আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ফায়েজ- তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক পেয়ে সক্রিয় হলেন ৪ মাযহাবের ইমামগণ-পর্ব-৭০
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। তোমরা তো এটা শুনার উপযুক্ত না। (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ ইয়ামুল আহাদ শরীফ) সকালের দিকে, ১০-১১টার দিকে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি আসছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনি এসে আমাকে বলতেছেন যে, এক জায়গায় যেতে হবে। কোথায় যেতে হবে? ঐ যে আপনি গিয়েছিলেন চার ইমাম উনাদের ওখানে। উনাদের অবস্থা নিষ্ক্রিয়। সক্রিয় করতে হবে।
কিভাবে করতে হবে? বললেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, সেখানে গেলেই চলবে। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ রওনা হলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐ রকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে।
কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ, রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আবাদ হলো। উনারা চার জনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ‘যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন।
ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
তারপর একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। উনাদের কাজ উনারা করতেছেন। তারপরে বললেন যে, আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন। ভালো কথা। উনারা বললেন যে, ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনিও আছেন। উনাকে আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উনি জামিউন নিসবত। এখন ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দেওয়া হবে। আমাকে বললেন, তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে। তোমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। নাকিবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট- বড় সবাইকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা তো চারটা মাযহাবই কবুল করেছেন, তাই এই চারটা মাযহাব জারী করার দরকার আছে। নিক্রিয় থাকলে কিভাবে চলবে? তাহলে যেয়ে একটু ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিয়ে আসেন। আমরা সক্রিয় করে দেই। ওই হিসাবে গেলাম। এখন সক্রিয় হোক, তাহলে দ্বীনের খিদমতের আন্জাম হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
উনি বললেন যেটা- মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কবুল করেছেন চার মাযহাব। এগুলি এখন নিক্রিয় হয়ে গেছে। এগুলো সক্রিয় করতে হবে। তাই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিবো? বললেন, ওখানে গেলেই চলবে। আর কিছু লাগবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি গেলাম, সক্রিয় হলো একদম পুরো সতেজ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এগুলি বুঝবে মানুষ? কিভাবে বুঝবে? বুঝবে এরা কোনো দিন? মাযহাব তো আরো সক্রিয় হলো। উনারা উঠে বসে যার যার কাজ শুরু করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এটা এভাবে বলা হয়- হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে। যখন আমরা ঐ ইমাম সাহেবদের পরিষ্কার করতেছিলাম। তখন হঠাৎ ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, ‘আরে! ইবলিসটা আসতেছে।’ ইবলিসটা উড়ে আসতেছিলো।
আমি বললাম, এইটারে পাকড়াও করো। করে একদম হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও নিয়ে। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ধরে নিয়ে ইবলিসটাকে হাজার মাইল দূরে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সে বাধা দেওয়ার জন্য আসতে চেয়েছিলো। আমি বললাম, এটারে পাকড়াও করো। ঠিকই পাকড়াও করা হলো। আমরা প্রথমে খেয়াল করিনি। উনিই খেয়াল করছেন প্রথমে। একটা গেঞ্জির মতো পরা আর একটা লুঙ্গির মতো পরা। উড়ে আসতেছিলো। আমি বললাম, পাকড়াও করো এটারে। পাকড়াও করে হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও। ইবলিসটাকে ধরে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার জন্য আসতে চেয়েছিলো। শয়তান তো শয়তানী করবেই। ওয়াসওয়াসা দিবে। তো ওয়াসওয়াসা দিলে, এটা ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে। তাহলেই হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)
0 Comments:
Post a Comment