হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়কেই শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়ার চেষ্টা করেছে।

হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়কেই শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়ার চেষ্টা করেছে।

নাস্তিকদের আপত্তি ১০ : শয়তান কাকে কুমন্ত্রনা দিয়েছিল ? - শুধু আদম কে (Quran 7:20) নাকি আদম-হাওয়া উভয় কে (Quran 20:120)  

খণ্ডন : গণ্ডমূর্খ নাস্তিকরা তাদের উদ্বৃতিতে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। তারা শুধু হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে উল্লেখ করে যে আয়াত শরীফ উপস্থাপন করেছে তা মূলতঃ পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার ১২০ নং আয়াত শরীফ (Quran 20:120)  কিন্তু তারা উপস্থাপন করেছে (Quran 7:20)  আর হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়কেই উল্লেখ করে যে আয়াত শরীফ উপস্থাপন করেছে তা মূলতঃ পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ উনার ২০ নং আয়াত শরীফ (Quran 7:20 কিন্তু তারা উপস্থাপন করেছে (Quran 20:120)

হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়কেই শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়ার চেষ্টা করেছে। তবে পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার ১২০ নং আয়াত শরীফ (Quran 20:120)  উনার মধ্যে শুধু হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে বিধায় মূর্খ নাস্তিকরা ফিতনা বিস্তারের পাঁয়তারা করছে।

পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার উনার পরবর্তী আয়াত শরীফ অর্থাৎ ১২১ নং আয়াত শরীফ উনার আলোকে বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, ১২০ নং আয়াত শরীফ (Quran 20:120) উনার মধ্যে হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনার বিষয়টি উহ্য রয়েছে। তাই পরের আয়াত শরীফ (Quran 20:121 উনার মধ্যে হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়ের বিষয়টিই উল্লেখ রয়েছে।

যেমন পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ উনার উনার ১২১ নং আয়াত শরীফ (Quran 20:121) উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا

 অর্থ : “অতঃপর উনারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করলেন।” (পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২১)

সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনাদের উভয়কেই শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়ার চেষ্টা করেছে।


0 Comments: