
মুসলমানদের জন্য অমুসলিমকে বিয়ে করার বিধান নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব
নাস্তিকদের আপত্তি : একজন মুসলিম কি কোন অমুসলিমকে বিয়ে করতে পারবে? - না (Quran 2:221) এবং হ্যা (Quran 5:5)!
খণ্ডণ : মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَنكِحُوْا الْمُشْرِكَاتِ حَتّٰى يُؤْمِنَّ ۚ وَلَاَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ اَعْجَبَتْكُمْ ۗ وَلَا تُنْكِحُوا الْمُشْرِكِيْنَ حَتّٰى يُؤْمِنُوْا ۚ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ اَعْجَبَكُمْ ۗ اُولٰئِكَ يَدْعُوْنَ اِلَى النَّارِ ۖ وَاللهُ يَدْعُو اِلَى الْـجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِاِذْنِهٖ ۖ وَيُبَيّنُ اٰيَاتِهٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُوْنَ ◌
অর্থ : “আর তোমরা মুশরিকা নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরিকা নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরিকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ মুবারক বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২২১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-
الْيَوْمَ اُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ ۖ وَطَعَامُ الَّذِينَ اُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَّـهُمْ ۖ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ اُوْتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا اٰتَيْتُمُوهُنَّ اُجُورَهُنَّ مُـحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي اَخْدَانٍ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِالْاِيـمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْـخَاسِرِينَ ◌
অর্থ : “আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহ্লে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি ঈমানের পরিবর্তে কুফরী করে, তার কর্ম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
উপরোক্ত আয়াত শরীফদ্বয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমান পুরুষদেরকে সরাসরি মুশরিক মেয়ে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন এবং মুসলমান মেয়েদেরকে মুশরিক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে নিষেধ করেছেন।
কিন্তু ২য় আয়াত শরীফ উনার মধ্যে আহলে কিতাবদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাব শব্দের অর্থ হচ্ছে যারা পূর্ববর্তী অবিকৃত আসমানী কিতাব পবিত্র তাওরাত শরীফ, পবিত্র যাবূর শরীফ ও পবিত্র ইন্যীল শরীফ অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করেন ও আমল করে থাকেন। অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার তাওহীদ বা একত্বে পূর্ণ বিশ্বাসী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রেরিত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করেন। আর কোন প্রকার শিরক করেন না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে কিতাবদের সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ يَا اَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا اِلٰـى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ اَلَّا نَعْبُدَ اِلَّا اللهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهٖ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا اَرْبَابًا مّنْ دُوْنِ اللهِ ۚ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُوْلُوا اشْهَدُوْا بِاَنَّا مُسْلِمُوْنَ ◌
অর্থ : “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, হে আহ্লে কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস, যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে একই যে, আমরা মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না, উনার সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনাকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে আপনি বলে দিন যে, তোমরা সাক্ষী থাক আমরা তো মুসলমান।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)
সুতরাং আহলে কিতাব হচ্ছে- (১) ইহুদী সম্প্রদায় : যারা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মত। যাদের প্রতি পবিত্র তাওরাত শরীফ নাযিল হয়েছে। (২) খ্রিষ্টান সম্প্রদায় : যারা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মত। যাদের প্রতি পবিত্র ইন্যীল শরীফ নাযিল হয়েছে।
তাই ইহুদী হলে তারা যেন হযরত ওজায়ের আলাইহিস সালাম উনাকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ছেলে হিসেবে বিশ্বাস না করে বরং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আলাইহিস সালাম হিসেবে বিশ্বাস করে। আর হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হিসেবে বিশ্বাস করে এবং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এক হিসেবে জানে।
আর যদি খ্রিষ্টান হয় তাহলে তারা যেন ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস না করে। অর্থাৎ হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার ছেলে এবং হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার স্ত্রী হিসেবে বিশ্বাস না করে বরং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল আলাইহিস সালাম হিসেবে বিশ্বাস করে এবং হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ বান্দী হিসেবে বিশ্বাস করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে এক হিসেবে জানে।
এই শ্রেণীর আহলে কিতাবদেরকে বাংলায় বলা হয় তাওহীদ বা একত্বতায় বিশ্বাসী এবং আরবীতে বলা হয় موحد “মুওয়াহহিদ” আর ইংরেজীতে বলা হয় টহরঃধৎরধহ “ইউনিটেরিয়ান”। আর এই موحد “মুওয়াহহিদ” শ্রেণীর আহ্লে কিতাবদের যবেহকৃত গোশত খাওয়া ও তাদের মেয়ে বিবাহ করা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে হালাল বলা হয়েছে। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
الْيَوْمَ اُحِلَّ لَكُمُ الطَّيّبَاتُ ۖ وَطَعَامُ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَّـهُمْ ۖ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ اِذَا اٰتَيْتُمُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ مُـحْصِنِيْنَ غَيْرَ مُسَافِحِيْنَ وَلَا مُتَّخِذِي اَخْدَانٍ ۗ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِالْاِيـْمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهٗ وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْـخَاسِرِيْنَ ◌
অর্থ : “আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। ঈমানদার সতী-সাধবী মহিলা এবং যারা পূর্ববর্তী আহলে কিতাব তাদের সতী-সাধবী মহিলা তোমাদের জন্য বিবাহ করা হালাল এই শর্তে যে, সৎ উদ্দেশ্যে তোমরা তাদেরকে মহর প্রদান করবে আর অসৎ উদ্দেশ্যে ও গোপন বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য নয়। যে ব্যক্তি পবিত্র ঈমান উনার পরিবর্তে কুফরী গ্রহণ করবে নিশ্চয়ই তার আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত طَعَامُ “ত্বয়াম” শব্দের আভিধানিক অর্থ খাদ্যদ্রব্য। শাব্দিক অর্থে সর্বপ্রকার খাদ্যই এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতে; এ স্থলে طَعَامُ বা খাদ্য বলে শুধু আহলে কিতাবদের যবেহ করা হালাল পশুর গোশত বোঝানো হয়েছে। কেননা, গোশত ছাড়া অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের বিধানের ক্ষেত্রে আহলে কিতাব, পৌত্তলিক, মুশরিক সবাই সমান। কাফিরদের হাতের দ্বারা উৎপাদিত আহার্য বস্তু যেমন গম, বুট, চাউল, ফল ইত্যাদি খাওয়া হালাল। এতে কারো দ্বিমত নেই। তবে যেসব খাদ্য মানুষের হাতে প্রস্তুত হয়, সেগুলোর ব্যাপারে যেহেতু কাফিরদের বাসন-কোসন ও হাতের পবিত্রতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়না এবং তারা যা হালাল ও জায়িয মনে করে থাকে, মুসলমান উনাদের নিকট তা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম সেহেতু তা খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা হারাম। আর তাদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত খাদ্য-পানীয়তে কোন প্রকার হারাম মিশ্রণের সম্ভাবনা না থাকলেও উক্ত খাদ্য-পানীয় পানাহার না করাই তাক্বওয়া। কিন্তু এতে মুশরিক মূর্তিপূজারীর যে অবস্থা আহলে কিতাবদেরও একই অবস্থা। কারণ অপবিত্রতার সম্ভাবনা উভয় ক্ষেত্রেই সমান। অতএব উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে আহলে কিতাবদের যবেহ করা জন্তু মুসলমান উনাদের জন্য এবং মুসলমান উনাদের যবেহ করা জন্তু আহলে কিতাবদের জন্য হালাল।
আর তাই উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, শুধুমাত্র আহলে কিতাব হলেই তাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল হবে না। বরং শর্ত দেয়া হয়েছে যে, আহলে কিতাব হওয়ার সাথে সাথে মুশরিক না হওয়া। অর্থাৎ যে সকল আহলে কিতাব মুশরিক তাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল নয়। অর্থাৎ যে সমস্ত ইহুদী দাবীদাররা হযরত ওজায়ির আলাইহিস সালাম উনাকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ছেলে হিসেবে বিশ্বাস করে এবং যে সমস্ত খ্রিষ্টানরা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে তাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া কখনোই হালাল হবে না।
কারণ যারা মহান আল্লাহ পাক উনার তাওহীদে বিশ্বাসী নয়, উনার নাযিলকৃত কিতাবসমূহ এবং উনার প্রেরিত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশ্বাসী নয় এরূপ লোকেরা কুফরী শেরেকীতে লিপ্ত। তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ছাড়া অন্যের নামে পশু যবেহ বা উৎসর্গ করে থাকে। তাই তাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম।
আহলে কিতাবদের যবেহকৃত জন্তুর গোশত খাওয়া এবং তাদের মেয়েকে বিয়ে করার বিধানটি একইরূপ। অর্থাৎ উভয়ের ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে মুশরিক না হওয়া। মুশরিক হলে তাদেরসহ সকলেরই যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া এবং তাদের মেয়ে বিয়ে করা হারাম।
যেমন মুশরিক মহিলাকে বিয়ে করা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা করেন,
وَلَا تَنكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتّٰـى يُؤْمِنَّ ۚ
অর্থ : “তোমরা ওইসব মেয়েকে বিবাহ করনা যারা মুশরিক বা কুফরী শেরেকীতে লিপ্ত। যে পর্যন্ত না তারা ঈমান গ্রহণ করে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২২১)
বর্তমান সময়ে যেহেতু ছহীহ আক্বীদা ও আমলসম্পন্ন আহলে কিতাব অর্থাৎ ইয়াহুদী হলে যারা হযরত ওজায়ের আলাইহিস সালাম উনাকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ছেলে হিসেবে বিশ্বাস না করে বরং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আলাইহিস সালাম হিসেবে বিশ্বাস করে। আর হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হিসেবে বিশ্বাস করে এবং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এক হিসেবে জানে।
আর খ্রিষ্টান হলে যারা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস না করে অর্থাৎ হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার ছেলে এবং হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার স্ত্রী হিসেবে বিশ্বাস না করে বরং হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল আলাইহিস সালাম হিসেবে বিশ্বাস করে এবং হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ বান্দী হিসেবে বিশ্বাস করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে এক হিসেবে জানে এদের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।
তাই আহলে কিতাবের দোহাই দিয়ে ঢালাওভাবে “ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের যবেহকৃত জন্তুর গোশত খাওয়া হালাল” কিংবা “ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের মেয়ে বিবাহ করা জায়িয”- এ ধরনের কথা বলা সম্পূর্ণরূপে ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ ও কুফরী।
মোদ্দা কথা হচ্ছে, একজন মুসলিম কোনভাবেই কোন মুশরিককে বিয়ে করতে পারবে না। এমনকি কোন আহলে কিতাব যদি শিরকী গুনাহে লিপ্ত থাকে সে তাকেও আহলে কিতাবের দোহাই দিয়ে বিয়ে করা যাবে না।