=================================================
দুই ঈদের জন্য বোনাস ও ছুটি থাকলে, দুই ঈদের চেযেও শ্রেষ্ঠ তম ঈদে তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য বোনাস ও ছুটি নেই কেন?
পবিত্র জুমুয়ার দিন মুসলমানগন উনাদের জন্য ঈদের দিন। পবিত্র সহীহ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ السَّبَّاقِ , أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جُمُعَةٍ مِنَ الْجُمَعِ قَالَ : ” يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ , إِنَّ هَذَا يَومٌ جَعَلَهُ اللَّهُ عِيدًا لِلْمُسْلِمِينَ
“হযরত ওবায়িদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক জুমুয়ার দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন। (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৯৮, মুয়াত্তা মালিক- কিতাবুত ত্বহারাত: হাদীস নম্বর ১৪৪, বায়হাক্বী : হাদীস ১৩০৩, মা’য়ারিফুল সুনান ওয়াল আছার বায়হাক্বী: হাদীস ১৮০২, মুসনাদে শাফেয়ী: হাদীস ২৬৮, মুজামুল আওসাত তাবরানী ৩৪৩৩, মিশকাত শরীফ)
“হযরত ওবায়িদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক জুমুয়ার দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন। (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৯৮, মুয়াত্তা মালিক- কিতাবুত ত্বহারাত: হাদীস নম্বর ১৪৪, বায়হাক্বী : হাদীস ১৩০৩, মা’য়ারিফুল সুনান ওয়াল আছার বায়হাক্বী: হাদীস ১৮০২, মুসনাদে শাফেয়ী: হাদীস ২৬৮, মুজামুল আওসাত তাবরানী ৩৪৩৩, মিশকাত শরীফ)
এ পবিত্র হাদীস শরীফ উনার থেকে আমরা জানতে পারলাম, জুমুয়ার দিনকে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈদের দিন হিসাবে ঘোষনা করেছেন।
কতবড় ঈদের দিন ও শ্রেষ্ঠ দিন জানেন কি ? দেখুন পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে কি বলা হয়েছে-
قال النبى صلى الله عليه وسلم ان يوم الـجمعة سيد الايام واعظمها عند الله وهو اعظم عند الله من يوم الاضحى ويوم الفطر
কতবড় ঈদের দিন ও শ্রেষ্ঠ দিন জানেন কি ? দেখুন পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে কি বলা হয়েছে-
قال النبى صلى الله عليه وسلم ان يوم الـجمعة سيد الايام واعظمها عند الله وهو اعظم عند الله من يوم الاضحى ويوم الفطر
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, জুমুআর দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও মহান আল্লাহ পাক-উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। (ইবনে মাজাহ : হাদীস নম্বর ১১৩৭, মুজামুল কবীর তাবরানী ৪৫১১, শুয়াইবুল ঈমান বায়হাকী : হাদীস ২৯৭৩, মিশকাত শরীফ)
এই পবিত্র হাদীস শরীফ উনার থেকে আমরা জানতে পারলাম, জুমুয়ার দিন অন্য দিন সমূহের সর্দার, এমনকি পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা থেকেও বেশি সম্মানিত।
এবার দেখূন কেন পবিত্র জুমুয়ার দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহার চাইতে বেশি শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত:
এবার দেখূন কেন পবিত্র জুমুয়ার দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহার চাইতে বেশি শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত:
ان من افضل ايامكم يوم الـجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ: ‘তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এ দিনেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন।’ (নাসায়ী শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ১৩৮৫, মুসলিম শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ৮৫৫, তিরমিযী :হাদীস ৪৯১, মুসনাদে আহমদ : ৮৯৫৪, হাদীস নম্বর ৮৯ ইবনে মাজাহ : হাদীস ১৭০৫, সুনানে আবু দাউদ – কিতাবুস সালাত: হাদীস ১০৪৭, ইবনে খুযায়মা: হাদীস ১৬৩২)
অর্থ: ‘তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এ দিনেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন।’ (নাসায়ী শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ১৩৮৫, মুসলিম শরীফ- কিতাবুল জুমুয়া: হাদীস ৮৫৫, তিরমিযী :হাদীস ৪৯১, মুসনাদে আহমদ : ৮৯৫৪, হাদীস নম্বর ৮৯ ইবনে মাজাহ : হাদীস ১৭০৫, সুনানে আবু দাউদ – কিতাবুস সালাত: হাদীস ১০৪৭, ইবনে খুযায়মা: হাদীস ১৬৩২)
হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টি, দুনিয়ায় আগমন, বিছাল শরীফ এর জন্য পবিত্র জুমুয়ার দিন এত শ্রেষ্ঠ। এতটাই শ্রেষ্ঠ যে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহার চাইতেও বেশি শ্রেষ্ঠ।
শুধু তাই নয় নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ সবই ঈদের ও শান্তির দিন। যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
শুধু তাই নয় নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ সবই ঈদের ও শান্তির দিন। যেমন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وسلم عليه يوم ولد ويوم يـموت ويوم يبعث حيا .
অর্থ: ‘উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যেদিন তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।’ (সূরা মারইয়াম শরীফ, আয়াত শরীফ: ১৫)
অর্থ: ‘উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যেদিন তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি পবিত্র বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।’ (সূরা মারইয়াম শরীফ, আয়াত শরীফ: ১৫)
তাহলে সমস্ত নবীদের নবী, সমস্ত রসূলদের রসূল হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে মহনি আল্লাহ পাক তিনি কিছুই সৃষ্টি মুবারক করতেন না। এমনকি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার আগমন ও বিছাল শরীফের কারনে যে জুমুয়ার দিন ঈদের দিন, সেই আদম আলাইহিস সালাম উনিও সৃষ্টি হতেন না হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি সৃষ্টি না হলে। যেমন পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে,
قال الله تعالـى ولو لا مـحمد رسول الله صلى الله عليه وسلم ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন , যদি আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন, তাহলে আমি আপনাকেও (হযরত আদম আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! এ পবিত্র হাদীছ শরীফ খানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা, আছ ছহীহাহ ১ম খ- ৮৮ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুস্তাদরাক ২য় খ- ১০৬৯ পৃষ্ঠা, আত তাওয়াসসুল ১১৫ পৃষ্ঠা, তাফসীরুদ দুররিল মানছূর লিস সুয়ূত্বী ১ম খ- ৫৮ পৃষ্ঠা, কানযুল উম্মাল ১১ খ- ৪৫৫ পৃষ্ঠা)
তাহলে এখন প্রশ্ন,
জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হওয়ার কারনে যদি সরকারি ভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হয়..
ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা ঈদের দিন হওয়ার কারনে বাৎসরিক ছুটির দিন হয় ও সরকারী বোনাস দেয়া হয়…
তাহলে যে তারিখে, যে বারে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন বা বিলাদত শরীফ, সে দিনে সরকারী ও বেসরকারী বোনাস কোথায়????
কেন শুধুমাত্র একদিন দায়সারা ছুটি ??
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন , যদি আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন, তাহলে আমি আপনাকেও (হযরত আদম আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি করতাম না।” সুবহানাল্লাহ! এ পবিত্র হাদীছ শরীফ খানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা, আছ ছহীহাহ ১ম খ- ৮৮ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুস্তাদরাক ২য় খ- ১০৬৯ পৃষ্ঠা, আত তাওয়াসসুল ১১৫ পৃষ্ঠা, তাফসীরুদ দুররিল মানছূর লিস সুয়ূত্বী ১ম খ- ৫৮ পৃষ্ঠা, কানযুল উম্মাল ১১ খ- ৪৫৫ পৃষ্ঠা)
তাহলে এখন প্রশ্ন,
জুমুয়ার দিন ঈদের দিন হওয়ার কারনে যদি সরকারি ভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হয়..
ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা ঈদের দিন হওয়ার কারনে বাৎসরিক ছুটির দিন হয় ও সরকারী বোনাস দেয়া হয়…
তাহলে যে তারিখে, যে বারে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন বা বিলাদত শরীফ, সে দিনে সরকারী ও বেসরকারী বোনাস কোথায়????
কেন শুধুমাত্র একদিন দায়সারা ছুটি ??
কেন পবিত্র রবিউল আউয়াল সারা মাস ব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না??
0 Comments:
Post a Comment