পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন দেখেই সমস্ত যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য জাতিরা তাদের কথিত জন্মোৎসবগুলো(‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’) চালু করেছে। ৯৭

পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন দেখেই সমস্ত যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য জাতিরা তাদের কথিত জন্মোৎসবগুলো(‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’) চালু করেছে।
=================================================
এ কথা একান্তই অবান্তর যে, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুদের জন্মাষ্টমী, বৌদ্ধদের বৌদ্ধপূর্ণিমা বা খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। বরং মুসলমান উনাদের থেকেই অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন দেখেই এ সমস্ত যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য জাতিরা তাদের কথিত জন্মোৎসবগুলো চালু করেছে।
পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৌদ্ধদের বৌদ্ধপূর্ণিমা থেকে নয়
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক মতে, গৌতম বুদ্ধ ৫৬৩ খ্রিষ্টপূর্ব সালে (দুই হাজার ৫৫৮ বছর আগে) নেপালের লুম্বিনি নামক স্থানে জন্মলাভ করে। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম দেয়া হয় ‘বৌদ্ধ পূর্ণিমা’।
প্রাপ্ত তথ্য মুতাবিক, বৌদ্ধ পূর্ণিমা প্রায় এক শতাব্দী যাবত বৌদ্ধ ধর্মের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ১৯৫০ সালে শ্রীলঙ্কাতে বিশ্ব বুদ্ধ সহায়ক সংস্থা (ঃযব ডড়ৎষফ ঋবষষড়ংিযরঢ় ড়ভ ইঁফফযরংঃং) প্রথমবারের মতো বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৪৯ বছর পর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ তথা ইয়াহূদীসংঘ বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালনের ইতিহাস এখনো ১০০ বছর পার করতে পারেনি। তাহলে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি করে বৌদ্ধ পূর্ণিমা হতে উৎপত্তি লাভ করলো! যেখানে ১৯৫০ সালের আগে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালনেরই ইতিহাস নেই। কাজেই কোন মিথ্যাচারিতা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। সত্য তার স্ব মহিমায় উদ্ভাসিত হবেই।

0 Comments: