আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া-পর্ব-১১

 ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া-পর্ব-১১

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্শ রীফ চর্তু তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গত রাত্রে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) উনার ঘটনা। আমি রাত ৩টা সোয়া ৩টার দিকে মোরাকাবা অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ আমি দেখতেছি- সারা দুনিয়ায় অনেক হৈ চৈ এবং সবাই অস্থির। আমার আত্মীয় স্বজন আছেন, অন্যান্য সারা দুনিয়ায় পৃথিবীর দূর-দূরান্তে,  দেশ-বিদেশে, অনেক লোক। হৈ চৈ। কি ব্যাপার? উনারা সবাই এসেছেন যে, ‘আমাদেরকে কিছু দেন।’ আমি বললাম, ‘আমি কি দিবো?’ উনারা বললেন, ‘কেন? আপনাকে তো যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক উনার পূর্ণ হিস্সা হাদিয়া মুবারক করেছেন। সেখান থেকে রহমত মুবারক দেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি বললাম, ‘কোথায়?’ সবাই বললেন, ‘আপনি উপরের দিকে দৃষ্টি করেন।’ আমি উপরের দিকে দৃষ্টি করলাম। দেখলাম, সেখান থেকে অঝোর ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষিত হচ্ছেন। নূরের মতো। সকলে বললেন, ‘আমাদেরকে দেন?’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে; আপনারা এখান থেকে নেন।’ আমি সেখান থেকে সবাইকে দিতে থাকলাম। অনেক দেওয়ার পর যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বলা হলো- ‘এভাবে কিভাবে হবে? এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।’ সেটা কি? উনারা উনাদের তরফ থেকে একখানা সম্মানিত লিবাস মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করলেন। আর বললেন, ‘এটা আপনি পরিধান করে আপনি হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বামহন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা উনারা দিলেন। এটা হচ্ছে- ইযারের মতো অর্থাৎ লুঙ্গিরম মতো আবার লুঙ্গি না। শরীরে পরে বেঁধে রাখা যায়। সাদা রংয়ের। সেটা সাদা রং, তার মধ্যে তুলা দিয়ে ফুলানো, ফোমের মতো। সুন্দর একটা কাপড়। পরলাম। উনারা বললেন, ‘এখন থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে যে সম্মানিত রহমত মুবারক বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসান লাভ করতো, সেটা আপনার থেকে লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আরো যতো লোক আসলো সারা দুনিয়াব্যাপী জিন-ইনসান যারা যা আরজী করতে থাকে, তারা সে অনুযায়ী লাভ করতে থাকে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা আমি আগে বলেছিলাম। যে, যাত্রাবাড়ীর পীর ছাহেব আলাইহিস সালাম তিনি যে এসে আমার মধ্যে ফানা হয়ে বাক্বা হয়ে গেলেন, নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দিলেন। এভাবেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে ফানা হয়ে বাক্বা হয়ে যেতে হবে। উনার জন্য সব বিলীন করে দিতে হবে। তখন তার জন্য কামিয়াবী হাছিল করা, যতো নিয়ামত রয়েছেন তা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রোববার রাতে) ৪র্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থেই মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা আমাকে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ এই সম্মানিত মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখলাম যে, সবাই এসে  আমাকে বলতেছে, ‘আমাদেরকে কিছু সম্মানিত রহমত মুবারক দেন।’ আমি বললাম, ‘কোথা থেকে?’ সবাই বললেন, ‘আপনি উপরের দিকে দৃষ্টি করেন।’ আমি উপরের দিক দৃষ্টি মুবারক দিয়ে দেখলাম, সেখান থেকে অঝোর ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষিত হচ্ছেন। সকলে বললো, ‘আমাদেরকে দেন?’ আমি সেখান থেকে সবাইকে দিতে থাকলাম। যিনি খালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বলা হলো- ‘এভাবে কিভাবে হবে? এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।’ তারপর উনারা উনাদের তরফ থেকে একখানা সম্মানিত লিবাস মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করলেন এবং আমাকে তা পরিয়ে দিলেন। অর্থাৎ ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করে দেয়া হয়ে গেলো। লেবাস মুবারকখানা শরীরে পরে বেঁধে রাখা যায়। সাদা রংয়ের এবং তার মধ্যে তুলা দিয়ে ফুলানো, ফোমের মতো। অনেক সুন্দর। উনারা বললেন, ‘এই লিবাস মুবারক পরলে এখান থেকে কুদরতীভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বের হতে থাকবেন।’ দেখলাম যে, কুদরতীভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বের হচ্ছেন আর সমস্ত কায়িনাতের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছেন এবং সবাই সম্মানিত রহমত মুবারক গ্রহণ করছে।” (সুবহানা মামদূ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই মাক্বাম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিলআ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকেই হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!


0 Comments: