আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৬ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী র্অথ মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৫০

 প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৬ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী র্অথ মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৫০

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৭ই সফর শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ করে থাকে

اَلنَّبِىُّ اَوْلٰى بِلْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

আসলে অর্থটা সঠিক না। এটা ভুল অর্থ। উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি আজকে (০৬ই ছফর শরীফ ইয়াওমুল খমীস শরীফ বা বৃহস্পতিবার দিনে) আমাকে বললেন, 

اَلنَّبِىُّ اَوْلٰى بِلْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার

অর্থ কী? আমি (বিনয় মুবারক প্রকাশ করে) বললাম, আমি জানি না। আপনারা শিক্ষা না দিলে জানবো কোথায় থেকে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তিনি আমাকে বললেন, মানুষ এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ করে থাকে-

اَلنَّبِىُّ اَوْلٰى بِلْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, এই অর্থটা সঠিক না। এটা অর্ধেক অর্থ করা হয়। এই অর্থটা ভুল। সঠিক অর্থ হবে,

اَلنَّبِىُّ اَوْلٰى بِلْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ওপবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

প্রথমে اَلنَّبِىُّ اَوْلٰى بِلْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ এতটুকু এক সাথে অর্থ হবে- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয়।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তারপর অর্থ হবে- এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

অতঃপর প্রথমে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। উনার পরে সমস্ত মহাসম্মানিত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমর্থন করলেন এবং বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জান থেকে প্রিয়। উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কি তাহলে অপ্রিয়? না‘ঊযুবিল্লাহ!

মানুষ উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুঝে না। উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুঝানোর জন্য উনারা আজকে আমাকে এটা বলেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন জান থেকে প্রিয়, ঠিক হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও জান থেকে প্রিয়। এটা যদি কেউ বিশ্বাস না করে, তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাস না করলে ঈমানদার হতে পারবে না।

اَلنَّبِىُّ اَوْلٰى بِلْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗ اُمَّهٰتُهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, এভাবে অর্থ করতে হবে। তারপর প্রথমে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি সমর্থন করে বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। উনার পরে সমস্ত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা সমর্থন করলেন এবং বললেন, এই অর্থটাই সঠিক। এই অর্থই করতে হবে। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হ্যাঁ। এটাই সঠিক। এটাই অর্থ করতে হবে। এবং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও বললেন, হ্যাঁ। এটাই সঠিক। এটাই অর্থ করতে হবে।

কাজেই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন জান থেকে প্রিয়, ঠিক হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারাও জান থেকে প্রিয়। এটা বিশ্বাস করতে হবে। এটা বিশ্বাস করা ফরযে আইন। এটা যদি কেউ বিশ্বাস না করে, তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।

কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার শরীয়তে মাকে পিতার চেয়ে ৯ গুণ মুহব্বত করা হতো। আমাদের শরীয়তে মাকে পিতার চেয়ে ৩ গুণ বেশি মুহব্বত করতে হয়। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কয় গুণ মুহব্বত করতে হবে? তাহলে উনাদের ফযীলত কতটুকু?

১৪শত বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। কেউ কি এই অর্থ করেছে? কেউ কি জানতো? তারা অর্থটাই ঠিক করতে পারেনি। মানুষ উল্টো অর্থ করে থাকে।

এখন আমার বেশির ভাগ সময় ঐখানেই অর্থাৎ যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিত ছোহবত মুবারকেই কাটতেছে। সময় পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদরে মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক সমস্ত সৃষ্টির ঊর্ধ্বে-পর্ব-৪৯

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদরে মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক সমস্ত সৃষ্টির ঊর্ধ্বে-পর্ব-৪৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আলমে খ¦লক্ব ও আলমে আমর মিলে হচ্ছে আলমে ইমকান। আলমে খলক্ব হচ্ছে যেটা আরশে আযীমের নীচে। অর্থাৎ তাহ্তাছ ছারা বা মাটির নি¤ড়বতম স্তর থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত হচ্ছে আলমে খ¦লক্ব। এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اَللهُ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوتِٰ وَالَْرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِىْ سِتَّةِ اَيَّمٍ

অর্থ: “সেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক যিনি আসমানসমূহ (সাত আসমান) এবং সমস্ত যমীন (সাত যমীন) এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, এ সমস্ত কিছু ছয় দিন তথা ছয় ধাপে সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা সিজদাহ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

আবার আরশে আযীম থেকে ঠিক সম উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। অর্থাৎ তাহতাছ ছারা থেকে আরশে আযীম পর্যন্ত যে পরিমাণ জায়গা ঠিক আরশে আযীম থেকে সেই পরিমাণ উচ্চতা হচ্ছে আলমে আমর। যা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম মুবারক হওয়া মাত্রই সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, كُنْ فَيَكُوْنُ অর্থ: ‘হও, হয়ে গেছে।’

আলমে আমর হচ্ছে ফাঁকা জায়গা। আলমে খ¦লক্ব হলো নফ্স, আব, আতেশ, খাক্ ও বাদ্। আর আলমে আমর হলো- ক্বল্ব, রূহ্, সির, খফী এবং আখ্ফা। উপরে ৫টি এবং নীচে ৫টি। আরশে আযীম হচ্ছে আলমে খলক্বের মধ্যে। এর উপরে হচ্ছে আলমে আমর।

আলমে খলক্ব ও আলমে আমর মিলে হচ্ছে আলমে ইমকান তথা সম্পূর্ণ সৃষ্টি জগত। সুবহানাল্লাহ! আর এই সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক কাতরা নূর মুবারক থেকে। সুবহানাল্লাহ!

এখন আরশে আযীমের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক যাহির হয়, সেখান থেকে এটা সারা কায়িনাতে প্রচার-প্রসার হয়। সাধারণভাবে মানুষ মনে করে, আরশে আযীম থেকে মূল বিষয় প্রকাশ পায়। ঠিক আছে হয়, ঠিকই হয়। কিন্তু আরশে আযীম- যে ফায়দা লাভ করে, এটা কিভাবে লাভ করে? আরশে আযীমের ৭০ হাজার ভাগের একভাগ নূর মুবারক যাহির হলো তূর পাহাড়ে, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি না’লাইন শরীফ খুলে গেলেন। তাহলে আরশে আযীম ফায়দা লাভ করছে কিভাবে? এটা আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আসে। তাহলে এটা শুধু মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকেই আসে? উনার তরফ থেকে শুধু আসে না। আর আরশে আযীমে যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো, এটা তো একটা তরতীব করা হয়েছে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম্ উনার যে নিসবত-কুরবত মুবারক, নৈকট্য মুবারক সেটা সৃষ্টি জগতের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণ করার জন্য করা হয়েছে। আরশে আযীমকে আলমে খলক্বের শেষ স্তর হিসেবে বুঝানো হয়েছে। সেখানে পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু আসলে এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, আমি যেটা দেখতেছি- এর উর্ধ্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবস্থান মুবারকগুলো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের তরফ থেকে যে নূর মুবারকগুলো যাহির হচ্ছেন, সেগুলো আরশে আযীমে পড়তেছে। মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তো আছেই, উনার কুদরত মুবারক যাহির হচ্ছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও মু’জিযা শরীফ যাহির হচ্ছেন সেখানে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনারা তো আরশে আযীমের অধীনে না। আরশে আযীম উনাদের অধীন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক কাতরা নূর মুবারক দিয়ে আরশে আযীম তৈরী করা হয়েছে। তাহলে উনারা এর অধীন হন কিভাবে? বরং আরশে আযীম উনাদের অধীন, মুহতাজ এবং উনাদের দ্বারাই আরশে আযীম সম্মানিত। শুধু তাই নয়; নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারক-এ যা এসেছেন, প্রত্যেকটাই আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম সমস্ত কিছু থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশি সম্মানিত, পবিত্র ও ফযীলতপ্রাপ্ত। আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম সমস্ত কিছু উনার এক কাতরা নূর মুবারক দ্বারা তৈরী। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেই বিষয়টিই যেটা দেখা যাচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার তো কুদরত মুবারক যাহির হচ্ছেনই, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ যাহির হচ্ছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে যেই নূর ঝরতেছে, ওটা দিয়ে আরশে আযীম সম্মানিত। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের অবস্থান তো তার চেয়ে উর্ধ্বে। আল্লাহ পাক তিনি তো কোনো সময়, স্থান, কাল, পাত্রের মধ্যে না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও সময়, স্থান, কাল, পাত্রের মধ্যে না। উর্ধ্বে। কোনো সময়, স্থান, কাল, পাত্রের সাথে নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না। জিসিম মুবারক হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করেতেছেন, এটা আলাদা বিষয়। হাক্বীক্বত তিনি কোন সময়, স্থান, কাল, পাত্রের অধীন না। সবকিছুর উর্ধ্বে তিনি। উনার হাক্বীক্বী যে মাক্বাম, সেটা তো কোন স্থান-কাল-পাত্রের মধ্যে না।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমা ও ছিফত দ্বারা যাহির। হাক্বীক্বত তিনি যাহির নন। ইলিম ও কুদরত দ্বারা হাযির-নাযির। হাক্বীক্বীত তো মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাতের মধ্যেই আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টিও ঠিক একই রকম। মহান আল্লাহ পাক তিনি খালিক্ব মালিক রব হিসেবে, আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করার পর উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত আর কোনো কিছুরই অস্তিত্ব ছিলো না। সুবহানাল্লাহ!

এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الَْنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ

قُلْتُ يَ رَسْوُلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَِبِىْ اَنْتَ وَاُمِّىْ اَخْبِرْنِىْ عَنْ

قَالَ يَ حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ ءٍ خَلَقَهُ اللهُ تَعَالٰى قَبْلَ الَْشْيَاءِ اَوَّلِ شَىْ

اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اِنَّ اللهَ تَعَالٰى قَدْ خَلَقَ قَبْلَ الَْشْيَاءِ نوُْرَ نَبِيِّكَ مِنْ نوُّْرِهٖ

فَجَعَلَ ذٰلِكَ النُّوْرُ يَدُوْرُ بِلْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللهُ تَعَالٰى

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, দয়া করে আমাকে এ বিষয়ে সংবাদ মুবারক দান করুন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর পূর্বে সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে অত্যান্ত মুহব্বত উনার সাথে সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ঘূর্ণায়মান ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ, শারহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাদারেজুন নুবুওওয়াত, ফতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ ইত্যাদি)

আলমে খলক্ব ও আলমে আমর সমস্ত কিছু সৃষ্টির পূর্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছেন। তখন তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক ও দীদার মুবারক উনাদের মধ্যে ছিলেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন কায়িনাতের কোনো কিছুর মুহ্তায নন, ঠিক তেমনিভাবে উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সৃষ্টির কোনো কিছুর মুহ্তায নন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত কুদরত মুবারক ও দীদার মুবারক উনাদের মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সকলের নূর মুবারক ঝরে আরশে আযীম একাকার হচ্ছে।

আরশে আযীম হচ্ছে আলমে খলক্বের শেষ সীমানা। এর উপরে হচ্ছে আলমে আমর। এটাও সৃষ্টি জগতের মধ্যে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানার্থেই সমগ্র কায়িনাত তথা আলমে খলক্ব ও আলমে আমর সৃষ্টি করা হয়েছে। তার উর্ধ্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিত অবস্থান মুবারক। উনাদের থেকে নূর মুবারক ঝরেই সবকিছু হচ্ছে।

কয়েকদিনের মধ্যে আমি যেটা দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে নূর মুবারক ঝরে পড়তেছে। পড়তে পড়তে সেগুলো পড়তেছে আরশে আযীমের মধ্যে। আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক যেমন যাহির হয়, এ রকম। সেখান থেকে সারা কায়িনাতে বণ্টিত হয়। মানুষতো আর এগুলো বুঝবে না। আরশে আযীম পর্যন্ত। না আসলে আরশে আযীম পর্যন্ত।

সমস্ত সৃষ্টি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অধীন। উনারা সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে। উনারা অনেক উর্ধ্বে।

ক্বা’বা শরীফ যেমন একটা ক্বিবলা এদিক ফিরে নামায পড়তে হয়। অনুরূপভাবে আরশে আযীম হচ্ছে একটা কেন্দ্র, সেখান থেকে সমস্ত কিছু বণ্টিত হয়।

কুর্সী হচ্ছে একটা যমীন, আরশ হচ্ছে একটা আসন। আসন হিসেবে সেখানে নিয়ামতগুলো বর্ষিত হয়, আর সেখান থেকে কায়িনাতে বণ্টিত হয়। সুবহানাল্লাহ! আরশে আযীমের উপরে যে আলমে আমর রয়েছে, তারও উপরে হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবস্থান মুবারকগুলো। সুবহানাল্লাহ! আর এটাই স্বাভাবিক। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের গোলামী করার জন্যই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্ট করা হয়েছে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তাহলে কুদরত মুবারক কোথায় থাকবে? সৃষ্টির মধ্যে, না সৃষ্টির উর্ধ্বে? সৃষ্টির উর্ধ্বে। তাহলে তো তিনি আপসে আপ সৃষ্টির উর্ধ্বে আছেন। এখানে তো আসার প্রশড়বই উঠে না।

সমস্ত কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে তিনি কুদরত মুবারক উনার মধ্যে তিনি ছিলেন। তাহলে আলমে ইমকান যে বলা হয়, আলমে খলক্ব ও আলমে আমর, এর উর্ধ্বে তিনি আগে থেকেই। তাহলে তিনি সৃষ্টির মধ্যে আসেন কি করে?

তিনি সৃষ্টির উর্ধ্বে তো আগে থেকেই। তাহলে তিনি নীচে আসেন কি করে? তাহলে উনার মাক্বাম মুবারক আরশে আযীম পর্যন্ত হয় কি করে?

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য আরশ, কুর্সী, লৌহ, ক্বলম সারা কায়িনাত সৃষ্টি করা হয়েছে। উনার শান-মান প্রকাশের জন্য আরশে আযীম সৃষ্টি করা হয়েছে। তাহলে তিনি আগে থেকেই তো সৃষ্টির উর্ধ্বে। উনার তরফ থেকে আরশে আযীমে নিয়ামত মুবারক যাহির হচ্ছে। আর সেখান থেকে সারা কায়িনাতে ছড়িয়ে পড়ছে। সুবহানাল্লাহ!

আরশ, কুর্সী, লৌহ, ক্বলম উনার সম্মানার্থে সৃষ্টি। তাহলে উনি এগুলোর অধীন হবেন কেন?

সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অবস্থান মুবারক। উনাদের কারণেই সমগ্র সৃষ্টি সম্মানিত হয়েছে। আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা তো ঈমান। উনাদের থেকে সব সৃষ্টি হয়েছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ প্রকাশ সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৮

 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ প্রকাশ সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৬ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সংশ্লিষ্ট আইয়্যামুল্লাহ শরীফগুলো পৃথিবীর কোনো কিতাবে নেই। এগুলো তো কোথাও পাওয়ার প্রশড়বই হয় না। এগুলো অনেক তাহক্বীক্ব করে বের করা হয়েছে। আমরা অনেক তাহক্বীক্ব করে বের করেছি। অনেক বৎসর যাবৎ তাহক্বীক্ব করেছি। আজ কাল থেকে না। সেই ৭২-৭৩ সাল থেকে তাহক্বীক্ব করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছি। তারপর আইয়্যামুল্লাহ শরীফগুলো একটি একটি করে প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে কতো বৎসর হলো? প্রায় ৫০ বছরের কাছাকাছি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লাঠি মুবারক উনার বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৭

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লাঠি মুবারক উনার বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৬ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ যে খুৎবার লাঠি ব্যবহার করে, লাঠির সুনড়বাত তো মানুষ জানে না। আমি অনেক মাস ধরে লোক মারফত খোঁজ-খবর নিয়ে অনেক তাহ্ক্বীক্ব করে সিলেট থেকে বেতের লাঠি আনলাম। বেতের লাঠি এরকম উপযুক্ত পাওয়া যায় না। অনেক তাহক্বীক্ব করে আনলাম। যে রাত্রে আনলাম, ঐ রাত্রেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, না; এটা হবে না। কি করতে হবে? খেজুর গাছের লাঠি বানাতে হবে।

এখন খেজুর গাছের লাঠি পাবো কোথায়? খেজুর গাছের লাঠি সহজে হয় না। অনেক কম পাওয়া যায়। মানুষ খেজুরের গাছকে দুই দিক দিয়ে কাটে। আর ভিতরে নরম, ফোসকার মতো থাকে অর্থাৎ মধ্যে। ফলে লাঠি হয় না। ওটা কাটলে দেখা যায় গাছটা বা লাঠিটা বাদ হয়ে যায়। আমি একটি লোককে বলি, সে রূপগঞ্জ থেকে খেজুরের গাছ জোগার করে, দুটি লাঠি বানিয়ে দিয়ে যায়। খেজুর গাছের লাঠি। এই খেজুর গাছের লাঠি হলো। এগুলে মানুষ জানবে কোথায় থেকে? এগুলো তো নিসবত ছাড়া মানুষ করতে পারবে না। এগুলো সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে আমাকে জানানো হয়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অন্যথায় আমার পক্ষে তা সম্ভব হতো না। এই নিসবতটা তাদের কোথায়? তারা জানবে কিভাবে? এরকম অনেক বিষয় আছে। একটি দুটি না।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী না’লাইন শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৬

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী না’লাইন শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৬ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সুন্নাত মুবারক ছাড়া তো কোনো দিন তাকমীলে পৌঁছা যাবে না। কোনো আমল পূর্ণতায় পৌঁছবে না। একখানা সুনড়বাতী সেন্ডেল মুবারক কি রকম তারা বলতে পারবে? কোনো দিন বলতে পারবে না। এখন মেশকাত শরীফ-এ একখানা সুনড়বাতী সেন্ডেলের, না’লাইন শরীফের একটি নক্বশা আছে। কিন্তু এটা তো এরকম না। এরা কিন্তু জানে না। যেটা আমি বলেছিলাম, প্রথমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি একটি সেন্ডেল মুবারক পড়েছিলেন- এভাবে দুইটা, সোজাসুজি। এরকমভাবে সোজাসুজি দুইটা। আমি প্রথমে এই সেন্ডেলটা বানিয়েছিলাম। এরা কেউ বানাতে জানে না। অনেক জায়গা ঘুরেছি। অনেক জুতার কারিগরদের কাছে গিয়েছি। অনেক ফ্যাক্টরি ঘুরেছি। তারা বলে, আমরা এগুলো বানাতে পারবো না। আমি বললাম, আরে বানাতে পারবা। আমি দেখিয়ে দেই। বলতে বলতে এক সময় এক জাগায় বানালাম। প্রথম যে লোকটা বানিয়েছিলো, সে ছিলো বিধর্মী। বানানো হলো- পরলাম। পরার পরে ঐ রাত্রে আমি দেখতেছি- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বলতেছেন, না; এটা হবে না। এটা মানসূখ হয়ে গেছে। কোনটা হবে? উনি আমাকে দেখালেন- এরকমভাবে একদম পুরা একটা সেন্ডেল দেখিয়ে তার রংটা কিরকম সব দেখিয়ে বললেন, এরকম হতে হবে। পরে আমি আবার এটা নিয়ে ঘুরতে থাকলাম। কোথায় বানানো যায়? পরে ঘুরতে ঘুরতে বাসাবোর ওখানে যেয়ে একজন লোককে বললাম। বড় দোকান ছিলো। সে এগুলো বুঝে না। আমি তাকে বললাম, এটা এরকম। ভালোভাবে এঁকে বুঝালাম যে, কিভাবে করতে হবে। অনেক দিন গেলাম। বুঝে-সুঝে না। সে বলে, কিভাবে বানাবো? এই-সেই নানা রকম ছুতানাতা। এটা সেটা। যাহোক, অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বানালাম। রংটা এরকম হতে হবে। এরপর বানানো হলো। তারপর খিলগাঁও থেকে বানিয়েছি। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে এখন বানানো হচ্ছে। এই যে বিষয়গুলো তারা জানবে কোথায় থেকে? এগুলো জানবে না। এগুলো নিসবত ছাড়া কিভাবে হবে? এরকম অনেকগুলো বিষয় আছে। আমি আগে এক রকম করেছি, পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলেছেন যে, না; এটা এরকম হবে না। বাদ, আবার আরেকটা করলাম। এগুলো নিসবত ছাড়া জানবে কোথায় থেকে?” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর ঈলা, তাখীর ও তাহ্ রীম সর্ম্পকে হাক্বীক্বী বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৫

প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর ঈলা, তাখীর ও তাহ্ রীম সর্ম্পকে হাক্বীক্বী বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৫

ছোট - বড় যতো কিতাব পাওয়া যায় কোনো কিতাবেই ঈলা, তাখীর, তাহ্রীমের সুস্পষ্ট কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা বিভ্রান্তিতে পরিপূর্ণ। যেটা বিশ্বাস করলে কখনোই কারো ঈমান ঠিক থাকবে না।

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আলাদা। মহান আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক উনি আলাদা। উনারা হিসাবের উর্ধ্বে মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি, তারপর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা এবং হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ও হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা। উনারা হচ্ছেন মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। ইলিম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত-কুরবত হোক, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, যেটাই হোক উনাদের থেকেই বের হবে। পবিত্র নিয়ামত মুবারক প্রকাশ করা উনাদের ইখতিয়ারের মধ্যে। যেমন- একদিন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনি বসা। উনার সাথে ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম। উনি বললেন, তাহলে আমার নিসবত হাছিল করতে হবে না? আমি বললাম, হ্যাঁ; করতে হবে। বললেন, ইলিম-কালাম তো আমার থেকে নিতে হবে। আমি বললাম, হ্যাঁ। উনার মাধ্যমে ইলিমটা বের হয়েছে। এরপর উনি আমাকে ঈলা, তাখীর, তাহ্রীমের বিষয়গুলো দেখালেন। পুরোপুরি দৃশ্যটা আমাকে দেখালেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সম্মানিত জুমু‘আহ শরীফ উনার সম্মানিত নামায মুবারক পড়িয়ে আসলেন। এসে বললেন যে, উনি এক মাসের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক নিবেন না। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনারা ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি গেলেন, থাকলেন। এক মাস পার হলো। উনি আবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক আনলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি ছিলেন। উনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেছিলেন, এক মাস থাকবেন। ২৯ দিন! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, চাঁদ উঠে গেছে। পরে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি আমাকে দেখালেন এবং বললেন যে, এভাবে, এরকম-

৮ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসে তাহ্রীমের ঘটনা সংঘটিত হয়। অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহ্রীম শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত বেমেছাল শান মুবারক সুস্পষ্ট করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

আর ৮ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৩০ তারীখ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ জুমু‘আর নামায উনার পর থেকে ৯ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র মুর্হরামুল হারাম শরীফ উনার ২৯ তারীখ পর্যন্ত এক মাস মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একাকী সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ১লা ছফর শরীফে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেন। যাকে ঈলা বলা হয়ে থাকে। তবে পরবর্তীতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈলার জন্য ৪ মাস নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

তারপর (১লা সফর শরীফের পর) তাখীরের সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই মুনাফিক্বদের চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বালের জবাব দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হরযত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত বেমেছাল শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটান। সুবহানাল্লাহ!

৯ম হিজরী শরীফ উনার মুহাররামুল হারাম শরীফ মাসটা ছিলো ২৯শা। এগুলো উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি পুরোটাই আমাকে দেখিয়েছেন এবং জানিয়েছেন। তারপর এই যে তাহ্রীমের আয়াত শরীফের আগে নাযিল হয়েছে, পরে নাযিল হইছে কতোটুকু, তাখীরের আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। এটা উনি বলছেন। এগুলিতো কোনো কিতাবে নাই। মানুষ অন্য রকম চিন্তা করে। উনি দেখানোর পর দেখলাম যে, মানুষ যে প্রকার বলে বিষয়টা সে প্রকার না আসলে। উনি বললেন যে, না, এভাবে না। এভাবে নাযিল হয়েছে। তারপর এই ঘটনা। তারপরে এটা নাযিল হয়েছে।

্এররপর তাখীরের সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনি আমাকে পুরো জিনিসটা স্পষ্ট, একদম যে দৃশ্যটা ওটা দেখালেন এবং বুঝালেন, বললেন। এটা উনারা ছাড়া কিভাবে সম্ভব? এটা মানুষ জানে না যে, সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ কিভাবে নাযিল হয়েছে। কিতাবে লিখে এলোমেলো। আবার তাখীরের আয়াত শরীফ নিয়ে এখতিলাফ রয়েছে কখন নাযিল হয়েছে। কেউ বলে- খন্দকের সময়, কেউ বলে- খায়বরের সময়, মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় ইত্যাদি নানান কিছু বলে। কিন্তু আসল মূল বিষয়টা উনি বললেন যে, আসলে এটা এভাবে হয়েছে। মানুষ জানে না এগুলি। এখন উনারা না বললে তো এটা জানাটা সম্ভব না। এটা আমি দেখলাম যে, এটা কি করে সম্ভব? কিতাব পড়ে কোনো দিন জানা সম্ভব না। আর উনাদের যে খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্য, উনাদের পবিত্রতা মুবারক মানুষ কিভাবে বুঝবে? এই যে মূর্খ লোকগুলি উনাদের ব্যাপারে চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল এবং মিথ্যা প্রপাকা-া করে। এখন প্রত্যেকটা বিষয় তো সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত। বিষয়গুলো উনার মাধ্যমে অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের মাধ্যমে ফায়ছালা করতে হবে। এছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেই। উনাদের বাহিরে কিছু নেই- শূন্য। উনাদের থেকে যে সবকিছু যাহির হয়, সেটাই যাহির হলো। ইলিম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত-কুরবত হোক, যা কিছুই হোক। উনাদের মাধ্যম দিয়ে আসতে হবে। এছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেই। কেউ কিছু করতে পারবে না। এই যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যে বললেন,

لِىْ وَلَنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتٌ لَّ يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার এবং আমাদের এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

অর্থাৎ এটা তো ঠিকই আছে। আমাদের সাথে নূরে মুজাসসাম উনার সাথে নিসবত আছে। কাজেই এখানে অন্য কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। উনাদের যে মাক্বামগুলো এখানে প্রবেশ করার এবং সেখানে যেয়ে বসার কারো কোনো অধিকার নেই। যেতেই তো পারবে না কেউ। ওখান থেকেই তো সব বের হবে, ইলিম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত-কুরবত হোক, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, যা কিছুই হোক। ওখান থেকে বের হবে। এই তাহ্রীম, তাখীর, ঈলা বা এগুলোর যে বিস্তারিত বর্ণনা, এগুলো তো এভাবে পৃথিবীর কোনো কিতাবে নেই। কিতাবগুলোতে সব উল্টা, এলোমেলো আর বিচ্ছিনড়ব ও কুফরী লেখা। ছোট-বড় সব কিতাবে কুফরী লেখা। তারা প্রকৃত বিষয়টি বুঝতে পারেনি। এগুলো বিশ্বাস করলে, কারো ঈমান থাকবে না। আসলে উনাদের ছাড়া তো ইলিম পাওয়া যাবে না। সেটাই বললাম যে, বাত্বিনী যে রিয়াযাত-মাশাক্কাত মূল বিষয় হলো সেটা।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচার করবেন , উনাদেরকে সবসময় গায়িবী মদদ করা হবে-পর্ব-৪৪

যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচার করবেন , উনাদেরকে সবসময় গায়িবী মদদ করা হবে-পর্ব-৪৪

মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৭ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সময় তো সীমিত। একটা নির্দিষ্ট সময়ে মানুষকে যেতে হবে। এটাতো স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজেই বলেছেন যে, এই আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক কেন্দ্রটা ব্যাপক প্রচারের জন্য একটা পরিকল্পনা করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। এটা সময়ের ব্যাপার না? সারা দুনিয়ায় ছড়াতে হবে, সময় লাগবে। তাহলে তাড়াতাড়ি পরিকল্পনা করতে হবে। সারা বিশে^ ছড়িয়ে দিতে হবে। উনিতো বলেননি, শুধু ঐ এলাকায় ছড়াও, বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেও। না; সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন সুসংবাদ অনেক আছে। যে যতটুক গ্রহণ করতে পারে। আর গ্রহণ না করলেতো কিছুই নেই। বুঝলে অনেক কিছু। আর যারা বুঝে না, তাদের জন্য কিছুই নেই।”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র সুন্নাত মুবারক ব্যাপক প্রচার করতে হবে। এটা ফরযে আইন এখন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজে বলছেন। তাহলে ব্যাপক প্রচার করতে হবে। রুহানীভাবে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। মানুষ এটা বুঝবে কিভাবে? আজকে দিনের বেলাও (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ১১ই মুহররমুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার দিনেও) যাত্রাবাড়ীর পীর সাহেব আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার যিয়ারত মুবারক-এ উনি এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এখন মানুষকে সুনড়বাতী দ্রব্যগুলি খাওয়ানো উচিৎ বেশি বেশি। আমি বলেছি- হ্যাঁ; খাওয়াতে হবে। উনি নাবীয, তালবীনা আরো অনেকগুলি সুন্নাতি খাবার মুবারক উনাদের নাম মুবারক বললেন যে, এগুলি বেশি বেশি প্রচার করা দরকার।

তাহলে পবিত্র সুন্নাত মুবারক আরো বেশি প্রচার দরকার। একখানা পবিত্র সু্ন্নাত মুবারক পালন করলে একশ শহীদের বেশি ফযীলত পাওয়া যাবে। তাহলে এটা কি সোজা জিনিস? মূর্খ, মুনাফিক্ব আর কাফেরেরা জীবনে এগুলি বুঝবে না। আর যেখানে হাজার হাজার সু্ন্নাত মুবারক, তাহলে সেখানে ফযীলত কতো? কাজেই এখন এটা ব্যাপক প্রচার-প্রসারের জন্য কোশেশ করতে হবে। আর যেই বিষয়গুলি দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মানটা প্রকাশ পায় সেটাই বেশি করা উচিৎ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এ পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি পবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচারের বিষয়ে আমাকে ৩ বার তাকীদ করলেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি প্রথম ১ বার বলেছেন। উনাদের পক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ী পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি কাজ করাচ্ছেন। রুহানীভাবে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। যাঁরা পবিত্র সু্ন্নাত মুবারক প্রচার করবে, তাঁদের গায়িবী মদদ হবে, সাহায্য হবে। কাফির, মুশরিক, মুনাফিক্ব তো আছে ফেতনা করার জন্য, কিছু করতে পারবে না। হেফাযত করা হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন এ সমস্ত বিষয়ে যারা গাফলতী করে, এদের নামগুলি বাদ দিয়ে দিলেই হয়। এদের দরকার নেই। আর যারা চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করে এরা মুনাফিক্ব, এদেরকে বাদ দিয়ে দিলেই হয়। এখন আমাদের মূল যে বিষয়টা হচ্ছে যে, যিনি মালিক যিনি খালিক্ব যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা যদি কবুল করেন, তাহলে আর কারো কোনো প্রয়োজন নেই। কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। কারো টাকা-পয়সারও দরকার নেই, কারো খিদমতেরও প্রয়োজন নেই। কুদরতী ফায়ছালা হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি রেজালুল গায়েব দিয়ে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের দিয়ে কাজ করাতে পারেন। অনেক রকম হতে পারে। মানুষের ছূরতে এসে কাজ করে দিয়ে যান, কেউ বুঝতে পারে না। কতো জিন, রেজালুল গায়েব ও ফেরেশতা আছেন মানুষের ছূরতে কাজ করেন, অনেকেই চিনে না। সে মনে করে অমুক, আসলে তো সে না। অন্য কেউ অর্থাৎ জিন, রেজালুল গায়েব, ফেরেশতা। কতো রকম হতে পারে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ঐ যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হচ্ছে-

عَنْ اِمَامِ الَْوَّلِ سَيِّدِنَ حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَمُ قَالَ اِنَّ

النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نحَْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ

شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَمُخْتَلِفِ الْمَلَئِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ

অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! ( দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক-এ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ বলা হয়েছে, উনারা সবকিছু থেকে পবিত্র। নুবুওয়াতের বৃক্ষ, রিসালতের মূল হোক, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের খেদমত হোক, রহমত মুবারক উনার ঘর হোক, ইল্মের খনি সবকিছু থেকে পবিত্র। তার অর্থটা কী? অর্থাৎ যিনি মালিক যিনি খালিক্ব মহান আল্লাহ পাক উনি কুদরতীভাবে ফায়ছালা করবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনি ফায়ছালা করবেন। অসুবিধার কি আছে? এগুলি চিন্তার কোনো কারণ নেই। কুদরতী ফায়ছালা তো হচ্ছে। হয়নি? হচ্ছে তো। বন্ধ থাকলো কোন্টা? কোনোটা বন্ধ থাকেনি। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, খালিছ নিয়তে আন্জাম দেয়া, খুলুছিয়াতের সাথে। তাহলে কুদরতী ফায়ছালা হবে। বিষয়গুলি ফিক্বির করতে হবে। ফিক্বির করলে বুঝতে সহজ হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ দিক-নির্দেশনা মুবারক-পর্ব-৪৩

আন্তর্জাতিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ দিক-নির্দেশনা মুবারক-পর্ব-৪৩

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২৬শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪১ হিজরী ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ জুমু‘আহ শরীফ উনার আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা একটা স্বপেড়বর কথা বলেছিলাম। জুমাতে বলা হয়নি। রাতে (২৩শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ বা মঙ্গলবার রাত্রে) বলা হয়েছিলো। যে, আমি স্বপেড়ব দেখতে পেলাম, যিনি আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি অনেক বড় বুর্যূগ, ওলী আল্লাহ। তিনি একটা বড় মজলিশ করতেছেন। অনেক বড় মজলিশ! সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক পবিত্র সুনড়বাত মুবারক প্রচার কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করতেছিলেন- এটা যে করা হয়েছে, এটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!কিভাবে করতে হবে, এটার একটা প্ল্যান-প্রোগ্রাম করতে হবে। আমি কিন্তু সেখানে ছিলাম না। আমি দূরে ছিলাম। আমাদের একজন লোক সে ছিলো। তখন আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি আমার কথা জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কোথায়? ঐ ব্যাক্তি বললেন, উনি আছেন একখানে। একটা প্ল্যান করতেছেন। আমি তখন আসলাম। উনার সামনে আসলে, তিনি বললেন, এটার কোনো প্ল্যান-পরিকল্পনা করা হয়েছে কি? যে, কিভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়ানো যাবে? আমি বললাম, আমি কোশেশ করতেছি, চেষ্টা করতেছি। তিনি আলোচনা করলেন। আলোচনা হয়ে গেল। এরপর তিনি বাহিরে বের হয়ে আসলেন। মজলিশ শেষ হলো। বাহির হয়ে কোথাও যাবেন, আমিও উনার সাথে। কিন্তু আমি বের হয়ে দেখলাম, তিনি আর সেখানে নেই। ওখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ঐ দিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতিμম দেখলাম। দেখলাম, তিনি অনেক উঁচু এবং অনেক লম্বা। আমি উনার সাথে কিছু দূর আসার পরে, তিনি আমাকে বলতেছেন যে, আসলে এই বিষয়টা রূহানী জগতে খুব আলোচিত হচ্ছে। এই সুনড়বাত মুবারক প্রচার কেন্দ্রটা সারা পৃথিবী ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন কিভাবে, তাহলে প্ল্যান করতে হবে। তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) রেখে বললেন, তাহলে তাড়াতাড়ী করতে হবে। একটা প্ল্যান-পরিকল্পনা করে তারপর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটা প্ল্যান-পরিকল্পনা করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আমাকে বললেন, আমি শুনলাম। আমি বললাম, হ্যাঁ, করবো। ‘এখন উনাদের রহমত-বরকত, ছাকিনা ছাড়া সেটা সম্ভব না’ আমি সেটা বললাম। যখন স্বীকার করলাম, তিনি খুব খুশি হলেন। এরপরে তিনি অদৃশ্য হয়ে গায়েব হয়ে গেলেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের খুশি মুবারক প্রকাশ এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪২

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের খুশি মুবারক প্রকাশ এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক সর্ম্পকে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪২

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ২রা মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি মহাসম্মানিত দো‘আ মুবারক উনার মধ্যে সবসময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের দুইজনের বিষয়টি এক সাথে বলে থাকি। আজকে আমি মহাসম্মানিত দো‘আ মুবারক উনার মধ্যে প্রথমে বলেছিলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম। তখন আমাকে বলা হলো, দুইজনেরটা বলতে হবে। আমি দুইজনেরটা বললাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম দুইজন। এক সাথে বলতে হবে। আমি বললাম, উনারা দুইজন খুশি হলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও খুশি হলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহ্লি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ১লা মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। উনার সাথে আমার যিয়ারত হয়েছে বুঝলে? কোথায় যিয়ারত হয়েছে? আমি দেখলাম উনাকে, ত্বহারাত ও ছমাদিয়াতের মাক্বামে উনি বসে রয়েছেন। উনাদের খিদমতে উনি বসে রয়েছেন, সামনে। ওই যে ২৩ জন রয়েছেন, উনাদের বলয়ের বাইরে, ত্বহারাত ও ছমাদিয়াতের মাক্বামে উনি বসে রয়েছেন। এটাই দেখলাম কিছুদিন আগে। আর কাউকে দেখিনি। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত সেটাইতো দেখলাম। সেটাই প্রমাণ হলো।” (সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ বিশেষ নিসবত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ বিশেষ নিসবত মুবারক সম্পর্কে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত নিসবত মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল নিসবত মুবারক তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রয়েছেই। তারপরও সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে এবং হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার সাথে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৫শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই নিসবত মুবারক সম্পূর্ণটা আমাকে দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে এবং হযরত ইয়াহ্ইয়া আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। আর চতুর্থ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিসবত মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে। এই পরিপূর্ণ নিসবত মুবারকও আমাকে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মূল নিসবত মুবারক তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আছে। সেটা আলাদা। এগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত নিসবত মুবারক। এছাড়া মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আলাদা অনেক নিসবত মুবারক রয়েছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!