মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৩
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নিয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছু ক্বওল শরীফ এবং একখানা বিশেষ ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-
সম্মানিত শাফা‘আত মুবারক লাভ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও সর্বোচ্চ জান্নাত মুবারক লাভ
আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী হাম্বলী ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫১০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৫৯৭ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَجَعَلَ لِمَنْ فَرِحَ بِمَوْلِدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِجَابًا مِّنَ النَّارِ وَسِتْرًا وَمَنْ اَنْفَقَ فِىْ مَوْلِدِهٖ دِرْهَمًا كَانَ الْمُصْطَفٰى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهٗ شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا وَاَخْلَفَ اللهُ عَلَيْهِ بِكُلِّ دِرْهَمٍ عَشْرًا فَيَا بُشْرٰى لَكُمْ اُمَّةَ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ نِلْتُمْ خَيْرًا كَثِيْرًا فِى الدُّنْيَا وَفِى الْاُخْرٰى فَيَا سَعْدُ مَنْ يَّعْمَلْ لِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا اَحْمَدَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْلِدًا فَيُلَقَّى الْهَنَاءُ وَالْعِزُّ وَالْخَيْرُ وَالْفَخْرُ وَيُدْخِلْ جَنَّاتِ عَدْنٍ بِتِيْجَانِ دُرٍّ تَحْتَهَا خِلَعٌ خَضْرًا
অর্থ: “আর প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি যিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি (এই খুশিকে) উনার জন্য জাহান্নাম থেকে নিরাপদ থাকার জন্য হিজাব (পর্দা) এবং ঢাল বানিয়ে দিবেন। আর যে ব্যক্তি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করবেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাফা‘আতকারী হবেন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাফা‘আত মুবারক অবশ্যই ক্ববূল করা হবে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেকটি দিরহামের বিনিময়ে ঐ ব্যক্তি উনাকে দশ দিরহাম দান করবেন। হে সম্মানিত আখিরী উম্মতগণ! আপনারা সুসংবাদ মুবারক গ্রহণ করুন যে, আপনারা দুনিয়া এবং আখেরাতে অসংখ্য খায়ের-বরকত হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই হে সৌভাগ্যশীলগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে, উনার জন্য যাঁরা মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করবেন, উনাদেরকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সম্মান, মর্যাদা এবং গৌরব দান করা হবে। আর উনাদেরকে সম্মানিত জান্নাতে আদ্ন মুবারক উনার মধ্যে মুক্তার মুকুটসহ সম্মানসূচক সবুজ পোশাক পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ করানো হবে।” সুবহানাল্লাহ! (মাওলিদুল ‘আরূস)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার তাবারুক মুবারক উনার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ وَحِيْدُ عَصْرِهٖ وَفَرِيْدُ دَهْرِهٖ اَلْاِمَامُ فَخْرُ الدِّيْنِ الرَّازِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرٍّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْـمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَرَكَةُ وَفِىْ كُلِّ شَىْءٍ وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لِاٰكِلِهٖ وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحْمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلٍّ وَّعِلَّةٍ وَلَا يَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ
অর্থ: “যুগের অনন্য ব্যক্তিত্ব, যামানার অদ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী ছিদ্দীক্বী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৪৪ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৬০৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে লবণ, গম বা অন্য কোনো খাদ্য-দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে সেই খাদ্য দ্রব্যে বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোনো কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেনো, তাতে বরকত হবেই। সুবহানাল্লাহ! উক্ত তাবারুক মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারীর জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন; এমনকি উনাকে ক্ষমা না করানো পর্যন্ত সেই তাবারুক মুবারক ক্ষান্ত হন না। সুবহানাল্লাহ! আর যদি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে কোনো পানিতে ফুঁক দেয়া হয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে, তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর মুবারক এবং এক হাজার সম্মানিত রহমত মুবারক প্রবেশ করেন। আর উনার থেকে এক হাজারটি যাহিরী ও বাত্বিনী (বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ) রোগ দূর হয়ে যায়। যেই দিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ ও জ্বিন) মৃত্যুবরণ করবে, সেই দিন ঐ পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী কখনও ফক্বীর হবেন না এবং উনার হাত কখনও খালি হবে না
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী ছিদ্দীক্বী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৪৪ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৬০৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
مَنْ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى دَرَاهِمَ مَسْكُوْكَةٍ فِضَّةٍ كَانَتْ اَوْ ذَهَبًا وَخَلَطَ تِلْكَ الدَّرَاهِمَ بِغَيْرِهَا وَقَعَتْ فِيْهَا الْبَرَكَةُ وَلَا يَفْتَقِرُ صَاحِبُهَا وَلَا تَفْرُغُ يَدُهٗ بِبَرَكَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “কোনো ব্যক্তি পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন করে রৌপ্যের দিরহাম অথবা স্বর্ণের উপর ফুঁক দিয়ে সেই মুদ্রাসমূহ অন্য মুদ্রার সাথে মিশ্রিত করলে, অবশ্যই সেই মুদ্রাসমূহের মধ্যে বরকত হবে। আর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বরকত মুবারক-এ ঐ ব্যক্তি তিনি কখনও ফকীর হবেন না এবং ঐ ব্যক্তি উনার হাত কখনও খালি হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা, ইয়ানাতুত্ ত্বালিবীন ৩/৪১৫)
অর্থাৎ যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উক্ত ব্যক্তি উনাকে কুদরতীভাবে স্বচ্ছলতা দান করবেন এবং উনার হাত সবসময় রিযিক্ব দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় রহমত এবং সন্তুষ্টি মুবারক উনার আওতাভুক্ত করে নেন
সুলত্বানুল আরিফীন ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত কিতাব ‘আল ওয়াসায়িল ফী শরহিশ শামায়িল’ উনার মধ্যে বলেন,
مَا مِنْ بَيْتٍ اَوْ مَسْجِدٍ اَوْ مَحَلَّةٍ قُرِئَ فِيْهِ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَّا حَفَّتِ الْمَلٰئِكَةُ ذٰلِكَ الْبَيْتَ اَوِ الْمَسْجِدَ اَوِ الْمَحَلَّةَ وَصَلَّتِ الْمَلٰئِكَةُ عَلٰى اَهْلِ ذٰلِكَ الْمَكَانِ وَعَمَّهُمُ اللهُ تَعَالٰى بِالرَّحْمَةِ وَالرِّضْوَانِ وَاَمَّا الْمُطَوَقُّوْنَ بِالنُّوْرِ يَعْنِىْ حَضْرَتْ جِبْرَائِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ مِيْكَائِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ اِسْرَافِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ عَزْرَائِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاِنَّهُمْ يُصَلُّوْنَ عَلٰى مَنْ كَانَ سَبَبًا لِقَرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “যেকোনো বাড়িতে বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ অথবা মহল্লায় পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হলে বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা হলে, অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সেই বাড়ি বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক অথবা মহল্লা বেষ্টন করে নেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে স্বীয় রহমত এবং সন্তুষ্টি মুবারক উনার আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠকারী উনাদের উপর অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের উপর পবিত্র ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা, ইয়ানাতুত্ ত্বালিবীন ৩/৪১৫, আল ওয়াসায়িল ফী শরহিশ শামায়িল)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মুহাররমুল হারাম শরীফ উনার ৪ তারীখ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিশেষ শান মুবারক ৯০ দিনব্যাপী মাহফিল মুবারক উদ্ভোধন উনার দিন ইরশাদ মুবারক করেন- “একখানা ঘটনা মুবারক তোমাদেরকে বলি। আসলে অনেক ঘটনা তোমাদেরকে বলা হয়েছে এবং হয়। এই ঈদের পরে অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আযহা শরীফ উনার পর একদিন আমি দেখলাম- স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সবাই মিলে আমাকে দাওয়াত করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি দাওয়াতে গিয়েছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা আছেন। উনি খুব খুশি। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও খুব খুশী। তবে উনারা অনেকে বসা আছেন আর অনেকে দাঁড়ানো আছেন। অনেক খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। আমি দেখলাম- আমাদের দেশি খাবার সব- সেমাই, জর্দ্দা, ফিরনি এই ধরণের মিষ্টি খাবার যা আছে অর্থাৎ অনেক প্রকার খাবার। আমি গেলাম, উনারা খুব খুশি প্রকাশ করলেন। কথা হলো। এখন শেষ পর্যন্ত আমি কি খেয়েছি বা খাইনি, এটা আমার মনে নেই। তবে উনারা দাওয়াত দিয়েছেন, আমি গিয়েছি, খুব খুশি উনারা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বসা ছিলেন মূল জায়গায়। আর খাবারগুলি সামনে বিছানো ছিলো। অপর পাশে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অনেকে বসা আছেন আবার অনেকে দাঁড়ানো আছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) খুব খুশি প্রকাশ করতেছেন।
মূল কথা হলো- নিসবত-কুরবত তো এভাবে হয় না। এখন যিকির-ফিকিরও করতে হবে আর এই মাহফিলের এন্তেজামও করতে হবে, আন্জাম দিতে হবে, উপস্থিত হতে হবে, শারিরীকভাবেও এবং আর্থিকভাবেও শরীক হয়ে আনজাম দিতে হবে। সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খfলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার মধ্যে মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment