ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
আজমীর শরীফে চিশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, কতুবুল আক্তাব, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ
মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন
অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ-
উল্লিখিত ঘটনায় বোঝা গেলো, অন্তর্গত
একই প্রকৃতির সত্তার কারণে পারস্পরিক বন্ধুত্ব গড়ে উঠে, মুহব্বত
সৃষ্টি হয়। প্রকৃতিগত সত্তার অভিন্নতার জন্যই উভয়ে অবিচ্ছিন্ন থাকে। অনিবার তাদের
সম্মিলন ঘটে। এ সম্মিলন কখনো পরোক্ষ, আবার কখনো প্রত্যক্ষ। অর্থাৎ, কখনো জিসমানী
এবং কখনো রূহানী। এরূপ সম্পর্ক স্থাপন এবং তা’ অনুক্ষণ রাখায়
মানুষ আগ্রহী হয় অভ্যন্তরীণ অভিন্ন যোগসূত্রের কারণে। বিষয়টি আল্লাহ পাক-উনার
মাহবুব ওলীগণের ক্ষেত্রে আরো বেশী করে প্রযোজ্য। জীবনে ও মরণে উনাদের যোগাযোগ ও
দেখা-সাক্ষাতের ক্ষেত্র অবারিত। এমনকি পারস্পরিক নিগূঢ় মুহব্বতের নিমিত্ত কবরে, হাশরে, জান্নাতে
এবং আল্লাহপাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, মাশুকে মাওলা, হুযূরপাক
ছল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে
দিদারে সমপর্যায়ের ওলীগণের যোগাযোগ এবং মহামিলন ঘটবে আল্লাহপাক এবং হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারই সদয় ইচ্ছায়।
অভিন্নরূপ অন্তর্গত মিল
এবং সত্তাগত গভীর আকর্ষণে অবিরাম রূহানী যোগাযোগ ও আলাপন সত্ত্বেও ওলীয়ে মাদারজাদ, ফখ্রুল
আউলিয়া, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, আওলাদে রসূল,
হযরতুল আল্লামা, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর
রহমান আলাইহিস সালাম উনাকে তাই ছুটে যেতে
হয় আজমীর শরীফে। সেখানে রয়েছেন চিশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, ইমামুশ্
শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত,
ইমামূল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, ছাহিবে
কুন ফাইয়াকুন, সুলতানুল মাশায়িখ্,
কুতুবুল আলম, সুলতানুল হিন্দ, গরীবে
নেওয়াজ, মুজাদ্দিদে যামান,
হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত
খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী সানজারী ছুম্মা আজমিরী রহমতুল্লাহি আলইহি-উনার
মাযার শরীফ।
ইমামুল আইম্মা, সুলতানুল
হিন্দ, হাবীবুল্লাহ,
আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী সানজারী ছুম্মা আজমিরী
রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে ওলীত্বের বন্ধন এবং সহজাত আকর্ষণ ছাড়াও আরো এক
বিশেষ আকর্ষণ ও নিস্বত রয়েছে। মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান
আলাইহিস সালাম-উনার উর্ধ্বতন পুরুষ আওলাদে রসূল, হযরত
সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজমীর শরীফে শায়িত
রয়েছেন। সুলতানুল হিন্দ,
গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত
খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিভিন্ন দেশ-জনপদ হিজরত
ও সফর শেষে আল্লাহ পাক এবং রসূলে পাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সদয় নির্দেশে ছয়শত হিজরীর কাছাকাছি সময়ে
আজমীর শরীফ আসেন।
কুতুবুল আক্তাব, সুলতানুল
মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান,
ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে
রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার অন্তরঙ্গ সঙ্গী হিসেবে আল্লাহপাক-উনার
লক্ষ্যস্থল, আওলাদে রসূল,
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি
আলাইহি আজমীর শরীফে তাশরীফ আনেন। ইসলাম
প্রচারে নিমগ্ন হয়ে তিনি আজমীর শরীফেই থেকে যান এবং সেখানে ইন্তিকাল করেন (ইন্না
লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উনারই অধস্তন মুবারক সন্তান, আওলাদে
রসূল, হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আওলাদে রসূল, হযরত
সাইয়্যিদ মুহম্মদ সালাহুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি এগারশত হিজরীর শেষার্ধে
হিদায়েতের আলো নিয়ে চট্টগ্রাম আগমন করেন। হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন
রহমতুল্লাহি আলাইহি চট্ট্রগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ, অত:পর সোনারগাঁও এবং অবশেষে একই
জিলার আড়াইহাজার থানাধীন যে জনপদে এসে হিদায়েতের কেন্দ্রভূমি গড়ে তুলেন, তারই
বর্তমান নাম “প্রভাকরদী”।
হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আলাউদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার পুত্র হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দীন
রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার পুত্র হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ এলাহী বখশ্ রহমতুল্লাহি
আলাইহি। উনার পুত্র হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ওয়ালী বখশ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনারই
পুত্র আমাদের আলোচ্য হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস
সালাম। নারায়ণগঞ্জ জিলাধীন প্রভাকরদী গ্রামে ‘সাইয়্যিদ বাড়ী’র মাযার
শরীফের সামনে উপরোক্ত ওলীআল্লাহগণের অনেকের নাম মুবারক অনুক্রমিক উৎকীর্ণ রয়েছে। সুলতানুল
হিন্দ, হাবীবুল্লাহ,
হযরত খাজা সাইয়্যিদ মঈনুদ্দীন হাসান চিশ্তি রহমতুল্লাহি
আলাইহি এবং আল্লাহ পাক-উনার লক্ষ্যস্থল, আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার
সঙ্গে অনুক্ষণ রূহানী যোগাযোগ ও দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া সত্ত্বেও অন্তরের ব্যাকুলতায়
প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ও সাক্ষাতের লক্ষ্যে ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে
রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম ১৯৭২ ঈসায়ী সালে আজমীর শরীফ যান।
(চলবে)
আবা-১৬৪
0 Comments:
Post a Comment