মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-৯
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নেয়ামত মুবারক লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারক বর্ণিত রয়েছেন। নিম্নে দুইখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-
১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মাত্র এক দিরহাম খরচ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ফক্বীর-মিসকীনদেরকে এক পাহাড় পরিমাণ লাল স্বর্ণ দান করার সমপরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَقَالَ بَعْضُ الصَّالِـحِـيْـنَ كَانَ شَيْخِىْ لَهٗ عَادَةً كُلَّ عَامٍ يَـقْـرَاُ قِصَّةَ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ وَيـَحْـتَـفِـلُ فِـيْـهِ اِحْـتِـفَالًا عَظِـيْمًا فَجَاءَتْ سَنَةُ اِحْدٰى وَسِتِّـيْـنَ وَثَـلَاثـِـمِائَةٍ وَّاَلْفٍ بَـلَغَ فِـيْهَا شُـنْـبُـلُ الْـحِـنْطَةِ سَبْعِـيْـنَ لِـيْـرَةً سُوْرِيَّـةً وَحَصَلَ فِـيْهَا كَـرْبٌ عَظِـيْـمٌ لِـبَعْضِ النَّاسِ فَلَمَّا جَاءَ وَقْتُ اِقَامَةِ حَفْلَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ صَارَ شَيْخِـىْ يَسْتَعِدُّ لَـهَا فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَـيْتَ الشَّـيْخَ هٰذِهِ الدَّرَاهِمَ الَّذِىْ يُرِيْدُ اَنْ يُّـنْفِقَهَا عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ يُـنْفِقُهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنَ كَانَ اَفْضَلُ فَبَلَغَ شَيْخِىْ هٰذِهِ الْـمَقَالَةُ وَكُـنْتُ فِـىْ حَالَةٍ لَا يَـغِـيْبُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَـيْـنِـىْ طَـرْفَةَ عَـيْـنٍ فَقَالَ شَيْخِىْ اُرِيْـدُ اَنْ اَسْاَلَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذٰلِكَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْاِنْفَاقُ عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِكَ اَفْضَلُ اَوْ عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنَ فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنْفَاقُ كُـلِّ دِرْهَمٍ عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ اَفْضَلُ مِنْ اِنْفَاقِ مِائَةِ دِرْهَمٍ عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنِ
অর্থ: “একজন বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি বলেন, আমার সম্মানিত শায়খ উনার আদত বা অভ্যাস মুবারক ছিলো, তিনি প্রতি বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়ার শরীফ) উনার দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ঘটনা মুবারক পাঠ করতেন এবং সেদিন তিনি (প্রচুর টাকা-পয়সা খরচ করে) অনেক বিশাল বড় মাহফিল মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! যখন ১৩৬১ হিজরী শরীফ আসলো, তখন গমের দাম এমন হয় যে, এক শুম্বুল গমের মূল্য সুরিয়ান ৭০ লীরায় পৌঁছে অর্থাৎ তখন কঠিন দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ঐ বছর কিছু মানুষ কঠিন দুঃখ-কষ্টে আপতিত হয়। তারপর যখন মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক পালনের সময় আসলেন, তখন আমার সম্মানিত শায়খ তিনি মাহফিল মুবারক উনার ইন্তেজাম করার জন্য উদ্যত হন। তখন (বাতিল ফিরক্বা, বদ মাযহাব ও বদ আক্বীদার) কিছু লোক বললো, ‘হায়! সম্মানিত শায়খ তিনি যেই দিরহামগুলি মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের জন্য খরচ করার ইচ্ছা করেছেন, সেগুলো যদি ফকীর-ফুকারা, গরীব-মিসকীন, অসহায়দের জন্য খরচ করতেন, তাহলে কতই না উত্তম হতো! না‘ঊযুবিল্লাহ! এই কথাগুলো সম্মানিত শায়খ উনার নিকট পৌঁছলো। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমি এমন একটা অবস্থায় ছিলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চোখের পলকের তরেও আমার দৃষ্টির বাইরে থাকতেন না অর্থাৎ আমি সবসময় উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিয়ারত মুবারক-এ থাকতাম। সুবহানাল্লাহ! (আর আমার সম্মানিত শায়খ তিনি তো সবসময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিয়ারত মুবারক-এ থাকতেনই, সেটা তো আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ খরচ করার বিষয়ে বাতিল ফিরক্বা, বদ মাযহাব ও বদ আক্বীদার লোকদের এ সমস্ত এলোমেলো কথা শুনে,) আমার সম্মানিত শায়খ তিনি বললেন, ‘আমি ঐ বিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছি। তারপর তিনি বললেন,
يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْاِنْفَاقُ عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِكَ اَفْضَلُ اَوْ عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنَ فَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنْفَاقُ كُـلِّ دِرْهَمٍ عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ اَفْضَلُ مِنْ اِنْفَاقِ مِائَةِ دِرْهَمٍ عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنِ
‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মাওলিদ শরীফ পাঠ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার জন্য খরচ করা উত্তম, নাকি ফকীর-ফুকারা, গরীব-মিসকীন, অসহায়দের জন্য খরচ করা উত্তম?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, ‘মাওলিদ শরীফ পাঠের জন্য অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার সম্মানার্থে খরচ করা প্রত্যেক দিরহামের ফযীলত, ফকীর-ফুকারা, গরীব-মিসকীন, অসহায়দের জন্য ১০০ দিরহাম খরচ করার চেয়েও বেশি ফযীলতপূর্ণ অর্থাৎ কোটি কোটি গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ, শ্রেষ্ঠ এবং উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (আশ্ শারফুল আমজাদ ২৫৫ পৃ.)
সেটাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِـيْهَا طَـعَامًا كُـنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ اِكْـرَامًا فَكَاَنَّـمَا اَنْفَقَ جَـبَـلًا مِّنْ ذَهَبٍ اَحْـمَرَ فِـى الْـيَـتَـامٰى فِـىْ سَبِـيْـلِ اللهِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে, মেহমানদারী করার মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন অর্থাৎ দায়িমীভাবে সবসময় উনার জন্য সুপারিশ করবো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানার্থে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অত্যন্ত মুহব্বতে আদবের সাথে এক দিরহাম (চার আনা রূপা অথবা সমপরিমাণ অর্থ-সম্পদ) খরচ করবেন, ঐ ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ইয়াতীমদেরকে এক পাহাড় পরিমাণ লাল স্বর্ণ দান করার ফযীলত মুবারক লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবু ফাদ্বায়িলে মাওলিদিন্নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১ নং পৃষ্ঠা)
এখানে এক পাহাড় লাল স্বর্ণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের পরিমাণটা বলা হয়নি যে, এটা কত বড়। এটা আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত হতে পারে, ১ দুনিয়া, ১০ দুনিয়া, ২০ দুনিয়ার সমান হতে পারে অথবা তার চেয়েও কোটি কোটি গুণ বড় হতে পারে। এটা মানুষের চিন্তা-কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক এটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সুবহানাল্লাহ!
২.যাঁরা খালিছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবেন, উনাদের কোনো হিসাব নিকাশ হবে না। উনারা বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন:
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৭ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) ইরশাদ মুবারক করেন- “মালিক তো নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। তাহলে মালিক উনার আলোচনা করতে বাধা দিবে কে? কারো ক্ষমতা আছে? ক্ষমতা আছে কারো কোনো? কারো কোনো ক্ষমতা নেই। কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলসিরাতে এবং জান্নাতে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। সুবহানাল্লাহ!
কেউ যদি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে, তাহলে তাকে তা’যীম করে বেহেস্তে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হবে। কিসের হিসাব-নিকাশ? সুবহানাল্লাহ! যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? হিসাব-নিকাশ হবে তো যারা ফাসিক-ফুজ্জার তাদের। যারা খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে পারবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? এদের বিনা হিসাবে বেহেস্তে যেতে হবে। এরা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বেহেস্তে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে হবে। এজন্য যিকির-ফিকির করুক। তখন ফায়দা পাবে। নাহলে ফায়দা পাবে কোথা থেকে? ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ’ উনার মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। মালিক উনার কাজ করলে বাধা দিতে পারে কে? কেউ বাধা দিতে পারবে না। তাহলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করলে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ববূল করার মালিক। কোশেশ করতে হবে। কোশেশ না করলে কিভাবে হবে? আমি বলেছিলাম, আমি একদিন দেখলাম- নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। অনেক লম্বা ঘটনা মুবারক। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো- “নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমি। উনি আসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন, এটা কেমন দেখা যায়? একটি আসন মুবারক দরকার।’ একটি কুদরতী আসন মুবারক এসে পড়লো। আমি বললাম, ‘আপনি এখানে দয়া করে তাশরীফ মুবারক রাখেন।’ উনি বসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনেক লোক তো আসতেছে দেখা করার জন্য। তারা আপনার সাথে দেখা করবে।’ উনি বললেন, ‘ঠিক আছে আসুক।’ উনি খুব খুশি। আসলো। আমাদের অনেক লোক। চিনি অনেককে। হাজার হাজার লোক লাইন ধরে আসতেছে। আসার পর আমি বললাম, ‘কদম বুুছি করো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে।’ সবাই ক্বদমবুছি করতেছে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে। কদমবুছি মুবারক করার পর তারা কোথায় যাবে? আমি বললাম, ‘এই যে ডান দিক দিয়ে যাও। এই যে উঁচু জায়গাটা দেখো, ডান দিক দিয়ে গেলেই সামনে বেহেস্ত। কোন হিসাব-নিকাশ কিছুই নেই। এমনেই বেহেস্তে প্রবেশ করো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; ঠিক আছে।’ সবাই লাইন ধরে গিয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই যে বিষয়টা। মালিক যিনি উনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে এখানে চূ-চেরা করবে কে? কার ক্ষমতা আছে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ক্ষমতা তো কারো নেই। আমি বললাম, ‘লাইন ধরে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করো।’ সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করলো। এরকম ভাগে ভাগে কয়েকবার দেখলাম। এখন যিকির-ফিকির তো করতে হবে এবং জারীও করতে হবে। সাথে সাথে পাছ আনফাছও জারী করতে হবে। তাহলে ফয়ছালা হয়ে যাবে। এজন্য বললাম, যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের কোনো হিসাব-নিকাশ হবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) খালিছ নিয়তে করুক, বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। ইনশাআল্লাহ।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মাল-জান সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment