আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচার করবেন , উনাদেরকে সবসময় গায়িবী মদদ করা হবে-পর্ব-৪৪

যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচার করবেন , উনাদেরকে সবসময় গায়িবী মদদ করা হবে-পর্ব-৪৪

মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ০৭ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সময় তো সীমিত। একটা নির্দিষ্ট সময়ে মানুষকে যেতে হবে। এটাতো স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজেই বলেছেন যে, এই আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক কেন্দ্রটা ব্যাপক প্রচারের জন্য একটা পরিকল্পনা করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। এটা সময়ের ব্যাপার না? সারা দুনিয়ায় ছড়াতে হবে, সময় লাগবে। তাহলে তাড়াতাড়ি পরিকল্পনা করতে হবে। সারা বিশে^ ছড়িয়ে দিতে হবে। উনিতো বলেননি, শুধু ঐ এলাকায় ছড়াও, বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেও। না; সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন সুসংবাদ অনেক আছে। যে যতটুক গ্রহণ করতে পারে। আর গ্রহণ না করলেতো কিছুই নেই। বুঝলে অনেক কিছু। আর যারা বুঝে না, তাদের জন্য কিছুই নেই।”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র সুন্নাত মুবারক ব্যাপক প্রচার করতে হবে। এটা ফরযে আইন এখন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজে বলছেন। তাহলে ব্যাপক প্রচার করতে হবে। রুহানীভাবে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। মানুষ এটা বুঝবে কিভাবে? আজকে দিনের বেলাও (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার ১১ই মুহররমুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার দিনেও) যাত্রাবাড়ীর পীর সাহেব আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার যিয়ারত মুবারক-এ উনি এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এখন মানুষকে সুনড়বাতী দ্রব্যগুলি খাওয়ানো উচিৎ বেশি বেশি। আমি বলেছি- হ্যাঁ; খাওয়াতে হবে। উনি নাবীয, তালবীনা আরো অনেকগুলি সুন্নাতি খাবার মুবারক উনাদের নাম মুবারক বললেন যে, এগুলি বেশি বেশি প্রচার করা দরকার।

তাহলে পবিত্র সুন্নাত মুবারক আরো বেশি প্রচার দরকার। একখানা পবিত্র সু্ন্নাত মুবারক পালন করলে একশ শহীদের বেশি ফযীলত পাওয়া যাবে। তাহলে এটা কি সোজা জিনিস? মূর্খ, মুনাফিক্ব আর কাফেরেরা জীবনে এগুলি বুঝবে না। আর যেখানে হাজার হাজার সু্ন্নাত মুবারক, তাহলে সেখানে ফযীলত কতো? কাজেই এখন এটা ব্যাপক প্রচার-প্রসারের জন্য কোশেশ করতে হবে। আর যেই বিষয়গুলি দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মানটা প্রকাশ পায় সেটাই বেশি করা উচিৎ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এ পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি পবিত্র সুন্নাত মুবারক প্রচারের বিষয়ে আমাকে ৩ বার তাকীদ করলেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি প্রথম ১ বার বলেছেন। উনাদের পক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ী পীর সাহেব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনি কাজ করাচ্ছেন। রুহানীভাবে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। যাঁরা পবিত্র সু্ন্নাত মুবারক প্রচার করবে, তাঁদের গায়িবী মদদ হবে, সাহায্য হবে। কাফির, মুশরিক, মুনাফিক্ব তো আছে ফেতনা করার জন্য, কিছু করতে পারবে না। হেফাযত করা হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন এ সমস্ত বিষয়ে যারা গাফলতী করে, এদের নামগুলি বাদ দিয়ে দিলেই হয়। এদের দরকার নেই। আর যারা চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করে এরা মুনাফিক্ব, এদেরকে বাদ দিয়ে দিলেই হয়। এখন আমাদের মূল যে বিষয়টা হচ্ছে যে, যিনি মালিক যিনি খালিক্ব যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা যদি কবুল করেন, তাহলে আর কারো কোনো প্রয়োজন নেই। কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। কারো টাকা-পয়সারও দরকার নেই, কারো খিদমতেরও প্রয়োজন নেই। কুদরতী ফায়ছালা হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি রেজালুল গায়েব দিয়ে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের দিয়ে কাজ করাতে পারেন। অনেক রকম হতে পারে। মানুষের ছূরতে এসে কাজ করে দিয়ে যান, কেউ বুঝতে পারে না। কতো জিন, রেজালুল গায়েব ও ফেরেশতা আছেন মানুষের ছূরতে কাজ করেন, অনেকেই চিনে না। সে মনে করে অমুক, আসলে তো সে না। অন্য কেউ অর্থাৎ জিন, রেজালুল গায়েব, ফেরেশতা। কতো রকম হতে পারে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

ঐ যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হচ্ছে-

عَنْ اِمَامِ الَْوَّلِ سَيِّدِنَ حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَمُ قَالَ اِنَّ

النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نحَْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ

شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَمُخْتَلِفِ الْمَلَئِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ

অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! ( দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক-এ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ বলা হয়েছে, উনারা সবকিছু থেকে পবিত্র। নুবুওয়াতের বৃক্ষ, রিসালতের মূল হোক, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের খেদমত হোক, রহমত মুবারক উনার ঘর হোক, ইল্মের খনি সবকিছু থেকে পবিত্র। তার অর্থটা কী? অর্থাৎ যিনি মালিক যিনি খালিক্ব মহান আল্লাহ পাক উনি কুদরতীভাবে ফায়ছালা করবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনি ফায়ছালা করবেন। অসুবিধার কি আছে? এগুলি চিন্তার কোনো কারণ নেই। কুদরতী ফায়ছালা তো হচ্ছে। হয়নি? হচ্ছে তো। বন্ধ থাকলো কোন্টা? কোনোটা বন্ধ থাকেনি। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, খালিছ নিয়তে আন্জাম দেয়া, খুলুছিয়াতের সাথে। তাহলে কুদরতী ফায়ছালা হবে। বিষয়গুলি ফিক্বির করতে হবে। ফিক্বির করলে বুঝতে সহজ হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


0 Comments: