পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত জোড়া জোড়া শব্দ দ্বারা শুধুমাত্র পুরুষ-মহিলা বা নর-নারী বুঝানো হয়নি।
নাস্তিকদের আপত্তি ১ : কুরআন মতে (Quran 13:3, 36:36, 43:12, 51:49) আল্লাহ পৃথিবীতে সৃষ্ট সকল কিছু তৈরি করেছেন জোড়ায় জোড়ায় (male and female), তিনি কি নিচে উল্লেখিত জীবদের ব্যাপার কিছুই জানতে না?
1. Asexual
organisms (e.g. bacteria, virus, protozoans, and unicellular algae and fungi).
2.
Hermaphrodites (e.g. sponges, snails, slug-like sea hare, and some kinds of
deep-sea arrow worms).
খণ্ডণ : পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত জোড়া জোড়া শব্দ দ্বারা শুধুমাত্র পুরুষ-মহিলা বা নর-নারী (male and female) বুঝানো হয়নি।
যেমন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
وَهُوَ الَّذِيْ مَدَّ الْاَرْضَ وَجَعَلَ فِيْهَا رَوَاسِيَ وَاَنْـهَارًا ۖ وَمِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيْهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ ۖ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ ۚ اِنَّ فِـي ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُوْنَ ◌
অর্থ : “তিনিই যমীনকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড়-পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক প্রকারের ফল-ফসলাদি সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে, যারা চিন্তা করে।” (পবিত্র সূরা র’দ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيْهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ ‘প্রত্যেক প্রকারের ফল-ফসলাদি সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়’-এই জোড়া বলতে-
* বড় ফল-ছোট ফল, * কাঁচা ফল-পাঁকা ফল,
* মিষ্টি ফল-টক ফল, * রসালো ফল-নিরস ফল,
* একক ফল-যৌগিক ফল, * গোলাকৃতি ফল-লম্বাটে ফল,
* খোসাযুক্ত ফল-খোসাবিহীন ফল, * আবৃতবীজি ফল-নগ্নবীজি ফল ইত্যাদি বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলোর জোড়া বুঝানো হয়েছে।
আবার কোন ফসল কাঁচা খাওয়া হয় কিন্তু কোন ফসল পাঁকা ছাড়া খাওয়া যায় না কিংবা রান্না করা ছাড়া খাওয়া যায় না। কোন ফসল খোসাসহ খাওয়া হয় কিন্তু কোন কোন ফসল খোসা ছাড়ানো ছাড়া খাওয়াই যায় না। ইত্যাদি
আবার অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
سُبْحَانَ الَّذِيْ خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِـمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ اَنْفُسِهِمْ وَمِـمَّا لَا يَعْلَمُوْنَ
অর্থ : “পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।” (পবিত্র সূরা ইয়াসিন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন’-এই জোড়া বলতে-
* অপুস্পক উদ্ভিদ-সপুষ্পক উদ্ভিদ * গুপ্তবীজি উদ্ভিদ-নগ্নবীজি উদ্ভিদ
* একবীজপত্রী উদ্ভিদ-দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ * একবর্ষজীবি উদ্ভিদ-বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ
* চিরসবুজ উদ্ভিদ-পত্রঝরা উদ্ভিদ * স্থলজ উদ্ভিদ-পানিজ উদ্ভিদ
* স্বভোজি উদ্ভিদ-পরভোজী বা পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ
* অন্তঃপত্ররন্ধ বিশিষ্ট উদ্ভিদ-বহিঃপত্ররন্ধ বিশিষ্ট উদ্ভিদ
* মিঠা পানির উদ্ভিদ-লোনা পানির উদ্ভিদ ইত্যাদি বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলোর জোড়া বুঝানো হয়েছে।
একইভাবে ‘মানুষকে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন’-এই জোড়া বলতে-
* শত্র“-মিত্র * শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ
* সাদা চুল বিশিষ্ট-কালো চুল বিশিষ্ট * বাক শক্তি সম্পন্ন-বোবা
* চাক্ষুষ্মান-অন্ধ * চুলওয়ালা-টাক পড়া
* শ্রবণশক্তিসম্পন্ন-বধির * সুশ্রী-কুৎসিত
* সুস্থ-অসুস্থ * নেককার-বদকার
* ঈমানদার-বেঈমান ইত্যাদি।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
وَالَّذِي خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا
অর্থ : “এবং যিনি সবকিছুর যুগল সৃষ্টি করেছেন।” (পবিত্র সূরা যুখরূফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
আরো বর্ণিত রয়েছে-
وَمِن كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
অর্থ : “আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর। (পবিত্র সূরা জারিয়াহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৯)
জোড়া জোড়া বলতে প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য বুঝানো হয়েছে। যেমন- ধণাত্মক-ঋণাত্মক, সাদা-কালো, আলো-অন্ধকার, দিন-রাত্রি, জীব-জড়, আসমান-যমীন, বুদ্ধিমান-বোকা, চাক্ষুষ্মান-অন্ধ, সুস্থ-অসুস্থ, নর-নারী ইত্যাদি।
এমনকি কোষ বিভাজনের যে ৩টি পদ্ধতি রয়েছে- ১. অ্যামাইটোসিস, ২. মাইটোসিস ও ৩. মিয়োসিস। এই ৩টি পদ্ধতিতেও দ্বি বা জোড়া জোড়ার সম্পর্ক রয়েছে। যেমন-
অ্যামাইটোসিস : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোনো জটিল মাধ্যমিক পর্যায় বা কোন বিশেষ ধাপ ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য (শিশু) কোষের সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলে।
সাধারণত প্র্রোক্যারিওটিক জীব যেমন- নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি জীবে এ বিভাজন ঘটে থাকে।
এই প্রক্রিয়ায় কোষের নিউক্লিয়াসটি প্রথমে লম্বা হয় ও মাঝখানে ভাগ হয়ে নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসটি প্রত্যক্ষ সরাসরি দু ভাগে ভাগ হয়। পরে কোষটির মধ্যভাগে একটি চক্রাকার গর্ত ভেতরের দিকে ঢুকে গিয়ে পরিশেষে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলে। ফলে ১টি কোষ ২টি অপত্য কোষে (daughter cell) পরিণত হয়। প্রতিটি অপত্য কোষ ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের আকৃতি লাভ করে।
মাইটোসিস : যে বিভাজনে প্রকৃত কোষের নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজোম উভয়ই একবার করে বিভক্ত হয় তাকে মাইটোসিস বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনকে সমিকরনিক বিভাজনও বলা হয়। কারণ এতে অপত্য কোষ হুবহু মাতৃকোষের মত হয়ে থাকে। এই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের সমসংখ্যক ও সমগুণসম্পন্ন ক্রোমোজোম ও সমপরিমাণ সাইটোপ্লাসম সহ দুইটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়। মাইটোসিস বিভাজনে উৎপন্ন অপত্য কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা হুবহু মাতৃকোষের অনুরূপ হয়, ফলে অপত্য কোষের বৈশিষ্ট্য অভিন্ন।
মাইটোসিস কোষ বিভাজন দুই ভাগে ঘটে। ১. ক্যারিওকাইনেসিস (নিউক্লিয়াসের বিভাজন) ও ২.সাইটোকাইনেসিস (সাইটোপ্লাজমের বিভাজন)।
মাইটোসিস ও সাইটোকাইনেসিসকেক একসাথে মাইটোটিক বলে।
সাধারণত উন্নত শ্রেণীর প্রাণীর দেহকোষে (সোমাটিক সেল) ও উদ্ভিদের দেহকোষে মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজন ঘটে থাকে। প্রাণীর বর্ধনশীল সমস্ত দেহকোষে মাইটোসিস হয়। মেরুদ-ী প্রাণীর অস্থিমজ্জায়, লোমকূপে, অন্ত্রের ভিলাসগুলির অন্তর্বতী কূপে, অ-কোষে, ক্ষতস্থানের আশে পাশে সবচেয়ে বেশি মাইটোসিস হয়। তবে, উদ্ভিদের বর্ধনশীল কান্ডে, ভূণমুকুলে, ভূণমূলে ও ভাজক কলায় মাইটোসিস হয়। হ্যাপ্লয়েড জীবের জনন মাতৃকোষেও মাইটোসিস হয়ে থাকে।
মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীব দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমেই উন্নত ধরনের জীব সৃষ্টি হতে পারে। এর মাধ্যমে জননাঙ্গ সৃষ্টি হয় বলে বংশবৃদ্ধির ক্রমধারা রক্ষিত হয়। প্রাণী দেহে কিছু কিছু কোষ আছে যাদের আয়ুষ্কাল নির্দিষ্ট; এসব কোষ বিনষ্ট হলে মাইটোসিসের মাধ্যমে পূরণ হয়।
মিয়োসিস বা মায়োসিস : যে বিভাজন প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস পরপর দুইবার ও ক্রোমোজোম একবার করে বিভক্ত হয়ে মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোম যুক্ত চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় তাকে মায়োসিস বলে। ফলে নিউক্লিয়াসে নতুন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘটে।
উন্নত জীবের জনন মাতৃকোষে মায়োসিস হয়ে থাকে। দেহকোষে অথবা হ্যাপ্লয়েড কোষে মায়োসিস হয়না। তবে নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদের (হ্যাপ্লয়েড উদ্ভিদের) জাইগোটে মায়োসিস হতে পারে। নিম্নশ্রেণীর জীব অর্থাৎ হ্যাপ্লয়েড (n) জীবের গ্যামেটও হ্যাপ্লয়েড। দুটি হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটের মিলনে ডিপ্লয়েড (2n) জাইগোটের জন্ম হয়। কাজেই হ্যাপ্লয়েড জীবের ক্ষেত্রে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য রক্ষার নিমিত্তে নিষেকের পর জাইগোটে মিয়োসিস হয়।
সুতরাং জীবের কোষ বিভাজনের ক্ষেত্রেও জোড়া জোড়া বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আর কোষ বিভাজনে জোড়া জোড়া বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় যেসব জীবের অযৌন বংশ বিস্তার ঘটে তাদের ক্ষেত্রেও জোড়া জোড়া বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। নিচে উদাহরণ স্বরূপ ব্যাকটেরিয়ার বংশ বিস্তার পদ্ধাত উল্লেখ করা হলো-
ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির পদ্ধতি : ব্যাকটেরিয়া যেহেতু প্র্রোক্যারিওটিক জীব। তাই এর বংশবৃদ্ধির পদ্ধতি হচ্ছে অ্যামাইটোসিস, যা একটি প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বিবিভক্ত হয়ে দুইটি ব্যাকটেরিয়াতে পরিণত হয় এবং দুইটি থেকে চারটি, চারটি থেকে আটটি, এভাবে চলতে থাকে। তাই এটাকে বংশবৃদ্ধি না বলো সংখ্যা বৃদ্ধি বলাই শ্রেয়। আর এই সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বলা হয় দ্বিবিভাজন। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটায়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি মাতৃব্যাকটেরিয়ার কোষ অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য ব্যাকটেরিয়া কোষে জন্ম দেয় তাকে দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়া বলে। এটি ব্যাকটেরিয়ার সবচেয়ে সাধারণ ও দ্রুততম জনন পদ্ধতি।
নিম্নে ব্যাকটেরিয়ার দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়াটি দেখুন-
প্রথমত, পূর্ণতাপ্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রথমে লম্বায় বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে সঙ্গে কোষের ক্রোমোসোম তথা DNA দুইভাগে বিভক্ত হয়।
দ্বিতীয়ত, ক্রোমোসোম তথা DNA দুইভাগে বিভক্ত হওয়ার পর কোষের দুইভাগে অবস্থান করে।
তৃতীয়ত, কোষের মধ্যস্থলে সাইটোপ্লাজমিক পর্দা দুই দিক থেকে ভাঁজ হয়ে ক্রমান্বয়ে ভিতরের দিকে ঢুকতে থাকে এবং বিভক্ত ক্রোমোসোমের তথা DNA‘র মধ্য বরাবর একটি অনুপ্রস্থ প্লেট তৈরী করে।
চতুর্থত, অনুপ্রস্থ প্লেট পরবর্তীতে কোষপ্রাচীরে পরিণত হয় এবং মাতৃকোষটিকে দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত করে। অপত্য কোষের বৃদ্ধির ফলে স্ফীতি চাপ বৃদ্ধি পায়, যা কোষ দুটিকে পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন করে। ফলে একটি মাতৃব্যাকটেরিয়া কোষ থেকে দুটি নতুন ব্যাকটেরিয়া কোষ তৈরী হয়।
সুতরাং যেসব জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটে অযৌন পদ্ধতিতে যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া, এককোষী শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি তাদের ক্ষেত্রেও জোড়া জোড়া বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
আবার যেসব জীব উভলিঙ্গিক বা দ্বিলিঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তাদের ক্ষেত্রেও কোষ বিভাজনে জোড়া জোড়া বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কেননা তাদের কোষ বিভাজনে মাইটোসিস ও মিয়োসিস ঘটে থাকে।
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু প্রত্যেক বিষয় জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। তাই লিঙ্গও সৃষ্টি করেছেন ২টি- ১. পুংলিঙ্গ ও ২. স্ত্রীলিঙ্গ।
আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি এই লিঙ্গ নির্ধারণেও দ্বৈত বৈশিষ্ট সৃষ্টি করেছেন। ১. এক লিঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের জীব ও ২. উভলিঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের জীব।
এক লিঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের জীব পুংলিঙ্গ বিশিষ্ট হয় নতুবা স্ত্রীলিঙ্গ বিশিষ্ট হয়। আর উভলিঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের জীবে পুংলিঙ্গিক বৈশিষ্ট্য এবং স্ত্রীলিঙ্গিক বৈশিষ্ট্য একই জীবে প্রকাশ থাকে। উভলিঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের জীবে ২টি লিঙ্গের বৈশিষ্ট্যই থাকে।
এখানে পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গের অতিরিক্ত আলাদা তৃতীয় কোন লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য তৈরী হয়ে যায় না। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার ব্যাপারে উভলিঙ্গিক (Hermaphrodites) জীব নিয়ে প্রশ্ন তোলাও নিতান্ত মূর্খতার বহিঃপ্রকাশ।
সুতরাং মহান আল্লাহ তিনি পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন এমনকি অযৌন জীব যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রোটোজোয়া, এককোষী শৈবাল, ছত্রাক কিংবা উভলিঙ্গিক জীব যেমন স্পঞ্জ, শামুক, সামুদ্রিক খরগোশ, গভীর সমুদ্রের কীট ইত্যাদি সব কিছুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। এই জোড়া জোড়া বলতে শুধুমাত্র লিঙ্গিক বৈশিষ্ট্য (পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ) বুঝানো হয়নি। বরং লিঙ্গিক বৈশিষ্ট্য সহ প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্যই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন।
0 Comments:
Post a Comment