আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক-পর্ব-৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযুর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক-পর্ব-৬

সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের যতো শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, খুছূছিয়াত মুবারক বুঝার জন্য স্বাভাবিকভাবে যেই বিষয়টি বলা হয়, তা হচ্ছেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

لَيْسَ الذَّكَرُ كَالُْنْثٰى

অর্থ: “তিনি এমন একজন সম্মানিতা মহিলা যে, উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নেই অর্থাৎ কোনো পুরুষও উনার সমকক্ষ নয়।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম (হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম) উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতো বেমেছাল যে, তিনি পূর্ববর্তী সমস্ত মহিলা উনাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী তো অবশ্যই, শুধু তাই নয়; বরং উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নেই। সুবহানাল্লাহ! উনার শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

وَاِذْ قَالَتِ الْمَلٰٓئِكَةُ يٰمَرْيَمُ اِنَّ اللهَ اصْطَفٰىكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفٰىكِ عَلٰى نِسَآءِ الْعٰلَمِيْنَ

অর্থ: “আর যখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন, হে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে মনোনীত করেছেন, আপনাকে পবিত্রা করেছেন। শুধু এতটুকু নয়; বরং সমস্ত আলমের সকল মহিলা উনাদের উপর আপনাকে মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪২) অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ববর্তী পুরুষ-মহিলা উনাদের সকলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ يٰنِسَآءَ النَّبِىّ

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম! আপনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন। অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকেও শ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২) সুতরাং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ববর্তী পুরুষ-মহিলা উনাদের সকলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম তিনিসহ সৃষ্টির শুরু থেকে এই পর্যন্ত যতো মহিলা তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যতো মহিলা তাশরীফ মুবারক আনবেন উনাদের সকলের উপরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী সম্মান মুবারক তো অবশ্যই; সাথে সাথে সমস্ত পুরুষ যাঁরা রয়েছেন উনাদের থেকেও উনারা শ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ! যা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সমস্ত সৃষ্টিকে জানিয়ে দিয়েছেন। কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন, সে যেই হোক না কেন। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম। এই সম্পর্কে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার নিসবত মুবারক সরাসরি সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে। তবে বিশেষভাবে উনার নিসবত মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে এবং সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার জন্য যতো ইলিম-কালাম, আক্বল-সমঝ এবং নিসবত মুবারক যা কিছু প্রয়োজন যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল উমাম তোমাদের হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে সমস্ত কিছুই হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ৬ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সকালে ছাত্রীদের ক্লাস করিয়ে পবিত্র হুজরা শরীফে এসে বিশ্রাম মুবারক নিচ্ছিলেন। তখন তিনি স্বপড়ব মুবারক-এ দেখেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সাল্লাম উনারা এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা উনাদের পক্ষ থেকে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া করেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ অর্থাৎ উনারা যে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন, তার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ একটি স্টীলের চাবি মুবারক কুদরতীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) এসে পৌঁছেছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!) তিনি বলেন- ‘তখন মনে হচ্ছিল লোকেরা জানতে চাচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক যে লাভ করলেন, তার নিদর্শন মুবারক কী?’ তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ চাবিখানা দেখিয়ে বলেন, ‘এই যে দেখ- আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক রয়েছেন।’ এটা বলে তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক-এ) মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে রাখা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক উনার নিদর্শন মুবারক স্বরূপ সেই চাবিখানা দেখালেন। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এরপর তিনি বলেন- ‘আমি উক্ত স্বপড়ব মুবারক উনার মধ্যেই দেখতেছি যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে একখানা আসন মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করা হলো এবং আসন মুবারক-এ বসিয়ে দেয়া হলো। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনারা বললেন, আপনি এখন থেকে এই আসন মুবারকে বসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিলাফত মুবারক পরিচালনা করবেন।” সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! (পক্ষিক আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল তা ভাষায় প্রকাশ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!


0 Comments: