=================================================
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম উনার বিরুধীতাকারীরা বলে থাকে জন্মাষ্টমীর অনুসরনেই নাকি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়ে থাকে!!! নাউযুবিল্লাহ!!
অথচ এই কথা একান্তই অবান্তর যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুদের জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধদের বৌদ্ধপূর্ণিমা বা খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। বরং মুসলমানগণ উনাদের থেকেই অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন দেখেই এ সমস্ত যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য জাতিরা তাদের কথিত জন্মোৎসবগুলো চালু করেছে।
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুদের জন্মাষ্টমী থেকে নয়:
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে কৃষ্ণের জন্ম। কিন্তু তখন থেকে জন্মাষ্টমী পালনের কোনো ইতিহাস নেই। কৃষ্ণের জন্ম পৃথিবীতে নাকি নক্ষত্রে তা নিয়ে যেমন রয়েছে একদিকে বিতর্ক তেমনি কৃষ্ণের জন্মের পর থেকে গত পাঁচ হাজার বছর পর্যন্ত এভাবে জন্মাষ্টমী পালনের ইতিহাসও নেই। জন্মাষ্টমী হিন্দুদের জন্য সার্বজনীন কোন উৎসবও নয়। বরং ইতিহাস পাঠে জানা যায়, শাসক শ্রেণী তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার প্রচলন এবং বিকাশ ও বিস্তার ঘটিয়েছে।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে কৃষ্ণের জন্ম। কিন্তু তখন থেকে জন্মাষ্টমী পালনের কোনো ইতিহাস নেই। কৃষ্ণের জন্ম পৃথিবীতে নাকি নক্ষত্রে তা নিয়ে যেমন রয়েছে একদিকে বিতর্ক তেমনি কৃষ্ণের জন্মের পর থেকে গত পাঁচ হাজার বছর পর্যন্ত এভাবে জন্মাষ্টমী পালনের ইতিহাসও নেই। জন্মাষ্টমী হিন্দুদের জন্য সার্বজনীন কোন উৎসবও নয়। বরং ইতিহাস পাঠে জানা যায়, শাসক শ্রেণী তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজার প্রচলন এবং বিকাশ ও বিস্তার ঘটিয়েছে।
লেখক ভুবন মোহন বসাক এবং যদুনাথ বসাকের দুটি বই থেকে জন্মাষ্টমীতে মিছিলের পুরনো ইতিহাস সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা পাওয়া যায়। বই দু’টির একটি ১৯১৭ সালে এবং অপরটি ১৯২১ সালে প্রকাশিত হয়। দু’টি বইতে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জন্মাষ্টমী উৎসবে মিছিলের শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতকে।
ভুবন মোহনের লেখা বই অনুসারে ইসলাম খাঁর ঢাকা নগরের পত্তনের (১৬১০ সাল) আগে বংশালের কাছে এক সাধু বাস করতো। ১৫৫৫ সালে সে রাধাষ্টমী উপলক্ষ্যে বালক ও ভক্তদের হলুদ পোশাক পরিয়ে একটি মিছিল বের করেছিলো। এর প্রায় ১০-১২ বছর পর সেই সাধু ও বালকদের উৎসাহে রাধাষ্টমীর কীর্তনের পরিবর্তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আরো জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিছিল বের করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। সে উদ্যোগেই ১৫৬৫ সালে প্রথম জন্মাষ্টমীর মিছিল ও শোভাযাত্রা বের হয়।
জেমস টেলর-এর লেখনী থেকে জানা যায়, ১৭২৫ সালে জন্মাষ্টমী পালনের জন্য দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়। নবাবপুর পক্ষকে বলা হতো লক্ষ্মীনারায়ণের দল আর ইসলামপুর পক্ষকে বলা হতো মুরারি মোহনের দল। সপ্তদশ শতকে শোভাযাত্রার শুরু হলেও তা বিকশিত হয়েছিল ঊনিশ শতকের শেষার্ধে, বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ধারা বলবৎ ছিল।
উপরের ইতিহাস ভিত্তিক আলোচনা হতে সুস্পষ্ট হলো যে, ঈসায়ী ষোড়শ শতকের দিকে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানাদি প্রচলিত হয়। এর পূর্বে হিন্দুদের এ ধরণের কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় না।
তাহলে এ কথা কি করে বলা যেতে পারে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুদের জন্মাষ্টমী হতে এসেছে! বরং যারা এ ধরনের তথ্য উপস্থাপন করে থাকে তাদের অন্তর বা কল্ব হিন্দুদের মহব্বতে গরক থাকার কারণেই তারা এ ধরনের মিথ্যা ও অবান্তর একপেশে তথ্য উপস্থাপন করছে।
0 Comments:
Post a Comment