হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وقل جاء الحق وزهق الباطل ان الباطل كان زهوقا.
অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত, মিথ্যা বিতাড়িত হওয়ারই যোগ্য।”
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে বলা যায় যখন সূর্য উদিত হয় তখন রাতের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সারা জাহান। ঠিক তেমনি সারা কায়িনাত যখন ভ্রষ্টতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যুলুম, অত্যাচার, চুরি ডাকাতি অবিচার-অনাচার, গান-বাদ্য, টিভি-সিনেমা, ডিস, প্রাণীর ছবি, বেপর্দা, বেহায়া, অশ্লীলতা, নগ্নতা, কলহ-দ্বন্দ্ব, হত্যাকা- মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস মানবতা, দয়া, দান ইহসান, মায়া, মমতা, করুণা, স্নেহ, সোহাগ, আদর ভু-লুণ্ঠিত জালিমের দৌরাত্ম্য সর্বত্র, মাজলুমের ফরিয়াদ শ্রবণের ব্যক্তির অভাব। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির সয়লাব, নামে বেনামে উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা অলিগলিতে প্রবাহমান ভ- ফকির ও ভ-পীরদের কারিশমা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেনামে ইহুদী-নাছারা কর্তৃক উদ্ভাবিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র বিশ্বময় ব্যাপী। ছহীহ আক্বীদার বিপরীতে কুফরী আক্বীদায় ভরপুর মানুষের মন-মগজ হতে শুরু করে বই-পুস্তক, পত্রিকাসহ গোটা কায়িনাত সত্য কথা বলার মহান ব্যক্তিত্বের চরম অভাব ঠিক সেই মুহূর্তে তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীর তিমির আঁধারকে দূরীভূত করে সূর্যের মতো আলো দিয়ে আলোকিত করে পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়েছেন খলীফাতুল্লাহিছ ছফফাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি ধরার বুকে তাশরীফ নিয়েছেন সুমহান ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-এ।
পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়ে তিনি জ্বীন-ইনসানকে দিচ্ছেন কল্যাণময় পথের সু-দিক-নিদের্শনা, তাওহীদ-রিসালতের শিক্ষা, সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নিরূপণের ক্ষমতা, মানবতার আকাশচুম্বী উৎকর্ষ ও মর্যাদাবোধের চেতনা, যিনি দিচ্ছেন ব্যক্তিত্বের অনুভূতি, সচ্চরিত্র, মাধুর্যতা, সততা, ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ ও কর্মপন্থা, উত্তম আদর্শ, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পরম আস্থা ও নির্ভরতার যোগ্যতা, মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, মায়া-মমতা, স্নেহ আদর ও মমত্ববোধ সুদৃঢ় মনোবল ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি যদি তাশরীফ না নিতেন, তাহলে সারা পৃথিবী নিশ্চিত কুফরী, শিরকী, বিদয়াত, বিশরার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতো।
0 Comments:
Post a Comment