আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া -পর্ব-১৪

সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া -পর্ব-১৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন- “যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِِّٰ رَبِّ العٰالَمِيْنَ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি যেন দয়া করে সবাইকে বলে দেন যে, তাদের মূল লক্ষ্যটা কী? সেটা তিনি বলে দিচ্ছেন যে, আপনি বলে দিন তাদেরকে-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِِّٰ رَبِّ العٰالَمِيْنَ

‘নিশ্চয়ই আমার ছলাত অর্থাৎ আমাদের ছলাত’ وَنُسُكِىْ এই শব্দ মুবারক উনার দ্বারা হজ্জ, কুরবানী, ইবাদত-বন্দেগী সমস্ত কিছুই বুঝানো হয়। আমার হায়াত, আমার মউত, সমস্ত কিছু একমাত্র যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখানে আরেকটা বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে- প্রথমে বলা হচ্ছে قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ اِ ছলাত অর্থ নামাজ আবার نُسُكِىْ । এই نُسُكِىْ শব্দ মুবারকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে نُسُك তিন অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে। একটা হচ্ছে- সাধারণভাবে হজ্জ্ব, আরেকটা কুরবানী, আরেকটা সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী বুঝানো হয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে এখানে প্রমে صَلَة শব্দটা আসলো কেন? যে, আমার ছলাত, আমার সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, হায়াত-মউত, সব যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা আমি একটু ফিকির করতেছিলাম- তাহলে ছলাত শব্দ মুবারকখানা কেন প্রমে আসলো? আমাকে তখন জানানো হল যে, আসলে ছলাত বলতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করা হয়, সেই ছলাত-ই বলা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সর্বক্ষেত্রে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই তারজীহ্ দিয়েছেন অর্থাৎ প্রাধান্য দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কাজেই উম্মতের সমস্ত কিছুই করতে হবে একমাত্র যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। তবে অবশ্যই সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া। যেহেতু স্বয়ং যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই তিনি সমস্ত হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন। যেটা মশহূর সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ বলা হচ্ছে-

إن الله وملائكته يصلون على النبي

‘নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

সম্মানিত ও কাজেই সকলে যেন এটা বলে যে, সকলেই তাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক, সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, তাদের হায়াতমউত,সব কিছু একমাত্র যিনি খfলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। তবে অবশ্যই সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অর্থাৎ নিজের জন্য কোনো আমল করা যাবে না, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যেই সব করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


0 Comments: