ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্
ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার
সঙ্গে কারামত উনার সম্পৃক্ততা এবং কারামত উনার বাস্তবতা
দুনিয়াদার
মানুষের ইন্তিকালের পর তার রেখে যাওয়া সম্পদ সাধারণত: হারাম কাজে ব্যবহৃত হয়ে
থাকে। নিয়তের অপরিশুদ্ধতা,
আক্বীদার বিপর্যস্ততা, সম্মানিত সুন্নত উনার প্রতি অনীহা, নেক
আমলহীনতা, অসৎ উপার্জন,
হারামের প্রতি আসক্তি ইত্যাদি নানাবিধ কারণে জীবদ্দশায়
দুনিয়াদার মানুষের জীবন নির্বাহ সম্পূর্ণরূপে গাইরুল্লাহ-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায়
সে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কোপানলগ্রস্ত
হয়ে স্থায়ীভাবে জাহান্নামের বাসিন্দা হয়ে যায়। প্রেক্ষিত কারণে মরণের পরে তার রেখে
যাওয়া সম্পদ হাক্বীক্বী নেক কাজে ব্যয় হওয়ার নযীর কখনোই দেখা যায় না।
নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
الدنياء مزرعة الاخرة
অর্থ: “দুনিয়া
হলো আখিরাতের শষ্যক্ষেত্র।”
আখিরাতে মানুষের সম্যক পরিণতি দুনিয়ায় জানা না গেলেও ঈমান, আক্বীদা, ইখলাছ
এবং সম্পাদিত বাহ্যিক আমলের সূক্ষ্ম দর্শনে তার অবস্থা অনুভব করা যায়। এসব উপলব্ধি
করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না হলেও মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের স্ক্ষ্মূদর্শিতায়
দুনিয়াদার মানুষের হাক্বীক্বত জানা একান্তই সহজসাধ্য। কারণ দুনিয়াদার মানুষের
বৈশিষ্ট্য এবং তাদের পরিণতি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের
মধ্যে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।
ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম এবং উনার ছাহিবাতুল
মুকাররামা, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহাস সালাম উনারা উভয়ে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং রহমাতুল্লিল
আলামীন, রউফুর রহীম, মাশুকে মাওলা,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খালিছ সন্তুষ্টির জন্য হাদিয়া করে গেছেন
পরিমিত জায়গা ও সম্পদ। সুবহানাল্লাহ!
উনাদের
হাদিয়াকৃত মুবারক যায়গায় মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল
কুবরা আলাল আলাম,
কুদরতে ইলাহী, মু’জিযায়ে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা
আলাইহিস সালাম উনার মুবারক তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে কুল-কায়িনাতের
সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম মাদরাসা “মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” এবং “লিল্লাহ
বোডিং।” সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক
ফায়িয, তাওয়াজ্জুহ ও নেক দৃষ্টি-সমৃদ্ধ এ মুবারক মাদরাসা উনার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ উনাদের সমন্বয়। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহিস সালাম এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে
উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের হাদিয়াকৃত মুবারক যায়গায় গড়ে উঠেছে পবিত্র মসজিদে
নববী শরীফ উনার মুবারক অনুসরণে পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ। যে পবিত্র মসজিদে
ইবাদত-বন্দেগীসহ প্রতিদিন-প্রতিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
শরীফ উনার মুবারক মাহফিলসহ অসংখ্য অগণিত মুবারক মাহফিলসমূহ। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক
মাহফিলসমূহে নূরে মুজাসসাম,
মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, হযরত
ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
(চলবে)
আবা-২৪৫