বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায ও তার সংশ্লষ্টি বষিয় সর্ম্পকে ফতওয়া
গবেষণা কেন্দ্র- মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ
( পূর্ব প্রকাশিতের পর )
[ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আ’লামীন উনার এবং অসংখ্য
দরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। মহান আল্লাহ্ পাক উনার অশেষ রহ্মতে আমাদের গবেষণা কেন্দ্র,
‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’-এর ফতওয়া
বিভাগের তরফ থেকে, বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী,
বাতিলের আতঙ্ক “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায়
যথাক্রমে টুপির ফতওয়া, অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান, নিয়ত করে মাযার শরীফ জিয়ারত করা,
ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া,
জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
ফতওয়া, মহিলাদের মসজিদে গিয়ে
জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া,
কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া,
তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী
ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া,
ফরজ নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়
সম্পর্কে ফতওয়া, ইনজেকশন
নেয়া রোজা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া,
তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা
ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া প্রকাশ করার পর দ্বাদশ ফতওয়া হিসাবে ২৫তম সংখ্যা
হতে তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া প্রকাশ করে আসতে
পারায় মহান আল্লাহ্ পাক উনার দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া।]
বিঃ দ্রঃ- এখানে বিশেষভাবে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, হাদীছ শরীফে তারাবীহ্ নামাযকে (قيام ضهر رمضان)
ক্বিয়ামু শাহ্রে রামাদান,
(قيام لليل) ক্বিয়ামুল লাইল ইত্যাদি
নামে অভিহিত করা হয়েছে। আর ক্বিয়ামু রামাদান যে, তারাবীহ্ নামায,
এ ব্যাপারে সকলেই একমত। যেমন এ প্রসঙ্গে কিতাবে
উল্লেখ আছে যে,
قال الكرمانى- اتفقوا على ان المراد بقيام رسمضان
التراويح- وبه جزم النووى وغيره (اوجزالمسالك)
অর্থঃ- আল্লামা কিরমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে,
“ক্বিয়ামু রামাদান” দ্বারা তারাবীহ্
নামাযকে বুঝানো হয়েছে। ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্যগণের এটাই অভিমত। (আওযাযুল
মাসালিক)
এ প্রসঙ্গে কিতাবে আরো উল্লেখ
আছে যে,
وفى الاقناع- اتفقوا على ان التراويح هى المراد من قوله صلى الله عليه وسلم قام رمضان وفى شرح الكبير- التراريح هى قيام رمضان.
অর্থঃ- আল্ ইক্বনা কিতাবে উল্লেখ আছে, সকলেই একমত যে, قام رمضان হাদীছ শরীফ দ্বারা তারাবীহ্ নামাযকে বুঝানো হয়েছে। আর “শরহুল কবীরে” বর্ণিত
আছে যে, “ক্বিয়ামু রামাদান”
অর্থে তারাবীহ্ নামাযকেই বুঝানো হয়েছে।
অতএব,
প্রমাণিত হলো যে,
যে সকল হাদীছ শরীফে قام رمضان ক্বিয়ামু
রামাদান উল্লেখ আছে, ওটার দ্বারা মূলতঃ তারাবীহ্ নামাযকেই বুঝানো হয়েছে।
আর “ক্বিয়ামুল লাইল” (قيام لليل)
তারাবীহ্ নামায হওয়ার ব্যাপারে যদিও মুহাদ্দিসগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে,
তবে অধিকাংশ মুহাদ্দিসগণের মতে ক্বিয়ামুল লাইল
অর্থে তারাবীহ্ নামাযকেই বুঝানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে,
ঊদূ লেখা ঢুকবে...............................................................
অর্থঃ- অধিকাংশ মুহাদ্দিসগণ, “ক্বিয়ামুল লাইল” দ্বারা তারাবীহ্ নামাযকে বুঝিয়েছেন। (আহ্সানুল
ফতওয়া, অনুরূপ- হেদায়া,
ফতহুল ক্বাদীর, মাব্ছূত ও বাদায়েতে উল্লেখ আছে)
তাছাড়া হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে
যে,
جعل الله صيامه قريضة وقيام ليله تطوع- (بيهقى شريف)
অর্থঃ- “তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ্ পাক তিনি রমযানের রোজাকে ফরজ করেছেন এবং “ক্বিয়ামুল
লাইল” অর্থাৎ রাত্রের নামাযকে (তারাবীহ্কে) নফল (সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্) করেছেন।” (বায়হাক্বী
শরীফ)
মূলতঃ উক্ত হাদীছ শরীফে তারাবীহ্
নামাযকে “ক্বিয়ামুল লাইল” (قيام لليل) বলা হয়েছে।
অতএব,
মূলকথা হলো- ক্বিয়ামু রামাদান قيام رمضان ও ক্বিয়ামুল লাইল قيام لليل হাদীছ শরীফে তারাবীহ্ নামাযের অর্থেই ব্যবহৃত
হয়েছে।
বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীলসমূহ :
(১-১৯)
حدثنا يزيد بن هارون قال- اخبر نا ابراهيم ابن عشمان، عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس-
ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان سصلى فى رمضان عشرين ركعة والوتر- (اخرجه فى مصنف بن ابى شيبة= وكذا فى مسندالكشى= معجم لليغوى= الكبير للطبرانى= سنن الكبرى للبيهقى التعليق الحسن= مسند عدى= مسند عبد بن حميد= المطالب العلية= فتح الملهم شرح صحيح المسلم= مر قاة المفاتيح شرح مشكوة المصابيح= مرأة المناجيح شرح المشكوة= درس مشكوة= اوجز المسالك شرح مؤطا امام المالك- وصححه فى العلاء السنن= ومعارف مدنيةشرح ترمذى)
অর্থঃ- ইয়াযীদ ইবনে হারুন বলেন, হযরত ইব্রাহীম ইবনে ওসমান,
হিকাম হতে তিনি মুকসিম হতে তিনি হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,
নিশ্চয় সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, রমযান
মাসে বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়েছেন এবং বিত্র (আলাদা) পড়েছেন। (এ হাদীছ শরীফখানা
মুছান্নিফ ইবনে আবী শায়বায় বর্ণিত হয়েছে, অনুরূপ মসনদে কাশী,
মু’জামুলিল বাগবী,
আল্ কবীর লিত্ তিব্রানী,
সুনানুল কোবরা লিল্ বায়হাক্বী,
তা’লীকুল হাসান,
মসনদে আদ্দী, মসনদে আব্দ ইব্নে হুমাইদ,
আল মুত্তালিবুল আলীয়াহ্,
ফতহুল মুলহিম শরহে মুসলিম,
মিরকাতুল মাফাতীহ্ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ,
দরসে মিশকাত, মিরআতুল মানাজীহ্ শরহে মিশকাত,
আওযাযুল মাসালিক শরহে মুওয়াত্তায়ে মালিক,
রওজুল মারবা, ইরশাদুস্ সারী শরহে বুখারী,
দরসে তিরমিযীতে উল্লেখ আছে। আর ই’লাউস্ সুনান
ও মায়ারিফে মাদানিয়া শরহে তিরমিযীতে উক্ত হাদীছ শরীফকে সহীহ্ বলা হয়েছে।
(২০-২৭)
عن ابن عباس رضى الله عنه قال- كان النبى صلى الله عليه وسلم- يصلى فى رمضان عشرين ركعة والوتر= (الجوهرالنقى ج ২ صفه ৪৯২= وكذا فى زجاجة المصابيح= نيل الاوطار= نصب الرأية لا حاديث الهدايه= طحاوى شرح معانى الاثار= ماثبت بالسنة= روض الرياض= فتح البارى شرح بخارى)
অর্থঃ- হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, রমযান
মাসে বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়েছেন এবং বিত্র (পৃথক) আদায় করেছেন। (আল্ জাওহারুন্
নক্বী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪৯৫, অনুরূপ যুজাজাতুল মাছাবীহ্, নাইলুল আওতার, নাছবুর রাইয়াহ্ লি আহাদীসিল হেদায়া,
তাহাবী শরহে মায়ানিয়িল আছার,
মাছাবাতা বিস্সুন্নাহ্,
রওজুর রিয়াজ, ফত্হুল বারী শরহে বুখারীতে উল্লেখ আছে)
(২৮-৩৩)
نقل الحافظا الحديثء ابن الحجر العسقلانى رحمه الله تعالى- عن الامام الرافعى رحمه الله تعالى= انه صلى الله عليه وسلم- صلى بالناس عشرين ركعة ليلتين- فلما كان فى لليلة الثالثةاجتمغ الناس فلم يخرج اليهم- ثم قال- من الغد انى خشيت ان تفرض عليكم فلا تطيقونها= متفق على صحته (تلخيص الحبير فى تخريج احاديث الرافع الكبير ج১ صفه ১১৯ وكذا فى لا مغ الدرارى شرح صحيح البخارى= مرقاة شرح مشكوة= العناية على مستخلص الحقائق= الكفاية مع الهداية= الحاوى للفتاوى للسيوطى)
অর্থঃ- হাফিজুল হাদীছ, ইব্নে হাজর আস্কালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
ইমাম রাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণনা করেন,
নিশ্চয় সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, লোকদের
সাথে দু’রাত্র বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়েছেন। যখন তৃতীয় রাত্র আসলো,
তখন লোকজন একত্রিত হলো,
কিন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাদের নিকট আসলেন না। অতঃপর বললেন, আমার আশংকা হচ্ছে যে,
এটা তোমাদের উপর ফরজ হয়ে যায় কিনা,
আর যদি এটা ফরজ হয়ে যায়,
তবে তোমরা উহা আদায় করতে সক্ষম হবেনা। এই হাদীছ
শরীফখানা সহীহ্ হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত। (তাল্খীছুল হাবীর ফি তাখরীজে আহাদীসির রাফিয়িল
কাবীর ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১১৯, অনুরূপ লামিউদ্দুরারী শরহে সহীহিল বুখারী,
মিরকাত শরহে মিশকাত,
আল এনায়া আলা মুস্তাখ্লাছিল হাক্বায়েক,
আল্ কেফায়া মায়াল হিদায়া,
আল হাবী লিল্ ফতওয়া লিস্ সুয়ূতীতে উল্লেখ আছে)
উপরোক্ত ছহীহ্ হাদীছ শরীফসমূহের
দৃষ্টিতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, রমযান
মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েছেন।
সুতরাং সহীহ্ হাদীছ শরীফ দ্বারা
প্রমাণিত যে, তারাবীহ্
নামায বিশ রাকায়াত আদায় করা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্।
(৩৪-৪২)
عن سائب بن يزيد قال كنا نقوم من زمن عمربن الخطاب رضى الله عنه بعشرين رحعة والوتر= رواه البيهقى فى المعرفة= التعليق الحسن= نصب الرايه لا حاديث الهداية= نيل الاوطار= اعلاء السنن= طحاوى فى شرح معائى الاثارج১ صفه ২০৬= مر قاة المفاتيح شرح مشكوة المصابيح= قال النووى فى الخلاصه اسناده صحيح وصححه السبكى فى شرح المنهاج.
অর্থঃ- হযরত সাইব ইব্নে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আমরা আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে
বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়েছি ও বিত্র (পৃথক) আদায় করেছি। (সুনানুল মা’রেফাহ্
লিল্ বায়হাক্বী, তা’লীকুল হাসান, নছবুর রাইয়ালি আহাদীসিল হেদায়া,
নাইলুল আওতার, এলাউস্ সুনান, তাহাবী শরহে মায়ানিয়িল আছার ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-২০৬,
মিরকাতুল মাফাতীহ্ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ্,
ইমাম নববী “খোলাছা” কিতাবে ও আল্লামা সুবকী “শরহুল
মিনহাজে” উক্ত হাদীছ শরীফকে সহীহ্ বলেছেন)
(৪৩-৬২)
عن سائببن يزيد قال كانوا يقومون على عهد عمرين الخطاب فى شهر رمضان بعشرين ركعة= سنن الكبرى للبيهقى= فته السنن والاثار= المصابيح= اثارالسنن= التعليق الحسن= اعلاء السنن= شرح التقريب= الجوهرالنقى= عيتى شرح بخارى= عمدة القارى شرح بخارى= ارشاد السارى= بذل المجهود شرح ابودود= درس ترمذى= معارف السنن شرح تر مذى= معارف مدنية شرح تر مذى= معارف مدنية شرح ترمذى= فتح الملهم شرح صحيح مسلم= مر قاة المفاتيح شرح مشكوة المصابيح= تنظيم الاشتات شرح المشكوة= وصححه النووى فى شرح المهذب= ملاعلى قارى فى شرح موطا.
অর্থঃ- হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, লোকেরা আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে
বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়তেন। (সুনানুল কোবরা লিল্ বায়হাক্বী,
ফিক্বহুস্ সুনানে ওয়াল আছার,
তা’লীকুল হাসান,
আল জাওহারুন নক্বী,
আছারুস্ সুনান, আল্ মাছাবীহ্, ই’লাউস্ সুনান, শরহুত্ তাক্রীব,
ওমদাতুল কারী শরহে বুখারী,
আইনী শরহে বুখারী,
ইরশাদুস্ সারী শরহে বুখারী,
বজলুল মাজহুদ শরহে আবূ দাউদ,
মা’য়ারেফুস্ সুনান শরহে তিরমিযী, মা’য়ারেফে মাদানিয়া শরহে তিরমিযী,
দরসে তিরমিযী, ফাতহুল মুল্হিম শরহে সহীহ্ মুসলিম,
মিরকাতুল মাফাতীহ্ শরহে মিশকাত,
তানযীমুল আশ্তাত শরহে মিশকাত,
ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি শরহুল মাহযাবে ও
মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি শরহে মুয়াত্তায় উক্ত হাদীছ শরীফকে সহীহ্ বলেছেন)।
(৬৩-৭৯)
عن يزيدبن رومان انه قال- كان الناس يقومون فى زمان عمربن الخطاب رضى الله عنه فى رمضان بثلاث وعشرين ركعة= رواه المالك فى الموطا صفه ৯৮= وكذا فى اثارالسنن= اعلاء المتن= المعرفة للبيهقى= نصب الراية= سنن الكبرى للبيهقى= الجرهرالنقى= نبل الاوطار= المنتقى من اخبار المصطفى= فتحالملهم شرح المسلم= اوجزالمسالك مؤطا مالك= مرأة المناجيح شرح مشكوة= عمدة القارى= بذل المجهود= ارشاد السارى= فتح البارى= درس تر مذى.
অর্থঃ- হযরত ইয়াযীদ ইবনে রোমান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত- তিনি বলেন,
লোকেরা আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার থেকে
যামানায় (বিত্রসহ) তেইশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়েন। (মুয়াত্তায়ে ইমাম মালেক,
পৃষ্ঠা-৯৮, অনুরূপ আছারুস্ সুনান,
ই’লাউস, সুনান, আল মা’রেফাতু লিল্ বায়হাক্বী,
নছবুর রাইয়াহ্, সুনানুল কোবরা লিল্ বায়হাক্বী,
নাইলূল আওতার, আল জাওহারুন্ নক্বী,
আল্ মুন্তাক্বা মিন্ আখবারিল মোছতফা,
ফতহুল মুলহিম শরহে মুসলিম,
আওযাযুল মাসালিক মুওয়াত্তায়ে মালিক,
মিরআতুল মানাজীহ্ শরহে মিশকাত,
ওমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী,
ফতহুল বারী শরহে বুখারী,
ইরশাদুস্ সারী শরহে বুখারী,
বজলুল মাজ্হুদ শরহে আবূ দাউদ,
দরসে তিরমিযীতে উল্লেখ আছে)।
কেউ কেউ উক্ত হাদীছ শরীফকে মুরসাল
হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, যদিও উক্ত হাদীছ শরীফখানা মুরসাল,
তথাপিও উহা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য। কারণ,
আমাদের হানাফী মায্হাবে মুরসাল হাদীছ গ্রহণযোগ্য
ও আমলের উপযুক্ত।
(৮০-৮৬)
عن يحيى بن سعيد- ان عمربن الخطاب رضى الله عنه امر رجلا يصلى بهم عشرين ركعة اسناده مرسل قوى= رواه مصنف بن ابى شيبة ج ২ صفه ৩৯৩= وكذا فى اثارالسنن= اعلاءالسنن= فقه السنن والاثار= فتح الملهم شرح مسلم= بذل المجهود شرح ابى داود= معارف مدنية شرح تر مذى.
অর্থঃ- হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত- নিশ্চয় হযরত ওমর
ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি এক ব্যক্তিকে সকল লোকদের নিয়ে বিশ রাকায়াত (তারাবীহ)
নামায পড়ার আদেশ দিয়েছেন। ইহার সনদ মুরসাল। (মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৩৯৩,
অনুরূপ আছারুস্ সুনান,
ই’লাউস্ সুনান, ফিক্বহুস সুনানে ওয়াল আছার,
ফাতহুল মুলহিম শরহে মুসলিম,
বজলুল মাজহুদ শরহে আবূ দাউদ,
মা’য়ারেফে মাদানীয়াহ্ শরহে তিরমিযীতে উল্লেখ আছে)।
عن محمد بن كعب قال- كان الناس يصلون فى زمان عمربن الخطاب فى رمضان عشرين ركعة= (قيام لليل صفه ৯১)
অর্থঃ- মুহম্মদ ইবনে কা’ব রহমতুল্লাহি
আলাইহি হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, লোকেরা (ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ) আমীরুল
মু’মিনীন, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব
আলাইহিস সালাম উনার যামানায় (খিলাফতকালে) রমযান মাসে বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায
পড়েন। (ক্বিয়ামুল লাইল পৃষ্ঠা-৯১)
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত
হলো যে, আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত ওমর ইব্নুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালেও
উনারই নির্দেশে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ রমযান মাসে বিশ রাকায়াত
তারাবীহ্ নামায আদায় করেন। অতএব, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায শুধু সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মোবারক আমল দ্বারাই প্রমাণিত নয়, বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণের আমল
দ্বারাও প্রমাণিত।
(৮৮-৯৩)
عن عبد الرحمن السلمى قال- ان عليا رضى الله عنه دعاالقراء فى رمضان فامر منهم رجلا ان يصلى با لناس عشرين ركعة وكان على يوتريهم= رواه البيهقى فى معرفة بستد صحيح وكذا فى سنن الكبرى للبيهقى= الجوهرالنقى= اعلاء السنن.
অর্থঃ- হযরত আব্দুর রহ্মান সালামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
নিশ্চয়ই হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি রমযান মাসে
কয়েকজন ক্বারী সাহেবকে ডাকলেন। অতঃপর উনার মধ্য হতে একজনকে সকল লোকদের নিয়ে বিশ রাকায়াত
(তারাবীহ্) নামায পড়ার আদেশ দেন। আর হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার সাথে বিত্র আদায় করেন।
(ইমাম বায়হাক্বী তাঁর মা’রিফাতুস্ সুন্নাহ্ কিতাবে উক্ত হাদীছ শরীফখানা সহীহ্ সনদে
বর্ণনা করেন। অনুরূপ সুনানুল কোবরা লিল্ বায়হাক্বী, তা’লীকুল হাসান,
মুস্তাদ্রিকুল হাকিম,
আল্ জাওহারুন্ নক্বী,
ই’লাউস্ সুনানে উল্লেখ আছে)।
(৯৪-১০১)
عن ابى الحسناء- ان على بن ابى طالب امر رجلا ان يصلى بالناس خمس ترويحاب عشرين ركعة= سنن الكبرى للبيهقى= وكذا فى مصنف ابن ابى شيبة= جوهرالنقى= كنزالعمال= اعلاء السنن= عمدة القارى= عينى شرح بخارى= المغنى لا بن قدامة.
অর্থঃ- হযরত আবুল হাসানা হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, নিশ্চয় হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু, এক
ব্যক্তিকে সকলকে নিয়ে পাঁচ তারবীহা অর্থাৎ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়ার নির্দেশ
দেন। (সুনানুল কোবরা লিল্ বায়হাক্বী, অনুরূপ মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা,
আল্ জাওহারুন্ নক্বী,
কান্যুল উম্মাল,
ই’লাউস্ সুনান, ওমদাতুল ক্বারী,
আইনী শরহে বুখারী,
আল্ মুগনী লি ইবনে কুদামাহ্তে উল্লেখ আছে)।
(১০২-১০৭)
عن سائببن يزيد قال- كانوا يقومون على عهد عمر رضى الله عنه بعشرين ركعة وعلى عهد عشمان وعلى مثله= (عينى شرح بخارى ج ৮ صفه ১৭৮= عمدة القارى شرح بخارى= فتح الملهم شرح المسلم= تنظيم الاشتاب شرح المشكوة= كرح النقاية= كبيرى.
অর্থঃ- হযরত সাইব ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন,
লোকেরা হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম
উনার খিলাফতকালে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তো। অনুরূপ হযরত ওসমান আলাইহিস সালাম
ও হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনাদের খিলাফতকালেও বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়া হতো।
(আইনী শরহে বুখারী ৭ম জিঃ, পৃষ্ঠা-১৭৮, ওমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী,
ফাতহুল মুল্হিম শরহে মুসলিম,
তান্যীমুল আশ্তাত শরহে মিশকাত,
শরহে নেক্বায়া, কবীরী)।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে
প্রমাণিত হলো যে, খোলাফা-ই-রাশেদীন, তথা আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম,
হযরত ওসমান জিন্ নূরাইন আলাইহিস সালাম ও হযরত
আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাদের খিলাফতকালে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তেন। আর এটাই মূলতঃ ইজ্মা।
(১০৮-১১৪)
عن عبد العزيزبن رفيع قال- كان ابى بن كعب رضى الله عنه يصلى بالناس فى رمضان بالمدينة عشرين ركعو ويوبر بثلاث= اخرجه مصنف بن ابى شيبه= وكذا فى اثارالسنن= التعليق الحسن= اعلاء السنن= فقه السنن رالاثار= فتح الملهم شرح المسلم= بذل المجهود شرح ابى داود.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল আযীয ইব্নে রুফী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত- তিনি বলেন,
হযরত উবাই ইব্নে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
মদীনা শরীফে রমযান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ ও তিন রাকায়াত বিত্র নামায পড়েন। (মুছান্নিফ
ইব্নে আবী শায়বা, অনুরূপ আছারুস্ সুনান, তা’লীকুল হাসান,
এলাউস্ সুনান, ফিক্বহুস্ সুনানে ওয়াল আছার,
ফতহুল মুল্হিম শরহে মুসলিম,
বজলুল মাজ্হুদ শরহে আবী দাউদে উল্লেখ আছে)।
১১৫-১১৭)
عن اعمش رحمه الله تعالى قال- ان عبد الله بن مسعود رضى الله عنه كان يصلى عشرين ركعة ويوتر بثلاث= (قيام لليل صفه ৯১= وكذا فى عمدة القارى شرح بخارى= عينى شرح بخارى)
অর্থঃ- হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্নে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ ও তিন রাকায়াত বিত্র নামায পড়তেন। (ক্বিয়ামুল লাইল পৃষ্ঠা-৯১,
অনুরূপ ওমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী,
আইনী শরহে বোখারীতে উল্লেখ আছে)।
(১১৮-১২২)
عن ابى الخصيب رحمه الله تعالى قال- كان يؤمنا سويد بن غفلة فى رمضان يصلى خمس تروبحات عشرين ركعة= اسناده حسن= سنن الكبرى للبيهقى ج ২ صفه ৪৯৬= الجوهر النقى= اثارالسئن= اعلاء السنن= بذل المجهود شرح ابى داود.
অর্থঃ- হযরত আবুল খছীব রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত- তিনি বলেন,
হযরত সুয়াইদ ইব্নে গাফলাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি
রমযান মাসে আমাদেরকে নিয়ে পাঁচ তারবীহা অর্থাৎ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েন। (ইহার
সনদ হাসান) (সুনানুল কোবরা লিল্ বায়হাক্বী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪৯৬,
আল্ জাওহারুন্ নক্বী,
আছারুস্ সুনান, এ’লাউস্ সুনান, বজ্লুল মাজহুদ্ শরহে আবূ দাউদ)।
(১২৩-১২৭)
عن شتير بن شكل- وكان من اصحاب على- انه كان يؤمهم فى رمضان بعشرين ركعة والوتر بثلاث= سنن الكبرى للبيهقى ج ২ صفه ৪৯৬ وكذا فى قيام لليل= مصنف بن ابى شيبة= الجو هر النقى= مر قاة شرح مشكوة.
অর্থঃ- হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি একজন সাথী হযরত শুতাইর
ইব্নে শেকাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নিয়ে রমযান মাসে তারাবীহ্ নামাযে ইমামতী করেন
এবং বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ ও তিন রাকায়াত বিত্র নামায পড়েন। (সুনানুল কোব্রা লিল্ বায়হাক্বী
২য় জিঃ পৃষ্ঠা- ৪৯৬, অনুরূপ ক্বিয়ামুল লাইল, মুছান্নিফ ইব্নে আবী শায়বা,
আল্ জাওহারুন্ নক্বী,
মিরকাত শরহে মিশকাতে উল্লেখ আছে)
(১২৮-১৩০)
عن سعيد بن عبيد قال- ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بشلاث= اسناده صحيح= مصنف بن ابى شيبة ج ২ صفه ৩৯৪= وكذا فى اثارالسنن بذل المجهرد شرح ابى داره.
অর্থঃ- হযরত সাঈদ ইব্নে ওবাইদ
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নিশ্চয় হযরত আলী ইব্নে রুবাইয়াহ্ রমযান মাসে লোকদের নিয়ে বিশ
রাকায়াত তারাবীহ্ ও তিন রাকায়াত বিত্র নামায পড়েন। (ইহার সনদ সহীহ্) (মুছান্নিফ ইব্নে
আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা- ৩৯৪, অনুরূপ আছারুস্ সুনান, ফিক্বহুস্ সুনানে ওয়াল আছার,
এ’লাউস্ সুনান, বজলুল মাজ্হুদ শরহে আবূদাউদে উল্লেখ আছে)
(১৩১-১৩৮)
عن عطاءبن ابى رباح قال- ادركت الناس وهم يصلون ثلاثا وعشرين ركعة بالوتر= واسناده حسن= مصنف بن ابى شيية= وكذافى اثارالمسنن= قيام لليل= نيل الاوطار= فقه السنن والاثار= فتح لبارى شرح بخارى= فتح الملهم شرح المسلم= بذل المجهود= شرح ابى داود.
অর্থঃ- হযরত আতা ইব্নে রিবাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
আমি লোকদের এরূপ অবস্থায় পেয়েছি যে,
তারা বিত্রসহ তেইশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েন।
ইহা ‘হাসান‘ সনদে বর্ণিত। (মুছান্নিফ ইব্নে আবী শায়বা,
অনুরূপ আছারুস্ সুনান,
ক্বিয়ামুল লাইল,
নাইলুল আওতার, ফিক্বহুস্ সুনানে ওয়াল আছার,
ফাতহুল বারী শরহে বোখারী,
ফাতহুল মুল্হিম শরহে মুসলিম,
বজলুল মাজ্হুদ শরহে আবূ দাউদে উল্লেখ আছে)।
(১৩৯-১৪১)
عن نافع رحمه الله تعالى- قال= كان ابن ابى مليكة رضى الله عنه يصلى بنا فى رمضان عشرين ركعة= اسناده صحيح= (اخرجه مضنف بن ابى شيبة= وكذا فى اثارالسنن= فقه السنن والاثار.
অর্থঃ- হযরত ইমাম নাফে রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
হযরত ইব্নে আবী মুলাইকাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি রমযান মাসে আমাদেরকে নিয়ে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েন। ইহার সনদ সহীহ্।
(মুছান্নিফ ইব্নে আবী শায়বা, অনুরূপ আছারুস্ সুনান, ফিক্বহুস্ সানানে ওয়াল আছারে উল্লেখ আছে)।
(১৪২)
عن ابى اسحاق عن الحارث- انه كان يؤم الناس فى رمضان بالليل بعشرين ركعة ويوتر بثلاث= مصنف بن ابى شيبة ج ২ صفه ৩৯৪.
অর্থঃ- হযরত আবূ ইস্হাক রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত হারেছ রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে
বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি রমযান মাসে লোকদের ইমামতী করতেন ও বিশ রাকায়াত তারাবীহ্
ও তিন রাকায়াত বিত্র নামায পড়তেন। (মুছান্নিফ ইব্নে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৩৯৪)।
(১৪৩)
عن ابى البخترى انه كان يصى خمس تروبحات فى رمضان ويوتر بثلاث= (مصنف بن ابى شيبة ج ২ صفه ৩৯৪).
অর্থঃ- হযরত আবুল বখতারী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত- তিনি রমযান মাসে পাঁচ
তারবীহা অর্থাৎ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ ও তিন রাকায়াত বিত্র নামায পড়তেন। (মুছান্নিফ
ইব্নে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৩৯৪)
(১৪৪)
قال الحافظ ابن عبد البر- وروى الحارث بن عبد الرحمن بن ابى ذباب عن سائب بن يزيد قال كان القيام على عهد عمر بثلاث وعشرين ركعة- قال عبد البر والثلاث للوتر= عينى شرح بخارى ج ه صفه ৩৫৭)
অর্থঃ- হাফিজুল হাদীছ, ইব্নে আব্দুল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
হারিছ ইব্নে আব্দুর রহ্মান ইব্নে আবূ জুবাব রহমতুল্লাহি
আলাইহি, হযরত সাইব ইব্নে ইয়াযীদ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেন,
আমীরুল মু’মিনীন,
হযরত ওমর ইব্নুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার সময়
তেইশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়া হতো। হযরত আব্দুল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
উহার মধ্যে তিন রাকায়াত ছিল বিত্র নামায। (আইনী
শরহে বুখারী ৫ম জিঃ পৃষ্ঠা-৩৫৭)
(১৪৫-১৪৭)
وقال صاحب الهداية- بستحب ان يجتمع الناس فى شهر رمضان بعد العشاء فيصلى بهم امامهم خمس تر ربحات .... الثانى ان عددها عشرون ركعة وبه قال الشافعى واحمد ونقله القاضى عن جمهور العلماء ... واحتج اصحابنا والشافعية والحنا بلة بماروى التيهقى باسناد صحيح عن سائب بن يز يد الصحابى رضى الله عنه قال كانوا يقومون على عهد عمر رضى الله عنه بعشرين ركعة وعلى عهد عشمان وعلى رضى الله عنهما مثله- وفى المغنى عن على انه امر رجلا ان يصلى فى رمضان بعشرين ركعة قال وهذا كالا جماع= عمدة القارى شرح صحيح البخارى ج ৭ صفه ১৭৮)
অর্থঃ- “ছাহেবে হেদায়া” বলেন, রমযান মাসে এশার নামাযের পর সকলে একত্রিত হওয়া মুস্তাহাব (সুন্নতে
কিফায়া)। অতঃপর সকলেই তাদের ইমামের সাথে পাঁচ তারবীহাত্ (অর্থাৎ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্)
নামায আদায় করবে। ..... দ্বিতীয়তঃ নিশ্চয় তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত,
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আহ্মদ
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের এটাই বক্তব্য। আর এটা কাজী আয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি জমহুর
আলেমগণ হতে তিনি বর্ণনা করেন। ..... (বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের পক্ষে) আমাদের হানাফী,
শাফিয়ী, হাম্বলীগণের দলীল হলো- যেটা বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি
আলাইহি সহীহ্ সনদে, ছাহাবী, হযরত সাইব ইবনে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ,
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার সময়
বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তেন। অনুরূপ হযরত উছমান আলাইহিস সালাম ও হযরত আলী আলাইহিস
সালাম উনাদের সময়ও বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়া হতো। আর “মুগনী” কিতাবে হযরত আলী
আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তিনি এক ব্যক্তিকে রমযান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্
নামায পড়ার আদেশ দেন। তিনি বলেন, আর এটাই মূলতঃ ইজমা। (ওমদাতুল ক্বারী শরহে বোখারী ৭ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৭৮)
(১৪৮)
عدد الر كعات التى كان يصلى بها ابى بن كعب رضى الله عنه- المعروف وهوالذى عليه الجمهور- انه عشرين ركعه بعشر تسليمات وذالك خمس ترويحات- كل تريحة اربع ركعات تسلمتين غير الوتر وهو ثلاث ركعات= (ارشاد السارى شرح صحيح البخارى ج ৩ صفه ৪২৬)
অর্থঃ- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ,
হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার ইমামতীতে যে তারাবীহ্ নামায আদায় করেন,
জম্হুর আলেমগণ উনাদের প্রসিদ্ধ মতে,
তা দশ সালামে বিশ রাকায়াত। আর উহা মূলতঃ পাঁচ
তারবীহাত, প্রত্যেক চার রাকায়াতে
এক তারবীহা। অর্থাৎ দুই সালাম, বিত্র ব্যতীত। আর বিত্র হলো- তিন রাকায়াত। (ইরশাদুস্ সারী শরহে
সহীহিল বোখারী ৩য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪২৬)
(১৪৯-১৫০)
نعم اتفقوا على ثبوتها عشرين ... سأل ابو يوسف ابا حنيفة رحمهما الله تعالى هل كان لعمر رضى الله عنه عهد من النبىصلى الله عليه وسلم فى عشرين ركعة- فقال له ابو خيفة رحمه الله تعالى- لم يكن عمربن الخطاب رضى الله عنه مبتدعا- ..... وفى تاريخ الخلفاء ان عمر رضى الله عنه كتب فى السنة الخامسة عشرة ان تقام التراريح عشرين ركعة ... ثم ان ائمة المذا هب الاربعة قلدوه على كون التراويح عشرين ركعة ... (فيض البارى شرح صحيخ البخارى ج ২ صفه ৪২০.
অর্থঃ- হ্যাঁ,
তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত হওয়ার ব্যাপারে সকলেই
একমত। ...... হযরত আবূ ইউসূফ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনাকে প্রশ্ন করলেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার থেকে হযরত ওমর ফারুক আলাইহিস সালাম উনার নিকট বিশ রাকায়াত তারাবীহ্
নামাযের প্রমাণ রয়েছে কি? তখন হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলেন যে,
নিশ্চয় হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম
তিনি এ ব্যাপারে বিদ্য়াতের প্রবর্তক নন। অর্থাৎ নিশ্চয়ই উনার নিকট উহার দলীল রয়েছে।
...... আর “তারীখুল খোলাফা” কিতাবে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম
তিনি ১৫ হিজরীতে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ পড়ার জন্যে (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুগণ উনার নিকট) চিঠি লিখেন। ...... অতঃপর চার মায্হাবের ইমামগণ বিশ রাকায়াত
তারাবীহ্ নামাযের মতকেই গ্রহণ করেন। ....
(ফয়জুল বারী শরহে সহীহিল বুখারী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৪২০)
(১৫১-১৫৫)
اتفق جمهور الصحابة والتابعين على العشرين فى اخر الامر قال البيهقى ثم استقر الامر على العشرين فانه المتوارث- قال على القارى فى شرح النقاية قضاراجماعا لما روى التيهقى باسناد صحيح انهم كانو يقومون على عهد عمر بعشرين ركعة وعلى عهد عشمان وعلى وهكذا هوفى عمدة القارى- وقال فى اليحر و عشرون ركعة هو قول الجمهور- لمافى المؤطا عن يزيد بن رومان قال- كان الناس يقومون فى زمن عمرين الخطاب رضى الله عنه بثلاث وعشرين ركعة- وعليه عمل الناس شرقا وغريا= (فتح اللهم شرح صحيح المسلم ج২ صفه ৩২০)
অর্থঃ- জমহুর ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি
আলাইহিগণ শেষের আদেশ অর্থাৎ তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অতঃপর তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত নির্ধারিত হয়েছে
এবং নিয়মিতভাবে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযই আদায় হয়ে আসছে। হযরত মুল্লা আলী ক্বারী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘শরহুন নেক্বায়া’ কিতাবে বলেন,
বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের উপর ইজ্মা প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। যেমন- বায়হাক্বী সহীহ্ সনদে বর্ণনা করেন যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনারাসহ সকলেই হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্
নামায পড়েন। অনুরূপ, হযরত ওসমান আলইহিস সালাম ও হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনাদের খিলাফতকালেও
বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তেন। অনুরূপ বর্ণনা ‘উমদাতুল ক্বারী’ কিতাবেও উল্লেখ
আছে।
“বাহ্রুর রায়েক” কিতাবে বলা হয়েছে যে,
তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত,
এটা জমহুর আলেমগণের মত বা বক্তব্য। যেমন মুওয়াত্তা
শরীফে হযরত ইয়াযীদ ইব্নে রোমান হতে বর্ণিত যে, সকলেই হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার
খিলাফতকালে (বিত্রসহ) তেইশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েন। আর এ বিশ রাকায়াতের উপর পূর্ব
ও পশ্চিমের সকল মুসলমানগণেরই আমল রয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় সকল মুসলমানই বিশ রাকায়াত
তারাবীহ্ নামায পড়েন। (ফত্হুল মুল্হিম শরহে সহীহ্ মুসলিম ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৩২০)
(১৫৬-১৫৮)
ولكن وقع ذكر عدد التراويح فيما صلاها بعض الصحابة والتابعين فقد اخرج الشيخ النيموى عن يزيدبن خضيفة عن سائب بن يزيد قال كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضن بعشرين ركعة- رواه البيهقى اسناده سحيح- ... ووافقنا فيه الشافعية فقال فى التوشيح- صلوة التراويح هى عشرون ركعة بعشر تسليمات فى كل ليلة من رمضان وجملتها خمس ترويحات= (بذل المجهود شرح صحيح ابى داود ج ২ صفه ه ৩০৪-৩০)
অর্থঃ- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি
আলাইহিগণ, যে তারাবীহ্ নামায পড়েন,
উহার রাকায়াত সংখ্যা হলো- (যেমন) হযরত শায়খ নাইমাবী
রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত সাইব ইব্নে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন
যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ উনারা হযরত উমর ইবনুল
খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার সময় রমযান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েন। ইহা বায়হাক্বী
সহীহ্ সনদে বর্ণনা করেন। ..... আর তারাবীহ্ নামাযের ব্যাপারে শাফিয়ীগণের মত হলো- “তাওশীহ্”
কিতাবে বলা হয়েছে যে, তারাবীহ্ নামায হলো- রমযান মাসের প্রতি রাত্রে দশ সালামে বিশ
রাকায়াত। আর তারাবীহ্ নামাযের সমষ্টি হলো- পাঁচ তারবীহাত,
অর্থাৎ বিশ রাকায়াত। (বজ্লুল মাজ্হুদ শরহে সহীহ্
আবূ দাউদ ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৩০৪-৩০৫)
(১৫৯-১৬২)
ঊদূ লেখা ঢুকবে.................................................................
অর্থঃ- চার ইমাম (ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি,
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরহ ইমাম আহ্মদ ইব্নে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি
এবং জমহুরে উম্মত এ ব্যাপারে একমত যে, তারাবীহ্ নামায কমপক্ষে বিশ রাকায়াত। তবে হযরত
ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে এক রেওয়ায়েতে ৩৬ রাকায়াত ও আরেক রেওয়ায়েতে
৪১ রাকায়াতের কথাও বর্ণিত আছে। আর ৪১ রাকায়াতের মধ্যে তিন রাকায়াত বিত্র ও দু’রাকায়াত
বিত্র বাদ নফলের অন্তর্ভূক্ত। এজন্যে বর্ণনা দু’টিই হলো- একটি বিশ রাকায়াতের,
অন্যটি ছত্রিশ রাকায়াতের। অতঃপর ছত্রিশ রাকায়াতের
মূল হাক্বীক্বত এটাই যে, মক্কাবাসীগণ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তেন। তবে,
উনারা প্রত্যেক চার রাকায়াতের মধ্যখানে একবার
তাওয়াফ করতেন। মদীনাবাসী যেহেতু তাওয়াফ করতে পারতেন না,
সেহেতু উনারা তাওয়াফের স্থলে চার রাকায়াত নামায
আদায় করতেন। এভাবেই মক্কাবাসীর তুলনায় মদীনা বাসীর তারাবীহ্ নামায ১৬ রাকায়াত বৃদ্ধি
হয়ে যায়। এতে বুঝা গেল যে, মূলতঃ ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকটও তারাবীহ্ নামায
বিশ রাকায়াত। মোটকথা হলো- বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের উপর চার ইমামের ইজ্মা (ঐক্যমত)
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (দরসে তিরমিযী শরহে তিরমিযী ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-৬৫২,
অনুরূপ বিদায়াতুল মুজ্তাহিদ,
মুগ্নী, রাকায়াতুত্ তারাবীহ্তে উল্লেখ আছে)
(১৬৩-১৬৯)
واكشر اهل العلم على ماروى عن على وعمر وغير هما من اضحاب النبى صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة وهو قول سفيان الثورى وابن المبارك والشافعى رحمهم الله عالى وقال شافعى وهكذا ادركت ببلدنا بمكة يصلون عشرين ركعة= تحفة الاحوذى ششرح جامع الترمذى ج ৩ صفه ৪২৭= تر مذى شريف، باب الصوم= اثارالسنن= اعلاء السنن= بذل المجهود شرح ابى داود= اوجزا لمسالك.
অর্থঃ- হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম, হযরত আলী আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ হতে বিশ রাকাতের যে বর্ণনা পাওয়া যায়,
অধিকাংশ আলিমগণ উহাই গ্রহণ করেন। আর ইহাই মূলতঃ
হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইব্নুল মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত শাফিয়ী
রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ উনাদের বক্তব্য। হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
আমি অনুরূপ মক্কা শহরেও বিশ রাকায়াত তারাবীহ্
নামায পড়তে দেখেছি। (তোহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী শরহে তিরমিযী ৩য় জিঃ পৃষ্ঠা-৫২৭,
তিরমিযী শরীফ- বাবুছ ছওম,
আছারুস্ সুনান, ই’লাউস সুনান, বজ্হুল মাজহুদ শরহে আবী দাউদ,
আওযাযুল মাসালিক শরহে মুয়াত্তায়ে মালিক)
১৭০-১৭৩)
ঊদূ লেখা ঢুকবে.................................................................
অর্থঃ- ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি,
ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম আহ্মদ
ইব্নে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়া সুন্নতে
মুয়াক্কাদাহ্ ..... এ ব্যাপারে তিন ইমামের দলীল হলো- যা হযরত আবূ বকর ইব্নে আবী শায়বা
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “মুছান্নেফে” হযরত ইব্নে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
হতে বর্ণনা করেন যে, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
রমযান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায ও বিত্র পড়তেন। এটা বায়হাক্বী ও তিবরানী বর্ণনা
করেন। উক্ত হাদীছ শরীফের সনদের মধ্যে সকল রাবীই ছিক্কাহ্ বা বিশুদ্ধ। তবে হযরত ইব্রাহীম
ইব্নে ওছমান রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইব্নে আবী শায়বার দাদা,
উনাকে জমহুরগণ জঈফ বলেছেন। কিন্তু ইব্নে আদ্দী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনার হাদীছগুলো উত্তম এবং তিনি ইব্রাহীম ইব্নে আবী হাইয়্যাহ্
হতেও উত্তম। ইয়াযীদ ইবনে হারুন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
উনার যামানায় উনার চাইতে অধিক ন্যায় বিচারক কেউ
ছিলেন না। ইব্রাহীম ইব্নে আবী হাইয়্যাহ্ যার আলোচনা এখানে এসেছে,
উনার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ইয়াহ্ ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি বলেন, তিনি “শায়খে ছেক্কাহ্”। এজন্যেই উনাকে “হাসানুল হাদীছ” বলা হয়েছে।
অথচ ইব্রাহীম ইব্নে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়েও উত্তম রাবী। অতএব,
ইব্রাহীম ইব্নে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
উঁচু দরজার “হাসানুল হাদীছ”। অর্থাৎ হাসান হাদীছ বর্ণনাকারী। (আর এজন্যেই হযরত ইব্নে
আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত) হাদীছ শরীফখানা গ্রহণযোগ্য ও হাসান
সহীহ্ পর্যায়ের। (মায়ারিফে মাদানিয়াহ্ শরহে তিরমিযী ৮ম জিঃ পৃষ্ঠা-২-৯)
(১৭৪)
ঊদূ লেখা ঢুকবে.................................................................
অর্থঃ- আর তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াতই নির্ধারিত হয়েছে। এর উপর সকল হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ উহার
বিরোধিতা করেননি এবং বিশ রাকায়াতের উপর সকল উম্মতের ইজ্মা ও চার ইমামের আমল রয়েছে।
(দরসে মিশ্কাত শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ্ ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১২২)
( অসমাপ্ত )
0 Comments:
Post a Comment