ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্
ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়েবী
আওয়াজে দুআ’ কবুলের স্বীকৃতি
ওলীয়ে মাদারজাদ,
মুস্তাজাবুদ দা’ওয়াত, আফ্যালুল
ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে
ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব,
গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্ যামান, আওলাদে
রসূল, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর
রহমান আলাইহিস সালাম আমার জন্য দুআ’ করবেন না বলায় আমি মর্মাহত হই।
একই সঙ্গে অজানা ত্রুটির জন্য আমি অনুতপ্ত ও শঙ্কিত হই। সকল বিষয়েই আমার অযোগ্যতা, অবাধ্যতা, ত্রুটি ও
অপরাধ সীমাহীন। দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আমার যে ত্রুটির কথা বলেছেন, আমি
মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি,
তা’ অবশ্যই
সত্য। কিন্তু দুআ’ চাওয়ার
ক্ষেত্রে আমার অপরাধ আমি খুঁজে পাইনা। বিষয়টি উপলব্ধির জন্য যে সূক্ষ্ম সমঝ্ দরকার
তা’ আমার
নেই। ভুল-ত্রুটি ও বেয়াদবীর করুণ পরিণতি
ভেবে আমি আতঙ্কিত বোধ করি। অজানা অপরাধের যাতনা আমাকে দগ্ধ করতে থাকে। দুঃসহ
মানসিক বেদনায় আমি নির্বাক থাকি। দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আমাকে নছীহত
করেই চলেছেন। অব্যক্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া আর কোন
উপায় নেই। কিন্তু উনার জালালিয়তের কারণে সাহসের অভাবে কিছু নিবেদন করা থেকে
কিছুক্ষণ আমি বিরত থাকি।
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বদম মুবারকে হাত
রেখে এক পর্যায়ে বিনয়ের সঙ্গে আমি নিবেদন করি: “দাদা
হুযূর ক্বিবলা! বেয়াদবীর জন্য আমি ক্ষমা চাই। আপনি দয়া করে ক্ষমা না করলে দুর্বিষহ
মানসিক যন্ত্রণা থেকে আমি মুক্তি পাবো না এবং বেয়াদবীর জন্য আমি সমূলে ধ্বংস হয়ে
যাবো। দুআ’ চাওয়ার
মূল বিষয়ে কোন ত্রুটি আছে বলে আমার জানা নেই। তবে দুআ’ চাওয়ার
প্রক্রিয়ায় আমার যে অপরাধ হয়েছে, তার মাত্রা সীমাহীন। আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতার কারণে যদিও
আমি তা বুঝতে পারিনি। মানুষ যা বলে ও করে তা’তো তার মন ও মননের অবস্থারই
বহিঃপ্রকাশ। মানুষ তো কখনোই তার সমঝ্ ও স্বভাব-সঞ্জাত অবস্থানের উপরে উঠতে পারে
না। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। আপনার ক্বদম মুবারকে দুআ’ চাওয়ায়
যে অজানা ও অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও অপরাধ হয়েছে, তা’ একান্তভাবেই আমার অপরিচ্ছন্ন মন ও
মননেরই বহিঃপ্রকাশ। দাদা হুযূর ক্বিবলা! আমি সবিনয়ে আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং দয়া
ও দুআ’ও চাই।”
আমার বিনীত নিবেদন শুনে তিনি বলেন: “তুমি যেভাবেই বলো এবং যতোই
বলো না কেন, আমি তোমার জন্য আর দুআ’ করতে
চাইনা। এ বিষয়ে তোমার আর কিছু বলার থাকতে পারে কী?” আমি সাহস করে পুনরায় মিনতি জানাই:
“দাদা হুযূর ক্বিবলা! “আপনি ওলীয়ে মাদারজাদ,
আপনি আওলাদে রসূল, আপনি মুস্তাজাবুদ দা’ওয়াত, আপনি মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম-উনার সম্মানিত পিতা, আপনি আল্লাহ পাক এবং খাজিনাতুর
রহমত, রউফুর রহীম, মাশুকে মাওলা,
নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নিয়ামতলাভে ধন্য বেমেছাল সম্মানের অধিকারী
ওলী। আপনি দয়া করে দুআ’ না করলে
আমি যাবো কোথায়? আমি আপনার ক্ষমা,
দয়া ও দুআ’ চাই।” আমার সবিনয় আরজু শুনে তিনি বলেন: “আমার বেমেছাল বুযুর্গ সন্তান, আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম-উনার কাছে যাও। তিনি দয়া ও দুআ’ করলেই সব
সমস্যার সমাধান হবে।” আমি
সবিনয়ে জানাই: “দাদা হুযূর ক্বিবলা! আমি আমার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা, মুজাদ্দিদে
আ’যম আলাইহিস সালাম-উনার নেক দয়া ও দুআ’ চেয়েছি। বিষয়টি আমি পূর্বেই আপনার
কাছে পেশ করেছি। আপনার কাছে দুআ’ চাওয়ার বিষয়টি উনার অজানা নয়। আমি আপনারও নেক দয়া ও দুআ’ চাই।”
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার মুবারক নছীহতে আমার
অনুতাপ, উদ্বেগ ও শঙ্কা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রেক্ষিত কারণে অজানা ভয়াবহ পরিণতির
কথা ভেবে অমি বিচলিতবোধ করি। বেয়াদবী ও ত্রুটির জন্য পুনরায় ক্ষমা চাওয়ার কথা
ভাবতে থাকি। আমার এরূপ উৎকণ্ঠা ও বেদনাকাতরতায় তিনি বলেন: “তোমার কথা, কাজ ও আচরণ তোমার সমঝ্ ও অনুভবের সমান্তরাল। যে বেয়াদবী ও ত্রুটি হয়েছে, আমি জানি
তা তোমার অনিচ্ছায় হয়েছে। উনার চেয়ে আরো উত্তমভাবে নিবেদনের যোগ্যতা তোমার কোথায়? কাম্য
পর্যায়ের যোগ্যতায় উত্তরণের জন্য প্রাণান্তকর কোশেশ দরকার। সর্বোপরি তোমার মধ্যে
তোমার মুর্শিদ ক্বিবলা,
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম-উনার
মুবারক পীযূষধারার সঞ্জীবন আবশ্যক। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য তোমাকে ক্ষমা করা যায়।
আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। তবে ঐ বিষয়ে আমার কাছে তুমি আর দুআ’ চেয়োনা।” (চলবে)
আবা-১৮৮
0 Comments:
Post a Comment