সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতের মাধ্যমেই নারী জাতির মুক্তি
মুসলমান মহিলাগণ তাদের নিজেদের ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বোরকা পরে বের হবে। কেননা ইহা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মহান বিধান; যা মহিলাদের চরিত্র অটুট রাখতে এবং সমাজে মহিলার সম্মান বজায় রাখতে অতীব জরুরী।
কিন্তু পত্রিকায় দেখলাম- হিজাব সংহতি দিবস যারা উদযাপন করেছে, বক্তব্য দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই মুখ হাত-পা খোলা। অর্থাৎ হাতে-পায়ে মোজা নেই এবং মুখম-লেও কোনো কাপড় নেই। আর তাদের গোলটেবিল বৈঠকে অনেক পুরুষ ব্যক্তিও ছিলেন। অথচ পর্দা সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ এবং দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার থেকে আমরা জানতে পারলাম- হিজাব বলতে শুধু মাথায় নেকাব পরা বুঝায় না। হিজাব হলো- ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় হাত মোজা, পা মোজা পরাসহ এমন বোরকা পরিধান করবে, যাতে করে অন্য পুরুষরা মহিলাদের একটি পশম পর্যন্ত না দেখতে পারে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি একজন মহিলার জন্য যে কয়জন পুরুষের সাথে দেখা করতে অনুমতি দিয়েছেন, তাদের ছাড়া অন্য কারো সাথে সাক্ষাৎ না করা।
আর পর্দা এবং হিজাব সম্পর্কে হাক্বীক্বী উপলব্ধি পেলাম যামানার মহিলাদের যিনি নাজাতের কা-ারী, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত উম্মুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে গিয়ে। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার হিজাবসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রত্যেকটি বিষয় এমনভাবে তা’লীম দেন যাতে মহিলাদের মধ্যে জাগরিত হয় পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের প্রেরণা এবং তাতে মহিলারা পায় মহিলাত্বের সম্মান এবং ফিরে পায় তাদের হারানো মর্যাদা। তাই আমি কথিত হিজাব দিবস পালনকারী “দি উইটনেস” এর বক্তাবৃন্দসহ সকল মুক্তি প্রত্যাশী মহিলাদের আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনারা আপনাদের সম্মান-মর্যাদা ফিরে পেতে এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও হিজাব সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভের জন্য রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিতা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে আসুন এবং উনার সুমহান দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গঠন করুন।

0 Comments:
Post a Comment