পঞ্চদশ হিজরী
শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী
হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন
ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক
এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
দুনিয়ার প্রত্যেক
ওলীআল্লাহ, গউছ, কুতুব, আবদাল, ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ উনাদের মুবারক ক্ষেত্রে আমরা একই সুমহান আদর্শ ও নিয়মের বহিঃপ্রকাশ
দেখতে পাই। সুবহানাল্লাহ!
তা’ হলে যামানার ইমাম ও
মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ,
খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল
আলম, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল
ইসলাম, রসূলে নু’মা,
সুলত্বানুল আরিফীন, সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, ইমামুল
আইম্মাহ, ক্বইয়্যূমুয যামান,
জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন
নাছীর, হাবীবুল্লাহ,
জামিউল আলক্বাব, জামিউন নি’মাত, জামিউন
নিসবত, আন নি’মাতুল উজমা আলাল আলাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমামুল
উমাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম-
যিনি সম্মানিত শরীয়ত উনার
প্রতিটি ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ের এবং শীর্ষতম মাক্বামের মুবারক তাজদীদ করে
যাচ্ছেন এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, মাশুকে
মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সমস্ত সম্মানিত
সুন্নত জারী ও পালন করে যাচ্ছেন-
যিনি অনন্তকালব্যাপী
পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ এবং কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ জারী করেছেন, যিনি
দুনিয়াবী সকল কুফর,
শিরক, বিদয়াত, বেশরা দূরীভূত করছেন এবং তাবৎ উলামায়ে সূ’সহ কাফির
মুশরিকদের নিপাত করছেন,
উনাকে পাওয়ার জন্য কী পরিমাণ তাক্বওয়াধারী, কী
পরিমাণ সম্মানিত সুন্নত ও সম্মানিত পর্দাপালনকারী শীর্ষ মাক্বামের বুযূর্গ
পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম প্রয়োজন, তা’ প্রকাশের ভাষা আজো সৃষ্টি
হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র সুন্নতপালনের
ক্ষেত্রে একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। তা হলো, সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহগণ
উনারা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যাবতীয় সম্মানিত সুন্নতপালন করে থাকেন। সাথে সাথে উনাদের
অজান্তেও উনাদের ইখতিয়ার বহির্ভূত অনেক সম্মানিত সুন্নত পালিত হয়ে থাকে। যা মহান
আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে
মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের আখাছছুল খাছ দয়া-দান ইহসানের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
একান্ত নৈকট্যধন্য মাহবূব
ওলীআল্লাহ ব্যতীত অজানা সুন্নত (যে সব সম্মানিত সুন্নতপালন আপন ইখতিয়ার বহির্ভূত)
পালন করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে
হযরত আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা
কা’বা আলাইহিস সালাম,
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে
হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং প্রাণের আক্বা ক্বিবলা কা’বা মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম,
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, হুজ্জাতুল ইসলাম, গউছুল
আ’যম, ইমামুল উমাম,
আওলাদে রসূল, জামিউন নিসবত, জামিউন
নি’মাত, জামিউল আলক্বাব,
ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, আখাছছুল খাছ আহলে বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের যাবতীয় বিষয় উপরোক্ত মুবারক তারতীব উনাদের
অনুরূপ। অর্থাৎ পবিত্র রগায়িব শরীফ, পবিত্র বিলাদত শরীফ, পবিত্র
নিসবাতুল আযীম শরীফ,
পবিত্র বিছাল শরীফসহ সকল প্রকার ঘটনা ও কার্যাবলী এই নিয়ম, অর্থাৎ
সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আবা-২৭৩
0 Comments:
Post a Comment