সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৫)













খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৫)

                              
যিনি খালিক্ব¡ যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -



إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِندَ اللَّـهِ أَتْقَاكُمْ

নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সম্মানিত যিনি সবচেয়ে বেশি মুত্তাক্বী।” সুবহানাল্লাহ!
 মুত্তাক্বী’ হওয়ার জন্য হাক্বীক্বী আলিম হওয়া শর্ত বা ফরয। আলিম ব্যতিত কেউ মুত্তাক্বী হতে পারবে না। আলিম হওয়ার জন্য শুধু মাদরাসায় পড়া শর্ত না। বরং যিনি খালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে যিনি ভয় করেন তিনি হচ্ছেন, আলিম। সুবহানাল্লাহ!
 হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শায়েখ হযরত আবূ হামযা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ইন্তেকাল করবেন তখন উনার ছেলে যিনি, তিনি একজন বড় আলিম ও কাজী ছাহেব ছিলেন। উনার ইন্তেকালের পর তিনি এসে বললেন, আব্বা! আপনার ইন্তেকালের পর আমি কার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবো? তখন তিনি বললেন, আমার বিদায়ের পর হযরত আবূ হামযা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবে। তখন উনার ছেলে বলেছিলেন, তিনিতো ততবড় আলিম না। অর্থাৎ দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মাদরাসায় পড়ে যে পবিত্র হাদীছ, তফসীর, ফিকহ, ফতওয়া বর্ণনা করা হয় সেটা তিনি বুঝালেন। তখন তিনি বললেন, এটা তুমি ভুল বললে। তিনিতো অনেক বড় আলিম। সুবহানাল্লাহ! কাজেই যিনি যত বেশি মুত্তাক্বী তিনি ততবড় আলিম। সুবহানাল্লাহ! তাক্বওয়া হচ্ছে সমস্ত কিছুর মূল। সুবহানাল্লাহ!



على رأس العمل
যার তাক্বওয়া থাকবে তার সবকিছু আছে। আর যাদের তাক্বওয়া নেই তার কিছুই নেই। নাউযুবিল্লাহ!
 হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিজেই বলেন, আমি একদিন নিজেই বললাম,



يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوْصِنِي قَالَ أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللهِ ، فَإِنَّهُ رَأَسُ كُلِّ شَيْءٍ

ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে তাক্বওয়া সম্পর্কে অছীয়ত মুবারক করুন।  তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে তাক্বওয়া হাছিলের জন্য অছীয়ত মুবারক করছি।  আর নিশ্চয়ই তাক্বওয়া হচ্ছে সমস্ত কিছুর মূল। সুবহানাল্লাহ!”
 কাজেই মুত্তাক্বী হতে হলে হাক্বীক্বী আলিম হতে হবে। আর হাক্বীক্বী আলিম হতে পারলে তখন কামিয়াবী। আর সেই আলিম হওয়ার জন্য কিন্তু ইলমে তাছাওউফ চর্চা করতে হবে। তাছাওউফ ছাড়া কেউ মুত্তাক্বী হতে পারবে না ও আলিমও হতে পারবে না। যত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম অতীত হয়েছেন উনারা মুত্তাক্বী হওয়ার কারণে ওলীআল্লাহ হতে পেরেছেন। এখন সেটা বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি তিনি হন, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হোন না কেন, উনাদের প্রত্যেকের সাওয়ানেহ উমরী মুবারকে সেটা রয়েছে। হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যখন ১৬ থেকে ১৭ বছর চলতেছিল তখন ৭টি ডাকাত সর্দার তারা উনার কাছে তাওবাহ করে আল্লাহওয়ালা হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! এসব ঘটনা মুবারকে সকলের জন্য ইবরত ও নছীহত মুবারক রয়েছে।

0 Comments: