এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনার একটা
ওয়াক্বিয়া মুবারক। তিনি একবার ই’তিকাফ মুবারকে ছিলেন। একজন তাবেয়ী ব্যক্তি তিনি
উনার কাছে এসে বললেন, উনার কাছে একটি
আর্জি করলেন। তিনি বিশিষ্ট তাবেয়ী। তিনি কোন কারণে ঋণ গ্রস্থ হয়ে গেছেন। যার কাছে
তিনি ঋণ গ্রস্থ তাকে তিনি ওয়াদা দিয়েছিলেন, টাকা-পয়সা ফেরত দিবেন। কিছু ফেরত দিয়েছেন আর কিছু ফেরত দিতে পারেননি। সেই টাকা
পয়সা সংগ্রহ করতে পারেননি। গতবার সেই লোকটা সময় দিয়েছিল, এবার সে আর সময় দিতে নারাজ, সে আর সময় দিবে না। সেই লোক হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
ভক্ত ও মুহব্বতের লোক। উনার আদেশ নির্দেশ অনুযায়ী সে চলে। সে জন্য সেই তাবেয়ী
ব্যক্তি তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল আনহু উনার কাছে আসলেন। এসে
বললেন,
হুযূর! আপনি যদি ঐ লোকটাকে বলে দেন, তাহলে হয়তঃ তিনি আমাকে কিছু সময় দিবেন। আর সময় দিলে আমি সে
অনুযায়ি টাকা-পয়সাগুলো সংগ্রহ করে তা ফিরিয়ে দিতে পারবো। সুবহানাল্লাহ! তিনি বললেন, বেশ ঠিক আছে, কোথায় যেতে হবে? চলো। তিনি
কিন্তু ই’তিকাফে ছিলেন, পবিত্র মসজিদে
নববী শরীফে। তিনি সেখান থেকে বের হলেন, উনার না’লাইন শরীফ নিয়ে রওয়ানা হলেন। লোকটা বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন। যে, কি হয়েছে? আপনিতো ই’তিকাফে
আছেন। আপনি বের হচ্ছেন ই’তিকাফতো নষ্ট হয়ে যাবে, ভেঙ্গে যাবে। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, হে ব্যক্তি! আপনিতো জানেন না। এই যে, এখানে যিনি অবস্থান মুবারক করছেন, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেছেন,
(তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমি তা নিজে শুনেছিল)। “একজন মুসলমানের উপকার করা দশ বৎসর ই’তিকাফ মুবারক করা থেকে উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! তিনি বললেন, পরে আমি এটা ক্বাজা করে নিবো। সত্যিই তিনি ঐ লোকটাকে বলে
উনার জন্যে সময় বৃদ্ধি করে নিলেন। সুবহানাল্লাহ!
خَيْرُ
النَّاسِ مَنْ يَّنْفَعُ النَّاسَ.
“শ্রেষ্ঠ মানুষ ঐ
ব্যক্তি যার দ্বারা মানুষ ফায়দা লাভ করে।” সুবহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment