মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-৭
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নেয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। নিম্নে কয়েকখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-
১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আয়োজিত মাহফিল মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক:
বিশিষ্ট বুযূর্গ, আরিফ বিল্লাহ, মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী হযরত শায়েখ ঈসা ইবনে হাসান ইবনে বাকরী ইবনে আহমদ বায়ানূনী শাফিয়ী নকশাবন্দী মুহম্মদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ১২৯০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ১৩৬২ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَكُـنْتُ مُعْتَادًا اَنْ اَجْـمَعَ النَّاسَ عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ فِـىْ بَـيْـتِـىْ لَيْلَةَ الثَّانِـىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْعِ الْاَوَّلِ وَعَلـٰى قِرَاءَةِ الْمِعْرَاجِ فِـىْ لَيْلَةِ السَّابِعِ وَالْعِشْرِيْنَ مِنْ رَّجَبَ مِنْ كُلِّ سَنَةٍ زِيَادَةً عَلـٰى لَيْلَةِ الْاِثْنَـيْـنِ الْـمُسْتَمِرَّةِ وَكُـنْتُ اَصْنَعُ فِـىْ هَاتَـيْـنِ اللَّـيْلَـتَـيْـنِ ضِيَافَةً فَجَاءَتْ لَيْلَةُ الثَّانِـىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْعِ الْاَوَّلِ وَاَنَا ضَيِّقُ ذَاتِ الْيَدِ فَاغْتَمَمْتُ لِذٰلِكَ وَجِئْتُ اِلَـى الْـبَيْتِ ضَحْوَةَ الْـيَوْمِ الْـحَادِىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْعِ الْاَوَّلِ فَوَجَدْتُّ فِـيْهِ سَـمْنًا وَاَرُزًّا وَاَنْوَاعًا اُخَرَ مِنَ الطَّعَامِ فَسَاَلْتُ اَهْلِـىْ مِنْ اَيْنَ هٰذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللهِ جَاءَ بِهٖ فُلَانٌ تَعْنِـىْ ذٰلِكَ الرَّجُلَ الصَّالِحَ الَّذِىْ رَاَى النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـى الْـمَنَامِ يَقُوْلُ لَهٗ اَهْلُ جَـمْعِـيَّةِ الْـمَوْلِدِ تَـحْتَ حِـمَايَــتِـىْ فَعَجِبْتُ مِنْ ذٰلِكَ لِاَنَّهٗ مُعْسِرٌ فَلَمَّا رَاَيْـتُهٗ عَاتَـبْـتُـهٗ عَلـٰى مَا فَعَلَ فَقَالَ مَا اَرْسَلْتُ شَـيْـئًا مِنْ تِـلْقَاءِ نَفْسِىْ وَاِنَّـمَا رَاَيْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـى النَّوْمِ فَقَالَ اَخُوْكَ الشَّيْخُ حَضْرَتْ عِيْسٰى رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يُرِيْدُ اَنْ يَّعْمَلَ الْـمَوْلِدَ وَمَا عِنْدَهٗ شَىْءٌ فَعَاوِنْهُ فَامْتَثَلْتُ اَمْرَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِـمَا اسْتَطَعْتُ
অর্থ: “আমার আদত বা অভ্যাস মুবারক ছিলো যে, আমি প্রতি বছর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-এ) মাওলিদ শরীফ পাঠের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার ঘটনা মুবারকসমূহ পাঠের উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে লোকজন একত্রিত করে সম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করা। এই ২টি মাহফিল মুবারক ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল আ’যীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) যেই ধারাবাহিক মজলিস মুবারক অনুষ্ঠিত হতেন, তার বাইরে, আমি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুই রাত্র মুবারক-এ বিশেষভাবে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করতাম। সুবহানাল্লাহ! একবার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) আসলেন, তখন আমি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলাম না। যার কারণে আমি বিষণ্ব হলাম, আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সকালে চাশতের সময় বাড়িতে আসলাম। তখন আমি বাড়িতে এসে ঘি, রুটি এবং বিভিন্ন রকমের খাদ্য-দ্রব্য দেখতে পেলাম। আমি আমার সম্মানিতা আহলিয়া উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এগুলো কোথা থেকে আসলো?’ তখন তিনি বললেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে। সুবহানাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি এগুলো নিয়ে এসেছেন।’ তিনি ঐ নেককার ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করেছেন- যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ ব্যক্তিকে বলেছেন,
اَهْلُ جَـمْعِـيَّـةِ الْـمَوْلِدِ تَـحْتَ حِـمَايَــتِـىْ
‘জামইয়্যাতুল মাওলিদ’ মজলিসের সদস্যগণ আমার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন, আমার নযর-করম, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি, রহমত মুবারক উনার মধ্যে রয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ! তখন আমি এতে আশ্চর্য হলাম। কারণ তিনি একজন দরিদ্র ব্যক্তি। এরপর আমি যখন উনাকে দেখলাম, তখন তিনি যা করেছেন সেজন্য আমি উনাকে কিছু কথা বললাম অর্থাৎ আমি উনাকে বললাম যে, আপনি নিজেই একজন দরিদ্র বা অস্বচ্ছল লোক, আপনি এ কাজ করতে গেলেন কেন্? জবাবে তিনি বললেন, আমি নিজের পক্ষ থেকে কোনো কিছু পাঠাইনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি স্বপ্নে দেখেছি, সরাসরি তিনিই আমাকে বলেছেন,
اَخُوْكَ الشَّيْخُ حَضْرَتْ عِيْسٰى رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يُرِيْدُ اَنْ يَّعْمَلَ الْـمَوْلِدَ وَمَا عِنْدَهٗ شَىْءٌ فَعَاوِنْهُ
‘আপনার সম্মানিত ভাই হযরত শায়খ ঈসা বায়ানূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাওলিদ শরীফ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন; কিন্তু উনার নিকট কোনো কিছুই নেই। কাজেই আপনি উনাকে সহযোগিতা করুন।’ সুবহানাল্লাহ! তাই আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক পালন করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (ফাতহুল মুজীব ফী মাদহিল হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪২ পৃ.)
২. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ খাদ্য-সামগ্রী অর্থাৎ টাকা-পয়সা দিয়ে আর্থিকভাবে শরীক থাকার জন্য স্বপ্নযোগে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক:
বিশিষ্ট বুযূর্গ, আরিফ বিল্লাহ, মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী হযরত শায়েখ ঈসা ইবনে হাসান ইবনে বাকরী ইবনে আহমদ বায়ানূনী শাফিয়ী নকশাবন্দী মুহম্মদী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ১২৯০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ১৩৬২ হিজরী শরীফ) উনার সম্পর্কে উনার নাতী মুহম্মদ আবুল ফাত্হ বায়ানূনী তিনি বলেন,
كَانَ مِنْ عَادَةِ الْـجَدِّ حَضْرَتْ اَلشَّيْخِ عِـيْسَى الْـبَيَانُوْنِـىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنْ يَّـحْتَفِلَ بِـمُنَاسَبَةِ الْمَوْلِدِ النَّبَوِىِّ الشَّرِيْفِ سَنَوِيًّا بِاِقَامَةِ وَلِـيْمَةِ طَعَامٍ مَفْتُوْحَةٍ لِلْمُحِبِّـيْـنَ عَامَّةً يَـحْضُرُهَا الْفُقَرَاءُ وَالْاَغْنِيَاءُ يُـنْـفِقُ فِـيْهَا تَـقْرِيْبًا كُلَّ مَا يَـمْلِكُ مِنْ مَّالٍ فِـىْ تِلْكَ الْاَيَّامِ ثُـمَّ مَرَّتْ عَلَيْهِ سَنَةٌ ﻻَ يَـمْلِكُ فِـيْهَا شَـيْـئًا يُـنْفِقُهٗ فِـىْ هٰذِهِ السَّبِيْلِ فَرَكِـبَهُ الْـهَمُّ الْكَـبِـيْـرُ وَالْـحُزْنُ الشَّدِيْدُ عَلـٰى اِضْطِرَارِهٖ اِلـٰى تَغْيِـيْـرِ عَادَتِهٖ وَفَرْحَتِهٖ وَاَخَذَ يَـبْكِـىْ بُكَاءَ الْاَطْفَالِ كُلَّمَا قَرَبَتِ الْمُنَاسَبَةُ حَتّٰـى اَثَرَ ذٰلِكَ عَلـٰى صِحَّتِهِ الْعَامَّةِكَمَا ذَكَرَ لِـىَ الْوَالِدُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَلَـمْ يَكُنْ بِـاِمْكَانَاتِـهِمُ الْمَادِّيَّةِ مُسَاعَدَتُهٗ فَعَمَّ الْـحُزْنُ جَـمِيْعَ مَنْ حَوْلَهٗ وَقَبْلَ الْمَوْعِدِ الْمُعْتَادِ لِلْحَفْلَةِ بِـيَوْمَـيْـنِ اَوْ ثَلَاثَةِ قُرِعَ بَابُ الْـبَيْتِ الَّذِىْ كَانَ يَسْكُـنُهٗ دَاخِلَ مَسْجِدِ اَبِـىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فِـى الْـجُبَيْلَةِ فِـىْ سَاعَةٍ مُتَاَخِّرَةٍ مِّنَ اللَّيْلِ فَخَرَجَ اَحَدُ اَبْنَائِهٖ يَفْتَحُ الْبَابَ فَفُوْجِئَ بِرَجُلٍ مَعَهٗ دَابَّةٌ مُـحَمَّلَـةٌ بِاَلْوَانِ الطَّـعَامِ وَاَخَذَ يُفْرِغُ الْـحَمُوْلَةَ قَائِلًا هٰذَا لِسَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلشَّيْخِ عِيْسٰى رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَـتَعَجَّبَ الْـجَدُّ مِـمَّا يُـحَدِّثُ وَاَلْقٰى عَلَيْهِ لِبَاسَهٗ وَخَرَجَ مُسْرِعًا مُسْتَفْسِرًا عَمَّا يَـجْرِىْ وَلَـحِقَ بِالشَّخْصِ وَقَدْ عَادَ وَتَعَرَّفَ عَلَيْهِ وَعَرَّفَهٗ تَاجِرًا مَعْرُوْفًا مِنْ تُـجَّارِ حَلَبَ وَسَاَلَهٗ عَمَّا فَعَلَ مُتَعَجِّبًا فَقَالَ لَهٗ يَا شَيْخُ وَاللهِ اِنِّــىْ لَـمْ اَرَى النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنَامًا فِـىْ عُمْرِىْ كُلِّهٖ اِﻻَّ هٰذِهِ اللَّيْلَةِ فَرَاَيْتُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَخَذَ يُعَاتِـبُنِـىْ عِتَابًا شَدِيْدًا قَائِلًا لِـىْ يَا فُلَانُ كَـيْفَ تَسْتَطِـيْعُ النَّوْمَ فِـىْ بَيْتِكَ وَالشَّيْخُ عِيْسَى الْبَيَانُوْنِـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَبْكِـىْ ﻻَ يَنَامُ لِاَنَّهٗ ﻻَ يَـجِدُ مَا يُنْفِقُهٗ كَعَادَتِهٖ عَلـٰى حَفْلِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ قَالَ فَاسْتَيْقَظْتُ سَعِيْدًا بِرُؤْيَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَـمْ اَعِدْ اَسْتَطِيْعُ النَّوْمَ وَاَيْقَظْتُ جَارًا لِـىْ عِنْدَهٗ دَابَّةٌ حَـمُوْلَةٌ وَاَخَذْتُهٗ اِلـٰى مَتْجَرِىْ وَاَحْضَرْتُ لَكَ مَا اَحْضَرْتُ فَتَاَثَّرَ الْـجَدُّ بِـهٰذِهِ الرُّؤْيَا الْكَرِيْـمَةِ الَّتِـىْ فَرَجَتْ عَنْهُ هَـمًّا وَغَمًّا رَكِـبَهٗ مُنْذُ مُدَّةٍ وَاسْتَبْشَرَ بِـهَا خَـيْـرًا وَعَمِلَ طَعَامًا عَلـٰى عَادَتِهٖ فِـىْ لَيْلَةِ الْمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ وَاسْتَمَرَّ عَلَيْهَا حَتّٰـى وَفَاتِهٖ فِـى الْمَدِيْنَةِ الْمُنَوَّرَةِ وَتَـمَّ دَفَنُهٗ فِـىْ رَوْضَةِ الْبَقِيْعِ
অর্থ: “সম্মানিত দাদা হযরত শায়েখ ঈসা বায়ানূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আদত বা অভ্যাস মুবারক ছিলো, প্রতি বছর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষভাবে খাবারের ব্যবস্থা করে মেহমানদারী করার মাধ্যমে মাহফিল মুবারক করা। সুবহানাল্লাহ! এই মাহফিল মুবারক মুহাব্বতকারী সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিলেন। সেখানে ধনী-গরীব সকলেই উপস্থিত হতেন। বিগত দিনসমূহে তিনি যতো সম্পদ উপার্জন করতেন, তার প্রায় সবই মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খরচ করে ফেলতেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনার এমন একটি বছর আসলো যে, এই রাস্তায় অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খরচ করার মতো উনার নিকট কোনো কিছুই ছিলোনা। ‘উনার আদত প্রতি বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে বিশেষভাবে খাবারের ব্যবস্থা করে মুহিব্বীন-আশিকীন, ধনি-গরীব সবাইকে মেহমানদারী করার মাধ্যমে মাহফিল মুবারক করা এবং খুশি মুবারক প্রকাশ করা’ উনার অনীচ্ছা সত্ত্বেও উনার এই আদত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশের বিষয়টি এ বছর পরিবর্তন হতে যাচ্ছে অর্থাৎ এ বছর তা করা যাচ্ছে না বিধায়, অনেক বড় চিন্তা এবং কঠিন দুঃখ, কষ্ট, বিষণœতা উনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। উপলক্ষ অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার সময় যতোই নিকটবর্তী হচ্ছিলেন, ততোই তিনি বাচ্চা শিশুর মতো কান্না করছিলেন। এমনকি উনার শরীরে (চেহারায়) চিন্তার ছাপ ব্যাপকভাবে প্রকাশ পাচ্ছিলেন; যেমনটি আমার সম্মানিত পিতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। কিন্তু (জাময়্যিাতুল মাওলিদ সংগঠনের সদস্যগণ) উনারাও উনাকে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করতে সক্ষম ছিলেন না। দুঃখ, কষ্ট, বিষণœতা উনার চারপাশের সবাইকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। মাহফিল মুবারক উনার নির্দিষ্ট সময়ের দুই অথবা তিন দিন পূর্বে গভীর রাতে জুবাইলার ‘মসজিদে আবী যর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু’ উনার যেই বাড়িতে তিনি থাকতেন সেই বাড়ির দরজার কড়ায় নাড়া পড়লো। দরজা খোলার জন্য উনার একজন ছেলে বের হলেন। তখন উনাকে এক ব্যক্তি অবাক করলেন, যাঁর সাথে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য-দ্রব্যসহ একটি পশু ছিলো। ঐ ব্যক্তি খাদ্য-দ্রব্য নামাতে নামাতে বলছিলেন, এটা হযরত শায়খ ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জন্য। (মুহম্মদ আবুল ফাত্হ বায়ানূনী তিনি বলেন,) দাদা ঐ ব্যক্তির কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে পোশাক পরিধান করে সংঘটিত বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য দ্রুত বের হয়ে ঐ ব্যক্তির নিকট আসলেন এবং (উনাকে নিয়ে ঘরে) ফিরে এসে উনার পরিচয় জানতে চাইলেন। ঐ ব্যক্তি পরিচয় দিলেন যে, তিনি হালবের একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী। (দাদা) আশ্চর্য হয়ে ঐ ব্যক্তি যা করেছেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন ঐ ব্যক্তি দাদাকে বললেন, ‘হে শায়খ! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! এই রাত্র ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি আমার জীবনে কখনো স্বপ্নে দেখিনি। আমি (আজ রাতে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেছি যে, তিনি আমাকে অত্যন্ত কঠিনভাবে তিরস্কার করে বলছেন, ‘হে ব্যক্তি! তুমি কিভাবে তোমার বাড়িতে ঘুমাতে পারো? অথচ শায়খ ঈসা বায়ানূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কান্না করছেন, ঘুমাতে পারছেন না। কেননা উনার অভ্যাস অনুযায়ী তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে যে মাহফিল মুবারক করতেন তাতে খরচ করার জন্য কোনো কিছু পাচ্ছেন না।’ ঐ ব্যক্তি বলেন, অতঃপর আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখে সৌভাগ্যবান হিসেবে ঘুম থেকে জাগ্রত হই। আমি পুনরায় ঘুমাতে সক্ষম হইনি। এরপর আমি আমার এক প্রতিবেশীকে জাগ্রত করলাম যার নিকট ভারবাহী পশু ছিলো। আমি তাকে নিয়ে আমার ব্যবসাকেন্দ্রে গিয়ে যা প্রস্তুত করতে পেরেছি, তা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। এই সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক দ্বারা দাদা প্রভাবিত হলেন। এই স্বপ্ন মুবারক উনার দীর্ঘ দিন ধরে বহন করা দুঃখ-কষ্টকে দূর করে দিলো। সুবহানাল্লাহ! এই স্বপ্ন মুবারক উনার কারণে তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন। আর তিনি উনার অভ্যাস অনুযায়ী মাওলিদ শরীফ উনার রাতে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ উনার রাতে খাদ্য প্রস্তুত করে বিশেষ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ উনার বিছাল শরীফ পর্যন্ত তিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার রাতে ওলীমাহ্ বা মেহমানদারির ব্যবস্থা করার বিষয়ে ইস্তিকামত থাকেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ-এ উনার দাফন সম্পন্ন করা হয়।” সুবহানাল্লাহ!
৩. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের বিশেষ সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ:
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। বলি তোমাদের ঈমান-আক্বীদার জন্য সুবিধা হবে। দেখলাম- একটা জিহাদের মতো। মহান আল্লাহ পাক উনি হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম উনাকে দায়িত্ব দিলেন যাতে আমাদের কামিয়াবী হাছিল হয়। তারপর দেখলাম- হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা সামনের বাহনে করে যাচ্ছেন আমাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া ও জিহাদে কামিয়াবী লাভের লক্ষ্যে। আমরা দ্বিতীয় বাহনে রয়েছি। তখন দেখতে পেলাম, আমাদের বাহনের মাঝামাঝি স্থানে হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আছেন। তিনি আস্তে আস্তে পিছন দিক থেকে বাম দিক দিয়ে এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছেন। দেখা গেলো, খুব বিনয় প্রকাশ করছেন। আমি বললাম, ‘আপনি এটা করেন কী?’ উনি আমাকে বললেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন।’ আমি বললাম, ‘আরে আমি আপনার জন্য দোয়া করবো; না আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন?’ উনি খুব জড়িয়ে ধরেছেন। উনার মূল বক্তব্য হলো, আমরা উনার ভাষায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য অনেক কিছু করতেছি (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেছি)। এজন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাদের প্রতি অনেক খুশি হয়েছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুব খুশি হওয়ার কারণে হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি এসে আমার কাছে দোয়া চাচ্ছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মানে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং মহান আল্লাহ পাক উনি অর্থাৎ উনারা খুব খুশি। দোয়া করবেন আমার জন্য। উনি পিছন দিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। আমি বললাম, ‘আপনি করেন কি এটা? আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনি একজন জলীলুল কদর রসূল।’ উনি বললেন, হ্যাঁ; তবে আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন।’ আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এতো কিছু করতেছি, এ জন্য মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা খুব সন্তষ্ট। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সেটাই বললাম, প্রকৃতপক্ষে উনারা সব জানেন, দেখেন, শুনেন। খুশি হবেন না কেন? আমরা করি; খুশি হবেন। যে বাহনে আমরা জিহাদ করার জন্য যাচ্ছিলাম, ওই বাহনে হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনিও ছিলেন। পিছন দিয়ে উনি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি উনাকে বললাম, ‘ছেড়ে দেন আমাকে।’ উনি খুব বিনয় প্রকাশ করছেন। দোয়া চাচ্ছেন। আমি বললাম- এভাবে আমার কাছে দোয়া চান কেন? উনার বক্তব্য হলো, আমরা যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এতো কিছু করতেছি, এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা অনেক খুশি। সেই মুহাব্বতে এসে উনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
সেটাই বললাম যে, আমরা তো কিছুই করিনি। (সামনে আরো কত সুন্দরভাবে ও ব্যাপক আকারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ পালন করা যায়) শুধু (সেই বিষয়ে) আলোচনা করতেছি। আলোচনা করতেছি, তাতেই খুশি হয়েছেন। তাহলে করলে আরো কতো খুশি হবেন।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত সৃষ্টির চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মাল-জান সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment