আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে , আরো বেশি খুশি হবো -পর্ব-১

আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে , আরো বেশি খুশি হবো -পর্ব-১

পৃথিবীর ইতিহাসে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই একমাত্র সেই সুমহান মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেমেছালভাবে পালন করে যাচ্ছেন। উনার এই বেমেছালভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে খুশি হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেছেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে, আরো বেশি খুশি হবো।’ সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এ প্রসঙ্গে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোনো দলীল আছে? দলীল তো নেই। তাহলে বুঝবে কিভাবে? হ্যাঁ? কি বুঝতে পেরেছো কেউ? উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোন্টা? বলো তো দেখি? আমি তো (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) সারা দিন অপেক্ষায় ছিলাম, দেখি উনি কি বলেন। উনি তো কিছু বলেন না। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যখন দিন শেষ হয়ে গেলো, আযান হলো, তখন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উনি বলেছেন- ‘হ্যাঁ; খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; বলে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ, ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আরো করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)উনি সারা দিন কিছু বলেননি। আমি দেখলাম সারা দিন। আমি তো চিন্তিত ছিলাম। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হয়ে গেলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, ‘হ্যাঁ; আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘জানিয়ে দেই।’ বললেন- ‘হ্যাঁ; জানিয়ে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি বললেন‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে আরো বেশী করো। সামনে আমরা আরো বেশী করবো। এখন ৯০ দিনের প্রস্তুতি নিতে হবে। ১ লক্ষ ১২ হাজার প্যাকেটের প্রস্তুতি নিতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশশুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সেদিন দেখলাম মাগরিবের আযানের সময় উনি খুশী হয়েছেন। ঐ দিনই (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম লাইলাতুল খামীস শরীফ) ভোর রাত্রে দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অনেক খুশী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ভোর রাত্রে উনি বললেন যে, ‘আমি অনেক খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সন্ধ্যার চেয়ে অনেক বেশী হাসি-খুশী, হাস্যোজ্জ্বল। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি বললেন, ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন যতো করা যায়। নূরুত তাক্বরীর, নূরুশ শাহাদাত, দুইটা তো। নূরুত তাক্বরীর মানে তাবাস্সুম (মুচকি হাসি)। এটা সন্ধ্যার সময়। আর ভোর রাত্রে এর চেয়ে বেশী, অনেক, অনেক বেশী হাসি-খুশি মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যতো করা যায়, ততো বেশী খুশি হবেন। সময়সীমা তো দেড়গুণ বাড়ানো হচ্ছে। আর তাবারুক ডাবলের কাছাকাছি।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ অতিবাহিত হলো, বললে মানুষ তো সব বুঝবে না। আমি পুরোটা সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওখানে ছিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি একটু খুশি হন, খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান হয়ে গেলো। তখন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক (তাবাস্সুম বা মুচকি হাসি মুবারক) দিয়ে বললেন যে, ‘আমি খুশি হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) রাত্র গভীর হলো। ভোর রাত্রে তিনি অনেক খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন। উনি বললেন, ‘আরো করলে, আমি আরো খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বলেছিলাম, ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; বলে দিন।’ উনি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন, আমি জানিয়ে দিলাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক ছাড়া আর কিছু আছে? কিছু নেই। আমি তো সেটাই বললাম যে, আমি সারা দিন ফিকির করলাম যে, কি বলেন। ঠিক পবিত্র ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তিনি খুশি প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যে খুশি হয়েছেন এটা কি আমি বলে দিবো? উনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আবার ঠিক ভোর রাতে দেখলাম, উনি অনেক বেশি খুশি। উনি বললেন, ‘আমার জন্য আরো করলে, আমি আরো বেশি খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যে, আরো বেশি করলে আরো বেশি খুশি হবেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে আরো করতে হবে। সেটাই বললাম, আমরা দেড় গুণ করতেছি। দেড় গুণের প্রস্তুতি গ্রহণ করো। সবাই কোশেশ করো। এখন তোমরা শত শত, হাজার হাজার গাড়ীর ব্যবস্থা করো।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন যে, তিনি এক সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে সারা ঢাকা শহর, সারা দেশ, সারা পৃথিবী; এমনকি সম্মানিত জানড়বাত মুবারকসহ সারা কায়িনাত সাজাবেন এবং এ দেশবাসী ও পৃথিবীর সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে মেহমানদারী করে খাওয়াবেন; এমনকি জানড়বাতবাসী উনাদেরকেও খাওয়াবেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “পৃথিবীতে ৬০০ কোটি মানুষ রয়েছে। যেদিন আমরা শুধু কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল মুবারক উপলক্ষে ১২০০ কোটি তাবারুকের প্যাকেট করবো, সেদিন থেকে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা শুরুহবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


0 Comments: