খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল
আউওয়াল,
সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, মুত্বাহহার, মুত্বাহহির, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
মামদূহ মুর্শিদে আকবার আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত মুবারক: (৬)
এজন্য
বলা হয়েছে -
قِصَاصُ
الْاَوَّلِيْنَ وَمَوْعِظَةُ لِلْاَخِرِيْنَ
“পূর্ববর্তী যারা
উনাদের ওয়াক্বিয়াগুলো পরবর্তী লোকদের জন্য ইবরত এবং নছীহত।” সুবহানাল্লাহ!
আমরা এখানে অনন্তকাল ব্যাপী মহাসম্মানিত
ফাল-ইয়াফরাহূ শরীফ তথা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি করেছি। এই
জারিকৃত মাহফিলে আমরা পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ পালন করে থাকি। শুধু পালন করা রছম
রেওয়াজ না, এটা হাক্বীক্বতে করার জন্য কোশেশ
করতে হবে। মহাসম্মানিত রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী
শান-মান মুবারক, ফযীলত, বুযূর্গী, সম্মান মুবারক এ
বিষয়টা বুঝতে হলে পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ অর্থাৎ উনার মহাসম্মানিত আব্বা আলাইহিস সালাম ও উনার
মহাসম্মানিতা আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের বিষয়, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয়, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং পরবর্তী হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম তারপরে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের যে সাওয়ানেহ উমরী মুবারক সেই ইলিম মুবারক বুঝতে পারলে, মহাসম্মানিত ফযীলত মুবারক বুঝতে পারলে নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান বুঝা সহজ
হয়। সুবহানাল্লাহ! যিনি আমাদের
সৃষ্টিকর্তা, যিনি খ¦লিক্ব¡ যিনি মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক উনারও শান-মান বুঝা যায়। সুবহানাল্লাহ! ঠিক উম্মতদের যে খুছূছিয়ত
ও বৈশিষ্ট মুবারক দেখতে পারলে যিনি উম্মতদের মালিক মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান বুঝা যায়।
সুবহানাল্লাহ! কাজেই সেই বিষয়গুলোর জন্য তাক্বওয়া অর্জন করা, অন্তরকে ইছলাহ করা। একটা লোক এসব বিষয় মুখে বললেই হবে না, অন্তরকে ইছলাহ করতে হবে। সাধারণভাবে আশরাফুল মাখলুকাত
মানুষ। তাদের মধ্যে মুসলমান উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হওয়ায় সর্বশ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ!
উম্মতদের সর্বশ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য এবং সেই জায়গায় পৌঁছতে হলে তাকে বাইয়াত
গ্রহণ করতে হয়। বাইয়াত গ্রহণ করে, ছবক নিয়ে, যিকির ফিকির করে ফয়েজ তায়াজ্জুহ হাছিল করতে হবে। কারণ ফয়েজ
তায়াজ্জুহ হাছিল করে অন্তরগুলোকে ইছলাহ করতে হয়। ইছলাহ বা পরিশুদ্ধ না হওয়া
পর্যন্ত সে কখনও মুত্তাক্বী হতে পারবে না। তাক্বওয়া হাছিল করতে পারবে না। অন্তরে
যে গালিজগুলো থাকে তা তাকে আস্তে আস্তে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment