মুজাদ্দিদে আ’যম, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, মহাসম্মানিত এই ইবরত ও নছীহত মুবারক
প্রত্যেক জ্বিন-ইনসানের শোনা, জানা সেই অনুযায়ী আমল করা ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আরো
ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যারা সম্মানিত ইলমে
তাছাওউফ চর্চা করেন, তাদের নছীহত একরকম।
আর যারা আম তথা ইলমে তাছাওউফ চর্চা করে না তাদের নছীহত আরাক রকম।
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র তাছাউফের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে -
نخست موعظۃ پیر سخن
کہ از مصاحب
ناجنس احتراز کنید
(“নুখুসত্ মাওয়েজাতে পীরে সুখুন, কেহ আয মুছাহেবে নাজিনস ইহতেরাজ কুনেদ।”)
“তোমাদের সমপর্যায়ের যারা না, তোমাদের অন্তর্ভুক্ত
যারা নয়,
তোমাদের বিশ্বাসে যারা বিশ্বাসী নয় তাদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা।”
এটা হচ্ছে, সমস্ত হযরত আউলিয়া-ই কিরাম রহমতুল্লাহি
আলাইহিম উনাদের প্রথম নছীহত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে আরো উল্লেখ রয়েছে,
صحبت صالح ترا
صالح کند
صحبت طالح ترا طالح کند.
“সৎ সঙ্গ মানুষকে
আল্লাহওয়ালা করে দেয়। সুবহানাল্লাহ! আর বদ লোকদের ছোহবত তোমাকে বদকার বানিয়ে দিবে।”
নাউযুবিল্লাহ!
এজন্য আমি
একটি নছীহত বলেছিলাম-
"ثَلَاثَةٌ
لَا يَنْتَفِعْونَ مِنْ ثَلَاثَةٍ
“তিন প্রকার লোক থেকে তিন প্রকার লোক কোন ফায়দা লাভ করতে পারে না। প্রথম হচ্ছে,
شَرِيفٌ
مِنْ دَنِيٍّ،
শরীফ, ভদ্র যারা উনারা অভদ্র লোক থেকে কোন ফায়দা লাভ করতে পারে না। নাউযুবিল্লাহ!
بَرٌّ
مِنْ فَاجِرٍ،
নেককার লোকেরা
বদকার লোকদের থেকে কোন ফায়দা লাভ করতে পারেন
না। নাউযুবিল্লাহ!
حَكِيْمٌ
مِنْ جَاهِلٍ.
আর আলিম বা আল্লাহওয়ালা যারা, উনারা জাহিলদের থেকে কোন ফায়দা লাভ করতে পারেন না।” সুবহানাল্লাহ! সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য শরীফ হওয়া, নেককার হওয়া এবং আলিম হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ
মুবারক হয়েছে -
خَيْرُ
النَّاسِ مَنْ يَّنْفَعُ النَّاسَ.
“শ্রেষ্ঠ মানুষ ঐ
ব্যক্তি যার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করে।” সুবহানাল্লাহ!
একজন জ্বিন-ইনসানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে, যার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করতে পারে। সে হচ্ছে উত্তম, শ্রেষ্ঠ মানুষ। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
0 Comments:
Post a Comment