পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পিঁপড়া সম্পর্কে বর্ণিত প্রতিটি বিষয়ই ধ্রুব সত্য। পিঁপড়ারা শব্দের মাধ্যমে যেমন তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তেমনি রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীকে আলাদাভাবে চিনতেও পারে।

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পিঁপড়া সম্পর্কে বর্ণিত প্রতিটি বিষয়ই ধ্রুব সত্য। পিঁপড়ারা শব্দের মাধ্যমে যেমন তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তেমনি রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীকে আলাদাভাবে চিনতেও পারে।

নাস্তিকদের আপত্তি ১০ : "কুরান দাবি করে (Quran 27:18-19), পিপিলিকারাও কথা বলতে পারে যা পড়ে রূপকথা ছাড়া কিছু মনে হয় না (e.g. an ant being able to distinguish between Solomon and a soldier)! কেননা তাদের কমুনিকেশন ঘটে প্রধানত chemical signals  এর মাধ্যমে! তাহলে উক্ত তথ্যের ভিত্তি কোথায়?

http://en.wikipedia.org/wiki/Ants#Communication"

খণ্ডণ : পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পিঁপড়াদের নিজেদের মধ্যে কথোপোকথন ও উন্নত বার্তা বিনিময়ের বর্ণনা দেখে গ-মূর্খ নাস্তিকদের কাছে তা রূপকথা বলে মনে হচ্ছে। নাঊযূবিল্লাহ! বাস্তবিক অর্থে নাস্তিকদের বক্তব্য অন্ধের হাতি দর্শনের মতো।

বস্তুত পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিই চাই তারা আকাশে উড়ন্ত প্রাণী হোক, বা পানিতে বসবাস করুক কিংবা স্থলে বসবাস করুক, তাদের নিজস্ব কায়দা ও পদ্ধতিতে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদান করে। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যকার এই যোগাযোগ ভিন্ন। মানুষ যে পদ্ধতিতে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করে অন্য প্রাণী বা উদ্ভিদ সেই একই পদ্ধতিতে যোগাযোগ করে না। তাদের যোগাযোগের ধরণ আলাদা। তবে সব যোগাযোগেরই একটি মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকে এবং সেটি হলো প্রাপকের কাছে বার্তা পৌঁছানো।

সাম্প্রতিক এক গবেষণা দাবি করছে বহু অন্যান্য জীব জন্তুও এমন কিছু শব্দ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে যা আসলে মানুষের কথার মতই। এই গবেষণায় উঠে এসেছে বহু জীবজন্তু নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান করতে জটিল শব্দ তৈরি করে। এমনকি শিস জাতীয় শব্দের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে তারা। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, তিমি, নেকড়ে, ব্যাঙ ও বহু পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীদের গলার আওয়াজ পরীক্ষা করে গবেষকরা জানিয়েছে এই সমস্ত প্রাণীরা মানুষের মতই একই পদ্ধতিতে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে সক্ষম। এই গবেষণা জানাচ্ছে সম্ভবত অনান্য প্রাণীদের কথোপকথন পদ্ধতির সঙ্গে মানুষের কথোপকথনের মধ্যে কোনও মিসিং লিঙ্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে যে, এমন অনেক প্রজাতির মাছ আছে যারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টির জন্যে কিংবা বাইরের কোন বিপদের আশঙ্কা থাকলে শব্দ সৃষ্টি করে।

আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَحُشِرَ لِسُلَيْمَانَ جُنُوْدُهٗ مِنَ الْـجِنِّ وَالْاِنْسِ وَالطَّيْرِ فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ. حَتّٰىٓ اِذَا اَتَوْا عَلٰى وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَـمْلَةٌ يَّآ اَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوْا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَـحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُوْدُهٗ وَهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ.

অর্থ : “হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার সামনে উনার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হলো। জ্বিন-মানুষ ও পক্ষীকুলকে, অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন ব্যূহে বিভক্ত করা হলো। যখন উনারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছালেন, তখন এক স্ত্রী পিপীলিকা বললো, হে পিপীলিকার দল! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ করো। অন্যথায় হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি ও উনার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবেন।” (পবিত্র সূরা নামল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭-১৮)

এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি قَالَتْ “বলেছিল” শব্দ মুবারক ব্যবহার করেছেন বিধায় নাস্তিকরা ধারণা করছে যে, পিঁপড়ারা বুঝি মানুষের মতোই কথা বলে তাদের তথ্য আদান-প্রদান করে। কিন্তু এই قَالَتْ “বলেছিল” শব্দ মুবারক ব্যবহার দ্বারা পিঁপড়াদের মানুষের মতো কথা বলা বুঝায় না, বরং পিঁপড়ারা যে তাদের নিজেদের মধ্যে শব্দ দিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

পিঁপড়াদের জীবন পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষ পূর্বে কিছুই জানতো না। পিঁপড়াদের সম্পর্কে গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের জীবন সাথে যে সকল প্রাণী ও কীট-পতঙ্গের অধিকতর সাদৃশ্য আছে, সেটা হল, পিঁপড়া। (Bert Hölldobler and Edward O. Wilson, The Ants (Cambridge: Harvard University Press: 1990)

কেননা, পিঁপড়া মানুষের মত মৃতদেহ দাফন করে। তাদের মধ্যে শ্রম বিন্যাস রয়েছে। তারা গল্পের জন্য কোন কোন সময় এক সাথে অবস্থান করে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তাদের রয়েছে অগ্রিম যোগাযোগ পদ্ধতি। দ্রব্য বিনিময়ের জন্য তাদের বাজার বসে। তারা শীতকালের জন্য খাদ্য দ্রব্য গুদামজাত করে। খাদ্য শস্যের মুকুল বের হলে ও মুকুলিত অবস্থায় রেখে দিলে যদি শস্যটি পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখনই তারা মুকুলটির গোড়া কেটে দেয়। তাদের গুদামজাতকৃত শস্যদানা যদি বৃষ্টির কারণে ভিজে যায়, তখন তারা এটাকে রোদে নিয়ে শুকায় এবং শুকানোর পর পুনরায় ভেতরে নিয়ে আসে। (Ibid., 244)

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, নাস্তিকদের প্রদত্ত ইন্টানেটের লিঙ্কটির (http://en.wikipedia.org/wiki/Ants#Communication) আর্টিক্যালেও পিঁপড়াদের শব্দের মাধ্যমে যোগাযোগের তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে- ÒAnts communicate with each other using pheromones, sounds, and touch.Ó (Jackson DE, Ratnieks FL (August 2006). "Communication in ants". Current Biology. 16 (15): R570–4.)

অর্থাৎ পিঁপড়ারা পরস্পরের সাথে ফেরোমোন, শব্দ ও স্পর্শ দ্বারা যোগাযোগ করে।

উক্ত আর্টিক্যালে আরো বলা হয়েছে যে,ÒSome ants produce sounds by stridulation, using the gaster segments and their mandibles. Sounds may be used to communicate with colony members or with other species.Ó (Hickling R, Brown RL (October 2000). "Analysis of acoustic communication by ants". The Journal of the Acoustical Society of America. 108 (4): 1920–9; Roces F, Hölldobler B (1996). "Use of stridulation in foraging leaf-cutting ants: Mechanical support during cutting or short-range recruitment signal?". Behavioral Ecology and Sociobiology. 39 (5): 293–299)

অর্থাৎ কিছু পিঁপড়া gaster segment ও ম্যান্ডিবলের মাধ্যমে শব্দ উৎপাদন করতে পারে। এই শব্দ বসতির অন্যান্য সদস্য কিংবা অন্য প্রজাতির পিঁপড়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে ব্যবহার করতে পারে।  

কিন্তু নাস্তিকরা শুধুমাত্র pheromone ‘ফেরোমোন’ অর্থাৎ chemical signals-এর বিষয়টি উল্লেখ করে sound বা শব্দের বিষয়টিকে গোপন রেখেছে। অর্থাৎ তারা ধোঁকাবাজী করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের ধোঁকাবাজী ফাঁস হয়ে গেল। 

আবার যেহেতু যোগাযোগের বার্তার সারকথাই হলো নিজের বা সকলের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন সাধন করা কিংবা এ উন্নয়ন সাধনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো। পৃথিবীতে মানুষসহ কোন সৃষ্টি বা প্রাণই নিজেকে অনিষ্ট করার জন্য অন্যের সাথে যোগাযোগ করে না; যোগাযোগ করে থাকে নিজের বা নিজেদের উন্নয়নকে তরান্বিত করার জন্য। তাই যোগাযোগ এবং উন্নয়নের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে।

আর এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত পিঁপড়াদের ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিষয়টি হচ্ছে- হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ও উনার বাহিনীর দ্বারা অজ্ঞাতসারে পিঁপড়াদেরকে পিষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা। 

মানুষ যেমন শব্দ দিয়ে কথা বলে, সে রকম পিঁপড়াও শব্দ ব্যবহার করে যোগাযোগ করে, যা বিজ্ঞানীরা মাত্র কিছুকাল পূর্বে আবিস্কার করেছে। অথচ পূর্বে বিজ্ঞানীরা মনে করতো যে, পিঁপড়া কোন শব্দ করতে পারেন না এবং তাদের শব্দ শোনারও ক্ষমতা নেই।

আর পিঁপড়া ছাড়া অন্য প্রাণীরাও যে শব্দ দিয়ে যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে কুমির।

পানিতে বসবাসকারী প্রাণীর মধ্যে কুমির চোখ, স্পর্শ ও গন্ধ দ্বারা বার্তা বহন করতে পারেন। কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় উপায় হচ্ছে শব্দ। কুমিরের ভোকাল কর্ড বা কণ্ঠনালী নেই কিন্তু তারা অবিশ্বাস্যভাবে বিস্তৃত উপায়ে শব্দ করতে পারে যেমন- হিস্হিস্ ধ্বনী করতে পারে, খক্খকানি দিতে পারে, ঘোঁৎ ঘোঁৎ করতে পারে, গোঁ গোঁ শব্দ করতে পারে, গুরুগম্ভীর গর্জন করতে পারে। আর এই শব্দ উৎপাদন কুমিরের প্রজাতি, বয়স, আকার, লিঙ্গ এবং প্রকরণের উপর নির্ভরশীল। স্বতন্ত্র মানুষের যেমন স্বতন্ত্র কণ্ঠ এবং বক্তৃতা পদ্ধতি রয়েছে ঠিক তেমনি কুমিরের স্বর, তীব্রতা এবং ডাক দেয়ার ভঙ্গিতে পার্থক্য ঘটতে পারে। কুমির সাধারণভাবে বিপদের সম্মুখিন হলে, দুঃখের সংকেত পাঠাতে, ডিম ফোটানোর জন্য ডাকতে, সংস্পর্শের জন্য ডাকতে কিংবা পূর্বরাগের উদ্দেশ্য গুরুগম্ভীর গর্জনের জন্য শব্দ ব্যবহার করে থাকে। কিছু প্রজাতি কণ্ঠস্বর শব্দ দ্বারা বিশের অধিক বিভিন্ন বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।

পানিতে বসবাসকারী কিছু কিছু মাছও শব্দের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে। মাছ সাধারণত ঘোঁৎ ঘোঁৎ, কিচিরমিচির ও ফট্ফট্ শব্দ উৎপাদন করতে পারে। বেশিরভাগ মাছই এত কম তীব্রতায় শব্দ উৎপন্ন করে যে ডুবুরীরা তা শুনতে পায় না। তবে কিছু প্রজাতির মাছ রয়েছে যারা মানুষের শ্রাব্য সীমার মধ্যে শব্দ উৎপাদন করতে পারে। যেমন গ্রান্ড ফিস তাদের দাঁতে দাঁতে ঘষে শব্দ উৎপন্ন করে থাকে। বড় আকৃতির জিউফিস, নাসাউ ও ব্লাক গ্রুপার যখন সচকিত হয় বা কোণঠাসা হয় তখন বিকট গম্ভীর গর্জন করতে পারে। জিউফিসকে পূর্বরাগের উদ্দেশ্যেও এমন বিকট গম্ভীর গর্জন করতে শোনা যায়। তবে পুরুষ জিউফিস পূর্বরাগের উদ্দেশ্যে স্ত্রী জিউফিসকে আকৃষ্ট করতে কিচিরমিচির শব্দও করে থাকে। শত্রুর আক্রমন প্রতিহত করা ছাড়াও জিউফিসের মতো পূর্বরাগের উদ্দেশ্যে ডেমসেলফিস বিকট গম্ভীর গর্জন করে। 

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, পানির নিচের প্রাণীরাও শব্দ দিয়ে যোগাযোগ করে থাকে। তাহলে পিঁপড়াদের শব্দ দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার বর্ণনা দেখে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হওয়ার কোন কারণই নেই। বরং এই আচরণ নাস্তিকদের চরম মূর্খতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। 

শব্দ উৎপাদন ছাড়াও পিঁপড়া ফেরোমোনের প্রতি সংবেদনশীল এবং এর দ্বারা তারা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে। মানুষের গা থেকেও ফেরোমোন নিঃসৃত হয়। আর তাই হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার জিসিম মুবারক থেকে নিঃসৃত ফেরোমোন সিগনেচার দিয়ে স্ত্রী পিঁপড়াটি উনাকে চিনতে পেরেছিল, যেভাবে কুকুর প্রতিটি মানুষকে চিনতে পারে। 

তাহলে জানা গেল যে, Òan ant being able to distinguish between Solomon and a soldierÓ  এই তথ্যের ভিত্তি নাস্তিকদের প্রদত্ত ইন্টারনেট লিঙ্কেই রয়েছে।

এছাড়াও স্ত্রী পিঁপড়া আগাম বিপদ অনুধাবন করে সংকেত দিতে পারে। অর্থাৎ তাদের এতটুকু বুদ্ধিমত্তা আছে যে তারা বিপদ আগে থেকেই আঁচ করতে পারে।

সাধারণত মানুষের আগে জীবজন্তু ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা পায়। পৃথিবী কেঁপে উঠার অনেক আগেই এরা বুঝতে পারে ভূমিকম্প আসছে। দীর্ঘদিনের প্রচলিত এই ধারণার প্রমাণ বিজ্ঞানীরাও পেয়েছে। তাই তারা জীবজন্তু কিভাবে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পায় বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছে, পিঁপড়ারা ২.০ তীব্রতারও ভূমিকম্প বুঝতে পারে।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত স্ত্রী পিঁপড়াটি হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনার ও উনার বাহিনীর পায়ের আঘাতের ফলে সৃষ্ট ভূকম্পন অনুভব করতে পেরেছিল বিধায় দলের অন্যান্য পিঁপড়াদের কাছে সংকেত পাঠিয়েছিল- 

يَآ اَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوْا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَـحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُوْدُهٗ وَهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ.

অর্থ : “হে পিপীলিকার দল! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ করো। অন্যথায় হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি ও উনার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবেন।” (পবিত্র সূরা নামল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)

সুতরাং পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পিঁপড়া সম্পর্কে বর্ণিত প্রতিটি বিষয়ই ধ্রুব সত্য। পিঁপড়ারা শব্দের মাধ্যমে যেমন তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে তেমনি রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীকে আলাদাভাবে চিনতেও পারে। আর এর মাধ্যমে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের ধোঁকাবাজীও উন্মোচিত হলো।


0 Comments: