প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন! - শেখ মুজিব সাহেবের বাস্তবায়নকৃত ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করুন। ১২০

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন! - শেখ মুজিব সাহেবের বাস্তবায়নকৃত ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করুন।
=================================================
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব সর্বপ্রথম বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ঢাকায় ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে পবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্ব প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে পবিত্র ‌ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচী গ্রহন করেন। সরকার প্রধান হিসেবে আপনার পিতা বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন । একজন সরকার প্রধান হিসেবে জাতীয়ভাবে পবিত্র ‌ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের উদ্বোধন উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং বিরল দৃষ্টান্ত ।
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাহেব ই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষনা করেন। দিবসের পবিত্রতা রক্ষার জন্য তিনি সিনেমা হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন ।
সুত্রঃ
১. সৈয়দ আবীর  “ইসলামী মুল্যবোধ ও বঙ্গবন্ধু” , জাগৃতি প্রকাশনী,পঞ্চবিংশ অধ্যায়-ইসলামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান,পৃষ্ঠা ২০৮
২.আবু তাহের মুহাম্মদ মানজুর “ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা(ঢাকা:ই.ফা.বা.)জানুয়ারী-মার্চ-২০০৯ পৃ-৪১,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
১৪৬৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন চট্টগ্রামে স্থায়ী হন তখন উনার সঙ্গী ছিলেন আপনার পুর্বপুরুষ শেখ আউয়াল রহমতুল্লাহি আলাইহি। দরবেশ শেখ আউয়াল রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রিয় মুরিদ এবং বিশ্বাসীজন। সে হিসেবে আপনার পুর্বপুরুষেরা দ্বীনের তালিম তালকিন দিয়েছেন। বাংলার জমিনে ইসলামের আবাদ করেছেন। আপনি সেই ধার্মিক পুর্বপুরুষেরই বংশধর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
ইসলামের প্রতি আপনার পিতার যে অনুভূতি আর দরদ কি রকম গভীর ছিল তা ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে তার প্রমাণ দিয়ে গেছেন। আপনার পিতা আপনাদের বাড়িতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের অনুষ্ঠান করতেন। আপনিও আপনার পিতার আদর্শ অনুসরণ করে নির্বাচনী ওয়াদায় কুরআন – সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন যা ৯৮ ভাগ মুসলমানের হৃদয়কে আন্দোলিত করেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
আপনি সেই পিতার সন্তান।যার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে তড়িৎ গতিতে এগুচ্ছে। যিনি পরপর দু’বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সবসময় বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেবের স্বপ্ন পুরনের কথা বলেন। বাস্তবায়িত করার কথা বলেন। সেই আপনার পিতা-ই নুরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এতই মুহব্বত করতেন যে স্বয়ং ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বাংলার জমিনে সরকারীভাবে জাঁকজমকের সাথে পালন করেছেন।
আপনিও সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
আপনার পিতার আদর্শই আপনার জীবনের পথচলার পাথেয়। আপনার পিতার আদর্শকে বাস্তবায়ন করা এবং বাস্তবায়নকৃত বিষয়কে আর বেগবান করা কন্যা হিসেবে আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।সে হিসেবে আপনার পিতার বাস্তবায়নকৃত পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা-বোনাস দিবেন যা ৯৮ ভাগ মুসলিম এই দেশে মুসলমানদের প্রানের দাবী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
আপনি যদি সর্বোত্তম আমল পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা-বোনাস চালু করতে পারেন তাহলে আপনার পিতার রুহের মাগফেরাত কত অসীম হবে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। একজন মৃত ব্যক্তি জীবিত তার বংশধরদের কাছে তা-ই আশা করেন। শুধু তাই নয় আপনি যদি ভাতা বোনাস চালু করতে পারেন আপনি নিজেও বিশাল নিয়ামত লাভ করবেন এবং মহিলা ওলিদের মত আপনার অবদান ও যুগ যুগ ধরে স্বরন করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে কে কি বলেছে আপনি তা আমলে নেননি। নিজের ইচ্ছার উপর দৃঢ় থেকে , অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে আপনি এই বাংলার জমিনকে কলংকমুক্ত করেছেন। ঠিক তেমনি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ভাতা বোনাস চালু করতে কে কি বলেছে তার পাত্তা দেওয়া যাবেনা। কারন এ দিবস খোদ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী –
যদি আপনি তা-ই করতে পারেন তাহলেই কেবল আপনার পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়া এবং ইহকাল-পরকাল উভয়কালেই কামিয়াবি অর্জন করা সম্ভব।
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সেই ঈমানী কুওওয়ত দান করুন। আমীন।

0 Comments: