মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-৩
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নিয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। নিম্নে কয়েকখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-
১.মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ যিয়ারত ও ঈমান মুবারক লাভ:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اِنَّهٗ كَانَ فِـى الْبَصْرَةِ رَجُلٌ يَعْمَلُ فِـىْ كُلِّ سَنَةٍ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ يُذْهِبُ فِيْهِ مَالًا كَـثِيْـرًا وَكَانَ مُجَاوِرَهٗ رَجُلٌ يَهُوْدِىٌّ يُـحِبُّ هٰذَا الْعَمَلَ فَقَالَتْ لَهٗ زَوْجَتُهٗ مَا بَالُ جَارِنَا الْـمُسْلِمِ فِـىْ هٰذَا الشَّهْرِ يُذْهِبُ مَالًا كَثِـيْـرًا فَقَالَ لَـهَا زَوْجُهَا يَزْعَمُ اَنَّ نَبِيَّه قَدْ وُلِدَ فِـىْ هٰذَا الشَّهْرِ فَدَخَلَ فِـىْ قَلْبِهَا مَـحَبَّةً عَلـٰى هٰذَا الْعَمَلِ فَلَمَّا كَانَتْ تِلْكَ اللَّيْلَةُ رَاَتْ فِـى الْـمَنَامِ رَجُلًا عَلَيْهِ اَنْوَارٌ وَهَيْبَةٌ وَوَقَارٌ يَدْخُلُ بَيْتَ جَارِهَا الْمُسْلِمِ وَهُوَ بَيْنَ اَصْحَابِهٖ يَتَخَيَّرُ فَقَالَتْ مَنْ هٰذَا الَّذِىْ هُوَ كَثِيْرُ الْاَنْوَارِ مَلِيْحُ اللَّوْنِ قَالُوْا لَـهَا هٰذَا هُوَ النَّبِـىُّ الْمُخْتَارُ الَّذِىْ اَرْسَلَهُ اللهُ تَعَالـٰى فَقَالَتْ اَيُكَلِّمُنِـىْ اِذَا كَلَّمْتُهٗ فَقَالُوْا لَـهَا اِنَّهٗ لَيْسَ بِـمُتَكَبِّرٍ وَلَا مُتَجَبِّرٍ فَقَالَتْ لَهٗ يَا سَيِّدَنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَـهَا لَبَّيْكِ فَقَالَتْ لَهٗ يَا حَبِيْبِـىْ اَتُـجِيْبُنِـىْ بِلَبَّيْكِ وَاَنَا عَلـٰى غَيْرِ دِيْنِكَ وَمِنْ اَعْدَائِكَ فَقَالَ لَـهَا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِىْ بَعَثَنِـىْ بِالْـحَقِّ نَبِيًّا وَبِالرِّسَالَةِ نَـجِيًّا مَا اَجَبْتُكِ بِذٰلِكَ حَتّٰـى عَلِمْتُ اَنَّ اللهَ قَدْ هَدَاكِ لِلْاِسْلَامِ فَقَالَتْ اِنَّكَ اَنْتَ النَّبِـىُّ الْكَرِيْـمُ وَاِنَّكَ لَعَلـٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ اُمْدُدْ يَدَكَ اِلَـىَّ فَاَنَا اَشْهَدُ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّكَ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُـمَّ نَذَرَتْ عَلـٰى نَفْسِهَا اَنَّـهَا اِذَا اَصْبَحَتْ تَتَصَدَّقُ بِـجَمِيْعِ مَا تَـمْلِكُ فَرْحًا بِاِسْلَامِهَا فَلَمَّا اَصْبَحَتْ رَاَتْ زَوْجَهَا قَدْ هَيَّاَ فِـىْ وَلِيْمَةٍ وَهُوَ فِـىْ هِمَّةٍ عَظِيْمَةٍ صَالِـحَةٍ فَقَالَتْ لَهٗ هِـمَّةٌ صَالِـحَةٌ قَالَ لَـهَا لِاَجْلِ الَّذِىْ اَسْلَمْتِ عَلـٰى يَدَيْهِ الْبَارِحَةَ فَقَالَتْ لَهٗ مَنْ كَشَفَ لَكَ هٰذَا الْاَمْرَ وَاَطْلَعَكَ عَلَيْهِ قَالَ الَّذِىْ اُرْسِلَ اِلَيْكِ اُرْسِلَ اِلَـىَّ فَاَسْلَمَا وَحَسُنَ اِسْلَامُهُمَا بِبَرَكَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “বছরা শহরে এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি প্রতি বছর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি এই উপলক্ষে অনেক মাল-সম্পদ বিলিয়ে দিতেন, খরচ করতেন অর্থাৎ অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে মাহফিল মুবারক করতেন এবং মেহমানদারীর আয়োজন করতেন। সুবহানাল্লাহ! উনার একজন ইহুদী প্রতিবেশী ছিলো। সে এই আমল মুবারকখানা পছন্দ করতো। একবার ঐ ইহুদী ব্যক্তির আহলিয়া তাকে বললো- ‘আমাদের মুসলিম প্রতিবেশী উনার কি হলো যে, তিনি এই (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে অনেক মাল-সম্পদ বিলিয়ে দেন, খরচ করেন?’ তখন ইহুদী ব্যক্তি তার আহলিয়াকে বললো, ‘তিনি বিশ্বাস করেন যে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।’ তখন মহিলার অন্তরে এই সম্মানিত আমল মুবারক উনার প্রতি মুহব্বত পয়দা হলো। অতঃপর যখন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্র মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্র মুবারক আসলেন, তখন ঐ মহিলা অত্যন্ত নূরানী, মর্যাদা সম্পন্ন এবং ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি ঐ মুসলিম প্রতিবেশীর ঘরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারাও এসেছেন। উনারা উনাকে অত্যন্ত সম্মানিত তা’যীম-তারকীম মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন ঐ মহিলা বললো, ‘এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনি কে? যিনি অত্যন্ত উজ্জ্বল-নূরানী, লাবণ্যময় সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারী!’ তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা তাকে বললেন- ‘তিনি হচ্ছেন ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মনোনীত নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, কায়িনাতের মালিক ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন, দুনিয়ার যমীনে প্রেরণ করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর ঐ মহিলা বললো, ‘যদি আমি উনার সাথে কথা বলি, তাহলে তিনি কি আমার সাথে কথা মুবারক বলবেন?’ উনারা তাকে বললেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি অত্যন্ত দয়ালু ও করুণাময়। (তিনি সবার ডাকেই সাড়া দেন।)’ তারপর ঐ মহিলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করলে তিনি দয়া করে তার ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন- ‘লাব্বাইক!’ তখন ঐ মহিলা বললো, ‘ইয়া হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি ‘লাব্বাইক’ বলে আমার ডাকে সাড়া দিচ্ছেন; অথচ আমি বিধর্মী এবং আপনার শত্রু?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে বললেন, ‘ঐ মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! যিনি আমাকে সত্যসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী হিসেবে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রিসালত মুবারকসহ হাবীব মাহবূব হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন, পাঠিয়েছেন। আমি জানি যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে সম্মানিত মুসলমান হিসেবে ক্ববূল করে নিয়েছেন। তাই আমি ‘লাব্বাইক’ বলে তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি।’ তখন ঐ মহিলা বললেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং নিশ্চয়ই আপনি সুমহান চরিত্র মুবারক উনার অধিকারী। (ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে) আপনি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) আমার জন্য প্রসারিত করে দিন-فَاَنَا اَشْهَدُ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّكَ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’
অতঃপর ঐ মহিলা তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার খুশিতে (রাতেই) নিজে নিজে নিয়ত করলেন যে, সকাল হলেই তিনি উনার মালিকানায় থাকা সমস্ত মাল-সম্পদ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মনার্থে) বিলিয়ে দিবেন। তারপর যখন সকাল হলো, তখন ঐ মহিলা দেখলেন উনার আহাল তিনি সুমহান নেক আগ্রহ নিয়ে একটি ওলীমা মুবারক অর্থাৎ বিশেষ মেহমানদারীর আয়োজন করছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন ঐ মহিলা তিনি উনার আহাল উনাকে বললেন, এতো ভালো উদ্যোগ কিসের জন্য? তিনি উনার আহলিয়াকে বললেন, গত রাতে আপনি যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেছেন, উনার সম্মানার্থে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে আমি এই বিশেষ মেহমানদারীর আয়োজন করেছি। সুবহানাল্লাহ! তখন ঐ মহিলা তিনি উনার আহালকে বললেন- এই বিষয়টি আপনার নিকট কে প্রকাশ করলেন? এই ব্যাপারে আপনাকে কে জানিয়েছেন? ঐ ব্যক্তি তিনি বললেন, যিনি দয়া করে আপনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক দান করেছেন, তিনি দয়া করে আমাকেও উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে ঐ মহিলা তিনি এবং উনার আহাল তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং হাক্বীক্বী মুসলমানে পরিণত হলেন।” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবু ফাদ্বায়িলে মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ নং পৃষ্ঠা)
২.মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উনাদের প্রতি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ :
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ نُعْمَانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهٗ رَاَى النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـى الْمَنَامِ فَقَالَ يَا نَبِـىَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَيَسُرُّكَ هٰذَا الْـمَوْلِدَ الَّذِىْ يَصْنَعُهُ النَّاسُ فِـىْ كُلِّ سَنَةٍ فَقَالَ يَا حَضْرَتْ اِبْنَ نُعْمَانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَنْ فَرِحَ بِنَا فَرِحْنَا بِهٖ
অর্থ: “বিশিষ্ট বুযূর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী হযরত ইবনে নু’মান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নে দেখেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ তিনি আরজী পেশ করেন- ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! লোকজন প্রতি বৎসর মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাহফিল মুবারক করেন, আপনি কি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাহফিল মুবারক উনার প্রতি সন্তুষ্ট?’ জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا حَضْرَتْ اِبْنَ نُعْمَانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَنْ فَرِحَ بِنَا فَرِحْنَا بِهٖ
‘হে হযরত ইবনে নু’মান রহমতুল্লাহি আলাইহি! যে ব্যক্তি আমাদের জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করে, আমরা তার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করি।” সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল ওয়ায়িযীন ১২৫ নং পৃষ্ঠা)
৩. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে খুশি হয়ে বললেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে, আরো বেশি খুশি হবো।’
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র সেই সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেমেছালভাবে পালন করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার এই বেমেছালভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে খুশি হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেছেন, ‘আমি অনেক খুশি হয়েছি। আরো বেশি করলে, আরো বেশি খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোনো দলীল আছে? দলীল তো নেই। তাহলে বুঝবে কিভাবে? হ্যাঁ? কি বুঝতে পেরেছো কেউ? উনি খুশী হয়েছেন, নাকি নাখুশী হয়েছেন, কোন্টা? বলো তো দেখি।
আমি তো (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) সারা দিন অপেক্ষায় ছিলাম, দেখি উনি কি বলেন। উনি তো কিছু বলেন না। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যখন দিন শেষ হয়ে গেলো, আযান হলো, তখন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উনি বলেছেন- ‘হ্যাঁ; খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; বলে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
উনি সারা দিন কিছু বলেননি। আমি দেখলাম সারা দিন। আমি তো চিন্তিত ছিলাম। যখন ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হয়ে গেলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, ‘হ্যাঁ; আমি খুশী হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম- ‘জানিয়ে দেই?’ উনি বললেন- ‘হ্যাঁ; জানিয়ে দেন।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি বললেন- ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশী হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে আরো বেশী করো সামনে। আমরা আরো বেশী করবো। এখন ৯০ দিনের প্রস্তুতি নিতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১ দিন পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সেদিন দেখলাম মাগরিবের আযানের সময় উনি খুশী হয়েছেন। ঐ দিনই (১৩ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুল খমীস শরীফ) ভোর রাত্রে দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অনেক খুশী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ভোর রাত্রে উনি বললেন যে, ‘আমি অনেক খুশী হয়েছি।’ সন্ধ্যার চেয়ে অনেক বেশী হাসি-খুশী, হাস্যোজ্জ্বল। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি বললেন, ‘আরো বেশী করলে, আরো বেশী খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন যতো করা যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরুত্ তাকরীর, নূরুশ শাহাদাত, দুইটা তো। নূরুত্ তাকরীর মানে তাবাস্সুম (মুচকি হাসি)। এটা সন্ধ্যার সময়। আর ভোর রাত্রে এর চেয়ে বেশী, অনেক, অনেক বেশী হাসি-খুশি মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যতো করা যায়, ততো বেশী খুশি হবেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সময়সীমা তো দেড়গুণ বাড়ানো হচ্ছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৪ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ জুমু‘আর আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ অতিবাহিত হলো, বললে মানুষ তো সব বুঝবে না। আমি পুরোটা সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওখানে ছিলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি একটু খুশি হন, খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান হয়ে গেলো। তখন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বরীর মুবারক (তাবাস্সুম বা মুচকি) হাসি মুবারক দিয়ে বললেন যে, ‘আমি খুশি হয়েছি।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) রাত্র গভীর হলো। ভোর রাত্রে তিনি অনেক খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন। উনি বললেন, ‘আরো করলে, আমি আরো খুশি হবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বলেছিলাম, ‘আমি কি এটা বলে দিবো?’ উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; বলে দিন।’ উনি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন, আমি জানিয়ে দিলাম।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক ছাড়া আর কিছু আছে? কিছু নেই। আমি তো সেটাই বললাম যে, আমি সারা দিন ফিকির করলাম যে, কি বলেন। ঠিক পবিত্র ছলাতুল মাগরিব উনার পবিত্র আযান মুবারক হলো, তিনি খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বললাম- ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যে খুশি হয়েছেন এটা কি আমি বলে দিবো?’ উনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আবার ঠিক ভোর রাতে দেখলাম, উনি অনেক বেশি খুশি। উনি বললেন, ‘আমার জন্য আরো করলে, আমি আরো বেশি খুশি।’ যে, আরো বেশি করলে আরো বেশি খুশি হবেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন যে, তিনি এক সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে সারা ঢাকা শহর, সারা দেশ, সারা পৃথিবী; এমনকি সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সারা কায়িনাত সাজাবেন এবং এ দেশবাসী ও পৃথিবীর সমস্ত জিন-ইনসান এবং তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে মেহমানদারী করে খাওয়াবেন; এমনকি জান্নাতবাসী উনাদেরকেও খাওয়াবেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “পৃথিবীতে ৬০০ কোটি মানুষ রয়েছে। যেদিন আমরা শুধু কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল মুবারক উপলক্ষে ১২০০ কোটি তাবারুকের প্যাকেট করবো, সেইদিন থেকে হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা শুরু হবে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মাল-জান সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment