ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্
ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার
মুবারক ফুঁক ও দুআ’য় বাতিলগোষ্ঠীদের কুফরী কালাম থেকে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার
সুস্থতা গ্রহণ
তিনি
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয়তম আওলাদ, উনার
ক্বায়িম-মাক্বাম এবং উনার আখাচ্ছুল খাছ নায়িবে আ’যম আলাইহিস সালাম। নববী নকশায়
নিখুঁতভাবে সম্মানিত দ্বীন- ইসলাম উনার সংস্কারসাধন উনার মূল লক্ষ্য। শুধু
পীর-মুরীদি নয়, কায়িনাতব্যাপী খিলাফত আলা মিন হাজিন নুবুওওয়াহ উনার বাস্তবায়ন ও পরিচালনার
আয়াসসাধ্য কাজে তিনি নিরন্তর ব্যাপৃত। এ লক্ষ্যে দুনিয়ার বিধর্মীদের নিপাত, ধর্মব্যবসায়ী
দুনিয়াদার আলিমদের মুখোশ উন্মোচন এবং তাদের বিনাশসাধন উনার অন্যতম কাজ।
সাইয়্যিদুনা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক হিদায়েত ও নছীহতে গোটা
দুনিয়ার মানুষ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হচ্ছে। মানুষের ঈমান, আক্বীদা
ও আমল বিশুদ্ধ হচ্ছে। বিদয়াত-বেশরা দূর হচ্ছে। সুন্নত ও পর্দাপালনে মানুষ অভ্যস্ত
হচ্ছে। মানুষের হীনম্মন্যতা দূর হচ্ছে। উনার বিস্ময়কর রোবে কাফির-মুশরিকদের ধস
নামছে। উনার দুর্বার তাজদীদে গোটা দুনিয়ায় আজ তোলপাড়। তিনি অপরাজেয়। মুবারক এ
বিষয়গুলো ওহাবী-খারিজীসহ সকল বাতিলগোষ্ঠীকে নিদারূণভাবে আতঙ্কিত ও আহত করে। কাজেই
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে এখনই
প্রতিহত করা দরকার। উনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। উনার সমূহ বিনাশসাধন
দরকার। বাতিলগোষ্ঠীরা তাই বহুমুখী নেপথ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। নাউযুবিল্লাহ!
হক্বপন্থী
উনাদের বিরুদ্ধে বাতিল গোষ্ঠীদের প্রকাশ্য ও নেপথ্য কারসাজি চিরন্তন। সকল নবী রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে। সকল ইমাম মুজতাহিদ মুজাদ্দিদ, ওলী
আল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে নির্মমভাবে কষ্ট দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে
কাফির-মুশরিকরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে যে নিদারুণ কষ্ট দিয়েছে, তা প্রকাশের কোন ভাষা নেই। এমনকি উনাকে যাদু-টোনা পর্যন্ত
করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
বিরোধিতার
এ ধারাবাহিকতা বহাল থেকেছে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ
ও সর্বোত্তম মানুষ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের
প্রতিও। মূল কথা হলো,
বিধর্মী ও বাতিল গোষ্ঠীরা সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার নূরকে
নির্বাপিত করতে চায়। নাউযুবিল্লাহ!
এ মর্মে
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক করেন:
يريدون ليطفؤا نور الله بافواههم والله متم نوره ولو كره الكافرون.
অর্থ: æতারা (কাফিররা) মহান আল্লাহ পাক
উনার নূর মুবারক তাদের মুখের ফুৎকারে মিটিয়ে দিতে চায়। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক
তিনি উনার নূর মুবারককে অবশ্যই পূর্ণতা দান করবেন, যদিও কাফিররা সেটা অপছন্দ করে।”
কাজেই
কাফির-মুশরিক ও ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘সূ’সহ তাবৎ বাতিল গোষ্ঠীরা সর্বক্ষণ
সর্বতভাবে পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতায় লিপ্ত থাকবে, এটিইতো স্বাভাবিক। সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি বাতিল, নাহক্ব ও
বিরুদ্ধবাদিদের আতঙ্ক। উনার বেমেছাল রূহানী কুওওয়ৎ, দুর্বার তাজদীদ, অদৃম্য
রো’ব, অপ্রতিরোধ্য হিদায়েত,
নছীহত ও মক্ববুল মুনাযাতে ওহাবী-খারিজিদের কায়িমী স্বার্থ
নস্যাৎ হয়। এটি কোনোক্রমেই তাদের কাছে বরদাশতযোগ্য নয়। (চলবে)
আবা-২৩১
0 Comments:
Post a Comment