খতমেনুবুওওয়াতপ্রচারকেন্দ্র
খতমেনুবুওওয়াতঅস্বীকারকারীরাকাফির
(ইসলামীশরীয়তেরহুকুমমুতাবেকযারামুসলমানথেকেখতমেনুবুওওয়াতঅস্বীকারকারীসম্প্রদায়েরঅন্তর্ভুক্তহয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাইইত্যাদি)
তাদেওতরবারজন্যনির্ধারিতসময়৩দিন।এরপরতরবানাকরলে, তাদেওশাস্তিমৃত্যুদ-)
কাদিয়ানীরদ!
(১)
(চতুর্থভাগ)
বাহরুলউলূম, ফখরুলফোক্বাহা, রইছুলমুহাদ্দেসীন, তাজুলমুফাসসেরীন, হাফেজেহাদীছ, মুফতীয়েআজম, পীওেকামিল, মুর্শিদেমুকাম্মেলহযরতমাওলানাআল্লামাশাহসূফীমুহম্মদরুহুলআমিনরহমতুল্লাহিআলাইহিউনারকর্তৃকপ্রণীত“কাদিয়ানীরদ”কিতাবখানা
(৬ষ্ঠখ-ে সমাপ্ত)।আমরামাসিকআলবাইয়্যিনাতপত্রিকায়ধারাবাহিকভাবেতাপ্রকাশকরছি।যাতেকাদিয়ানীদেওসম্পর্কেসঠিকধারণাসহসমস্তবাতিলফেরকাথেকেআহলেসুন্নতওয়ালজামায়াতেরঅনুসারীদেওঈমানআক্বীদারহিফাযতহয়।মহানআল্লাহপাকতিনিআমাদেওপ্রচেষ্টারকামিয়াবীদানকরুন
(আমিন)।উনারকিতাবথেকেহুবহুউদ্ধৃতকরাহলো, তবেতষনকারভাষারসাথেবর্তমানেপ্রচলিতভাষারকিছুটাপার্থক্যরয়েছে।
(পর্বপ্রকাশিতেরপর)
মির্জ্জারআকায়েদ
আরওতিনিউহার৬পৃষ্ঠারহাশিয়ায়লিখিয়াছেন-
উর্দুকম্পোজকরতেহবে
...............................
“তাহারনিজেরজীবনেতিনবারশয়তানিএলহামহইয়াছিল, এমনকিএকবারতিনিএইএলহামেখোদারমোনকেরহওয়ারজন্যউদ্যতহইয়াগিয়াছিলেন।”
মহানআল্লাহপাকতিনিযাহাকেশয়তানেরচক্রহইতেরক্ষাকরারপ্রতিশ্রুতিদিয়াছেন, মির্জ্জাছাহেবতাহারসম্বন্ধেএইরূপকথাপ্রকাশকরিয়াছেন।সূরানেছা, ২২রুকু-
وما قتلوه وما صلبوه ولكن شبه لهم.
“এবংয়িহুদীরাউক্তমছিহকেহত্যাকরেনাইএবংতাহাকেশূলকাষ্ঠেরউপরউত্থাপনকরেনাই; কিন্তুতাহাদেরজন্যসৌসাদৃশ্যস্থাপনকরাহইয়াছিল।”
মিজ্জাছাহেবকুরআনশরীফ-এরএইশিক্ষারবিপরীতে‘ধাইয়ামোছ-ছোলহ’কিতাবের১০৭পৃষ্ঠায়লিখিয়াছেন-
يوم جمعه وقت عصر انجناب را برادر كشيدند.
“তাহারাজুমারদিবসআছরেরসময়উক্তজনাব
(মছিহ)কেক্রুশেরউপরআকর্ষণকরিয়াছিল।”
মির্জ্জাছাহেবকুরআনশরীফ-এরউক্তআয়াতেরঅর্থবিকৃতকরিয়াএজালাতোল-আওহামের২২৭পৃষ্ঠায়লিখিয়াছেন-
উর্দুকম্পোজকরতেহবে
...............................
চারিটিইঞ্জিলকুরআনশরীফ-এরوما صلبوهএইকথারউপরস্পষ্টসাক্ষ্যদিতেছে, কেননাকুরআনশরীফ-এরوما صلبوهশব্দেকিছুতেইইহাউদ্দেশ্যনহেযে, মছিহকেশূলেরউপরআকর্ষণকরাহয়নাই, বরংউদ্দেশ্যএইযে, শূলেরউপরচড়াইবারমূলকারণযেহত্যাকরাছিলখোদামছিহকেউহাহইতেরক্ষাকরিয়াছেন।”
পাঠক, মির্জ্জাছাহেবএস্থলেস্পষ্টকুরআনশরীফ-এরবিপরীতেমনগড়ামতপ্রচারকরিয়াছে, কারণউক্তশব্দেরঅর্থ-
ইহুদীরাতাহাকেশূলকাষ্ঠেরউপরআকর্ষণকরেনাইএবংতাহাকেহত্যাকরেনাই, যদিوما صلبوهশব্দেরঅর্থ‘হত্যাকরেনাই’হইত, তবেএকইমর্ম্মবাচকদুইশব্দব্যবহারকরাহইত, ইহাবালাগাতেরখেলাফ।মির্জ্জাছাহেবএস্থলেযেরূপকুরআনশরীফ-এরখেলাফকরিয়াছেন, সেইরূপইঞ্জিলেরখেলাফকরিয়াছেন, কারণউহাতেহজরতইয়ারমৃত্যুওকথাআছে।
মূলকথা, সেকুরআনশরীফ-এরআয়াতশরীফগুলোকেউপেক্ষাকরিয়াছেন, ইহাতেবুঝাযায়যে, সেমুখেকুরআনমান্যকরারদাবিকরিলেওকার্য্যত:
উহারউপরইমানআনিতোনা।
এক্ষণেহাদীছশরীফসম্বন্ধেমির্জ্জাছাহেবেরপদ্ধতিকি, তাহারআলোচনাকরাহউক।মির্জ্জাছাহেবএ’জাজেআহমদীর৫৬/৫৭পৃষ্ঠাযলিখিয়াছে-
(১) هل النقل شئى بعد ايماء ربنا فاى حديث بعده نتخير-
(২) وقد مزق الاخبار كل ممزق فكل بما هو عنده يستبشر-
(৩) اتخبرنى من نازل ما رأيته وتذكر اخبارا دفاها التغير-
(৪) وتعلم ان الظن ليس بقاطع وان اليقين البحت يروى ويثمر-
(৫) ولست كمثلك فى الظنون مقيدا وانى ارى الله القدير و ابصبر-
(৬) اخذنا من الحى الذى ليس مثله وانتم عن الموتى رويتم ففكروا.
(১) “আমারপ্রতিপালকেরঅহীরপওেহাদীছশরীফ-এরকিগুরুত্বথাকিতেপারে?উক্তঅহীরপরেকোনহাদীছশরীফমান্যকরিব?
(২)
নিশ্চয়হাদীছশরীফগুলোসম্পূর্ণরূপেখ- বিখ- হইয়াগিয়াছে, প্রত্যেকদলতাহাদেওনিকটযাহাআছেতৎপ্রতিসন্তুষ্টহইয়াআছে।
(৩)
তুমিআমারনিকটএরূপঅবতারণকারীরসংবাদপ্রদানকরিতেছে- যাহাকেতুমিনাদেখিয়াছ।
(৪)
তুমিজানিতেছযে, কল্পিত (জান্নি)
বিষয়অকাট্যদলীলনহেএবংনিশ্চয়জ্ঞানশান্তিআনয়নকরেএবংফলপ্রদানকরে।
(৫)
আমিতোমারন্যায়কল্পনায়আবদ্ধনহিএবংনিশ্চয়আমিসর্ব্বশক্তিমানমহানআল্লাহপাকউনাকেদেখিয়াথাকিএবংমুশাহাদাকরিয়াথাকি।
(৬)
আমিযেঅমরখোদারতুল্যনাইতাহারনিকটহইতেশিক্ষাকরিয়াছি, আরতোমরামৃতদিগেরনিকটহইতেরেওয়াএতকরিয়াছ, কাজেইতোমরাচিন্তাকর।”
আরওতিনিউক্তকিতাবের৩০/৩১পৃষ্ঠায়লিখিয়াছেন;
উর্দুকম্পোজকরতেহবে
...............................
“আমিখোদাতায়ালাউনারকছমকরিয়াবলিতেছিযে, আমারএইদাবীরমূলহাদীছনহে, বরংকুরআনশরীফএবংআমারউপরঅবতারিতঅহী, সমর্থনকরাকল্পেআমিউক্তহাদীছশরীফগুলোপেশকরিয়াথাকি-
যেসমস্তকুরআনশরীফ-এরঅনুকুলহয়এবংআমারঅহীরবিপরীতনাহয়, তদ্ব্যতীতঅন্যান্যহাদীছশরীফগুলোকেআমিবাতীলবস্তুওন্যায়ফেলিয়াদিয়াথাকি।যদিদুনইয়াতেহাদীছশরীফগুলোরঅস্তিত্বনাথাকিত, তবেআমারএইদাবিরকোনপ্রতিবন্ধকতাসৃষ্টকরিতনা।”
পাঠক, মির্জ্জাছাহেবএস্থলেদুইটিদাবিকরিয়াছেন, প্রথমএইযে, যেহাদীছশরীফগুলোকুরআনশরীফ-এরবিপরীতহইবে, উহাবাতীলবস্তুরন্যায়নিক্ষেপকরিতেহইবে।দ্বিতীয়মির্জ্জাছাহেবেরকল্পিতএলহামগুলিঅকাট্যসত্য, আরইহারবিপরীতেযেকোনহাদীছশরীফহইবে, উহাবাতীলহইবে। (অসমাপ্ত)
(২)
ইসলামীশরীয়তমুতাবেকপাকিস্তানসুপ্রীমকোর্টকর্তৃককাদিয়ানীদের-
‘কাফির’ঘোষণা!
(পূর্বপ্রকাশিতেরপর)
অনুবাদক-
আলহাজ্জমুহম্মদহাবিবুলহক
মির্জ্জাপুণরায়একটুঘুরিয়েতারনিজেরনুবুওওয়াতেরকথাউল্লেখকরেলিখেছে, “এইকারণেতার (মির্জ্জা)
নামমুহম্মদএবংআহমদবলাহয়েছিলএবংনুবুওওয়াতঅন্যকারোকাছেযায়নি, ইহামুহম্মদছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামউনারএবংমুহম্মদের
(উনারপ্রতিশান্তিবর্ষিতহোক) কাছেইআছে (পৃষ্ঠা-১৬)।
ইহালক্ষ্যণীয়যে, মির্জ্জারকথাগুলিরঅর্থভীষণভাবেঅবৈধ, কেননাসেবলেছে- সেই (নিজে) মুহম্মদএবংআহমদ
(ঐনামদ্বয়হুযূরপাকছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাউনার)।মির্জ্জাসঙ্গি-সাথীরাহুযূরপাকছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামউনারছাহাবী
(নাউযুবিল্লাহ)।
মুসলমানদেরউচ্চারিতকালেমাশরীফ-
“নাইকোনপ্রভুমহানআল্লাহপাকছাড়াএবংমুহম্মদছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামউনারপ্রেরিতরাসূল।”মির্জ্জাবলে, উক্তকালেমায়মুহম্মদহলোমির্জ্জানিজে।আরোবলে, যেখানেইমুহম্মদশব্দপড়বেবাতিলাওয়াতকরাহবে, ইহামির্জ্জারইবুঝ।নাউযুবিল্লাহ!
এখনমির্জ্জারচিন্তাসমূহবিশ্লেষণকরাযেতেপারে।ডাক্তারআব্দুলকাদিরমাহমুদসম্পাদিতআল-ফলছাতুলছুফিয়াতুফিলইসলামপুস্তকের৫-১১পৃষ্ঠায়উল্লেখকরেছেন-
জিল্লিএবংবুরুজীশব্দেরঅর্থহিন্দুদেরপুন:জন্মধারণাসদৃশ।
মির্জ্জানিজেইস্বীকারকরেছেযে, বুরুজঅর্থঅবতার।১৯০৪সালের২রানভেম্বরেশিয়ালকোটেতারভাষণেবলে
(পৃষ্ঠা২৩) “ইহাস্পষ্টভাবেবুঝতেহবেযে, মহানআল্লাহপাকতরফথেকেআমারএইআগমণশুধুমুসলমানদেরসংস্কারেরজন্যইনয়।মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, তিনটিসমাজেরইসংস্কারেরপ্রয়োজনআছে।”
মহানআল্লাহপাকতিনিযেমনিমুসলমানএবংখ্রিস্টানদেরজন্যআমাকেপ্রতিশ্রুতমসীহরূপেপাঠিয়েছেন, তেমনিহিন্দুদেরজন্যআমিঅবতার।রাজাকৃষ্ণসম্বন্ধেআমাকেযতখানিজানানোহয়েছে, তাতেসেএকজনভাললোকছিলো।তারসময়েসেএকজনঅবতারবাপয়গম্বর
.......।মহানআল্লাহপাকতিনিপ্রতিশ্রুতিদিয়েছিলেন, আখেরীযামানায়তারবুরূজসৃষ্টিকরবেন, যারঅর্থঅবতার।”
জমিমারিসালাত-ই-জিহাদ
(১৯০০সালেমুদ্রিত) পুস্তিকায়সেলিখেছে (মির্জ্জা)
মহানআল্লাহপাকতিনি
........
আমাকেযীশুরঅবতারস্বরূপপ্রেরণকরেছেন।অনুরূপভাবেমহানআল্লাহপাকতিনিআমারনামদিয়েছেনআহমদএবংমুহম্মদএবংআমারআচার-আচরণেরধরণপবিত্রনবীর
(উনারপ্রতিশান্তিবর্ষিতহোক) শতপরিবর্তনকরেএবংআমারআত্মাকেওপবিত্রনবীর
(উনারপ্রতিশান্তিবর্ষিতহোক)
অবতাররূপেপাঠিয়েছেন।মহানআল্লাহপাকউনারএকত্ববাদপ্রচারেরজন্যইআমাকেপাঠিয়েছেন।সুতরাংএইপ্রেক্ষিতেআমিযিশু, মুহম্মদ, মেহদীএবংইহাঐরকমপ্রকাশযাকেইসলামেবুরূজবলাহয়।
(পৃষ্ঠা৬-৭) ইহাস্পষ্টযেমির্জ্জাঅবতারএবংবুরূজেরএকইঅর্থকরেছে।
ইসলামীশরীয়তেমাসয়ালাঅনুযায়ীঅবতারবাপুন:জন্মেরধারণারকোনঅবকাশনেই।এইপরিভাষাগুলিপুন:জন্মেরবিশ্বাসীদেরথেকেনেয়াহয়েছে।উপরন্তছায়াবাদ
(ظليت)
এরকোনধারণাইসলামেরনেই। (আনওয়ারশাহকাশ্মিরীরলেখা“খতিমুননাবীইন”পৃষ্ঠা-২১০)
মাওলানামুহম্মদইউছুফবান্নোরীসম্পাদিত“মাওকিফুলউম্মাতিলইসলামীয়াতে”তিনিলিখেছেন, ধর্মীয়তুলনামূলকগবেষণায়দেখাযায়, ছায়াবাদ (ظليت) এবংপুন:জন্ম (بروز) হিন্দুদেরমতবাদনেই।
মুজাদ্দিদেআলফেসানীরহমতুল্লাহিআলাইহিউনারলিখায়মির্জ্জাআস্থাবানছিলেন, তারলিখায়নুবুওওয়তেরছায়াবাদধারণাঅসত্যপ্রতিপন্নহয়।তিনি৩০১নংমকতুবাতেউল্লেখকরেছেন, “নবুওয়াতঅর্থেবোঝানোহয়মহানআল্লাহপাকউনারনিকটবর্তী।ইহাতেছায়ারকোনইংগিতবাধারণানেই।”
আবেদনকারীদেরআরএকটাযুক্তিহলো-
কাদিয়ানীরামুসলিমউম্মাহরঅংশএবংউম্মাহরসদস্যরাকোনএকটিবিষয়েবিশ্বাসেরপার্থক্যেরকারণেউম্মাহথেকেবাদযেতেপারেনা।তারাআরওবলেযে, মুসলিমউম্মাহরসংজ্ঞাঅনুযায়ীসেইব্যক্তিমুসলমান, যেমহানআল্লাহপাকএকত্বেরউপরএবংমুহম্মদছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামউনারউপরবিশ্বাসস্থাপনকরেছে।সেসূরা৪এর৪৯নংআয়াতেরউল্লেখকরেবলে, “যেকেউমুসলমানদেরমতসালামদেয়।” (আসসালামুআলাইকুমবাআপনারউপরশান্তিবর্ষিতহোক)
তাকেঅমুসলিমবলাযাবেনাএবংজরীদেরমতলা-ইলাহাইল্লাল্লাহপড়বেতাকেও (জিহাদে)
হত্যাকরাযাবেনা।এখনপ্রশ্নহলোউম্মাহবামুসলিমউম্মাহকি?
উম্মাহ (اممه)
শব্দটিবিভিন্নঅর্থেব্যবহৃতহয়, যেমনব্যক্তিগতবাজনগণবামূতত্ব।
(সূরা৪৩, আয়াত২১১) স্বাভাবিকনিয়তেবামূলতত্ব (সূরা৪৩, আয়াত২৩) সময় (সূরা১১, আয়াত৭)
পথপ্রদর্শকবানেতা (সূরা১৬, আয়াত১২)
পাতি (সূরা১৬, আয়াত৩৬) (সূরা৩৫আয়াত২৪)
এবংএকইনবীরঅনুসারীবাএকইধর্মেরঅনূসারী (সূরা২, আয়াত২১৩)
দেখুন, আল্লামাসীরাজিসম্পাদিতমারীর-উলকুরআনফি-লুগতিলকুরআনপৃষ্ঠা১৮-১৯।বিভিন্নঅর্থআরওদেখাযায়উমদাত-
উলকারাভলিউম৫পৃষ্ঠা-১৯৮।
ইমামরাগীররদ্বিয়াল্লাহুতায়ালাআনহুতিনিবলেছে, উম্মাহসাধারণঅর্থ- “জাতিবাসমাজবিশেষভাবেসেইসমাজযাদেরকর্মকা-
থেকেতাদেরসমাজসম্বন্ধেবোঝাযাবে।
(যারমধ্যেঅন্তর্ভুক্তথাকবেসার্বজনীনআদর্শেরদৃষ্টিভঙ্গিওব্যাকুলবাসনা, সামাজিকতা, সাংস্কৃতি, অর্থনৈতিকএবংধর্মীও) (আলমুফরাদাতফিমারিবইলকুরআন, পৃষ্ঠা-২৩) এরনিদর্শনআছেকুরআনশরীফ-এসূরা৬, আয়াত৩৮এবর্ণিতআছে-
وما من دابة فى الارض ولاطئر يطير بجناحيه الا امم امثالكم- ما فرطنا فى الكتاب من شيئ ثم الى ربهم يحشرون.
অর্থ-
আরযতপ্রকারপ্রাণীপৃথিবীতেবিচরণশীলরয়েছেএবংযতপ্রকারপাখিদু’ডানাযোগকরেউড়েবেড়ায়তারাসবাইতোমাদেরমতইএকেকটিশ্রেণী।আমিকোনকিছুইলিখতেছাড়িনি।
এইআয়াতেবলাহয়েছে, এইজাতীয়প্রাণীএকইরকমজীবন-যাপণকরে, যেমনমাকড়সাজালবুনেথাকেবাসাদাময়ূরখরদিয়েঘরতৈরিকরেথাকে।
(অসমাপ্ত)
*****************************************************
খতমেনুবুওওয়াতপ্রচারকেন্দ্রখতমেনুবুওওয়াতঅস্বীকারকারীরাকাফির
(ইসলামীশরীয়তেরহুকুমমোতাবিকযারামুসলমানথেকেখতমেনুবুওওয়াতঅস্বীকারকারীসম্প্রদায়েরঅন্তর্ভূক্তহয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাইইত্যাদি) তাদেরতওবারজন্যনির্ধারিতসময়৩দিন।এরপরতওবানাকরলে, তাদেরশাস্তিমৃত্যুদন্ড)
(১) কাদিয়ানীরদ! ( চতুর্থভাগ )
বাহরুলউলূম, ফখরুলফোক্বাহা,
রইছুলমোহাদ্দেসীন, তাজুলমোফাসসেরীন, হাফেজেহাদীস, মুফতীয়েআজম,
পীরেকামিল, মুর্শিদেমোকাম্মেলহযরতমাওলানাআল্লামাশাহ্সূফীমুহম্মদরুহুলআমিন
(রঃ) কর্তৃকপ্রণীত“কাদিয়ানীরদ”কিতাবখানা (৬ষ্ঠখন্ডেসমাপ্ত)।আমরামাসিকআলবাইয়্যিনাতপত্রিকায়ধারাবাহিকভাবেতাপ্রকাশকরছি।যাতেকাদিয়ানীদেরসম্পর্কেসঠিকধারণাসহসমস্তবাতিলফেরকাথেকেআহ্লেসুন্নতওয়ালজামায়াতেরঅনুসারীদেরঈমানআক্বীদারহিফাযতহয়।আল্লাহ্পাকআমাদেরপ্রচেষ্টারকামিয়াবীদানকরুন
(আমিন)।উনারকিতাবথেকেহুবহুউদ্ধৃতকরাহলো,
তবেতখনকারভাষারসাথেবর্তমানেপ্রচলিতভাষারকিছুটাপার্থক্যরয়েছে।
(পূর্বপ্রকাশিতেরপর)
মির্জ্জারআকায়েদ
মির্জ্জাছাহেবেরপ্রথমদাবিটীবাহ্যভাবেসত্যহইলেওতিনিতদ্বারাছহিহহাদিছগুলিবাতীলকরারপন্থাস্থিরকরিয়াছেন।যেকোনছহিহহাদিছমির্জ্জাছাহেবেরমতেরবিপরীতহইয়াছেতিনিনিজেরমনগড়ামতেবলিয়াছেনযে, এইহাদিছটীকোরআনেরখেলাফবলিয়াঅনুমিতহয়, তবেপ্রাচীনছুন্নিবিদ্বানগণেরমতঅনুসারেউহারতাবিলকরাহইবে।ইহাওজানাউচিতযে, মির্জ্জাছাহেবেরখামখেয়ালিমতেকোনহাদিছকোরআনেরখেলাফবলিয়াস্বীকার্য্যহইতেপারেনা।দ্বিতীয়মতটীএকেবারেবাতীল, কারণছহিহহাদিছেরবিপরীতেকোনএলহামগ্রহণীয়হইতেপারেনা।কোরআনেরছুরানজমেআছে;- وما ينطق عن
الهوى - ان هو الا
وحى يوحى. “তিনি (নবিকরিম) কল্পিতমতেকথাবলেননা, উহাঅবতারিতঅহিব্যতীতনহে।”আরওকোরআনেরছুরামোমতাহেনাতেআছে;- لقد كان لكم
فى رسول الله اسوة
حسنة
“নিশ্চয়ইতোমাদেরপক্ষেরাছুলুল্লাহ্সম্বন্ধেউৎকৃষ্টআদর্শআছে।”আরওকোরআনশরিফেরছুরাহাশরেআছে;-
وما اتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه
فانتهوا.
“তোমাদেরনিকটরাসুলযাহাআনয়নকরিয়াছেন, তোমরাতাহাগ্রহণকর, আরতিনিযাহাতোমাদিগকেনিষেধকরিয়াছেন, তোমরাতাহাহইতেবিরতথাক।”মেশকাত, ২৯পৃষ্ঠা;-
قال رسول الله
صلى الله عليه وسلم
الا انى اوتيت القران ومثله معه الايوشك
رجل شعبان على اريكته يقول عليكم بهذا القران فما وجدتم فيه من
حلال فاحلوه وما وجدتم فيه من حرام فحرموه وان ماحرم رسول الله
كما حرم الله رواه
ابو داود و ابن
ماجة.
“রাছুলসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামঃবলিয়াছেন, সাবধান!নিশ্চয়আমিকোরআনএবংউহারসহিততত্তুল্যপ্রদত্তহইয়াছি।সাবধান!
অচিরেএকব্যক্তিউদরপূর্ণঅবস্থায়নিজেরপালঙ্গেরউপর (বসিয়া) বলিবে, তোমাদেরউপরএইকোরআনআমলকরালাজেম, তোমরাউহারমধ্যেযাহাকিছুহালালপ্রাপ্তহইবে, তাহাহালালবলিয়াবিশ্বাসকর, আরউহারমধ্যেযাহাকিছুহারামপ্রাপ্তহইবে, উহাহারামজানিবে।নিশ্চয়যাহারাছুলুল্লাহহারামকরিয়াছেন, উহাঐরূপযেরূপআল্লাহ্হারামকরিয়াছেন।” (অসমাপ্ত)
(২) ইসলামীশরীয়তমোতাবেক
পাকিস্তানসুপ্রীমকোর্টকর্তৃককাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ঘোষণা! ( পূর্বপ্রকাশিতেরপর
) অনুবাদক - আল্হাজ্বমুহম্মদহাবিবুলহক
কোরআনশরীফ (সূরা২, আয়াত২১৩) অনুয়ায়ীসকলমানুষছিলএকটিউম্মাহ্।কিন্তুপরেতারাবিভিন্নদলেভাগহয়েযায়।অতঃপরসামাজিকবন্ধন।দলীয়বন্ধনবাধর্মীয়বিশ্বাসেরবন্ধনেইউম্মাহেরসনাক্তীকরণশুরুহয়।সূরা৫এর৪৮নংআয়াতেবলাহয়েছে-
ولو شاء الله لجعلكم امة واحدةঅর্থঃ- “যদিআল্লাহ্পাকচাইতেন, তবেতোমাদেরসবাইকেএকউম্মতকরেদিতেন।কিন্তুএইরূপকরেননি।”সমাজেরএকত্ববলতেবিশ্বাসেরএকত্বইবুঝায়।কোনকোনসময়েউম্মাহ্শব্দদ্বারাঐসকললোকদেরবুঝায়, যাদেরনিকটপয়গম্বরপাঠানোহয়েছে- (সূরা১০, আয়াত৪৭,
সূরা২৩, আয়াত৯৪,সূরা৩৫, আয়াত২৪,
সূরা৪০, আয়াত৫) এবংকোনকোনক্ষেত্রেইহাতাদেরজন্যপ্রযোজ্য, যারাএকপয়গম্বরেবিশ্বাসস্থাপনকরেছে। (সূরা৫, আয়াত৪৮,
সূরা১৬, আয়াত৯৩,
সূরা২২,আয়াত৬৭) প্রথমোক্তদেরবলাহয়“উম্মত -উদ্-দাওয়া”আরশেষোক্তদেরবলাহয়উম্মত-উলআজাবা
(امة الاجابة) (কাশফ-ই-ইসতালাহাতিলফানুন
-থানভী, ভলিউম- ১পৃষ্ঠা-৯)। কোরআনশরীফেহুজুরপাকসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম-এরউম্মতদেরকেশ্রেষ্ঠউম্মতবলাহয়েছেসূরা৩ঃআয়াত১১০ঃكنتم
خير امة اخرجت للناس “তোমরাইহলেসর্বোত্তমউম্মত।কল্যানেরজন্যইতোমাদেরউদ্ভবঘটানোহয়েছে।”অতঃপরঐউম্মাহরগুণগুলিবর্ণনাকরাহয়েছে।تأمرون بالمعروف
وتنهون عن المنكر وتؤمنون بالله. তোমরাসৎকাজেরনির্দেশদানকরবেওঅন্যায়কাজেবাধাদেবেএবংআল্লাহ্রপ্রতিঈমানআনবে।” অতঃপরএকইআয়াতশরীফেশ্রেষ্ঠউম্মতএবংঅপরকিতাবীদেরপার্থক্যঘোষণাকরেন,
ولو امن اهل
الكتاب لكان خيرا لهم
منهم المؤمنون واكثرهم
الفاسقون.
অর্থঃ- “আরআহলেকিতাবরাযদিঈমানআনতো, তাহলেতাদেরজন্যভালহতো।তাদেরমধ্যেকিছুরয়েছেঈমানদারআরঅধিকাংশইহলোপাপাচারী।”হুজুরপাকসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম“উম্মাহ”শব্দটিবিজ্ঞানসম্মতভাবেউভয়সম্প্রদায়েরজন্যব্যবহারকরেছেন।একটিসম্প্রদায়যাদেরমধ্যেছিলতাঁরওঅন্যধর্মেরঅনুসারীএবংআরএকটিসম্প্রদায়যাঁরাশুধুমাত্রতাঁরইঅনুসারী।হুজুরপাকসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম
-এরমদীনারচুক্তিপত্রে“উম্মাহ”শব্দটিএইউভয়অর্থেইব্যবহারকরাহয়েছে।চুক্তিপত্রেরপ্রস্তাবনা-
هذا الكتاب
من محمد النبى بين
المؤمنين والمسلمين من قريش
يثرب ومن تبههم.
ইহানবীমুহম্মদসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম -এরচুক্তিপত্র।যাহাছিলমুসলিমএবংইয়ামসর্বেরকুরাইশমুমিনদেরমধ্যেযাঁরাজ্বীহাদেঅংশগ্রহণেতাঁদেরসাথেযোগদানকরেছিল)
উহারাএকটিউম্মাহযাঁরাঅন্যান্যদেরথেকেভিন্ন।একটিচুক্তিপত্রের২৬নংঅনুচ্ছেদেরকথা!
ان يعود بنى
عوف امة مع المسلمينঅর্থঃ-“বনীউফগোত্রেরইহুদীরামুসলমানদেরসাথেএকটিউম্মাহরগঠনকরেছে।” (সীরাতইবন-ই-হীশাসভলিউম-১, পৃষ্ঠা- ৫৫৪)” ঐচুক্তিরসাথেযারাসম্পৃক্ততারাএকটিদলযারঅর্থতারাএকটিউম্মাহগঠনকরেছে।ঐসকলইহুদীরাযারাঐচুক্তিপত্রেরসাথেসম্পৃক্তছিলবাপরবর্তীসময়েসম্পৃক্তহয়েছেতারাওমুসলমানদেরসাথেএকটিউম্মায়পরিনতহয়েছেযেহেতুতাদেরউদ্যেশ্যএবংঅনুপ্রেরণা, চুক্তিমোতাবেকএকইছিল।একইধর্মেরঅনুসারীহিসাবেমুসলমানরাএকটিউম্মাহ।এইচুক্তিদ্বারা, সংখ্যাগরিষ্ঠমুসলমানএবংসংখ্যালক্ষঅমুসলিমদেরনিয়েএকটিজাতিগঠনেররাজনৈতিকচিন্তারসূচনাহয়সাথেসাথেইহাওঅনুভূতহয়যেমুসলমানদেরচারিত্রিকবৈশিষ্ট্যেরকারণেমুসলমানরাইএকটিস্বতন্ত্রউম্মাহ।
(অসমাপ্ত)
খতমেনুবুওওয়াতপ্রচারকেন্দ্রখতমেনুবুওওয়াতঅস্বীকারকারীরাকাফির
(ইসলামীশরীয়তেরহুকুমমোতাবেকযারামুসলমানথেকেখতমেনুবুওওয়াতঅস্বীকারকারীসম্প্রদায়েরঅন্তর্ভূক্তহয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাইইত্যাদি) তাদেরতওবারজন্যনির্ধারিতসময়৩দিন।এরপরতওবানাকরলে, তাদেরশাস্তিমৃত্যুদন্ড) (১) কাদিয়ানীরদ! (চতুর্থভাগ)
বাহরুলউলূম, ফখরুলফোক্বাহা,
রইছুলমোহাদ্দেসীন, তাজুলমোফাসসেরীন, হাফেজেহাদীস, মুফতীয়েআজম,
পীরেকামিল, মুর্শিদেমোকাম্মেলহযরতমাওলানাআল্লামাশাহ্সূফীমুহম্মদরুহুলআমিন
(রঃ) কর্তৃকপ্রণীত“কাদিয়ানীরদ”কিতাবখানা (৬ষ্ঠখন্ডেসমাপ্ত) আমরামাসিকআলবাইয়্যিনাতপত্রিকায়ধারাবাহিকভাবেপ্রকাশকরছি।যাতেকাদিয়ানীদেরসম্পর্কেসঠিকধারণাসহসমস্তবাতিলফেরকাথেকেআহ্লেসুন্নতওয়ালজামায়াতেরঅনুসারীদেরঈমানআক্বীদারহিফাযতহয়।আল্লাহ্পাকআমাদেরপ্রচেষ্টারকামিয়াবীদানকরুন
(আমিন)।ওনারকিতাবথেকেহুবহুউদ্ধৃতকরাহলো,
তবেতখনকারভাষারসাথেবর্তমানেপ্রচলিতভাষারকিছুটাপার্থক্যরয়েছে।
(পূর্বপ্রকাশিতেরপর) মির্জ্জারআকায়েদ
আবুদাউদওএবনো-মাজাইহারেওয়াএতকরিয়াছেন;-
قال رسول الله
صلى الله عليه وسلم
لا الفين احدكم متكئا على اريكته ياتيه الامر من امرى مما امرت
به اونهيت عنه فيقول لاادرى ما وجدنا فى
كتاب الله اتبعناه
رواه احمد وابو داؤد
والترمذى وابن ماجة.
“রাছুলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিয়াছেন, আমিতোমাদেরকোনলোককেনিজেরপালঙ্গেরউপরভরদিয়াএরূপঅবস্থায়
(বসিতে) নাপাই- তাহারনিকটআমারআদিষ্টওনিষিদ্ধবিষয়উপস্থিতহইবে, তৎপরেসেবলিবে, আমিউহাজানিনা,
আমিযাহাকোরআনশরিফেপ্রাপ্তহইয়াছি, তাহারঅনুসরণকরিয়াছি।আহমদ, আবুদাউদ,
তেরমেজিওএবনো-মাজাইহারেওয়াএতকরিয়াছেন।” মির্জ্জাছাহেবেরউপরএইহাদিছেরমর্ম্মবেশখাপখায়, তিনিশক্তিবর্দ্ধকঔষধসেবনকরিয়াএবংমুরিদগণেরকয়েকলক্ষটাকারমালিকহইয়াউদরপূর্ণকরিয়ানিজেরখাটিয়ারউপরবসিয়াবলিতেন, হাদিছসকলবাতীল, কোরআনেযাহাকিছুআছে,
তাহাইমানি।হজরতইছারনাজিলহওয়ারহাদিছকোরআনেরখেলাফ, কাজেইউহাবাতীল।নিজেমির্জ্জাছাহেবআইনায়-কামালাতে-
ইছলামের১৯পৃষ্ঠায়লিখিয়াছেন;-
ومن تفوه بكلمة ليس له اصل صحيح
فى الشرع ملهما كان
او مجتهدا فيه الشياطين متلاعبة.
“যেব্যক্তিএরূপকথাবলেযে, শরিয়তেউহারকোনমূলনাই, সেব্যক্তিএলহামপ্রাপ্তহউক, আরমোজতাহেদহউক, শয়তানেরাতাহারসহিতক্রীড়াকারীহইয়াথাকে।”তিনিজরুরাতোল-ইমানের১৭পৃষ্ঠায়লিখিয়াছেন;- “সৈয়দআবদুলকাদেরজিলানী
(রঃ) বলিয়াছেন, একসময়আমারশয়তানিএলহামহইয়াছিল, শয়তানবলিল, হেআবদুলকাদের,
তোমারএবাদতগুলিকবুলহইয়াছে, এক্ষণেঅন্যলোকদিগেরউপরযাহাহারাম, তোমারউপরতাহাহালালহইয়াছে।তোমারনামাজমাফহইয়াছে, এক্ষণেতোমারযাহাইচ্ছাহয়, তাহাইকর।তখনতিনিবলিলেন, হেশয়তান,
দূরহইয়াযাও, যাহাহজরতনবি (ছাঃ)-এরপক্ষেজায়েজহয়নাই, তাহাআমারপক্ষেকিরূপেজায়েজহইবে? তখনশয়তানসুবর্ণেরসিংহাসনসমেতআমারচক্ষুহইতেঅদৃশ্যহইয়াগেল।”যখনসৈয়দআবদুলকাদেরছাহেবেরন্যায়অদ্বিতীয়অলিরউপরশয়তানিএলহামহইল, তখনছলুকসমাপ্তনাকরিয়াছে, এরূপলোকেরাকিরূপেতাহারচক্রহইতেনিষ্কৃতিপাইবে? হজরতমোজাদ্দেদে-আলফে-ছানি
(রঃ) মকতুবাতের১/২২২-২২৫পৃষ্ঠায়লিখিয়াছেন,
“অনেকসময়কাশফওএলহামপ্রমাণিতবিষয়গুলিভ্রান্তিমূলকহইয়াথাকে, ইহারবহুকারণআছে, যাহাহউক, কাশ্ফওএলহামকোরআন, হাদিছ,
এজমাওকেয়াছএইদলীলচতুষ্টয়েরবিপরীতঅর্দ্ধকড়াযবেরসমানহইবেনা।” উপরোক্তপ্রমাণে, বিশেষতঃমির্জ্জাছাহেবেরকথাঅনুসারেহজরতেরহাদিছেরবিরুদ্ধেযেকোনএলহামওকাশফহয়, উহাশয়তানিওপরিত্যক্তহইবে, কিন্তুমির্জ্জাছাহেবনিজেরমনগড়াঅথবাশয়তানিএলহামেরবিরুদ্ধেহজরতেরসমস্তহাদিছরদ্দিওবাতীলবলিয়াছেন। মির্জ্জাছাহেবেরমতেরবিরুদ্ধেযেকোনছহিহহাদিছহইত, উহাযেনতেনছুতাধরিয়াবাতীলকরিয়াদিতেন, আরতাহারপৃষ্ঠপোষকতায়যেকোনবাতীলহাদিছহইত, উহাঅকাট্যছহিহবলিয়াদাবিকরিতেন। (অসমাপ্ত)
(২) ইসলামীশরীয়তমোতাবেকপাকিস্তানসুপ্রীমকোর্টকর্তৃককাদিয়ানীদের-
‘কাফের’ঘোষণা! (পূর্বপ্রকাশিতেরপর)
অনুবাদক - আল্হাজ্বমুহম্মদহাবিবুলহক
মক্কাশরীফেক্বাবাঘরেরভিতউঠানোরকাজকরারসময়ইব্রাহিম
(আঃ) এবংইসমাইল (আঃ) দোয়াকরেণসূরা২ঃআয়াত১২৮)
ربنا وجعلنا
مسلمين لك ومن ذريتنا امة مسلمة لك.
অর্থঃ- আল্লাহ্পাক, আমাদেরকেআপনারআজ্ঞাবহকরুনএবংআমাদেরবংশথেকেওএকটিঅনুগতদলসৃষ্টিকরুন। ইসলামেরএকটিঅর্থহলোআনুগত্যএবংবাধ্যগত।মুসলমানঅর্থঅনুগত।আয়াতশরীফেবুঝাচ্ছেযারাআনুগত্যকরলোতাঁরাএকটিউম্মাহবাইসলাম
(অনুগত) ধর্মাবলম্বীহিসাবেমুসলমানদেরবৃদ্ধিদ্বারাএকটিজাতিতেপরিণতহবে।সেহেতুইসলামেরএকইপ্রতিশ্রুতিবদ্ধতারউদ্দেশ্যেতাঁরাএকটিইম্মাহ।কারণনীতিঅনুযায়ীএকইব্যাকুলবাসনাওচিন্তাধানাবিশিষ্টমানুষেরাইএকটিজাতিগঠনকরে।
(সূরা-৩আয়াত১০৪, সূরা৭, আয়াত১৮১) তেইহাপরিস্কারবুঝাযায়, (সূরা৩,
আয়াত১০৪,)
ولتكن منكم امة
يدعون الى الخير ويامرون بالمعروف وينهون عن المنكر واولئك هم المفلحون.
অর্থঃ- আরতোমাদেরমধ্যেএমনএকটিদলগঠনহওয়াউচিতযাঁরাআহবানজানাবেসৎকাজেরপ্রতিনির্দেশদেবেভালকাজেরএবংবারণকরবেঅন্যায়কাজথেকে, আরতারাইহবেসফলকাম। (সূরা৭, আয়াত,
১৮১)
وممن خلقنا امة
يهدون بالحق وبه يعدلون.
অর্থঃ- আরযাদেরকেআমিসৃষ্টিকরেছি, তাদেরমধ্যেএমনএকদলরয়েছেযারাসত্যপথদেখায়এবংসেঅনুযায়ীন্যায়বিচারকরে। হুজুরপাকসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম-এরউম্মতদেরজীবনব্যবস্থাইশুধুইসলাম
(আনুগত্য) নয়।সকলরাসূল (আঃ) গণইসলামপ্রচারকরেছেন।কারণতাঁরাওওহীপেয়েছেনএবংওহীদ্বারাইনিয়ন্ত্রিতছিলেন
(সূরা৪,৩, আয়াত- ৬৬)।ইব্রাহিম (আঃ) ইহুদীওছিলেননা, খৃষ্টানওছিলেননা (সূরা৩, আয়াত-৬৬)।তিনিছিলেনএকজনমুসলমান।হুজুরপাকসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম-এরকথাবলেছেনবাঅনুসরণকরতেবলেছেনসেটাইসঠিকইসলাম, ইব্রাহিম (আঃ) ওসেইসলামেরইঅনুসারীছিলেন।সকলরাসূল
(আঃ) গণইপ্রচারকরেছেন।আল্লাহ্পাক-এরজন্যকাজকরতেএবংআল্লাহ্পাক-এরআইনমেনেচলতে। (সূরা৭, আয়াত-৫৯।সূরা৭আয়াত- ৬৫।সূরা৭, আয়াত-৭৩,
সূরা৭, আয়াত-৮৫)।২১নংসূরার৪২নংআয়াতেএবং২৩নংসূরার৫২নংআয়াতে, পূর্বেপ্রেরিতরাসূল (আঃ) গণেরকথাউল্লেখকরারপরনির্দিষ্টভাবেবলাহয়েছে,
ان هذه امتكم امة واحدة.
অর্থঃ- আপনাদেরএইউম্মতসকলেইএকইধর্মেরঅনুসারী।উল্লেখ্যযে, কুরতুবী (রঃ) বলেনএখানে (امة) উম্মাহঅর্থধর্ম।কিন্তুইহাকেসমাজবাসংগঠনঅর্থেওব্যবহারকরাহয়। (অসমাপ্ত)
খতমে নুবুওওয়াত
প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
(ইসলামী শরীয়তের হুকুম মোতাবেক
যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে,
তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড)
(১)
কাদিয়ানী রদ!
(চতুর্থ ভাগ)
বাহরুল উলূম, ফখরুল ফোক্বাহা, রইছুল মোহাদ্দেসীন, তাজুল মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন (রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মির্জ্জার আকায়েদ
মির্জ্জা ছাহেব এজালাতোল-আওহামের ২৯৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
كيون جائز نهين كه انهون نح عمدا يا سهوا بعض احاديث كي تبليغ مين خطاكي هو.
“উক্ত হাদিছ বর্ণনাকারিগণ (রাবিগণ) জ্ঞাতসারে কিম্বা ভ্রমবশতঃ কতক হাদিছ পৌঁছাইতে যে ভুল করিয়াছেন, ইহা কেন সম্ভব হইবে না?”
আরও তিনি উক্ত কেতাবের ৩৪৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
انثر احاديث اكر صحيح بهى هون تو مفيد ظن هين والظن لايغئي من الحق شيا.
“অধিকাংশ হাদিছ যদিও ছহিহ হয়, তবু আনুমানিক বিষয় আনুমানিক বিষয় মতের স্থান লাভ করিতে পারে না।”
আমাদের উত্তর।
হাদিছ মোতাওয়াতের অসংখ্য রাবি কর্ত্তৃক বর্ণিত হয়, এই হেতু উহা অকাট্য সত্য হইয়া থাকে, আর যদি মোতাওয়াতের না হয়, তবে উহা অকাট্য সত্য না হইলেও আনুমানিক সত্য হইবে। এইরূপ আনুমানিক সত্যমতের উপর আমল করা শরিয়তে ওয়াজেব।
এমাম রাজি তফছিরে কবিরের ৫/৪১০ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
মুছলমানগণের এজমা হইয়াছে যে, বহু স্থলে আনুমানিক ব্যবস্থা শরিয়ত-গ্রাহ্য হইয়া থাকে ;-
প্রথম-আলেমগণ যে সমস্ত ফৎওয়া প্রকাশ করেন, উহা আনুমানিক ছহিহ হইলেও সাধারণ লোকের উহার উপর আমল করা ওয়াজেব।
দ্বিতীয় দুইজন কিম্বা চারিজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর আস্থা স্থাপন করতঃ শরিয়তের হুকুম কিম্বা হদ জারি করা হয়, সাক্ষিদের কথা আনুমানিক সত্য।
তৃতীয়- কেহ কেবলা জানিতে না পারিলে, অনুমানে কোন দিক্ কেবলা ধারণা করিয়া নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। স্থিরীকৃত দিক কেবলা না হইতে পারে।
চতুর্থ- কেহ কাহারও কোন দ্রব্য নষ্ট করিলে বা তাহার হস্ত, পদ ও চক্ষু ইত্যাদির উপর আঘাত করিলে, অনুমানে উহার ক্ষতিপুরণের মূল্য স্থির করিতে হয়, ইহা আনুমানিক ব্যবস্থা।
পঞ্চম- বাজারি ছাগল ও গরুর মাংস মুছলমানদের জবাহ অনুমান করিয়া ভক্ষণ করা হয়, ইহা আনুমানিক কথা।
ষষ্ঠ- ব্যক্তি বিশেষকে ইমানদার ধারণা করতঃ মৃতের সম্পত্তির অংশ দেওয়া হয়, তাহার জানাজা পড়া হয় এবং তাহাকে মুছলমানদিগের কবর স্থানে দাফন করা হয়, প্রকৃত পক্ষে সে ইমানদার না হইতেও পারে।
উপরোক্ত প্রকার স্থলগুলি অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া ব্যবস্থা প্রকাশ করা হয়।
পিতার কথা মত লোকের নছব সাব্যস্ত হয়, পিতা স্ত্রীর কথার উপর আস্থা স্থাপন করিয়া সন্তানদিগের দাবি করিয়া থাকে, ইহা কি অকাট্য সত্য? যদি মির্জ্জা ছাহেবের মতে আনুমানিক কথাতে সত্য প্রমাণিত না হয়, তবে উপরোক্ত ব্যাপারগুলিতে তিনি কি ফৎওয়া দিবেন
মির্জ্জা ছাহেব এজালাতোল-আওহামের ৩০৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
کیون جائز نھین کہ انھون نے عمدا یا سھوا بعض- احادیث کی تبلیغ مین خطاکی ھو-
“যদিও এজমালি ভাবে কোরআন শরিফ শ্রেষ্ঠতম পূর্ণ কেতাব, তবু আমরা দীনের অধিকাংশ এবাদত ইত্যাদির বিস্তারিত নিয়ম হাদিছগুলি হইতে গ্রহণ করিয়াছি।”
এক্ষণে আমরা মির্জ্জা ভক্তদিগকে জিজ্ঞাসা করি, যখন আপনাদের গুরু রাবিদের ভুল সম্ভাবনা থাকায় হাদিছগুলি অগ্রাহ্য করিয়াছেন, তখন দীন ইছলামের অধিকাংশ ও নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত ইত্যাদির নিয়মাবলী আপনারা ত্যাগ করিতে বাধ্য হইবেন, দেখিলেন ত মির্জ্জা ছাহেব কিভাবে হজরতের হাদিছগুলি বাতীল করিয়াছেন!
মির্জ্জা ছাহেব উক্ত কেতাবের ৩৯৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
انثر احادیث اگر صحیح بھی ھون تو مفید ظن ھین و الظن لا یغئی من الحق شیا-
“বর্ত্তমানের নেচারি দল- যাহাদের হৃদয়ে আল্লাহ্ ও রাছুলের কালামের কিছুমাত্র গুরুত্ব নাই, এই অমূলক ধারণা পেশ করিয়া থাকেন যে, মছিহ বেনে-মরয়েমের আগমন সংক্রান্ত যে হাদিছগুলি ছেহাহ গ্রন্থে আছে, এই সমস্ত ভ্রান্তিমূলক, বোধ হয় তাহাদের এইরূপ কথাগুলির উদ্দেশ্য এই যে, এই অক্ষমের (মির্জ্জা ছাহেবের) এই দাবি অবজ্ঞা করিয়া কোন প্রকারে উহা বাতীল স্থির করিবেন, কিন্তু তাহারা এত পরিমাণ মোতাওয়াতের হাদিছকে এনকার করিয়া নিজেদের ইমানকে বিপন্ন করিতেছেন।”
(২)
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ ঘোষণা!
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রাথমিক শর্ত হল অবশ্যই আল্লাহ্ পাক-এর উপর বিশ্বাস স্থাপন এবং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সকল নবী-রাসূল (আঃ)গণদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং তিনি যে, শেষ নবী এবং তারপর শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত আর কোন নবী আসবেনা। তাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ্ পাক-এর নাযিলকৃত সকল কিতাবের উপর।
পরবর্তী শর্ত হল- নামাজ কায়েম করা, রমজান মাসের রোজা রাখা, হজ্ব করা এবং যাকাত আদায় করা। প্রত্যেক ধর্মের বিশ্বাসের উপকরণ একই। কিন্তু মুসলমানদের নামাজ কায়েমের ধরণ, যাকাত আদায়ের নিয়ম এবং হজ্ব পালন একেবারেই ভিন্নতর। একইভাবে অন্য ধর্মে শাস্ত্রীয় আচার পালন যেমন ইবাদতের জায়গা (মসজিদ) বা বিশ্বাসীদের নামাজের জন্য ডাকার পদ্ধতি সুসংগত নয়। মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে মানব সমাজের জন্য তাদের উন্নত করে (সূরা-৩, আয়াত/১১০)।
তাঁরা আদেশ করেন সঠিক আচরণের এবং নিষেধ করেন অশোভনীয় কাজের। (সূরা-৩, আয়াত/১১০, সূরা-৩, আয়াত নং/১০৪)
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিদায়ের পর ইসলামের উদ্দেশ্যে প্রচার ও প্রসার করার দায়িত্ব এখন সম্পূর্ণ উম্মাহ্র উপর ন্যস্ত। (সূরা-৩, আয়াত/১৪৪)
তাদরকে অবিচল এবং একতাবদ্ধভাবে থাকতে আদেশ করা হয়েছে কারণ তাদেরকে দৃঢ়ভাবে সহ্য করে সহিষ্ণুতায় অন্য ধর্মাবলম্বীদের অতিক্রম করতে হবে। (সূরা-৩, আয়াত/২০০)
উপরোক্ত নির্দেশানুযায়ী যখন কাউকে আল্লাহ্ পাক পথ প্রদর্শন করেন (সূরা-৪, আয়াত/১১৫) ইহার অর্থ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবশ্যই মানতে হবে। সূরা-৪-এর ৫৯ আয়াতে ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তির আনুগত্যের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মুসলিম উম্মাহ্র প্রতি (যার অর্থ ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রধানকে এবং তার অধীনস্থ কর্ম কর্তাদের) তাদের কাদিয়ানীদের) ইনজেংকশন থেকে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মোটেই কষ্ট সাধ্য নয় যে, ইসলামের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার দায়িত্ব মুসলিম উম্মাহ্র এবং এজন্য উহা খুবই সুসংবদ্ধ হতে হবে।
সূরা ৪৯-এর ১০ নং আয়াতে (انما المؤمنون احوة) বলা হয়েছে বংশ, রং ও দেশ ভেদাভেদহীনভাবে মুসলমানরা সব ভাই ভাই। একজনের মৃত্যু সকলের জন্য মৃত্যু সকলের জন্য মৃত্যুতুল্য এবং মৃত্যু থেকে একজনকে বাঁচানো সকলকে বাঁচানো। (অসমাপ্ত)
খতমে নুবুওওয়াত
প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
(ইসলামী শরীয়তের হুকুম
মোতাবেক
যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয়
(যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই
ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময়
৩দিন। এরপর তওবা না করলে,
তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড)
(১)
কাদিয়ানী রদ!
(চতুর্থ ভাগ)
বাহরুল উলূম, ফখরুল ফোক্বাহা,
রইছুল
মোহাদ্দেসীন, তাজুল মোফাসসেরীন, হাফেজে হাদীস, মুফতীয়ে আজম,
পীরে
কামিল, মুর্শিদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা
আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন (রঃ) কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফেরকা
থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক
আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। ওনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার
কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মির্জ্জার আকায়েদ
মির্জ্জা ছাহেবের মতের বিরুদ্ধে যে কোন হাদিছ থাকে, উহা আনুমানিক কথা এবং উহার রাবিগণের ভুল-ভ্রান্তি
করার সম্ভাবনা আছে, ইত্যাদি অজুহাতে পেশ
করিয়া উহা উড়াইয়া দেওয়া হয়, কিন্তু মরয়েমের পুত্র
মছিহর আগমন সংক্রান্ত হাদিছগুলি মির্জ্জা ছাহেব গড়িয়া পিটিয়া নিজের উপর আওড়াইতে চাহেন, এই সমস্ত হাদিছ তাঁহার উল্লিখিত অজুহাতে বাতীল
হইবে না কেন?
আর যখন নেচারি দল তৎসমস্তকে বাতীল বলিতে লাগিলেন, তখন মির্জ্জা ছাহেব এত কান্দাকাটা করিলেন কেন?
মির্জ্জা ছাহেব এজালাতোল-আওহামের ২৬৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন
;-
محققین کے نزدیک مھدی کا انا کوئی
یقینی امر نھین ھے-
“বিচক্ষণ বিদ্বানগণের নিকট মাহদীর
আগমন কোন নিশ্চিত বিষয় নহে।”
ان الاحاديث
التى جائت فى المهدى الغزى المحارب من نسل
الفاطمة الزهراء كلها ضعيفة مجروحة بل اكثرها
موضوءة ومن قسم الافتراء.
“যে হাদিছগুলি ফাতেমা জোহরা বংশ-সম্ভূত যোদ্ধা গাজি
মাহদীর সম্বন্ধে আসিয়াছে, সমস্তই জইফ দোষান্বিত, বরং উহার অধিকাংশ জাল এবং মিথ্যা।”
পাঠক,
মির্জ্জা
ছাহেব যখন দেখিলেন যে, হাদিছ- উল্লিখিত মাহদীর
চিহ্নগুলি তাঁহার মধ্যে পাওয়া যায় না,
তখন তিনি
অযথা ভাবে উক্ত হাদিছগুলি জইফ ও জাল বলিয়া দাবি করিলেন। মাহদী সংক্রান্ত হাদিছগুলি
মোতাওয়াতের এবং অকাট্য ছহিহ, ইহার প্রমাণ মির্জ্জার
মাহদী দাবি খন্ডন পুস্তকের ৩২/৪২/৪৩ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে।
আর তিনি যখন জাল মাহদী সাজিতে
প্রয়াস পাইলেন, তখন একটী জইফ হাদিছকে
ছহিহ বলিয়া দাবি করিলেন, যথা তিনি নজুলোল-মছিহ
কেতাবের ২৭ পৃষ্ঠায় উহা ছহিহ হওয়ার দাবি করিয়াছেন, এই হাদিছটী জইফ হওয়ার প্রমাণ মির্জ্জার মাহদী দাবি খন্ডন পুস্তকে
লিখিত হইয়াছে।
মির্জ্জা ছাহেব এজালাতোল-আওহামের ১৬৭ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন
;-
یھان تک مضمون اس حدیث کا نادر
اور قلیل الشھرت
یا کہ امام بخاری جیسے رئیس المحدثین
کویہ حدیث ھین ملی
کہ مسیح ابن مریم
دمشق کے شرقی کنارہ مین منارہ کے پاس
اقریگا-
“এমন কি এই হাদিছের মর্ম্ম যে, মছিহ বেনে মরয়েম দেমাশকের পূর্ব্ব কোণে মিনারার
নিকট নাজিল হইবেন, এরূপ অজ্ঞাত ও অপ্রসিদ্ধ
ছিল যে, এমাম বোখারির ন্যায় শ্রেষ্ঠ
মোহাদ্দেছ এই হাদিছ প্রাপ্ত হয় নাই।”
আরও তিনি উহার ১৫৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
یہ وہ حدیث
ھے جو صحیح مسلم
مین امام مسلم صاحب
نے لکھی ھے جس
کو ضعیف سمجھہ کررئیس المحدثین امام محمد اسمعلیل بخاری نے چھور دیا
ھے-
“ইহা উক্ত হাদিছ-এমাম মোছলেম
ছাহেব ছহিহ মোছলেমে লিখিয়াছেন- যাহাকে জইফ বুঝিয়া মোহাদ্দেছ শ্রেষ্ঠ এমাম মোহম্মদ এছমাইল
বোখারি ছাড়িয়া দিয়াছেন।”
পাঠক, ছহিহ মোছলেমে নওয়াছ কর্ত্তৃক যে ছহিহ হাদিছটী বর্ণিত
হইয়াছে, উহাতে দার্জ্জালের যে অবস্থা
লিখিত হইয়াছে, তাহা পাঠ করিলে, মির্জ্জা ছাহেবের মছিহএতের দাবি সমূলে বিনষ্ট হইয়া
যায়, এই হেতু তিনি উক্ত হাদিছ জইফ
বলিয়া দাবি করিয়াছেন, দুনইয়ার কোন মোহাদ্দেছ
উক্ত হাদিছটী জইফ বলেন নাই, মির্জ্জা ছাহেবের খামখেয়ালিতে
ইহা কি জইফ হইতে পাবে? মির্জ্জা ছাহেব দাবি
করিয়াছেন যে, এমাম বোখারি উহা জইফ
বুঝিয়া নিজ কেতাবে উল্লেখ করেন নাই,
ইহা তাঁহার
বাতীল দাবি। এমাম বোখারি কোথায় জইফ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন? এমাম বোখারি অনেক হাদিছ ছহিহ জানা সত্ত্বেও নিজ
কেতাবে উল্লেক করেন নাই, কাজেই এমাম বোখারির
কোন হাদিছ উল্লেখ না করিলে, উহা জইফ হওয়ার দাবী
যে একেবারে বাতীল, ইহা মির্জ্জার মাহদী
দাবী খন্ডন পুস্তকের ৩৫ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে। (অসমাপ্ত)
(২)
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট
কর্তৃক কাদিয়ানীদের- ‘কাফের’ ঘোষণা!
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অনুবাদক - আল্হাজ্ব মুহম্মদ হাবিবুল হক
মুসলিম উম্মাহকে মানব জাতির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে
এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ও সত্যে একনিষ্ঠ হতে আদেশ করা হয়েছে। (সূরা-৪, আয়াত ১৩৫)
সুতরাং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ
এক আল্লাহ্ পাক এরই এবাদত করে। আল্লাহ্ পাক এর রাসূল ও শেষ নবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরই উম্মাহ, এবং যারা পৃথিবীর যে
প্রান্তেই থাকুক, কাবা (মক্কা) ঘরের
দিকে মুখ করেই নামাজ আদায় করে। মুসলমানরা উম্মাহর মধ্যে একে অপরকে ভাই হিসাবে মনে করে
এবং তারা দুঃখিত হয় যদি নিজেদের মধ্যে কাউকে বিচারের সম্মুখীন হতে শোনে বা দুঃখে পরার
কথা শোনে। মুসলমানদের চিন্তা এবং কল্পনা একই রকম। উম্মাহর আসল পরীক্ষা, এইগুলিই।
মুসলমানরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের
তুলনায় অনেক বেশী সহিসষ্ণু কিন্তু তাঁরা তাঁদের বিশ্বাসে আঘাত বা উম্মাহর নাশকতা মূলক
বা ভিত্তি দুর্বল করার চেষ্টা কখনোই বরদাশত করেনা। উভয়ই তাঁদের কাছে খুব প্রিয়।
মিঃ রিজাউল হাসান জীলানি তার আলাচনায় দলীল ঐক্য
এবং সংহতির মূল, উপাদান এবং কৌশল গুলি
উপস্থাপন করেন এবং বলেন, ঐক্য হল সাংগঠনিক কৌশল।
সাংগঠনিক ঐক্যের ধারনায় শ্রমের বিভাগই বুঝায়,
অপর দিকে
উম্মাহ বা সমাজের ব্যাখ্যা দিতে যন্ত্রের মত ঐক্যের তুলনা দেয়া হয়েছে, যেখানে সকল সদস্য একই বৈশিষ্টের অধিকারী এবং প্রত্যেকেই
প্রত্যোকের প্রতি সংবেদন শীল।
তিনি যুক্তি দেন যে, যন্ত্রবৎ ঐক্যের বর্ণনা মুসীলম উম্মাহর ক্ষেত্রে
উপযুক্ত এবং সমাজ বিজ্ঞানের একটি পাঠ্য বই থেকে উদ্ধৃতি দেন।
উদ্ধৃতাংশে সামাজিক অবকাঠামো ও তার সংস্কৃতি ভিত্তিক
দলাদলির আংশিক আলোচনা করা হয়েছে।
ইবন-ই-খালদুন সমাজের সদস্যদের মধ্যে দলীয় অনুভূতির
বিস্তারিত আলোচনায় উল্লেখ করেন যে এটা হয় বংশগত ও রক্তের সম্পর্কের এবঙ তাদের মক্কেল
এবং কুটুম্বিতা, বন্ধুত্বতা বা শর্তে
আবদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে। অনুভূতির গভীরতায় সৃষ্টি করে নিঃসঙ্গতা যার ফল শ্রুতি হয় চরম
শৌর্য, সাহসও নির্ভীকতা মুকাদ্দীমাহ, ইব্লিশ ট্রেন্সলেশন ভলিউম-১, পৃষ্ঠা ২৬৪১। তিনি আলোচনা করেন দলীয় অনুভূতির ফলশ্রুতিতে
রাজকীয় কর্তৃত্বে গুরুত্ব নিয়ে। সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ এবং প্রযোজ্য প্রসঙ্গ হল ধর্ম্মীয়
অবস্থার পরিনতি। তিনি বলেন “ কারণ হল আরব দেশীয়দের
হিংস্রতা এবং তারা কেহই নিজেদের অধীনস্থা মানতে রাজী নয়, যেহেতু তারা অশালীন অহঙ্কারী, উচ্চাকাঙ্খী এবং নেতৃত্বের দাবীদার। তাদের ব্যক্তিগত
উচ্চাকাঙ্খা কুব কমই এব রকম হয়। কিন্তু যখন তোদের মধ্যে) কোন রাসূল বা অলী-আল্লাহর
মাধ্যমে ধর্ম বিরাজমান তখন তারা সংযত অবস্থায় থাকে। তখন উদ্ধতভাব এবং ঈর্ষা তাদের থেকে
চলে যায়। সহজেই তারা একে অপরের অধীনস্থতা করতে
পারে এবং ঐক্যবদ্ধ হতে পারে (একটি সামাজিক সংগঠন হিসাবে)। (অসমাপ্ত)
0 Comments:
Post a Comment