মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লাঠি মুবারক উনার বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪৭
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৬ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ যে খুৎবার লাঠি ব্যবহার করে, লাঠির সুনড়বাত তো মানুষ জানে না। আমি অনেক মাস ধরে লোক মারফত খোঁজ-খবর নিয়ে অনেক তাহ্ক্বীক্ব করে সিলেট থেকে বেতের লাঠি আনলাম। বেতের লাঠি এরকম উপযুক্ত পাওয়া যায় না। অনেক তাহক্বীক্ব করে আনলাম। যে রাত্রে আনলাম, ঐ রাত্রেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে বললেন যে, না; এটা হবে না। কি করতে হবে? খেজুর গাছের লাঠি বানাতে হবে।
এখন খেজুর গাছের লাঠি পাবো কোথায়? খেজুর গাছের লাঠি সহজে হয় না। অনেক কম পাওয়া যায়। মানুষ খেজুরের গাছকে দুই দিক দিয়ে কাটে। আর ভিতরে নরম, ফোসকার মতো থাকে অর্থাৎ মধ্যে। ফলে লাঠি হয় না। ওটা কাটলে দেখা যায় গাছটা বা লাঠিটা বাদ হয়ে যায়। আমি একটি লোককে বলি, সে রূপগঞ্জ থেকে খেজুরের গাছ জোগার করে, দুটি লাঠি বানিয়ে দিয়ে যায়। খেজুর গাছের লাঠি। এই খেজুর গাছের লাঠি হলো। এগুলে মানুষ জানবে কোথায় থেকে? এগুলো তো নিসবত ছাড়া মানুষ করতে পারবে না। এগুলো সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে আমাকে জানানো হয়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) অন্যথায় আমার পক্ষে তা সম্ভব হতো না। এই নিসবতটা তাদের কোথায়? তারা জানবে কিভাবে? এরকম অনেক বিষয় আছে। একটি দুটি না।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment