মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-৮
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নেয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। নিম্নে কয়েকখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-
১.মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ সম্মানিত বিশেষ নূর মুবারক এবং রহমত মুবারক বর্ষণ:
দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
ﻛُـﻨْﺖُ ﻗَﺒْﻞَ ذٰﻟِﻚَ ﺑِـﻤَﻜَّﺔَ ﺍﻟْـﻤُﻌَﻈَّﻤَﺔِ ﻓِـىْ ﻣَﻮْﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِـﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ وَﺳَﻠَّﻢَ ﻓِـﻰْ ﻳَﻮْمِ وِﻻَدَﺗِﻪٖ وَﺍﻟﻨَّﺎسُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْنَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِـﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ وَﺳَﻠَّﻢَ وَﻳَﺬْﻛُـﺮُوْنَ اِرْﻫَﺎﺻَﺎتِهِ ﺍﻟَّﺘِـىْ ﻇَﻬَﺮَتْ ﻓِـىْ وِﻻَدَتِهٖ وَمَشَاهِدَهٗ ﻗَـﺒْﻞَ ﺑَﻌْﺜَـﺘِﻪٖ ﻓَﺮَاَﻳْﺖُ اَﻧْﻮَﺍرًا ﺳَﻄَـﻌَﺖْ دُﻓْﻌَﺔً وَﺍﺣِﺪَةً لَا اَقُوْلُ اِنِّـىْ اَدْرَكْـتُهَا ﺑِـﺒَﺼَﺮِ الْـجَسَدِ وَلَا اَﻗُﻮْلُ اَدْرَكْـتُهَا ﺑِـﺒَﺼَﺮِ ﺍﻟﺮُّوْحِ ﻓَﻘَﻂْ اَﻟﻠﻪُ اَعْلَمُ ﻛَـﻴْﻒَ كَانَ ﺍلْاَﻣْﺮُ ﺑَـﻴْـﻦَ ﻫٰﺬَﺍ وَذٰﻟِﻚَ فَتَاَﻣَّﻠْﺖُ ﺗِﻠْﻚَ الْاَﻧْﻮَارَ ﻓَﻮَﺟَﺪْﺗُّـﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻗِـﺒَﻞِ ﺍﻟْـﻤَﻼَﺋِﻜَـﺔِ الْـمُوَﻛَّﻠِـﻴْـﻦَ ﺑِﺎَﻣْﺜَﺎلِ ﻫٰﺬِﻩِ ﺍﻟْـﻤَﺸَﺎﻫِﺪِ وَﺑِﺎَﻣْﺜَﺎلِ هٰذِهِ ﺍﻟْـﻤَﺠَﺎﻟِﺲِ فَرَاَيْتُ ﻳُـﺨَﺎﻟِﻄُ اَنْوَارُ ﺍﻟْـﻤَﻼَﺋِﻜَـﺔِ اَنْوَارَ ﺍﻟﺮَّﺣْـﻤَﺔِ
অর্থ: “একবার আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ‘মাওলিদুন্নবী’ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক-এ উপস্থিত ছিলাম। লোকজন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করতেছিলেন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রিসালতী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে যে সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিদর্শন বা মু’জিযা শরীফসমূহ প্রকাশিত হয়েছিলেন, সেগুলো আলোচনা করতেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন আমি দেখতে পেলাম, সেখানে এক সাথে অনেক নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হচ্ছেন। আমি বলি না যে, এটা আমি জিসমানী চোখে দেখেছি আর এটাও বলি না যে, তা আমি রূহানী চোখে দেখেছি। একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনিই ভালো জানেন, বিষয়টি ছিলো এ দুটির মাঝামাঝি কেমন যেন একটি অবস্থা! তখন আমি ঐ নূর মুবারকসমূহ নিয়ে গভীরভাবে ফিকির করলাম। অবশেষে আমি বুঝতে পারলাম- এগুলো হচ্ছেন ঐ সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নূর মুবারক, যে সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এ ধরণের মাহফিল মুবারক এবং মজলিস মুবারক উনাদের খিদমত মুবারক-এ নিয়োজিত দায়িত্বশীল হিসেবে উপস্থিত হন। সুবহানাল্লাহ! তারপর আমি দেখলাম- ‘সম্মানিত রহমত মুবারক উনার নূর মুবারক’ এবং ‘হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নূর মুবারক’ মিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (ফুয়ূযুল হারামাইন ৮০-৮১ নং পৃষ্ঠা)
২.মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক পালনকারীর প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ :
দ্বাদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
اَخْـبَـرَنِـىْ سَيِّدِىَ الْوَالِدُ قَالَ كُـنْتُ اَصْنَعُ فِـىْ اَيَّامِ الْـمَوْلِدِ طَعَامًا صِلَةً بِالنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَفْتَحْ لِـىْ سَنَةً مِّنَ السِّنِـيْـنَ شَىْءٌ اَصْنَعُ بِهٖ طَعَامًا فَلَمْ اَجِدْ اِلَّا حِـمَّصًا مَقْلِـيًّا فَقَسَمْتُهٗ بَـيْـنَ النَّاسِ فَرَاَيْـتُـهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وبَـيْـنَ يَدَيْهِ هٰذِهِ الْـحِمَّصُ مُـبْـتَهِجًا بَشَّاشًا
অর্থ: “আমার সম্মানিত পিতা (হযরত আব্দুর রহীম মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি) আমাকে বলেছেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন অর্থাৎ প্রতি বছর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-এ) মাহফিলের ইন্তিজাম করে বিশেষ তাবারুকের ব্যবস্থা করতাম। এক বছর আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি ছোলা ভাজা ব্যতীত আর অন্য কোনো তাবারুকের ব্যবস্থা করতে পারলাম না। (নিরুপায় হয়ে) আমি সেই ছোলা ভাজাগুলোই লোকজনের মধ্যে বিতরণ করে দিলাম। (আমি খুব চিন্তিত হলাম এবং আফসোস করতে থাকলাম যে, বিষয়টা কেমন হলো; এই সামান্য ছোলা ভাজা ব্যতীত বিশেষ কোনো তাবারুকের ব্যবস্থা করা গেলো না!) অতঃপর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট, হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখলাম। আর উনার সামনে ছোলা ভাজাগুলো রাখা।” সুবহানাল্লাহ! (আদ্ র্দুরুছ ছামীন ৯ নং পৃষ্ঠা, আল ইন্তিবাহ ফী সালাসিলি আওলিয়ায়িল্লাহ্)
৩.সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মাক্বাম হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “لِــيَـعْـبُـدُوْنِ (লিইয়া’বুদূন) থেকে لِــيُـصَلُّـوْنِ (লিইউছল্লূন) পর্যন্ত ৮টি মাক্বাম মুবারক রয়েছেন। সেগুলো হচ্ছেন-
১. لِــيَــعْـبُـدُوْنِ - (লিইয়া’বুদূন) ইবাদতের মাক্বাম। তারপর
২. لِــيُـحْسِنُــوْنِ - (লিইউহ্সিনূন) ইহ্সানের মাক্বাম। তারপর
৩. لِــيَــقْـرَبُــوْنِ - (লিইয়াক্ব্রবূন) কুরবতের মাক্বাম। তারপর
৪. لِــيَــعْرِفُــوْنِ - (লিইয়া’রিফূন) মা’রেফতের মাক্বাম। তারপর
৫. لِــيُـحِـبُّــوْنِ - (লিইউহিব্বূন) মুহব্বতের মাক্বাম। তারপর
৬. لِــيَشْرَحُـوْنِ - (লিইয়াশ্রহূন) শরহে ছুদূরের মাক্বাম। তারপর
৭. لِــيَــفْرَحُـوْنِ - (লিইয়াফ্রহূন) ফালইয়াফরহূ শরীফ উনার মাক্বাম। তারপর
৮. لِــيُـصَلُّـوْنِ - (লিইউছল্লূন) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
ইবাদত বন্দেগী করতে করতে ইহ্সানের দরজায় পৌঁছবে, ইহ্সানের দরজা থেকে কুরবত হাছিল করবে, কুরবতের থেকে মা’রেফাত হাছিল করবে, মা’রেফাত থেকে মুহব্বত হাছিল করবে, মুহব্বত থেকে তার শরহে ছুদূর হবে, শরহে ছুদূরের কারণে সে খুশি প্রকাশ করবে এবং তখনই তার পক্ষে لِــيُـصَلُّـوْنِ (লিইউছল্লূন) এর মাক্বাম অর্জন করা সম্ভব হবে।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ ১/২৫৫)
পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই এই ৮টি মাক্বাম মুবারক প্রকাশ করেন। ইতিপূর্বে কেউ এই ৮টি মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে জানতো না’; হাছিল করার তো প্রশ্নই উঠে না। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম, যা সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
৪.সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া:
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করার জন্য কোশেশ করতে হবে এবং প্রত্যেক সুন্নাত মুবারক ইত্তেবা করতে হবে যতটুক সম্ভব। তখন তার জন্য কামিয়াবী। এছাড়া কামিয়াবী হবে কোথা থেকে? এই জন্য তো আমরা বলি- এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ যে পালন করবে, কার জন্য করবে? এটা করতে পারলে সে চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছলো। এরপরে আর কোনো মাক্বাম নেই। এটাই শেষ মাক্বাম। ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শেষ মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার মাক্বাম উনার উপরে আর কোনো মাক্বাম আছে? না। তাহলে আর কি? তাহলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে থাকুক। সেটাই আমরা বলতেছি। তাহলে এখানে গাফলতী কেন? এখানে কেন গাফলতী থাকবে? তাহলে তুমি কি করতে চাও? এরপরে তো আর কোনো মাক্বাম নেই।
এখন মানুষ যিকির করে না, ফিকির করে না, তাছাউফ বুঝে না। যার জন্য তারা এগুলি বুঝে না। বান্দার তরফ থেকে ‘আবদিয়াতের মাক্বাম’ শেষ মাক্বাম। আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক’ হচ্ছেন শেষ মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
মহান আল্লাহ পাক উনি তো অসীম। ঐ যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে আমাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক-এ বসালেন- একবারে শেষ সীমানা। এরপর আর কিছুই নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) একবারে শেষ প্রান্তে। এই প্রান্তটা শেষ এখানে। আর এখানে আসন মুবারকগুলি। এরপরে আর কিছুই নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম, যা সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (সোমবার রাতে) ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তো অসীম। মহান আল্লাহ পাক উনার কি কোনো শেষ আছে? তারপরও দেখা গেলো এটা একটা শেষ প্রান্ত। এরকম। শেষ প্রান্ত- শেষ প্রান্তের মধ্যে দুই পাশে দুইটা বড় আসন। (বাম দিকে) এই আসন মুবারকখানা হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার, (ডান দিকে) এই আসন মুবারকখানা হচ্ছেন নূরে মুজাসাসম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার। দুইখানা আসন মুবারক সমান। একখানা আসন মুবারক ছিলেন পিছনে। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজে উনার কুদরতী হাত মুবারক-এ ঐ আসন মুবারকখানা এনে দুই আসন মুবারক উনাদের মাঝামাঝি স্থানে বসালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বসিয়ে আমাকে বললেন যে, আমি যে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করি, এজন্য আমাকে এই মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) পরে আমাকে এনে বসিয়ে দিলেন। আসন মুবারকখানা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে এনেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এনে আসন মুবারকখানা বসিয়েছেন। আসন মুবারকখানা বসায়ে আমাকে সে আসন মুবারকে বসিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আসন মুবারকখানা উপর দিয়ে এনে মধ্যখানে বসিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এটা দেখা গেলো- এখানে সীমানা শেষ। এখন উচ্চতায় অনেক উঁচুতে, এর উপরে আর কিছু নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর এটা হলো মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে। এই ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সবচেয়ে সর্বোচ্চ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মাক্বাম মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আমি দেখলাম- স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনি আসন মুবারকখানা পিছন থেকে এনে মধ্যে বসালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বসায়ে বললেন যে, আমি যে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করি, এজন্য আমাকে এই মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমাকে বসালেন, বসলাম। এইভাবে, এইভাবে সামনে মুখ। এই দিকে (ডানে) এই দিকে (বামে) দুইজন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এখানে (ডানে), এখানে (বামে) মহান আল্লাহ পাক উনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
ঐ যে পরে যে আবার ওই আসন মুবারক- সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ যেটা যাহির হয়েছিলো। ওই আসন মুবারকই। বিরাট বড় বড় আসন মুবারক এগুলি। অনেক বড়।
আরজী: আসন মুবারকখানা কি রকম? পিছনে কিছু আছে?
জওয়াব মুবারক: হ্যাঁ; সবই আছে। হ্যান্ডেলসহ সব আছে। এখন সংক্ষিপ্তভাবে বললে- সম্মানিত আরশে আযীম উনার মতো। হ্যান্ডেলসহ সবই আছে। কি রকম বলবো এটা? এটা ছোফা চেয়ার বা গদীর মতো। খুব শান-শওকত মুবারক সম্পন্ন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) অনেক চওড়া, মোটামুটি অনেক বড়। খুব আরামে বসা যায়। ছূরতে এটা অনেক বড়। মোটামোটি যথেষ্ঠ বড়। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি একপাশে আছেন। মহান আল্লাহ পাক উনি নিজেই ব্যবস্থা করালেন এটা। উনি নিজেই করালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এজন্য সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বেশি বেশি পালন করা উচিত। এখন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার যে কোনো মাক্বাম আছে, এটাই তো কেউ জানাতো না। মাক্বামের এই হাল মুবারক, এই অবস্থা মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন যতো করা যায়, যতো বেশি করা যায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ২৪ ঘন্টাই করে যাচ্ছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এই জন্য বললাম যে, মুহাব্বতে করা উচিত। মুহব্বতের কোনো বদলা নেই। অন্য কিছুর বদলা আছে। যতটুক করা যায়।”
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে যিলক্বদ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বামটা কঠিন একটা বিষয়। এই মাক্বামটা তো মানুষ হাছিল করতে পারেনি। এটা অনেক বড় মাক্বাম। এটা আমাকে দেখানো হয়েছে এবং হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে অর্থাৎ দান করা হয়েছে এবং এই আসনের উপর উপবেশন করানো হয়েছে অর্থাৎ বসানো হয়েছে অর্থাৎ দেয়া হয়েছে। এটা অনেক বড় মাক্বাম। এটা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এটা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মধ্যে মাক্বামটা। আসন মুবারকগুলো কাছাকাছি। আমি আদবের জন্য (বিনয় মুবারক প্রকাশার্থে) আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারকখানা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারকখানা) নুইয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু কাছাকাছি সমান। মানুষ তো এগুলো বুঝবে না। বিরাট মাক্বাম এটা। এটা তো মানুষের আক্বল-বুদ্ধি, সমঝের বাইরে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ শরীফ ১/১৯০)
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মাল-জান সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment