একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৭৫

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার শান-মান, মর্যাদা

ও মাক্বাম সম্পর্কে রিজালুল গইব উনারাও অবহিত-

তবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী তায়াল্লুক-নিসবতপ্রাপ্ত নৈকট্যধন্য ওলীগণ উনাদের মর্যাদা ও মাক্বাম উনারা ব্যতীত প্রকৃতভাবে আর কেউই জানে না। পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

ان اوليائى تحت قبائى لا يعرفهم غيرى الا اوليائى

অর্থ: আমার ওলীগণ উনারা আমার কুদরতী জুব্বা মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন। উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে একমাত্র আমি মহান আল্লাহ পাক ছাড়া এবং আমি যাঁদেরকে জানার ও বুঝার তাওফীক দান করি, উনারা ছাড়া আর কেউই চিনে না।

উল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্মার্থ হলো, নৈকট্যধন্য সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদেরকে চিনতে পারলে, অর্থাৎ উনাদের শান- মান, বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করতে পারলে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চেনা যায়। উনাদের সঙ্গে হাক্বীক্বী তায়াল্লুক-নিসবত স্থাপন করা সম্ভব হয়। সুবহানাল্লাহ! মূল যা কথা তা হলো, মুহব্বত-মারিফাত হাছিল তথা প্রকৃত কামিয়াবী হাছিলের ক্ষেত্রে মহান ওলীআল্লাহ উনারা হলেন মুবারক সেতুবন্ধন। মুবারক এই সেতুবন্ধন ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এ কারণেই হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন:

من ليس له شيخ فشيخه شيطان

 যার শায়েখ নেই, তার শায়েখ শয়তান। নাউযুবিল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবে ইসমে আযম, ছাহিবুল ইলহাম, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, ফখরুল আওলিয়া, লিসানুল হক্ব, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার বুযুর্গ পূর্বপুরুষ উনাদের মধ্যে একজন মহিলা ওলীআল্লাহ ছিলেন। তিনি রিজালুল গইব উনাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

ওই রিজালুল গইব উনার সঙ্গে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার প্রায়শঃ সাক্ষাৎ হতো। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে নিবেদন করতেন: আপনার যদি কখনো কোন কিছুর প্রয়োজন হয়, তবে আমাকে স্মরণ করলেই আমি আপনার খিদমতে হাজির হবো এবং আপনার প্রয়োজন পূরণ করে দিবো। সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহিস সালাম উনার সীমাহীন মান-শান ও মর্যাদা-মাক্বাম-এর কারণেই উনার পূর্ব পুরুষ উনাদের মধ্যে ওই রিজালুল গইব তিনি উনার মুবারক খিদমতের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরাণীগঞ্জ জেলাধীন প্রভাকরদী গ্রামের সম্মানিত সাইয়্যিদ বাড়ীতে অবস্থিত পবিত্র মাযার শরীফে প্রতি সপ্তাহে লাইলাতুল জুমুয়াতে অনেক রিজালুল গইব উনাদের আগমন ঘটে থাকে। একই সঙ্গে সকল ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও ওই পবিত্র মাযার শরীফে মুবারক তাশরীফ নিয়ে থাকেন। প্রতি সপ্তাহে লাইলাতুল জুমুয়াতে পবিত্র মাযার শরীফ উনার সম্মুখস্থ মুবারক প্রাঙ্গণে উনাদের পবিত্র মাজলিস অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মূলত এটি উনাদের মুবারক মিলন মজলিস। উনাদের সকলের আগমনের কারণ হলো পবিত্র ওই মাযার শরীফে শায়িত সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, আলোচনা এবং বরকতময় নিসবত, ফায়েজ ও তাওয়াজ্জুহ লাভ। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৩৫

0 Comments: