মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৫

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৫

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নিয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে একখানা বিশেষ ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথোপকথন মুবারক:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়ায শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকের খুতবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার শান-মান মুবারক সম্পর্কে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

অর্থ: “যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করতেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন সমস্ত কায়িনাত, বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান সবাইকে বলে দেন, সকলেই যে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ফযল মুবারক, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রহমত মুবারক হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পেরেছে, এজন্য সকলের দায়িত্ব হলো, কর্তব্য হলো, ফরয হলো উনার সম্মানার্থে শুকুর গুজারির সাথে ফালইয়াফরাহূ শরীফ অর্থাৎ খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা হচ্ছেন সকলের যিন্দেগীর সমস্ত ইবাদত থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 অর্থাৎ সমস্ত কায়িনাত একমাত্র যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থেই সর্বপ্রকার নিয়ামত মুবারক পেয়েছে, পাচ্ছে, এবং অনন্তকাল ধরে পেতেই থাকবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সবচেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছেন এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফটা কি? আমরা এখানে অনন্তকালব্যাপী জারী করেছি এবং উনার বিশেষ ইন্তেজামও করেছি। এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ সম্পর্কে আজকে আমি কিছু জরুরী কথা বলবো। যে বিষয়গুলি আমার সাথে সরাসরি যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কথোপকথন হয়েছে। আমি তার থেকে জরুরত আন্দাজ কিছু কথা বলবো। এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ফযীলত মুবারক কি? কথাগুলি অনেক লম্বা। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো। কিছু আমার ভাষায়, কিছু যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ভাষায় আর কিছু ওয়াকেয়া বলবো- যেটা হয়তো আলোচনা মুবারক উনার মধ্যে দু-একটা আগে পরে হতে পারে। 

আমরা এই বছর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ-এ যা করেছি, সামনে আরো অনেক বড় ব্যাপক আকারে করার জন্য চিন্তা-ফিকির করেছি। এখন এই চিন্তা ফিকিরটা কি শরীয়ত সম্মত? নাকি তার খেলাফ হবে? এতো খরচ করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত? বাতিল ফেরকারা একখানা সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নিয়ে এ বিষয়ে অপব্যাখ্যা করে থাকে। আর তা হচ্ছেন-

اِنَّ الْمُبَذِّرِيْنَ كَانُوْاۤ اِخْوَانَ الشَّيٰطِيْنِ

‘নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা হচ্ছে শয়তানের ভাই।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!

এ বিষয়গুলো আমি ফিকির করতেছিলাম। এর সাথে সাথে আমার ফিকিরে আসলো- যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,

كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার সাধারণ অর্থ মুবারক করা হয়- كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا আমি গুপ্ত ছিলাম। অনেকে বলে আমি গুপ্ত ভান্ডার ছিলাম। 

 যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا কানযান ((كَنْزًا হচ্ছেন ছহিবে নিয়ামত অর্থাৎ আমি নিজেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি পুশিদা ছিলাম।كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا  আমি যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব পুশিদা ছিলাম।فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ  আমার মুহব্বত হলো আমি প্রকাশ হই। فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ সৃষ্টি করলাম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমার প্রকাশের জন্য। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

আমার প্রকাশ এবং প্রচারের জন্য উনাকে আমি সৃষ্টি করেছি। সেটাই বলা হচ্ছে-

اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نُّوْرِىْ

প্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপর এখান থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। 

আবার বলা হচ্ছে- خَلَقَ اللهُ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نُّوْرِىْ সমস্ত কিছু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- উনার প্রচার-প্রসারের জন্যই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ঠিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রচার-প্রসারটাই হচ্ছেন যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রচার-প্রসারের অন্তর্ভূক্ত। এটাই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

কাজেই যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন- তিনি নিজেই এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাই সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এরপর জানতে চেয়েছিলাম যে, বারে এলাহী! يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ উনার আসল অর্থ মুবারক কি? আপনি যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-

اِنَّ اللهَ وَمَلٰئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

উনার অর্থ মুবারক কি? সাধারণ মানুষ তো ৪টি অর্থ করে থাকে। ১. যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রহমত মুবারক। ২. হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে ইস্তেগফার। ৩. আর অন্যান্য গাছ-পালা, তরুলতা-শাজারাত যা কিছু আছে তাদের তরফ থেকে তাস্বীহ-তাহ্লীল। ৪. জিন-ইনসানের তরফ থেকে ছলাত হচ্ছে দরূদ শরীফ, নামায। মানুষ এই অর্থ করে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন- সাধারণভাবে অর্থ ঠিকই আছে। এরকম আরো লক্ষ কোটি অর্থ রয়েছে। এখানে মূল যে অর্থ বুঝানো হয়েছে, সেটা হচ্ছেন- يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ এটা হচ্ছেন ওই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা। কোন্ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,

اِنَّاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا. لِتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

আমি জানতে চাইলাম এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বতটা কি? যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছি, হাযির-নাযির, সাক্ষ্যদাতা হিসাবে। উনি সমস্ত সৃষ্টির তাছদীক্ব করবেন, সত্যায়িত করবেন, তাদেরকে সুসংবাদ দিবেন, ভয় প্রদর্শন করবেন, যাতে তারা হক্ব মতে-পথে থাকতে পারে।

لِتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ

যেন যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনে। এরপর বললেন,

وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

৩টি কথা। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করবে অনন্তকালব্যাপী। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আসলে يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ শব্দের অর্থ এই ৩টা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আর খিদমত করেন না, উনি খিদমতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান করেন এবং করার জন্য বলেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করেন এবং করার জন্য বলেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

মর্যাদা বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আমরা আমভাবে দুইটি বিষয় বলে থাকি। একটা বিষয় হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ। যেখানে যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক সংযুক্ত করে দিয়েছেন-

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ যদি শুধু لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ পাঠ করে, সে ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বাকিটুকু সে পাঠ না করবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

আর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনাদের থেকে শপথ নেওয়া হয়েছে-

وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ النَّبِيّنَ لَمَاۤ اٰتَيْتُكُمْ مِّنْ كِتٰبٍ وَّحِكْمَةٍ ثُمَّ جَآءَكُمْ رَسُوْلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهٖ وَلَتَنْصُرُنَّهٗ قَالَ ءَاَقْرَرْتُمْ وَاَخَذْتُمْ عَلٰى ذٰلِكُمْ اِصْرِىْ قَالُوْاۤ اَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوْا وَاَنَا مَعَكُمْ مِّنَ الشّٰهِدِيْنَ. فَمَنْ تَوَلّٰى بَعْدَ ذٰلِكَ فَاُولٰئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে ওয়াদা নিয়েছেন যে, আপনাদেরকে নুবুওয়াত-রিসালাত সব দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তী সময় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিবেন। উনাকে পেলে উনার প্রতি আপনারা ঈমান আনবেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন। এটা কি আপনারা স্বীকার করে নিলেন? উনারা বললেন, আমরা স্বীকার করে নিলাম। এই শর্ত মেনে নিলেন? উনারা বললেন, মেনে নিলাম। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও সাক্ষী থাকলাম। তবে এরপরে কেউ ফিরে গেলে, তাহলে বিপরীত অবস্থা হবে। 

এখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক হচ্ছেন-

وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করবে অনন্তকালব্যাপী। এটা হচ্ছেন- يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ। 

এখন এই تُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক সমস্ত সৃষ্টিকে করতে হবে। 

আমি জানতে চেয়েছিলাম- বারে এলাহী! তাহলে يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ বলার পর এখানে আপনি তো সালাম দেন নি? কিন্তু উম্মতকে বলা হয়েছে- يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا এর অর্থটা কি? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আসলে বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানকে যে বলা হয়েছে- صَلُّوْا عَلَيْهِ আর يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ একই অর্থ। অর্থাৎ তাদের উপর ফরয হচ্ছেন- আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেওয়া, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। আর سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন- আসলে যেমন একজন লোক যখন কাউকে সালাম দেয়- اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ তাহলে এর অর্থটা কি? এর অর্থ হচ্ছে- আমার তরফ থেকে তোমার জন্য নিরাপত্তা। আমার তরফ থেকে তোমার জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তা। কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। শান্তি, সালাম। يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ এখানে سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا  রয়ে গেছে। আরেকটা হচ্ছেন ঐ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে-

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِىْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّـمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا 

একই অর্থ। এখানে যদিও মানুষ বলে থাকে সালাম দেওয়া-اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠ করে মানুষ ছলাত পাঠ করে, সালাম দেয়। হ্যাঁ; ঠিকই আছে। এটা সাধারণ অর্থ। কিন্তু হাক্বীক্বী অর্থ হচ্ছেন- বান্দা-বান্দীর তরফ থেকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা। কেমন নিরাপত্তা? অর্থাৎ সে বিদ্রোহ করবে না, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা করবে না, ক্বীল-ক্বাল করবে না, বিপরীত ব্যাখ্যা করবে না, বেয়াদবি করবে না, বিদ্বেষ পোষণ করবে না, সবটা মানার মতো মেনে নিতে হবে। সেটাই বলা হচ্ছে-سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا ।

আবার এখানে বলা হচ্ছে- فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ আপনার রব তা‘য়ালা উনার ক্বসম! কেউ ঈমানদার হতে পারবে না, حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ অর্থাৎ তাদের পরস্পরের যে ইখতিলাফ সেগুলির ব্যাপারে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নির্দেশ মুবারক না মেনে নেওয়া পর্যন্ত। এবং শুধু মানবে না-  لَا يَجِدُوْا فِىْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًاঅন্তরে কোনো সংকীর্ণতা অনুভব করতে পারবে না। مِـمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا এবং আপনি যেটা ফয়সালা মুবারক করবেন, সেটা মানার মতো মেনে নিতে হবে। এখানে কেনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন- এটা হচ্ছে বান্দার জন্য এখানে এই অর্থ। কোনো বিষয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না, প্রত্যেকটা মেনে নিতে হবে। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সব মেনেتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক দায়িমীভাবে করা। এটা হচ্ছেন হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) পরিপূর্ণ মেনে নিতে হবে। এখানে কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-কাল করার সুযোগ নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যে বিষয়; তিনি বললেন-

 هُوَ الَّذِىْۤ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّيْنِ كُلِّهٖ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا. مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ  

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি নিজেই তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করে পাঠিয়েছি। সমস্ত অতীতের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত এবং অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব মতবাদকে খ-ন করে দিয়ে, বাতিল করে দিয়ে, সম্মানিত হিদায়েত এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম দিয়ে উনাকে আমি পাঠিয়েছি এবং এর জন্য আমিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। 

এ জন্য আমার সম্পর্কে এখানে ‘সালাম’ শব্দ আমি ব্যবহার করিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর সেজন্যই তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা নাযিল করেছেন-

مَا كَانَ لِاَهْلِ الْمَدِيْنَةِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ مِّنَ الْاَعْرَابِ اَنْ يَّتَخَلَّفُوْا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ وَلَا يَرْغَبُوْا بِاَنْفُسِهِمْ عَنْ نَّفْسِهٖ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাদীনা শরীফ এবং উনার আশেপাশে যারা অর্থাৎ আরবী-আজমী কারো জন্য জায়েয হবে না- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নিষেধ মুবারক উনাদের খিলাফ করা, কোনো বিষয়ে পিছিয়ে থাকা (এটা জায়েয হবে না)। এবং কোনো অবস্থাতেই উনার থেকে নিজেকে প্রাধান্য দেওয়াটাও জায়েয হবে না। সেটাই নাযিল করে দেওয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

আর একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে- 

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وَسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰى اَكُوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهٖ وَوَلَدِهٖ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ وَفِىْ رِوَايَةٍ مِنْ مَّالِهٖ وَنَفْسِهٖ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে তোমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর অন্য বর্ণনায় এসেছেন, সমস্ত ধন-সম্পদ থেকে এবং নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত না করবে (ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না)।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, মুসনাদে আহমদ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে বাযযার, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, মুস্তাদরাকে হাকিম, মুসনাদে আবী আওয়ানাহ্, আল মু’জামুল কাবীর, আল মু’জামুল আওসাত্ব, দারিমী, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)

তাহলে সবকিছু থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশি মুহাব্বত করতে হবে, প্রাধান্য দিতে হবে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করতে হবে। সেটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এই প্রসঙ্গে বিশেষ করে আমরা যেটা আলোচনা করেছিলাম, চার জন মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুন্না উনাদের খুছূছিয়াত মুবারক। (১) প্রথম হচ্ছেন- আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার যিনি সম্মানিতা আহলিয়া হযরত উম্মে রুম্মান আলাইহাস সালাম। উনি তাবুকের জিহাদে সমস্ত মাল-সম্পদ বস্তায় ভরে দিয়েছিলেন হাদিয়া মুবারক করার জন্য। তিনি একজন। (২) দ্বিতীয় হচ্ছেন হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিতা আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। তিনি উনার দুইজন ছেলে শহীদ হওয়ার পরও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক দিয়েছিলেন, সেটা যেন কোনো মতেই বাতিল হয়ে না যায়, সেই ব্যাবস্থা করেছেন। তিনি কোনো অবস্থাতেই সন্তানকে প্রাধান্য দেননি। (৩) তৃতীয় হচ্ছেন হযরত আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। যিনি উনার দুই ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন আবূ জেহেলকে হত্যা করার জন্য। তিনি উনার দুই ছেলে উনাদেরকে বলে দিয়েছিলেন যে, আপনারা শহীদ হয়ে যান তাতে কোনো অসুবিধা নেই; কিন্তু আবূ জেহেলকে হত্যা করতেই হবে। উনারা কিন্তু সেটা করেছেন। পরবর্তীতে একজন শহীদ হয়েছেন। (৪) চতুর্থ হচ্ছেন ঐ সম্মানিত হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা- সম্মানিত উহুদের জিহাদে উনার পিতা, ভাই, আওলাদ, আহাল উনারা শহীদ হয়েছেন। উনি শুনেছেন; কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। তিনি শুধু বলেছেন- আমি তো উনাদের সংবাদ শুনতে চাইনি, আমি শুনতে চেয়েছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেমন আছেন। তিনি যখন সে স্থানে পৌঁছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতমিনানী ছূরত মুবারক-এ দেখতে পেলেন, তিনি তখন বললেন- 

كُلُّ مُصِيْبَةٍ بَعْدَكَ زَلَلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهِ عَليْهِ وَسَلَّمَ

‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে ইতমিনানী ছূরত মুবারক-এ দেখে আমার সমস্ত মুছীবত দূর হয়ে গেছে।’ এটা বলে তিনি যমীনে বসে পড়লেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 উনার আহাল, উনার সন্তান, উনার বাবা ও ভাই সকলেই শহীদ হয়ে গেছেন। তিনি কিন্তু চিন্তিত হননি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতমিনানী হাল মুবারক-এ দেখে তিনি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনারাই হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সেটাই বলা হয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে-

فَاِنْ اٰمَنُوْا بِمِثْلِ مَاۤ اٰمَنْتُمْ بِهٖ فَقَدِ اهْتَدَوْا

“যদি তারা ঈমান আনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন সেভাবে, তাহলে অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এটাই হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ফালইয়াফরাহূ শরীফ। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি করে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, আরো বেশি করতে পারলে উনারা আরো বেশী খুশি হবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে কতটুকু করতে হবে সেটা ফিকির করতে হবে। সেটাই

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

অর্থাৎ যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক, মর্যাদা মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। কতটুকু বুলন্দ করেছেন? সে বিষয়ে যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই ভালো জানেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এখন এই ফালইয়াফরাহূ শরীফ উনার মধ্যে উনাদের বুলন্দী শান-মান মুবারক প্রকাশ করতে হবে। এখানে আরেকটা বিষয় রয়ে গেছে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِـيْـنَ مِنْ اَنْـفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٓٗ اُمَّهٰتُـهُمْ

এখানে বলা হচ্ছে- ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের কাছে তাদের জানের চেয়েও বেশি প্রিয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

وَاَزْوَاجُهٓٗ اُمَّهٰتُـهُمْ

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বুলন্দী শান মুবারকও প্রকাশ করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আবার বলা হয়েছে-

وَتَقَلُّبَكَ فِى السّٰجِدِيْنَ

আপনাকে সিজদাকারী উনাদের মাধ্যম দিয়েই স্থানান্তর করা হয়েছে অর্থাৎ যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনার ব্যাপারে যাঁরা সিজদাকারী উনাদেরকে অবলম্বন করা হয়েছে। সিজদাকারী উনাদের মাধ্যম দিয়েই আপনি যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনেছেন। এটা একটা বুলন্দী শান মুবারক। এই যে শান মুবারক, এটাই হচ্ছেন-

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানের দায়িত্ব হচ্ছে, কর্তব্য হচ্ছে, ফরয হচ্ছেন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারকগুলি প্রচার এবং প্রসার করা। এই প্রচার-প্রসার করাটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আর এটাই বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানের হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত, নিসবত-কুরবত হাছিলের সর্বোত্তম একটা মাধ্যম। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক যদি মানুষ না বুঝে, তাহলে সে বর্ণনা করবে কি করে? আর বর্ণনা না করতে পারলে, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফযীলত মুবারক প্রচার-প্রসার করতে না পারলে, সে কি করে নিয়ামত হাছিল করবে? আমরা তো এজন্য অনেক রেসালা শরীফ প্রকাশ করেছি। এই রেসালা শরীফগুলো ব্যাপক প্রচার-প্রসার করা দরকার, এই বুলন্দী শান মুবারক। তাহলে নিসবত-কুরবত হাছিলে সহযোগিতা হবে। এখন ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ এটা অনন্তকাল পালন করতে হবে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি করে যাচ্ছেন, সমস্ত হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা করে যাচ্ছেন, সমস্ত সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সমস্ত জিন-ইনসানকে করতে হবে অনন্তকাল যাবৎ। আমরা যেটা বলে থাকি- হায়াতে, মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে, পুলছিরাতে, জান্নাতে যেয়েও অনন্তকাল যাবৎ করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার মধ্যে মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার, হাক্বীক্বী ছানা-ছিফত মুবারক করার, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


0 Comments: