সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে মেহমানদারীর বিষয়ে মহাসম্মানিত সুসংবাদ মুবারক-পর্ব-১৪
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার পহেলা রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে এই মহাসম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা রাত্রি মুবারক। আমরা সাধারণভাবে ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ বিশেষভাবে পালন করি। এই পহেলা রজবুল হারাম শরীফ দো‘আর ইন্তিজাম করা হয়। কিন্তু বিশেষভাবে পালন করার ব্যবস্থা অতীতে করা হয়নি। এবার সেটা করা হয়েছে। এটা করার পিছনে যে বিষয়টা রয়েছে- স্বয়ং যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হাযির এবং নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বালা’ ‘আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি অন্তরের অন্তস্থলের খবরও রাখেন অর্থাৎ আমরা কি বলতে চাই, কি বলতে চাচ্ছি, কি বলে যাচ্ছি, কি বলবো সবটাই তিনি জানেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে কয়েকবার বলেছেন, তাকীদ করেছেন, এই মাহফিলটা অত্যন্ত আদবের সাথে, মুহব্বতের সাথে এবং সাধ্য-সামর্থ অনুযায়ী সাখাওয়াতির সাথে পালন করার জন্য। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১১ই রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এই যে পহেলা রজবুল হারাম শরীফ আসলো, এর দুই তিন দিন আগে, এখন কে বলছেন, কারা বলছেন, আমি ঐটা বলবো না। আমাকে জানানো হলো- ‘যদি পহেলা রজবুল হারাম শরীফ বড় অনুষ্ঠান করা হয়, তাহলে হযরত সাইয়্যিদুনা যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার জন্য যেভাবে বেহেশতে মেহমানদারী করা হয়েছে, তেমন মেহমনদারী করা হবে। পহেলা রজবুল হারাম শরীফ যদি বড় করে করা যায়। সেজন্য বড় করে করলাম। সাইয়্যিদুনা যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে যেমন জানড়বাতে মেহমানদারী করা হয়েছে, ঐরকম মেহমানদারী করা হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১৩ই রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসীদের জন্য এক হাজার উট বোঝাই খাদ্য মুবারক হাদিয়া মুবারক করলেন, এজন্য উনার সম্মানার্থে জানড়বাতে মেহমানদারী করা হলো। কাজেই পয়সা খরচ করলে, জানড়বাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করা হয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বুঝতে পারলে? এটাই রজবুল হারাম শরীফের পহেলা তারীখের আগে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে জানিয়েছেন। উনি কয়েক দিন আমাকে বলছেন, একদিন, দুইদিন না। এটা ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফের থেকে যেন বড় করে করা হয়। করলে জানড়বাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করা হবে। উনি আমাকে কয়েকবারই জানিয়েছেন, ২৭, ২৮ তারীখে যে, সামনে পহেলা রজবুল হারম শরীফ যেন সুন্দর করে করা হয়। যার জন্য আমরা ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ১২ প্রকার বা পদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম, এবার পহেলা রজবুল হারাম শরীফ-এ ১৩ প্রকার বা পদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ৯ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “পহেলা রজবুল হারাম শরীফের যে বিষয়টা- যা আমাকে বলা হয়েছে, যদি এই তারীখে অনেক বড় অনুষ্ঠান করা হয়, তাহলে যে করবে উনার সম্মানার্থে জানড়বাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করা হবে। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার জন্য যেভাবে করা হয়েছে, ঐরকম করা হবে। এইটা নিসবতের ব্যাপার, এইটা কুরবতের ব্যাপর।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন এবং সার্বিকভাবে বিশেষ করে আর্থিকভাবে মহাসম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
0 Comments:
Post a Comment