পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা
আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ
আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও
কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের
একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে খাছ রহমত, বরকত, নিয়ামত, দয়া, দান, ইহসান হাছিলের জন্য মহিলারা ঘরের মধ্যে অবস্থান করবে।
অর্থাৎ শরয়ী পর্দাপালন করবে। এতে মহিলারা হিফাযত হবে এবং পুরুষদেরও হিফাযতে থাকার
অনুকূল ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। সুবহানাল্লাহ!
আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের
দ্বারা সুস্পষ্টভাবে যা প্রমাণিত হয় তা হলো, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার
হাবীব আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাদের মুবারক আদেশ অমান্য করে, অর্থাৎ বেপর্দা হয়ে এবং হারাম খাদ্য খেয়ে কোনো পুরুষ
ও মহিলার পক্ষেই তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।
৬ষ্ঠ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, আওলাদে রসূল, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সাইয়্যিদ
মুহিউদ্দীন আবদুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত
আব্বাজান-আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনার
হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দা পালন করার এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের হালাল খাদ্য গ্রহণের কারণেই
ইহকাল ও পরকালে উনারা হাক্বীক্বী কামিয়াবী লাভ করতে পেরেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে যিনি মুজাদ্দিদগণ উনাদের মুজাদ্দিদ, যিনি ওলীগণ উনাদের সাইয়্যিদ, যিনি কুল-কায়িনাতবাসীর রহমত, বরকত ও সাকীনার অনিবার্য কারণ, যিনি আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম এবং কুল-কায়িনাতবাসীকে সমস্ত নিয়ামত
বণ্টনের মর্যাদাবান কর্তৃত্বের আসন মুবারকে অধিষ্ঠিত, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মহা-সম্মানিত আব্বাজান ও আম্মাজান আলাইহিমাস
সালাম উনাদের শরিয়ী পর্দাপালন ও সুন্নত অনুসরণ এবং হালাল খাদ্য গ্রহণের মাত্রা কতো
সীমাহীন ও তাৎপর্যমণ্ডিত, তা সহজেই অনুমেয়। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, আত্ব-ত্বাহিরা, আত্ব-ত্বইয়িবা, জাদ্দাতু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস
সালাম, উম্মু
মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস
সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার মহা-সম্মানিত জাওযুম মুকাররাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, জাদ্দু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস
সালাম, আবু
মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস
সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনারা হাক্বীক্বীভাবে যে শরয়ী
পর্দাপালন করেছেন, তা
ক্বিয়ামত পর্যন্ত কায়িনাতবাসীর কাছে মুবারক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একইভাবে উনাদের
হালাল খাদ্য গ্রহণ এবং দু’হাত মুবারক ভরে অবিরাম দান-খয়রাতের মুবারক বিষয়টিও ক্বিয়ামত
অবধি অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
আবা-২৬০