পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা কারীদের প্রতি সতর্কবাণী ১১৭

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা কারীদের প্রতি সতর্কবাণী
=================================================
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার বিরোধিতা কারীদের প্রতি সতর্কবাণী, এখনো তওবা না করলে আবু লাহাবে মতো পচে-গলে আকৃতি বিকৃত হয়ে মরতে হবে.
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন, “আবু লাহাব ও তার দুই হাত ধ্বংস হোক। তার ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কোনো কাজে আসবে না। আবু লাহাব ও তার স্ত্রী অতি শীঘ্রই প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে (জাহান্নামে) প্রবেশ করবে।” (পবিত্র সূরা লাহাব).
বর্তমানেও যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক জাত পাক উনার সাথে সম্পর্কিত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করছে তাদের আবু লাহাবের কথা স্মরণ রাখা উচিত। আবু লাহাব যেমন পচে-গলে আকৃতি বিকৃতি হয়ে মারা গিয়েছিল, ঠিক তেমনি তারাও লানতপ্রাপ্ত হয়ে পচে-গলে আকৃতি বিকৃতি হয়ে মারা যাবে।.
ইতোমধ্যে এ ধরনের বহু দলিল পাওয়া গেছে। যেমন:
১) বায়তুল মোকাররম মসজিদের সাবেক খতিব উবায়দুল হক, যে প্রতি বছর পবিত্র সাইয়িদুল আইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করতো। তার মৃত্যুর সাথে সাথে তার লাশে পচন ধরে যায় এবং তা ধারণ করে বিকট আকৃতি। বহু ফরমালিন আর চারপাশে বরফের আস্তরণ দিয়েও তার লাশের পচন থামানো যায়নি।
২) বাংলাদেশে দেওবন্দীদের গুরু শায়খুল হদস আজিজুল হক। সে মারা যাওয়ার আগে তার এক ধরনের চর্মরোগ হয় এবং সেখান থেকে পচন সৃষ্টি হয়; যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য আবু লাহাবেরও একইভাবে চর্মরোগ থেকে সারা শরীরে পচন ছড়িয়ে পড়েছিল। হদসের ছেলে এই ঘটনা নিজ মুখেই স্বীকার করেছে। হদসের ছেলে এ সম্পর্কে বলেছে, “ইন্তেকালের ৬/৭ মাস আগে আব্বার শরীরে চর্ম রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে চামড়ার মধ্যে পানির মতো জমাট বেঁধে ফোস্কা পড়ত। অতঃপর সেই ফোস্কা ফুটে গিয়ে দগদগে ক্ষত সৃষ্টি হতো। ক্ষতগুলো এতটাই প্রকট আকারের হতো যে, পরিবারের সদস্যদের জন্য তা সহ্য করা সম্ভব হতো না।)
৩) মুফতে আমিনী ওরফে কমিনী ২০০২ সালের ১৫ই আগস্ট লালবাগের বড় কাটরা মাদরাসায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে গরু জবাই করে খাওয়ায়। যে খবরটি পরদিন ১৬ই আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে ছাপা হয়। অথচ এই ধর্মব্যবসায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ বা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা করত। (নাউযুবিল্লাহ) যার কারণে কমিনীর দেহ মৃত্যুর সাথে সাথে পচে যায় এবং বিকট আকৃতি ধারণ করে।
তাই এখনো যে সমস্ত কুলাঙ্গার পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে যাচ্ছে তাদের উচিত তাদের ওস্তাদদের কঠিন পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। কারণ যখন গযব শুরু হয়ে যাবে তখন তা ঠেকানোর কোনো উপায় থাকবে না, দুনিয়া-আখিরাত দুইটিই পরিণত হবে কঠিন জাহান্নামে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক). 

0 Comments: