ওলীয়ে
মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ,
ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছুফীয়ে
বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব,
গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের
সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
আজমীর শরীফে চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, কতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ
মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/
অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ
মাজার শরীফে প্রতিদিন
অগণিত মানুষের ভিড়। খালিছভাবে আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, খাজিনাতুর
রহমাহ, রহমতুল্লিল আলামীন,
রউফুর রহীম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনার সন্তুষ্টি প্রত্যাশী ক’জন, তা’ কে জানে! সূক্ষ্মদর্শী ওলী আল্লাহ
ছাড়া সকল মানুষই নগদে বিশ্বাসী, অর্থাৎ দুনিয়া তালাশে মগ্ন। দুনিয়ার আসক্তি প্রাধান্যে রেখে
আখিরাত প্রত্যাশী হওয়া বিপদের আশঙ্কামুক্ত নয়। গায়রুল্লাহযুক্ত মানসিকতা ও আমলে
আখিরাতের নিয়ামতের প্রতি সাধারণ মানুষের এক ধরণের ধারণা জন্মে থাকে মাত্র। নিয়ত
বিশুদ্ধ হয়না। মাজার শরীফ গিয়েও অধিকাংশ মানুষ মাহবুব ওলীগণকে ওসীলা করে শুধু
দুনিয়ার নিয়ামতই চায়। অনেকে তা পেয়েও যায়। ছাহিবে নিয়ামত আল্লাহ পাক এবং যাবতীয়
নিয়ামত বন্টনকারী ছাহিবুল ইহ্সান, ছাহিবে লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে না চাওয়ায় ও না পাওয়ায় পরিণতিতে তাদের বিনাশ
ঘটে।
মহান আল্লাহ পাক উনাদেরকে
গায়রুল্লাহ থেকে পরিপূর্ণরূপে মাহ্ফুজ (সংরক্ষিত) রেখে পবিত্র করে দায়িমীভাবে উনার (আল্লাহ পাক) দিকে ঝুঁকিয়ে
রেখেছেন, ওলীয়ে মাদারজাদ,
আফ্যালুল ইবাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান
আলাইহিস সালাম সে শ্রেণীর ওলী। সব পেয়েও যেনো না পাওয়ার বেদনায় উনার অন্তর
বিরহে কাতর। মাজার শরীফে প্রত্যক্ষ সান্নিধ্যে তাই আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ
ও মিলন-বিরহে অনুক্ষণ উনার মন আন্দোলিত হয়। অভিন্ন যোগসূত্রে পর্দার অন্তরালবিহীন
মিলন যতো ঘনিষ্ঠ,
যাতনাও ততো দুঃসহ। মিলনের মাঝেই বিরহ লুকনো থাকে। তাই
নিয়ামতের যতো পরিবৃদ্ধি ঘটে, দুঃখের পরিধিও ততো ব্যাপক হয়। সেমতে মাহবুব ওলী আল্লাহগণের
প্রসিদ্ধ উক্তিঃ “মুহব্বত ও সন্নিধান ভালো, বিচ্ছেদ আরো ভালো।” কারণ তীব্র বিচ্ছেদেই মুহব্বত ও
মা’রিফাতের অনুপম স্বাদ অনুভূত হয়।
দিন শেষে রাত নামে। মাজার
শরীফে মানুষের সমাগম হ্রাস পায়। স্নিগ্ধ রাত ক্রমশ: গভীর হয়। একান্ত সান্নিধ্যে
কথা বলার, ভাব বিনিময়ের প্রত্যাশায় উম্মুখ অন্তরে দিনমান অধীর অপেক্ষা। কোলাহল শূন্য
নির্জনতায় কাঙ্খিত সে প্রহর প্রতিরাতে এসেও যায়। আল্লাহ পাক এবং রফিকু ছাহিবিল
কুদরত, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনার সঙ্গে মাহবুব ওলীগণের নিগূঢ় নৈকট্য সংযোগ এবং ওলী আল্লাহগণের
পারস্পরিক অবিচ্ছেদ্য যোগাযোগের বন্ধন অবারিত। দিন বা রাতের কোন বিশেষ সময় দ্বারা
তা নিয়ন্ত্রিত নয়। মুহব্বত-মা’রিফাতের অথৈ পারাবারে অুনক্ষণ অবগাহনে সময়ের পর্দা কখনো
প্রতিবন্ধক হয় না। স্থান-কালের সীমানা ও দূরত্বের প্রশ্ন এক্ষেত্রে অবান্তর।
দায়িমী সম্পর্কের অনুপম প্রশান্তিতে কোন বিরাম থাকে না। বেদনা বিধুরতা নিত্য সঙ্গী
হলেও এমন মুহব্বতে কোন বিয়োজন নেই।
তবু নির্জনে,
নিভৃতে প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে নিবিড় মনঃসংযোগে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা
ও আলাপনের লেনদেনে যে অন্তর্গূঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তার তুলনা মেলা ভার। এভাবে গড়ে
উঠা মুহব্বতের স্থিতি অনন্তকাল অবধি। অকৃত্রিম মুহব্বতের মধুর বন্ধন সবকিছু ছাপিয়ে
আল্লাহ পাক এবং মাশুকে মাওলা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্
নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে অবিচ্ছিন্নরূপে সংযুক্ত
হয়ে পড়ে। তাইতো ওলীয়ে মাদারজাদ, ফখ্রুল আওলিয়া, লিসানুল হক্ব, ছাহিবে
কাশ্ফ ওয়া কারামত,
ছাহিবে ইস্মে আ’যম, আওলাদে রসূল, হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান
আলাইহিস সালাম একান্ত সাক্ষাতের জন্য প্রতিদিন অনুপম ক্ষণের অপেক্ষায়
থাকেন।
ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে যামান, সুলতানুল
হিন্দ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ,
ছাহিবে কুন ফাইয়াকুন, সুলতানুল মাশায়িখ, কুতুবুল
আলম, গরীবে নেওয়াজ,
হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত
খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তী সানজারী ছুম্মা আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার
সঙ্গে প্রতিদিন বিশেষ যোগাযোগ, দেখা- সাক্ষাৎ হয়। কথা বলা ও ভাব বিনিময় শুরু হয়। কখনো শেষ
হয় না। শেষ হওয়ার কথাওতো নয়। জান্নাতুল ফিরদাউসেও কী শেষ হবে? না, সেখানেও
শেষ হবে না। জান্নাতে নিয়ামতের শুধু আরম্ভ আছে, শেষ নেই। জান্নাতুল ফিরদাউসের
কাঙ্খিত মন্জিলে আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, ছাহিবু তাত্মাইন্নুল ক্বুলুব, ছাহিবুল
মাক্বামিল মাহমুদ,
ছাহিবুল কাওছার, মাশুকে মাওলা, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমীভাবে দিদারে মশগুল থাকার
জন্যইতো জীবনের এতসব আয়োজন। (চলবে)
আবা-১৬৬
0 Comments:
Post a Comment