ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন
কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
আজমীর শরীফে চিশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,
কতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ
মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/
অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ
অব্যক্ত বেদনার আরো
ব্যাপ্তি, গোপন আলাপন, ভাব বিনিময় ও আনন্দ-বেদনার লেনদেন শেষে দু’জনের অভিন্ন ইচ্ছে ব্যতিরেকে
আজমীর শরীফ থেকে আসা যাবে না। তাই মাযার শরীফ-সংলগ্ন একটি হোটেলে কিছুদিন থাকা।
ওলীয়ে মাদারজাদ, ফখ্রুল আওলিয়া,
লিসানুল হক্ব, ছাহিবে ইসমে আ’যম, ছাহিবে
কাশ্ফ ওয়া কারামত,
আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর
রহমান আলাইহিস সালাম ক’দিন
থাকার জন্য ইমামুল আইম্মা,
মুহ্ইস্ সুন্নাহ, ছাহিবে কুন ফাইয়াকুন, গরীবে
নেওয়াজ, আওলাদে রসূল,
হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন
হাসান চিশ্তী সানজারী ছুম্মা আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার মাযার শরীফের একান্ত
অদূরে এমন একটি হোটেলে উঠেছেন, যেখান থেকে যখন তখন মাযার শরীফে যাওয়া আসা করা যায়। সব সময়
তিনি মাযার শরীফই থাকেন। বিশেষ প্রয়োজন না হলে হোটেলে যান না, যেতে মন
চায় না।
নিগূঢ় নৈকট্যের শীর্ষ
সোপানে উপনীত হয়েও আরো নৈকট্য বাকী থাকে। কাঙ্খিত গন্তব্যের অথৈ নাগাল
পর্যন্ত শুধু যেতে চাওয়া হয়, যাওয়া হয়
না। তাই কোশেশের শেষ থাকে না। কামিয়াবীর মন্জিলে উপনীত হয়েও আরো পাবার অগ্রযাত্রায়
অবিরত দগ্ধ হওয়াকে সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণ আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মা’রিফাত ও মুহব্বত হাছিলের “চূড়ান্ত
ধাপ” হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এমন অব্যক্ত যন্ত্রণাকাতরতা সকল মাহবুব ওলীগণের
জন্যই আল্লাহ পাক বরাদ্দ করে রেখেছেন। আল্লাহ পাক অসীম। আল্লাহ পাক-উনার
মুহব্বত-মা’রিফাতও অসীম। আল্লাহ পাক-উনার কায়মক্বাম, রউফুর রহীম, খইরুল
আলামীন, ছাহিবুল ওসীলাহ,
রহমতুল্লিল আলামীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুহব্বতও সীমাহীন। প্রেক্ষিত অবস্থায়
পাবার আনন্দ ও না পাবার বেদনায় ভিন্ন মাত্রায় অনুক্ষণ আবর্তিত হওয়া ছাড়া গত্যন্তর
থাকে না।
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ
দা’ওয়াত, আফজালুল ইবাদ,
আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর
রহমান আলাইহিস সালাম-উনার এমন
যন্ত্রণাকাতরতা শৈশবকাল থেকেই। মাজার শরীফে কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল
মাশায়িখ, হাবীবুল্লাহ,
হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী রহমতুল্লাহি
আলাইহি-উনার সঙ্গে তাই কখনো উনার নৈকট্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না, যোগাযোগ
ও ভাব বিনিময় শেষ হয় না এবং আলাপচারিতা এবং লেনদেনও ফুরায় না।
এদিকে মাযার শরীফ সংলগ্ন
এলাকায় শায়িত রয়েছেন সাতশত হিজরীর নায়েবে মুজাদ্দিদ, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর
রসূল, হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূবকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরতুল আল্লামা
সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস
সালাম-উনার মাধ্যমে হিদায়েতের যে আঞ্জাম বাস্তবায়িত হয়েছে এবং উনার মুবারক সন্তান
আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল
ইসলাম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম, ছাহিবে সুলতানিন্ নাছীর, ওলীয়ে মাদারজাদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু
রসূলিল্লাহ, আওলাদুর রসূল,
সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান মুদ্দা
জিল্লুহুল আলী-উনার মাধ্যমে জগৎ জুড়ে আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুহব্বত ও মা’রিফাত-সমৃদ্ধ হিদায়েতের যে অমিয়
ধারা প্রবহমান, হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রাণ পুরুষ।(চলবে)
আবা-১৬৫
0 Comments:
Post a Comment