হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব

হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব

নাস্তিকদের আপত্তি : আল্লাহ কাকে রক্ষা করেননি? - লুতের স্ত্রিকে (Quran 7:83) নাকি এক বৃদ্ধাকে (Quran 26:170)?

খণ্ডণ: মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনার বয়োঃবৃদ্ধা আহলিয়াকে রক্ষা করেননি। কেননা সে ছিল পাপীষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فَاَنـْجَيْنَاهُ وَاَهْلَهٗ اِلَّا اَمْرَاَتَهٗ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِيْنَ ◌ وَاَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا ۖ

অর্থ : “অতঃপর আমি হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাকে ও উনার পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম, কিন্তু উনার আহলিয়া ব্যতীত। সে তাদের মধ্যেই রয়ে গেল, যারা পিছনে রয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করলাম।” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)

মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উক্ত মহিলার বয়সও উল্লেখ করেছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক করেন-

فَنَجَّيْنَاهُ وَاَهْلَهُ اَجْـمَعِيْنَ ◌ اِلَّا عَجُوْزًا فِي الْغَابِرِيْنَ ◌

অর্থ : “অতঃপর আমি হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাকে ও উনার পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম। এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।” (পবিত্র সূরা শূ‘আরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭০-১৭১)

সুতরাং উপরের আলোচনা হতে যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হচ্ছে- হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়া, যে ছিল বয়সে বৃদ্ধা। তার পাপাচারের কারণে তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি রক্ষা করেননি। অথচ মূর্খ নাস্তিকরা বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, যা তাদের মূর্খতারই পরিচায়ক।


0 Comments: