মাশুকায়ে মাওলা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিই হক্ব-না-হক্বের পার্থক্যকারী
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মানুষেরা! তোমাদের জন্য তোমাদের রব তায়ালা তিনি উনার পক্ষ থেকে নিয়ামত, রহমত, অন্তরের শেফা, ও হিদায়েত পাঠিয়েছেন। সেজন্য তোমরা খুশি প্রকাশ করো নিশ্চয়ই এটা তোমাদের অন্যান্য সব আমল থেকে সর্বাপেক্ষা উত্তম।” বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা, বাহরুল আলীমা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক এই আখিরী যামানায় কত বড় নিয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছেন হিদায়েতের আলোকবর্তিকা হিসেবে কুফরী শিরকীর মূল উৎপাটনকারিণী। উলামায়ে ‘সূ’ তথা নারীবাদীদের মুখোশ উন্মোচনকারী হিসেবে পাঠিয়েছেন। যেই কারণে আজকে আমরা নারী জাতি থেকে শুরু করে সমস্ত কায়িনাত, কুফরী, শিরকী বিদয়াত, বেশরার কালো থাবা থেকে বাঁচতে পারছি। নিজেদের পবিত্র ঈমান-আমল রক্ষা করতে পারছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “সত্য এসেছে, মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে, মিথ্যা দূরীভূত হওয়ারই যোগ্য।”
সত্যের জোয়ার বহিয়ে নিয়ে এলেন যিনি, মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙে চুরমার করলেন যিনি। যিনি বেহায়াপনার শৃঙ্খল থেকে টেনে আনলেন মহিলাদের এবং পরিণত করছেন পর্দানশীন নারী। যাঁর বিজয় ধ্বনি গুঞ্জরিত হচ্ছে আজ। সারা কায়িনাতে সেই মহান ব্যক্তিত্ব তাশরীফ আনলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম মাস সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ৭ তারিখে। (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী)!
যেখানে হযরত ঈসা রূহীল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সেই খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিলের দিনটিতে খুশি প্রকাশ করা ফরয সেখানে যিনি হাবীবাতুল্লাহ, মাশুকায়ে রসুলিল্লাহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা ফরযের উপর ফরয, ইয়া বারে ইলাহী! হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছায়া তলে সকল নারীদের সমবেত হওয়ার তাওফীক দান করুন। প্রত্যেকটি নারীকে হাক্বীক্বী মুসলিমা হওয়ার তাওফীক দান করুন। হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের আদর্শ মুবারকে আদর্শবান হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন!
“হক্ব নাহক্ব একাকার
বন্ধ আজ সত্যের দ্বার
বহালেন হক্বের জোয়ার
আম্মাজী মাহবুবা খোদা তায়ালা উনার”

0 Comments:
Post a Comment