আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস-সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহপাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি র্অথাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারক সেই বেষ্টনী মুবারক-এ ছিলেন ,আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন-পর্ব-৫৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস-সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহপাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি র্অথাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারক সেই বেষ্টনী মুবারক-এ ছিলেন ,আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন-পর্ব-৫৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এখন যিকির-ফিকির করতে করতে যাহিরী যে রিয়াযাত-মাশাক্কাত সেটা একটা। এটা নফসটাকে বা সব নিয়োন্ত্রনের জন্য। এরপরে বাত্বিনী যে রিয়াযাত-মাশাক্কাত উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করা। এটা হলো যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করে যখন হুযূরী হাক্বীক্বী হবে, দায়িমী হুযূরী, তখন গিয়ে সে ঐ বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করবে। তাছাড়া পারবে না তো। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করতে হলে দায়িমী ছোহবত ইখতিয়ার করা দরকার। দায়িমী ছোহবত ইখতিয়ার করবে, ইছলাহ্ না হলে করবে কিভাবে? তাহলে যাহিরী যখন রিয়াযাত-মাশাক্কাত সে পূর্ণতায় পৌঁছলো, তখন তার পক্ষে বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করা সহজ। এখন আসলে মানুষ এই জিনিসটা বুঝে না। যার জন্য ঐ তর্য-তরীক্বাহ্ তারা করতে না পারার কারণে ঐখানে তারা পৌঁছতে পারেনি। এখন যাহিরী ইছলাহ্ই হলো না, তাহলে বাত্বিনী ইছলাহ্ হবে কবে? এটা তো ফিকির করতে হবে। এখন আমাদের বলার তো আমরা অনেক বলি, সবই বলে দিচ্ছি, কোনো কিছু বাদ দেওয়া হয় না। তোমরা যতটুকু বুঝো। যার যার বুঝ অনুযায়ী সে কাজ করবে। আর তাও না বুঝলে যদি রেকর্ড থাকে, বার বার শুনুক। শুনতে শুনতে হয়তো কিছুটা বুঝতেও পারে। কারণ রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ তো আলাদা জিনিস। এখন নিসবত-কুরবতের সাথে সম্পৃক্ত, মুহব্বতের সাথে সম্পর্ক। আর যেখানে সাধারণভাবে যেটা বুঝার জন্য দুনিয়াদারদের উদাহরণ মেছাল দেই। যেন বুঝা যায়। একটা কোটিপতির সাথে, ১০ টাকার মালিকের মুহব্বত হয় না। এটা সাধারণ বিষয়। সে ঈমানদার হোক আর কাফের হোক, যেটাই হোক। এটা যদি এরকম হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মুহব্বত করবে কে? সারা দিন দুনিয়া দুনিয়া করে মুহব্বত হবে? তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওখানে পৌঁছার জন্য তার একটা মিনিমাম যোগ্যতা প্রয়োজন। সেটা অর্জন করতে হবে। একটা বিশেষ জায়গায় যেতে হলে, বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হয়। তা সেই বিশেষ ব্যাবস্থাটা কোথায়? যিকির নাই, ফিকির নাই, ক্বলব জারি নাই। তাহলে কিভাবে হবে? ক্বলব জারি করতে হবে। এখন আমরা যেগুলি বলি, এগুলি তো মানুষ বুঝে না। এখন এতো নিসবত-কুরবত, এতো তাছাউফ-বেলায়াত, নুবুওওয়াত-রেসালত, নিসবত-কুরবত, বেলায়াতের বেষ্টনী। এটা মানুষ বুঝবে কিভাবে? কতটুকু বুঝবে?”

সুওয়ালকারী: মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গতকাল কিছু বিষয় বলেছিলেন।

জওয়াবে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “গতকাল অনেক কিছুই বলা হয়েছিলো। কি হয়েছে?”

সুওয়ালকারী: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়ে....

জওয়াবে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “এটা হচ্ছে- মূল যে বিষয়টা আমি বলেছিলাম। যে, মূল। এখন তো মুত্বহ্হার-মুত্বহ্হির বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা উপরে তো আছেনই। এটা আলাদা। নিচেও আছেন। মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারা যেহেতু হিসাবের মধ্যে না অর্থাৎ হিসাবের বা গণনার উর্দ্ধে। এরপরে হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা ২ জন। এরপরে হচ্ছেন হযরত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন। এরপরে হচ্ছেন হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন। এটা হচ্ছে একটা যদি গোলের মতো ধরা হয়, বৃত্ত, এর মধ্যে উনারা মূল এই ২৩ জন। এখন উপরে উঠছেন, নিচে নামছেন, ডানে-বামে গেছেন। মূল হচ্ছেন উনারা এই ২৩ জন। আল-আওলাদ তো নিচের দিকে। এটার থেকে প্রত্যেকের মূলটা তো আছেই। প্রত্যেকের আবার শাখা নেমেছে। ওখান থেকে নেমেছে। এটা সব মিলে অনেক বড় একটা বেষ্টনী। সাধারণভাবে বলা হয় যে, প্রত্যেক ওলী আল্লাহ উনার বেলায়াত। বেলায়াত একটা রাজত্ব। ওলী আল্লাহ উনার অবস্থা অনুযায়ী। কারো ছোট রাজত্ব, কারো বড় রাজত্ব। আর এই বেষ্টনী হলো- ত্বহারত, ছমাদিয়াতের বেষ্টনী। এটা মোটামোটি অনেক বড় আছে। উনারা সবাই এটার মধ্যে সম্পৃক্ত। যেমন- সাইয়্যিদাতুন নিসা’ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের অবস্থান। এই যে নেমেছেন এইটা একটা বেষ্টনী। প্রত্যেকের আলাদা। মূলটা ঐখানে, এরপর নেমেছেন। এটা আবার মিলে একটা বড় বেষ্টনী। আবার উপরের দিকে গেলে, উপরে গেছে এটা আলাদা। উপরে মানে ঐ উপরে না, সাইড দিয়া উপরে গেছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে তো কেউ উপরে যেতে পারবে না। ডানে-বামে যাবে।”

সুওয়ালকারীর জাওয়াবে- “এটা এই দেখো- এরকম। এখানে মহান আল্লাহ পাক উনি, এরপর (একটু নীচে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি, এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা ২ জন। এরপরে দুইজনের নিচে হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন। এরপরে (উনাদের নীচে হলেন) হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন এরকম। বুঝেছো? বুঝতে পেরেছো এখন? কিভাবে? কি বুঝলে? (আরো স্পষ্ট করে বললেন,) এটা এরকম- মহান আল্লাহ পাক উনি এখানে ধরলাম। এরপর (একটু নীচে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এখানে, এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা ২ জন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ডানে বামে উনারা ২ জন (কাঁধ মুবারক বরাবর)। এরপর (উনাদের একটু নীচে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন, এরপরে (উনাদের নীচে) হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ৮ জন। এই পুরাটা একটা বেষ্টনী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা একটা বেষ্টনী। এরপরে এখান থেকে অর্থাৎ উনাদের থেকে নেমেছে। এটা খাছ একটা বিষয়। এরপরে ত্বহারাত-ছমাদিয়াতের মাক্বামটা আরো অনেক প্রসারিত, বড়, অবস্থা অনুযায়ী। এখন এই ত্বহারাত-ছমাদিয়াতের মাক্বামেই তো মানুষ ঢুকতে পারে না, ঐটাতে (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারক-এ) ঢুকবে কিভাবে? ঐটা (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারক ঐটা) কিন্তু গত জুমার দিন (১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৩শে যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ শরীফ, আনুষ্ঠানিকভাবে) আমার জন্য খুলে দিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) ওখানে ঢুকতে পারে না কেউ। ওটা (নীচেরটা) তো খুলছেন আগেই, প্রবেশ করতে দিয়েছেন। গত জুমার দিন ওখানেও (মূল হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারকেও আনুষ্ঠানিকভাবে) প্রবেশ করার অনুমতি দান করেছেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

সুওয়ালকারী: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তো সমস্ত কিছু হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক হয়েছে এবং দুনিয়ার যমীনে প্রেরণ করা হয়েছে। তারপরেও উম্মতকে তা’লীম দেয়ার জন্য তিনি সম্মানিত হেরা গুহায় তাশরীফ নিয়েছেন এবং দুনিয়াবী দৃষ্টিতে ৪০ বৎসর বয়স মুবারক-এ আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি তো আগে থেকেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন। তিনি তো সৃষ্টির শুরু থেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী দীদার মুবারক-এ ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকেবন। কিন্তু মি’রাজ শরীফ-এ আনুষ্ঠানিকভাবে দেখানো হয়েছে। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টা তো এরকমই।

জবাবে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হ্যাঁ। এরকমই। একবারে বললে তো মানুষ বুঝবে না। কুরআন শরীফ ২৩ বছরে নাযিল হয়েছে। একদিনে তো নাযিল হলে বুঝবে না।”

সুওয়ালকারী: মামদূহজী তো সৃষ্টির শুরুতেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। যেমন- মামদূহজী বলেছিলেন যে, জানড়বাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমরা নতুন না, আগের থেকে আমরা এখানে আছি, উনার সাথে অবস্থান করতেছি। সুবহানাল্লাহ! ছিলাম, আছি এবং থাকবো।

জবাবে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ। ছিলাম, আছি, থাকবো।”

সুওয়ালকারী: তাহলে মামদূহজী তো সৃষ্টির শুরুতেই (মূল হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা তো আছেনই। উনারাসহ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ২৩ জনের যে বেষ্টনী মুবারক-এ ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। সেটা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

জবাবে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ। পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে। পর্যাক্রমে প্রকাশ পাবে, একবারে তো না।”


0 Comments: