আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) হযরত শাহনাওয়াসা-শাহনাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল খুছুছিয়াত মুবারক-পর্ব-৯

হযরত শাহনাওয়াসা-শাহনাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল খুছুছিয়াত মুবারক-পর্ব-৯

রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ২৯শে যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) ৪র্থ তলা মহাসম্মানিত খানকাহ্ শরীফ-এ বা’দ ছোহবত ইরশাদ মুবারক করেন, “(মহাসম্মানিত ৮ই যিলক্বদ শরীফ ইয়াওমুল খামীস শরীফ) দেখলাম- ইবলীস আর ইবলীসের সাথে তার একটা শাগরেদ, চেলা আসলো। ওরা আসলে লাঠি নিয়ে মারামারি করতে এসেছে। আমিও একটা বড় বাঁশ নিয়েছি। যা হোক; আমি পরে কিভাবে যেন এদেরকে ধরে ফেলেছি। এরপর আমার পাশে ছিলেন হযরত শাহ্নাওয়াসা-শাহ্নাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা সবাই। যখন ধরে ফেলেছি, তখন হযরত শাহ্নাওয়াসা-শাহ্নাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আমাকে বললেন যে, ‘নানা! আমাদেরকে ছোট শয়তানটাকে দিয়ে দিন।’ (মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক অর্থাৎ তাবাস্সুমী শান মুবারক প্রকাশ করে অর্থাৎ মুচকী হাসি মুবারক দিয়ে বলেন-) ঠিক আছে। আমি দিয়ে দিলাম। উনারা ছোট শয়তানটাকে শাস্তি দিতে দিতে ওটাকে একবারে শেষ করে ফেলেছেন। আর বড়টাকে আমি ধরেছি। আমি এটাকে ধরে মাটিতে ফেলে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পা মুবারক) দিয়ে এটার মাথায় পারা দিয়ে ধরে রেখেছি। এটা উপুর হয়ে পড়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে আমাকে সিজদাহ্ দিচ্ছে। আমি বললাম‘ তাকে শেষ করে দিবো।’ ইবলীস তখন বলতেছে যে, ‘ইবলিছকে তো কেউ মারতে পারবে না।’ কেনো? সে বললো- ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি ইবলীসকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত হায়াত দিয়েছেন।’ আচ্ছা ঠিক আছে; তাহলে তওবা কর। সেবললো- ‘আরে ইবলীস তো তওবা করতে পারবে না।’ আমি বললাম- ‘কেন?’ সে বললো- ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি যে তাকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত লা’নত দিয়ে দিয়েছেন, এজন্য ইবলীস তওবা করতে পারবে না।’ আমি বললাম- ‘তাহলে কি করতে হবে?’ সে বললো- ‘ইবলীসকে শাস্তি দেয়া যাবে; কিন্তু ইবলীস মরবেও না, তওবাও করতে পারবে না।’ তাকে পারা দিয়ে রেখেছি। অনেক্ষণ পরে দেখি- ইবলীস রক্ত বমি করা শুরু করেছে, রক্ত বমি। রক্ত বমি করতেছে।পরে আমি দেখলাম যে, তাহলে তো এটা মরবেও না, এটা তাওবাও করবে না। এটাকে শাস্তি দিয়ে আমি বললাম- তাহলে ঠিক আছে; তাড়াতাড়ী যা এখান থেকে। ভাগ এখান থেকে। পালা। বলার সাথে সাথে চোখের পলকে এটা পালিয়ে গেছে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

এই ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক থেকে হযরত শাহনাওয়াসা -শাহনাওয়াসী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছেন। উনারা হচ্ছেন হযরত হাফাদাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত নাতি-নাতনী আলাইহিমুস সালাম-আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! মূলত সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বিতীয় কোনো মেছাল কায়িনাতে নেই। উনারা অনন্য, বেমছাল। উনারা নিজেরাই নিজেদের মেছাল। কারণ উনারা সৃষ্টির শুরু থেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে একই সাথে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। উনাদের মাঝে কোনো জুদায়ী নেই এবং হারানোরও কোনো ভয় নেই, নতুন প্রাপ্তি ও নেই। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

বিস্তারিত জানতে পাঠ করুন- দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ ১ম খণ্ড- ৯৭-১০২ পৃ.


0 Comments: