসীদের ন্যায় মদীনা পাকের অধিবাসীরাও ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের আয়োজন করতেন।

  • হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক মিলাদ পালন- 

দেওবন্দীদের পীর-মুর্শিদ হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি  বলেন, “আমাদের ওলামা মৌলুদ শরীফ সম্পর্কে অনেক বিতর্ক শুরু করে দিয়েছেন।এর পরেও ওলামায়ে কেরামের এ কাজ(মিলাদুন্নাবী পালন)বৈধ হবার পক্ষে মত দিয়েছেন।যখন বৈধ হওয়ার কথা আছে,কেন এ (দেওবন্দী,তাবলীগী) আলেমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।আমাদের হেরেমাইন (মক্কা ও মদিনা শরীফ)এর অনুসরন যথেষ্ট।

তিনি আরো বলেন,দুই হেরেমের অধিবাসীরা যে মিলাদ শরীফ পালন করেন তা আমাদের জন্য দলীল হবার ব্যাপারে যথেষ্ট।

তিনি আরো বলেন, “ফকীরের(নিজের দিকে সম্বোধন করে বলেন) মাযহাব হল মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাহফিলে অংশগ্রহন করা।শুধু তাই নয় বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে আমি প্রতি বছর তা অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে পালন করি এবং সালাত-সালামের সময় কিয়ামের মধ্যে অনেক রুহানী স্বাদ পেতে থাকি।”


  • হযরত আব্দুল হক দেহলভীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক মিলাদ পালন


পাক ভারতে হাদীস চর্চার অন্যতম মুহাদ্দীস হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি  তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব ‘মাসাবাতা বিস্‌ সুন্নাহ’ এর ৮২ পৃষ্ঠার মধ্যে জশনে ঈদে মিলাদুন্নাবী এর পালন বৈধতা ও উপকারীতার অনেক দলীল ও প্রমাণ প্রদান করেছে।শেখ দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি যিনি পাক ভারত উপমহাদেশে সুন্নী নয় শুধু ,দেওবন্দীদের নিকট গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব।তাঁর সম্পর্কে দেওবন্দীদের বুযূর্গ আশ্রাফ আলী থানভী বর্ণনা করেন, “শাহ আব্দুল হক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রত্যেক দিন নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর দিদার লাভে ধন্য হতেন।”

 সূত্র সমূহঃ

*আল মওরেদুর রবী ১৫ পৃষ্ঠা কৃত মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

*শামায়েলে এমদাদিয়া ৮৭,৮৮,৯৪ পৃষ্ঠা কৃত হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী।

*ফয়সালা-এ হাফত মাসায়েল ৯ পৃষ্ঠা কৃত হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী।
*শেফাউল সায়েল কৃত শাহ আব্দুল গনি দেহলভী।

*হাওলুল ইহতেফাল বেযিকরা আল মৌলেদিন নববী আল-শরীফ কৃ শেখ মুহাম্মদ আলভী মালেকী মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি(ইন্তেকাল ১৪২৫হিজরী২০০৪ইংরেজী)
ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে ইমাম মুজতাহিদগনের কি অভিমত ?

 

ঈদে মিলাদুননবী নিয়ে ইমাম মুজতাহিদগনের কি অভিমত ?


১. প্রসিদ্ধ তাবেঈ হযরত হাসান বসরী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
قال حسن البصري رضي الله تعالی عنه وددت لو کان لی مثل جبل احد ذھبا فانفقته علی قراءة مولد النبي صلی الله علیه وسلم
অর্থাৎ- যদি আমার উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকত তাহলে আমি তা রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাহফিলে খরচ করতাম।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-১১]
২. হযরত জুনাইদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
যে ব্যক্তি ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ উপস্থিত হয়ে তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করেছে, সে ঈমানের সফলতা লাভ করেছে।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-১১]

৩. হযরত মারুফ কারখী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
যে ব্যক্তি ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষে পানাহারের আয়োজন করে মুসলিমদের ভাইদের একত্রিত করে, আলোকসজ্জা করে, নতুন পোষাক পরিধান করে এবং খুশবো, আতোর, গোলাপ ও লোবান প্রয়োগে নিজেকে সুগন্ধিযুক্ত করে; রোজ কিয়ামতে প্রতম শ্রেণীর নবীদের সাথে তার হাশর হবে এবং ইল্লীঈনের সর্বোচ্চ স্থানে সে অবস্থান করবে।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-১১]
৪. শাফেঈ মাযহাবের প্রবর্তক ইমাম শাফেঈ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
যদি কোন ব্যক্তি ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষে মুসলিম ভাইদেরকে খাবার তৈরী করে মজলিসে আপ্যায়ন করে ও ইবাদাত সম্পন্ন করে, রোজ কিয়ামতে সিদ্দীকিন, শাহাদা ও সালেহীনদের সাথে তার হাশর হবে এবং জান্নাতুন নাঈমে সে অবস্থান করবে।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-১৩]
৫. ৯ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
তিনি তার স্ব-রচিত “আল উয়াছায়েল ফী শরহিশ শামাইল” গ্রন্থে উল্লেখ আরও করেন, “যে গৃহে বা মসজিদে কিংবা মহল্লায় মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তখন অবশ্যই সে গৃহ বা মসজিদ বা মহল্লা অসংখ্য ফেরেশতা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে এবং উক্ত স্থান সমূহে যারা অবস্থান করে তাদের জন্য তারা সালাত পাঠ করে। (অর্থাৎ তাদের গুণাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে) এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে সাধারণভাবে রহমত ও সন্তুষ্টি দ্বারা ভূষিত করেন। অতঃপর নূরের মালা পরিহিত ফেরেশতাকুল বিশেষতঃ হযরত জিব্রাঈল, মীকাঈল, ঈস্রাফীল ও আজরাঈল আলাইহিস সালাম মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে মাহফিল আয়োজনকারীর গুণাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন”।
তিনি আরো বলেন, “যে মুসলমানের গৃহে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ পাঠ করা হয়, সে গৃহ ও গৃহে বসবাসকারী ব্যক্তি দুর্ভিক্ষ, মহামারী, অগ্নি, পানি, পরনিন্দা, কুদৃষ্টি ও চুরি ইত্যাদির আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে। সে ঘরে যার মৃত্যু হবে সে মৃত ব্যক্তি কবরে মুনকার নকীরের প্রশ্নের উত্তর অতি সহজে দিতে পারবে। যে ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ কে সম্মান করতে চায়, তার জন্য ইহাই যথেষ্ট। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির নিকট নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদের কোন মর্যাদা নেই, তার অন্তর এত নিকৃষ্ট হয়ে পড়বে যে, তার সামনে হুযুরপুর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিশ্বজোড়া প্রশংসাগীতি উচ্চারিত হলেও তার অন্তরে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য বিন্দুমাত্র মুহাব্বতের উদ্রেক হবে না”।
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং- ১৩ ও ১৪]
৬. বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন-
“যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে (নবী বিদ্বেষী) রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়”।
[শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬২
৭. হযরত সাররী সাক্বত্বী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ) বলেন
“যে ব্যক্তি মিলাদ শারীফ পাঠ বা মিলাদুন্নাবী (সাঃ) উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল, সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নির্দিষ্ট করল। কেননা সে তা হুজুর পাক (দঃ) এর মহব্বতের জন্যই করেছে।”
[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং- ১৩]
৮. ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বপ্রথম মোহাদ্দিস হযরত শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী রহমাতুল্লাহে আলাইহি বলেন-
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রাত্রকে ঈদ হিসেবে পালন করে, তার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত নাযিল করেন। আর যার মনে হিংসা এবং [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুশমনির] রোগ রয়েছে, তার ঐ (নবী বিদ্বেষী) রোগ আরও শক্ত আকার ধারণ করে”।
[মা সাবাতা বিসসুন্নাহ (উর্দু) পৃষ্ঠা নং-৮৬]
এখন যারা মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করাকে শিরক, হারাম ও বিদয়াত ইত্যাদি ফতোয়া দিয়ে থাকেন তাদেরকে উপরোক্ত মুহাদ্দীসের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য নসিহত করা গেল। তাদের থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের ঈমানকে পরিশুদ্ধ করুন। তাদের ইলমে হাদীসের ক্ষেত্রে অবদান না থাকলে, আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান আলেমগণ হাদীস কি শাস্ত্র তাও চিনতেন না।
ইমাম মুজতাহিদ ,আউলিয়া কিরাম উনাদের ঈদে মিলাদুন্নবি পালন ।

 

ইমাম মুজতাহিদ ,আউলিয়া কিরাম উনাদের ঈদে মিলাদুন্নবি পালন ।

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরবর্তী তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের যুগে এবং তৎপরবর্তী প্রত্যেক যুগেই অনুসরণীয় ইমাম-মুজহাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত জওক-শওক ও খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল করেছেন এবং এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে যে, বিশিষ্ট তাবিয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শতাধিক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন, যিনি ইসলামের চতুর্থ খলীফা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খলীফা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি বলেন-
وددت لو كان لى مثل جبل أحد ذهبا فانفقته على قرائة مولد النبى صلى الله عليه وسلم.

  • অর্থ: “আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকতো তাহলে আমি তা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে ব্যয় করতাম।”সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)

আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম কিতাব উনার লিংক:https://goo.gl/PP1v6d

এরপরে মাযহাবের ইমামগণও মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিলের ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছেন। যেমন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
قال الامام الشافعى رحمة الله عليه من جمع لمولد النبى صلى الله عليه وسلم اخوانا وهيأ طعاما واخلى مكانا وعمل احسانا وصار سببا لقرائته بعثه الله يوم القيامة مع الصديقين والشهداء والصالحين ويكون فى جنات النعيم.

  • অর্থ: হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে লোকজন একত্রিত করবে, খাদ্য তৈরি করবে, জায়গা নির্দিষ্ট করবে এবং উত্তমভাবে (তথা সুন্নাহভিত্তিক) আমল করবে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছালিহীনগণ উনাদের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতুল নায়ীমে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)

এরপরে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত ইমাম মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অর্থাৎ মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন,
من هيا طعاما لاجل قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم وجمع اخوانا و اوقد سراجا و لبس جديدا و تبخر و تعطر تعظيما لمولد النبى صلى الله عليه وسلم حشره الله يوم القيامة مع الفرقة الاولى من النبيين وكان فى اعلى عليين.

  • অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে খাদ্য প্রস্তুত করবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এর সম্মানার্থে মুসলমান ভাইদের একত্রিত করবে, (আলো দানের উদ্দেশ্যে) প্রদীপ বা বাতি জ্বালাবে, নতুন পোশাক পরিধান করবে, (সুগন্ধির উদ্দেশ্যে) ধূপ জ্বালাবে এবং আতর-গোলাপ মাখবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক তিনি তার হাশর-নশর করবেন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম দলের সাথে এবং তিনি সে সুউচ্চ ইল্লীনে অবস্থান করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)

এরপর মুসলমানদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন। যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলতানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
قال سلطان العارفين الامام جلال الدين السيوطى قدس الله سره ونور ضريحه فى كتابه المسمى بالوسائل فى شرح الشمائل ما من بيت أو مسجد أومحلة قرئ فيه مولد النبى صلى الله عليه وسلم الا حفت الملائكة ذلك البيت أو المسجد او المحلة وصلت الملئكة على أهل ذلك المكان وعمهم الله تعالى بالرحمة والرضوان وأما المطوقون بالنور يعنى جبرائيل وميكائيل واسرافيل وعزرائيل عليهم السلام فانهم يصلون على من كان سببا لقرائة مولد النبى صلى الله عليه وسلم.

  • অর্থ: সুলতানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল নামক কিতাবে বলেন, “যে কোনো ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় খুশি প্রকাশ করে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয় সেখানে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম, হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম ও হযরত আজরাইল আলাইহিস সালাম উনারা মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।”

এরপর এ উপমহাদেশে যিনি হাদীছ শাস্ত্রের ব্যাপক প্রচার-প্রসার করেছেন, ইমামুল মুফাসসিরীন ওয়াল মুহাদ্দিছীন ওয়াল ফুক্বাহা হযরত শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
من عظم ليلة مولده بما امكنه من التعطيم والاكرام كان من الفايزين بدار السلام.

  • অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ দিবসকে তা’যীম করবে এবং সে উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করবে সে চিরশান্তিময় জান্নাতের অধিকারী হবে।” (ইবনু নাবাতা, আল বাইয়্যিনাত ১৫৯/৩০)

হযরত শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছেলে উল্লেখ করেছেন,
اخبرنى سيدى الوالد قال كنت اصنع فى ايام المولد طعاما صلة بالنبى صلى الله عليه وسلم فلم يفتح لى سنة من السنين شئى اصنع به طعاما فلم اجد الا حمصا مقليا فقسمته بين الناس فرايته صلى الله عليه وسلم بين يديه هذه الحمص مبتهجا بشاشا.

  • অর্থাৎ “আমার শ্রদ্ধেয় পিতা আমার উদ্দেশ্যে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর বিশেষ তাবারুকের আয়োজন করতাম। কিন্তু এক বৎসর সামান্য ভাজাকৃত বুট ব্যতীত অন্য কিছুই আয়োজন করা আমার সামর্থ্যে ছিলো না। তবুও আমি তা লোকজনের মধ্যে বিতরণ করে দিলাম। অতঃপর আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (এমতাবস্থায়) দেখলাম যে, সেই বুটগুলো উনার সম্মুখে রয়েছে। আর তিনি (তাতে) অত্যন্ত উৎফুল্ল।” (আদ-দুররুস সামীন)

এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও মুহাক্কিক হযরতুল আল্লামা শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার কিতাবের ৬২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেন-
اے اللہ! میرا کوئی عمل ایسا نہیں ہے جسے آپکے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمجھوں، میرے تمام اعمال میں فساد نیت موجود رہتی ہے، البتہ مجھ حقیر فقیر کا ایک عمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کیوجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہو کر سلام پڑھتاہوں اور نہایت ہی عاجزی وانکسار ی محبت وخلوص کے ساتھ تیری حبیب پاک صلی اللہ علیہ وسلم پر درود سلام بھیجتا رہا ہوں. اے اللہ! وہ کون سا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیر وبرکت کانزول ہوتا ہے! اس لئے اے ارحم الراحمین مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بیکار نہ جائیگا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جوکوئی درود وسلام پڑھے اور اس کےذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہو سکتی

  • অর্থ: “আয় আল্লাহ পাক! আমার এমন কোনো আমল নেই; যা আপনার মুবারক দরবারে পেশ করার উপযুক্ত মনে করি। আমার সমস্ত আমলের নিয়তের মধ্যেই ত্রুটি রয়েছে। তবে আমি নগণ্যের শুধুমাত্র একটি আমল আপনার পবিত্র জাতের দয়ায় অনেক সম্মানিত বা মর্যাদাবান। আর সেটা হচ্ছে- পবিত্র মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এর মজলিস করি এবং এ মজলিসে ক্বিয়ামের সময় দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি। আর একান্ত আজীজী, ইনকিসারী, মুহব্বত, ইখলাছের সাথে আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করি।

আয় আল্লাহ পাক! এমন কোনো স্থান আছে কি যেখানে মীলাদ মুবারক-এর চেয়ে অর্থাৎ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছলাত ও সালাম পাঠ করা থেকে অধিক খায়ের বরকত নাযিল হয়? হে আরহামুর রাহিমীন! আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমার এ আমল কখনো বৃথা যাবে না। বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবারে কবুল হবে এবং যে কেউ বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ছলাত-সালাম পাঠ করবে এবং উহাকে উসীলা দিয়ে দোয়া করবে সে কখনো মাহরূম হতে পারে না। অর্থাৎ সে অবশ্যই কবুলযোগ্য।” সুবহানাল্লাহ!
উপরের দলীলভিত্তিক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সকল ঈদের সেরা ঈদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য যেরূপ স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি বলেছেন এবং নিজে করেছেন। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও করেছেন এবং করতে বলেছেন, খুলাফায়ে রাশিদীন, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পালন করেছেন ও পালন করতে বলেছেন। তেমনি অনুসরণীয় ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং পালন করার জন্য উম্মাহকে উৎসাহ প্রদান করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উপলক্ষে বেশি বেশি খরচ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।