ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালামস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
রাতের গভীরে অদৃশ্য স্থান থেকে গায়িবী
আওয়াজে দুআ’ কবুলের স্বীকৃতি
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্
দা’ওয়াত, আফদ্বালুল
ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে
ইসমে আ’যম, লিসানুল
হক্ব, গরীবে নেওয়াজ,
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা
সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম ছিলেন আরিফ বিল্লাহ। উনার উচ্চতম
মাক্বাম, কামিয়াবীর অত্যুঙ্গ সোপান, সুমহান মর্যাদা-মর্তবার ব্যাপকতা ও বিশালতা এবং উনার সূক্ষ্মদর্শীতা
ও অন্তর্দৃষ্টির তীক্ষতা সাধারণের অবোধ্য। হিদায়েত ও নছীহতের জন্য উনার
ফাযায়িল-ফযীলত, মান, শান, ইয্যত, ঐতিহ্য এবং অন্তর্দৃষ্টির গভীরতা সাধ্যমতো অবহিত হওয়া সকলের জন্যই অপরিহার্য।
তাই এ বিষয়ে সবিস্তার আলোচনার অবতারণা। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, আছলুল
কায়িনাত, ফখ্রে মওজুদাত,
খাজিনাতুর রহমত, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নিয়ামত সম্ভারে যাকে সমৃদ্ধ করেন, তা’ উনার জন্যই খাছ। অজ্ঞদের অজ্ঞতা, বাতিলপন্থী
ও বিরোধীদের বিরোধিতায় তাতে কোন ক্ষতি হয় না। এমনকি, নেককারগণের খালিছ প্রতিযোগিতাও
সেখানে পরাভূত হয়।
আফদ্বালুন নাস, বা’দাল আম্বিয়া, হযরত আবূ
বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার বেমেছাল সম্মান ও মর্যাদা সকলের উপর
এজন্য প্রতিষ্ঠিত যে,
উনার অন্তর মুবারক ছিল রহমতে পরিপূর্ণ। সকলেই উনার দয়া ও
করুণায় উপকৃত হয়েছেন। আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু দান-খয়রাতসহ সকল নেক কাজেই আফদ্বালুন নাস, বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর
ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছেন। কিন্তু কখনোই
জয়ী হতে পারেননি। তাবুক জিহাদের প্রাক্কালে সমুদয় সম্পদ অর্ধেক দান করেও আশিদ্দাউ
আলাল কুফ্ফার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দান করার
প্রতিযোগিতায় আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার সর্বস্ব
দানের পরিমাণ, প্রাচুর্য ও পরিশুদ্ধতা দেখে সাইয়্যিদুল ক্বাওনাইন, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সম্মুখে সকাতর নিবেদন করেন: “হে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া! আমি আর কোনদিন আপনার
সাথে কোন বিষয়েই প্রতিযোগিতা করবোনা।” অতঃপর
আফদ্বালুন নাস বা’দাল
আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আনুষ্ঠানিকভাবে যখন
খলীফা হলেন, তখন আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
বিনয় প্রকাশ করেন যে: “আমি আর কখনোই আপনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবো না।” তিনি একথাও ব্যক্ত করেন: “আমি যে কাজেই আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর
ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছি, সে কাজে
সব সময়, সব ক্ষেত্রেই উনার পেছনে পড়েছি। সবসময় তিনিই জয়ী হয়েছেন।”
সূক্ষ্মদর্শী ও
অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মাহবুব ওলী আল্লাহ উনাদের বিরোধিতায় আযাব-গযব, লাঞ্ছনা, পরাজয় ও
অপমান ছাড়া কেউ কোনদিন অন্যকিছু অর্জন করতে পারেনি। হিদায়েত আপাদমস্তক পুরোটাই
হক্ব আর নাহক্ব প্রভেদ করার মানদ-রূপ নূর। আর গুমরাহী, বিচ্যুতি
ও বিরোধিতা হলো বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা। উনার পরিণতি জাহান্নাম।
অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ওলীআল্লাগণই সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করতে পারেন। মিলিতবস্তু
হতে লব্ধ নূরের কষ্টিপাথরে ভালো-মন্দ ও হক্ব-নাহক্বের পার্থক্য করতে উনারাই
পারঙ্গম। আল্লাহ পাক এবং ছাহিবে ওহী ওয়াল কুরআন, রউফুর রহীম, নূরে
মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে লক্ষ্যস্থল
ওলীআল্লাহ-উনার উপর সদয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, কেবল তিনিই সকল বিষয়ের হাক্বীক্বত
উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়ে থাকেন। কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
ومن لم يجعل الله له نورا فما له من نور.
অর্থ: আল্লাহ পাক যার জন্য
নূর সৃষ্টি করেননি,
তার জন্য কোন নূর নেই।” (সূরা
নূর-৪০) (চলবে)
আবা-১৯৪
0 Comments:
Post a Comment